গুজরাটি শব্দের উদাহরণ কোনটি?
A
হরতাল
B
লুঙ্গি
C
রিক্সা
D
চাকু
উত্তরের বিবরণ
গুজরাটি ভাষা থেকে বাংলায় বেশ কিছু শব্দ গৃহীত হয়েছে, যেগুলো দৈনন্দিন জীবনে ব্যবহৃত হয়। এর মধ্যে ‘হরতাল’ শব্দটি গুজরাটি উৎসের একটি সুপরিচিত উদাহরণ। এটি মূলত আন্দোলন বা প্রতিবাদ প্রকাশের একটি মাধ্যম নির্দেশ করে।
-
‘হরতাল’ শব্দটি এসেছে গুজরাটি “হরত” (অর্থাৎ কাজ বন্ধ) এবং “আল” (অর্থাৎ দিন) থেকে।
-
এটি প্রথম রাজনৈতিক আন্দোলনে ব্যবহৃত হয় মহাত্মা গান্ধীর সময়ে।
-
‘খদ্দর’ শব্দটিও গুজরাটি উৎসের, যার অর্থ হাতের বোনা কাপড়।
-
‘রিক্সা’ শব্দটি জাপানি, যা টানা গাড়ি বোঝায়।
-
‘চাকু’ এসেছে তুর্কি ভাষা থেকে।
-
‘লুঙ্গি’ শব্দটি মায়ানমার (বার্মা) থেকে এসেছে।
0
Updated: 1 day ago
নিচের কোনটি ব্যঞ্জন সন্ধির উদাহরণ?
Created: 3 weeks ago
A
দিক্ + অন্ত = দিগন্ত
B
পরম + ঔষধ = পরমৌষধ
C
প্রতি + ঊষ = প্রত্যুষ
D
কোনোটিই নয়
ব্যঞ্জনসন্ধি হলো সেই সন্ধি যেখানে স্বর ও ব্যঞ্জন, অথবা দুই ব্যঞ্জনধ্বনি বা ব্যঞ্জন ও স্বরধ্বনি-এর মিলনে ধ্বনিগত পরিবর্তন ঘটে। অর্থাৎ, স্বরধ্বনি ও ব্যঞ্জনধ্বনির মিলনে নতুন ধ্বনি উৎপন্ন হয়, যা শব্দগঠনে ধ্বনিগত রূপান্তর ঘটায়।
ব্যঞ্জনধ্বনি + স্বরধ্বনি অবস্থায় নিম্নলিখিত পরিবর্তন ঘটে—
ক, চ, ট, ত্, প্-এর পরে স্বরধ্বনি এলে তারা যথাক্রমে গ্, জ্, ড্ (বা ড়), দ্, ব্-এ রূপান্তরিত হয়। পরবর্তী স্বরধ্বনি পূর্ববর্তী ব্যঞ্জনের সঙ্গে যুক্ত হয়।
উদাহরণসমূহ:
-
ক্ + অ = গ → দিক্ + অন্ত = দিগন্ত
-
চ্ + অ = জ → ণিচ্ + অন্ত = ণিজন্ত
-
ট্ + আ = ড় → ষট্ + আনন = ষড়ানন
-
ত্ + অ = দ → তৎ + অবধি = তদবধি
-
প্ + অ = ব → সুপ্ + অন্ত = সুবন্ত
অন্যদিকে, প্রতি + এক = প্রত্যেক, প্রতি + ঊষ = প্রত্যুষ, পরম + ঔষধ = পরমৌষধ—এগুলো স্বরসন্ধির উদাহরণ, কারণ এখানে ব্যঞ্জনের পরিবর্তে স্বরধ্বনির মিলন ঘটেছে।
0
Updated: 3 weeks ago
বাংলা ব্যাকরণ প্রথম কে রচনা করেছিলেন?
