কোনটি আউটপুট ডিভাইস?
A
মাইক্রোফোন
B
সিডি ড্রাইভ
C
মনিটর
D
কোনোটিই নয়
উত্তরের বিবরণ
কম্পিউটার এমন একটি ইলেকট্রনিক যন্ত্র যা ইনপুট গ্রহণ করে, তা প্রক্রিয়াজাত করে আউটপুট হিসেবে ফলাফল প্রদর্শন করে এবং প্রয়োজনীয় তথ্য সংরক্ষণ করে রাখে। এই প্রক্রিয়ায় ইনপুট ডিভাইস, আউটপুট ডিভাইস ও স্টোরেজ ডিভাইসের ভূমিকা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। মনিটর, প্রিন্টার, প্রজেক্টর ও স্পিকার হলো এমন কিছু ডিভাইস যা ব্যবহারকারীকে কম্পিউটারের কাজের ফলাফল দৃশ্যমান বা শ্রাব্যভাবে জানায়, আর মাইক্রোফোন ও সি ড্রাইভ ভিন্ন শ্রেণির ডিভাইস হিসেবে নিজ নিজ কাজ সম্পাদন করে।
মনিটর কম্পিউটারের অন্যতম প্রধান আউটপুট ডিভাইস। এটি কম্পিউটারের ভেতরে প্রক্রিয়াজাত ডেটাকে দৃশ্যমান আকারে প্রদর্শন করে। মনিটরের মাধ্যমে ব্যবহারকারী তার কাজের অগ্রগতি দেখতে পারেন এবং প্রয়োজনে তা সংশোধন করতে পারেন। আধুনিক মনিটরগুলো সাধারণত LED বা LCD প্রযুক্তিনির্ভর, যা স্বচ্ছ ও উচ্চমানের চিত্র প্রদর্শন করে। মনিটর ছাড়া কম্পিউটার ব্যবহার প্রায় অসম্ভব, কারণ এটি ব্যবহারকারীর সাথে কম্পিউটারের যোগাযোগের প্রধান মাধ্যম।
প্রিন্টার একটি গুরুত্বপূর্ণ আউটপুট ডিভাইস, যার মাধ্যমে ডিজিটাল তথ্য কাগজে ছাপা হয়। এটি ডকুমেন্ট, ছবি বা প্রতিবেদনকে স্থায়ী আকারে প্রকাশ করতে ব্যবহৃত হয়। লেজার, ইঙ্কজেট ও ডট ম্যাট্রিক্স প্রিন্টার হলো এর সাধারণ ধরন। অফিস, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ও ব্যবসায়িক ক্ষেত্রে প্রিন্টার অপরিহার্য একটি ডিভাইস।
প্রজেক্টর কম্পিউটারের আউটপুটকে বড় পর্দায় প্রদর্শন করে, যা সভা, শ্রেণিকক্ষ বা প্রদর্শনীতে ব্যবহৃত হয়। এটি মনিটরের তুলনায় বৃহৎ আকারে ছবি প্রদর্শনের সুযোগ দেয়, ফলে একাধিক ব্যক্তি একসঙ্গে উপস্থাপনা বা ভিডিও দেখতে পারেন।
স্পিকার কম্পিউটারের অডিও আউটপুট ডিভাইস হিসেবে কাজ করে। এটি কম্পিউটারে প্রক্রিয়াজাত শব্দকে শ্রাব্য রূপে প্রকাশ করে। সংগীত শোনা, ভিডিও দেখা বা মাল্টিমিডিয়া উপস্থাপনায় স্পিকার অপরিহার্য। উন্নত মানের স্পিকার সাউন্ড কোয়ালিটি বাড়িয়ে ব্যবহারকারীর অভিজ্ঞতাকে সমৃদ্ধ করে।
অন্যদিকে, মাইক্রোফোন হলো একটি ইনপুট ডিভাইস। এটি শব্দ বা কণ্ঠস্বরকে ইলেকট্রনিক সংকেতে রূপান্তর করে কম্পিউটারে প্রেরণ করে। ভয়েস রেকর্ডিং, ভিডিও কনফারেন্সিং, অনলাইন ক্লাস এবং ভয়েস কমান্ডের ক্ষেত্রে মাইক্রোফোন অপরিহার্য ভূমিকা রাখে।
সি ড্রাইভ হলো কম্পিউটারের স্টোরেজ ডিভাইস বা মেমোরি ইউনিটের একটি অংশ। সাধারণত অপারেটিং সিস্টেম (যেমন Windows), সফটওয়্যার এবং গুরুত্বপূর্ণ সিস্টেম ফাইলগুলো সি ড্রাইভে সংরক্ষিত থাকে। এটি কম্পিউটারের মূল স্টোরেজ ইউনিট হিসেবে কাজ করে এবং ডেটা সংরক্ষণ ও পুনরুদ্ধারের সুযোগ দেয়।
সবশেষে বলা যায়, মনিটর, প্রিন্টার, প্রজেক্টর ও স্পিকার হলো আউটপুট ডিভাইস, যা ব্যবহারকারীকে তথ্য প্রদান করে; মাইক্রোফোন ইনপুট ডিভাইস হিসেবে তথ্য গ্রহণ করে; আর সি ড্রাইভ ডেটা সংরক্ষণের কাজ করে। এই তিন শ্রেণির ডিভাইস মিলেই কম্পিউটার ব্যবস্থাকে সম্পূর্ণ ও কার্যকর করে তোলে।
0
Updated: 10 hours ago
নিচের কোনটি ইনপুট ডিভাইস নয়?
