জেলে ভাই মাছ ধরে মেঘের ছায়ায়। চরণটিতে ‘জেলে’ কোন কারকে কোন বিভক্তি?
A
কর্তৃকারকে প্রথমা
B
কর্মকারকে প্রথমা
C
কর্মকারকে সপ্তমী
D
কর্তৃকারকে সপ্তমী
উত্তরের বিবরণ
এখানে “জেলে” শব্দটি বাক্যে কর্তা হিসেবে ব্যবহৃত হয়েছে, তাই এটি কর্তৃকারকে প্রথমা বিভক্তি। কর্তা সাধারণত ক্রিয়ার কার্যসম্পাদককে নির্দেশ করে এবং বাক্যে কে বা কারা কাজটি করছে তা বোঝায়।
-
জেলে শব্দটি কাজটি (মাছ ধরা) সম্পাদন করছে, তাই এটি কর্তা।
-
কর্তা বোঝাতে যে কারক ব্যবহৃত হয়, তাকে কর্তৃকারক বলা হয়।
-
“জেলে” শব্দটি মূল রূপে আছে, কোনো বিভক্তি যোগ হয়নি, তাই এটি প্রথমা বিভক্তি।
-
অর্থাৎ, “জেলে ভাই মাছ ধরে” বাক্যে “জেলে” শব্দটি কর্তা এবং তার কারক হলো কর্তৃকারক, বিভক্তি প্রথমা।
0
Updated: 1 day ago
"কারক বিশ্লেষণ" - ব্যাকরণের কোন অংশে আলোচিত হয়?
Created: 2 months ago
A
ধ্বনিতত্ত্ব
B
রূপতত্ত্ব
C
বাক্যতত্ত্ব
D
অর্থতত্ত্ব
১. ধ্বনিতত্ত্ব (Phonetics/Phonology)
-
আলোচ্য বিষয়: ধ্বনি
-
লিখিত ভাষায় ধ্বনি প্রকাশের জন্য বর্ণমালা অন্তর্ভুক্ত।
-
মূল আলোচনা: বাগ্যন্ত্র, উচ্চারণ-প্রক্রিয়া, ধ্বনির বিন্যাস, স্বর ও ব্যঞ্জনধ্বনির বৈশিষ্ট্য, ধ্বনিদল ইত্যাদি।
২. রূপতত্ত্ব (Morphology)
-
আলোচ্য বিষয়: শব্দ ও তার উপাদান
-
শব্দ ও পদনির্মাণের বিভিন্ন দিক আলোচনা করা হয়।
-
উদাহরণ: বিশেষ্য, বিশেষণ, সর্বনাম, ক্রিয়া, ক্রিয়া বিশেষণ ইত্যাদি।
৩. বাক্যতত্ত্ব (Syntax)
-
আলোচ্য বিষয়: বাক্যের গঠন ও নির্মাণ
-
বাক্যে পদ ও বর্গ কীভাবে বিন্যস্ত থাকে তা ব্যাখ্যা করে।
-
আলোচ্য বিষয় অন্তর্ভুক্ত:
-
এক ধরনের বাক্যকে অন্য ধরনের বাক্যে রূপান্তর
-
বাক্যের বাচ্য, উক্তি
-
কারক বিশ্লেষণ, বাক্যের যোগ্যতা
-
বাক্যের উপাদান লোপ, যতিচিহ্ন ইত্যাদি
-
৪. অর্থতত্ত্ব (Semantics)
-
আলোচ্য বিষয়: শব্দ, বর্গ ও বাক্যের অর্থ
-
একে বাগর্থ বলা হয়।
-
আলোচ্য বিষয়: বিপরীত শব্দ, প্রতিশব্দ, শব্দজোড়, বাগধারা ইত্যাদি।
0
Updated: 2 months ago
দোষী ছাত্রটিকে জরিমানা করা হয়েছে।- এখানে ‘ছাত্রটিকে’ কোন কারকে কোন বিভক্তি?
Created: 2 months ago
A
কর্তায় দ্বিতীয়া
B
করণে দ্বিতীয়া
C
অধিকরণে দ্বিতীয়া
D
কর্মকারকে
কর্মকারকে দ্বিতীয়া বিভক্তি দোষী ছাত্রটিকে জরিমানা করা হয়েছে। দ্বিতীয়া বিভক্তির উদারহণ একবচন - অ, এ, (য়) তে, এতে। বহুবচন - রা, এরা, গুলি (গুলো) গণ।
0
Updated: 2 months ago
কারক কত প্রকার?