Created: 4 weeks ago
A
নাথানিয়েল ব্রাসি হ্যালহেড
B
মনোএল দা আসসুম্পসাঁউ
C
রাজা রামমোহন রায়
D
উইলিয়াম কেরি
বাংলা ব্যাকরণ রচনার ইতিহাস বাংলা ভাষার বিকাশযাত্রায় এক গুরুত্বপূর্ণ অধ্যায়। ব্যাকরণ রচনার মাধ্যমে ভাষার গঠন, নিয়ম, রীতি ও ব্যবহারকে সুসংহত ও নীতিনিষ্ঠ রূপ দেওয়া সম্ভব হয়েছে। এই ইতিহাসকে প্রধানত তিনটি পর্যায়ে ভাগ করা যায়।
প্রথম পর্যায় (প্রারম্ভিক ধাপ):
-
প্রথম বাংলা ব্যাকরণ প্রকাশিত হয় ১৭৪৩ সালে।
-
এটি ছিল পর্তুগিজ ভাষায় রচিত, এবং এর লেখক ছিলেন মনোএল দা আসসুম্পসাঁউ (Manoel da Assumpção)।
-
অর্থাৎ, প্রথম বাংলা ব্যাকরণ রচনা করেন মনোএল দা আসসুম্পসাঁউ।
-
তিনি তাঁর বাংলা-পর্তুগিজ অভিধানের ভূমিকাংশ হিসেবে এই ব্যাকরণটি সংযোজন করেন।
ইংরেজি ভাষায় রচিত বাংলা ব্যাকরণ:
-
১৭৭৮ সালে প্রকাশিত হয় নাথানিয়েল ব্রাসি হ্যালহেড রচিত A Grammar of the Bengal Language — যা ছিল ইংরেজি ভাষায় রচিত প্রথম পূর্ণাঙ্গ বাংলা ব্যাকরণ।
-
পরবর্তীতে ১৮০১ সালে উইলিয়াম কেরি রচনা করেন A Grammar of the Bengalee Language।
-
এই গ্রন্থের বঙ্গানুবাদ করেন জন রবিনসন — প্রকাশকাল ১৮৪৬ সাল।
বাংলা ভাষায় রচিত ব্যাকরণ:
-
১৮৩৩ সালে প্রকাশিত হয় রাজা রামমোহন রায় রচিত গৌড়ীয় ব্যাকরণ।
-
এটি ছিল বাংলা ভাষায় রচিত প্রথম বাংলা ব্যাকরণ।
0
Updated: 4 weeks ago
'তাতে সমাজজীবন চলে না।' - এ বাক্যটির অস্তিবাচক রূপ কোনটি?
Created: 1 month ago
A
তাতে সমাজজীবন চলে।
B
তাতে না সমাজজীবন চলে।
C
তাতে সমাজজীবন অচল হয়ে পড়ে।
D
তাতে সমাজজীবন সচল হয়ে পড়ে।
বাক্য রূপান্তর হলো একটি প্রক্রিয়া যেখানে মূল ভাব বা অর্থ অপরিবর্তিত রেখে একটি বাক্যকে অন্য ধরনের বাক্যে পরিবর্তন করা হয়। নেতিবাচক বাক্যকে অস্তিবাচক বাক্যে রূপান্তর করার জন্য কিছু সাধারণ নিয়ম মেনে চলা প্রয়োজন, যা মূল অর্থ বজায় রাখে।
-
মূল অর্থ অপরিবর্তিত রাখা: বাক্য পরিবর্তন করার পরও বাক্যের মৌলিক অর্থ অক্ষুণ্ণ থাকতে হবে।
উদাহরণ:
নেতিবাচক: সেটা কখনোই সফল হতে পারে না।
অস্তিবাচক: সেটা সর্বদাই অসফল হয়। -
নেংর্থক পদ সরানো ও হ্যা-বাচক ভাব তৈরি করা: 'না', 'নয়', 'নি', 'নেই', 'নহে' ইত্যাদি নেতিবাচক পদগুলো তুলে দিয়ে বাক্যকে হ্যা-বাচক অর্থে রূপান্তর করা হয়।
উদাহরণ:
নেতিবাচক: কোথাও শান্তি ছিল না
অস্তিবাচক: সর্বত্র অশান্তি ছিলো। -
বাক্যাংশ অনুযায়ী নেতিবাচক শব্দ প্রতিস্থাপন: প্রয়োজনমতো নেতিবাচক শব্দের জায়গায় অস্তিবাচক শব্দ বসিয়ে বাক্যকে সম্পূর্ণ অস্তিবাচক করা হয়।
উদাহরণ:
নেতিবাচক: শহিদের মৃত্যু নেই।
অস্তিবাচক: শহিদেরা অমর।নেতিবাচক: তাতে সমাজজীবন চলে না।
অস্তিবাচক: তাতে সমাজজীবন অচল হয়ে পড়ে।
0
Updated: 1 month ago