Created: 1 week ago
A
চার প্রকার
B
পাঁচ প্রকার
C
ছয় প্রকার
D
সাত প্রকার
উ. গ) ছয় প্রকার
বাংলা ব্যাকরণে কারক এমন একটি গুরুত্বপূর্ণ ব্যাকরণিক উপাদান যা ক্রিয়ার সঙ্গে বাক্যের অন্যান্য শব্দের সম্পর্ক নির্দেশ করে। এটি মূলত বাক্যের গঠনকে অর্থবহ করে তোলে এবং শব্দগুলোর পারস্পরিক সম্পর্ক স্পষ্ট করে। কারক ছাড়া কোনো বাক্যের কাঠামো সম্পূর্ণ হয় না, কারণ এটি কর্তা, কর্ম, দাতা, গ্রহীতা, স্থান বা মাধ্যমের সম্পর্ক নির্ধারণ করে।
বাংলা ভাষায় ছয় প্রকার কারক রয়েছে, প্রতিটি কারকের নিজস্ব ভূমিকা ও অর্থ প্রকাশের ক্ষমতা আছে। নিচে সংক্ষেপে প্রতিটি কারকের বর্ণনা দেওয়া হলো।
কর্তৃকারক ক্রিয়ার কর্তা বা কাজ সম্পাদনকারীকে নির্দেশ করে। যেমন—রহিম বই পড়ে। এখানে ‘রহিম’ কর্তৃকারক।
কর্মকারক ক্রিয়ার দ্বারা যে বস্তু বা ব্যক্তি প্রভাবিত হয়, তাকে কর্মকারক বলে। যেমন—সে ফল খায়। এখানে ‘ফল’ কর্মকারক।
সম্প্রদান কারক যাকে কোনো কিছু দেওয়া হয় বা যার জন্য কাজটি করা হয়, তাকে সম্প্রদান কারক বলা হয়। যেমন—আমি ভাইকে কলম দিলাম। এখানে ‘ভাইকে’ সম্প্রদান কারক।
অপাদান কারক যেখান থেকে কোনো কিছু বিচ্ছিন্ন হয় বা আলাদা হয়, তাকে অপাদান কারক বলে। যেমন—গাছ থেকে ফল পড়ল। এখানে ‘গাছ থেকে’ অপাদান কারক।
অধিকরণ কারক কোনো কাজ সংঘটনের স্থান বা সময় নির্দেশ করে। যেমন—ছেলেটি মাঠে খেলছে। এখানে ‘মাঠে’ অধিকরণ কারক।
অধিকরন কারক (করণ কারক নামেও পরিচিত) কোনো কাজ সম্পাদনের উপায় বা যন্ত্র নির্দেশ করে। যেমন—সে কলম দিয়ে লেখে। এখানে ‘কলম দিয়ে’ অধিকরন কারক।
এই ছয়টি কারকই বাক্যে শব্দগুলোর সম্পর্ককে স্পষ্ট ও সুনির্দিষ্টভাবে প্রকাশ করে। বাংলা ভাষায় কিছু ব্যাকরণবিদ সাতটি কারক উল্লেখ করলেও মূলত অধিকাংশ গ্রন্থে ছয়টি কারককেই গ্রহণ করা হয়েছে। কারকের সঠিক প্রয়োগ ভাষার গঠন ও ভাব প্রকাশে শুদ্ধতা আনে।
কারক শেখার মাধ্যমে আমরা জানতে পারি, একটি বাক্যে কোন শব্দ ক্রিয়ার কর্তা, কোনটি কর্ম, কার জন্য বা কার দ্বারা কাজটি হচ্ছে, কোথায় এবং কীভাবে তা সম্পন্ন হচ্ছে। তাই ভাষা ব্যবহারের ক্ষেত্রে কারকের ভূমিকা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এটি শুধু ব্যাকরণিক সম্পর্কই নয়, অর্থের গভীরতাও প্রতিষ্ঠিত করে।
0
Updated: 1 week ago