Created: 2 months ago
A
ডিজিটাইজার
B
প্রিন্টার
C
মাউস
D
ওসিআর
তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি
আউটপুট ডিভাইস (Output Device)
ইনপুট ডিভাইস (Input Device)
কম্পিউটার হার্ডওয়্যার- Hardware
প্রিন্টার: আউটপুট ডিভাইস, ইনপুট ডিভাইস নয়
ইনপুট ডিভাইস:
কম্পিউটারকে তথ্য বা নির্দেশ দেওয়ার যন্ত্রপাতি। উদাহরণ:
কি-বোর্ড, মাউস, স্ক্যানার, টাচ স্ক্রিন, লাইটপেন, ডিজিটাল ক্যামেরা, জয়স্টিক, ওএমআর, ওসিআর, ট্যাকবল, বার কোড রিডার, গ্রাফিক্স প্যাড, পয়েন্ট-অফ-সেল
আউটপুট ডিভাইস:
প্রক্রিয়াজাত তথ্য বা ফলাফল প্রদর্শন বা সংরক্ষণ করার যন্ত্রপাতি। উদাহরণ:
মনিটর, প্রিন্টার, প্লটার, স্পিকার, মাল্টিমিডিয়া প্রজেক্টর, ইমেজ সেটার, ফিল্ম রেকর্ডার, হেডফোন
ইনপুট-আউটপুট ডিভাইস:
একই ডিভাইস ইনপুট ও আউটপুট উভয় কাজ করতে পারে। উদাহরণ:
হার্ডডিস্ক, সিডি/ডিভিডি, পেনড্রাইভ, টাচ স্ক্রিন
0
Updated: 2 months ago
OR গেইটের সত্যক সারণী (Truth Table) অনুযায়ী, কখন আউটপুট ০ হয়?
Created: 1 month ago
A
সব ইনপুট ১ হলে
B
কমপক্ষে একটি ইনপুট ১ হলে
C
যেকোনো একটি ইনপুট ০ হলে
D
সব ইনপুট ০ হলে
◉ OR Gate একটি লজিক গেইট, যা ইনপুটগুলোর মধ্যে যেকোনো একটি ইনপুট ১ হলে আউটপুট ১ দেয়।
কিন্তু সব ইনপুট যদি ০ হয়, তখনই একমাত্র আউটপুট ০ হয়।
অর গেইট:
- অর গেইট যৌক্তিক যোগ পদ্ধতিতে কাজ করে।
- যে গেইটের দুই বা ততোধিক ইনপুট থাকে এবং আউটপুট ইনপুটসমূহের যৌক্তিক যোগফলের সমান তাকে অর গেইট বলে।
- কমপক্ষে একটি ইনপুট । হলে অর গেইটের আউটপুট 1 হবে, অন্যথায় আউটপুট হবে 0।
- দুইটি ইনপুট সংকেত A ও B এবং আউটপুট X হলে অর গেইটের সমীকরণ, সাংকেতিক সংকেত ও সত্যক সারণি হবে নিম্নরূপ-

উৎস:
0
Updated: 1 month ago
প্লটার মূলত কোন ধরনের ডিভাইস?
Created: 1 month ago
A
ইনপুট ডিভাইস
B
আউটপুট ডিভাইস
C
ইনপুট-আউটপুট ডিভাইস
D
স্টোরেজ ডিভাইস
কম্পিউটারের ডিভাইসসমূহ
১. ইনপুট ডিভাইস (Input Devices)
সংজ্ঞা: কম্পিউটারে ডেটা বা তথ্য পাঠানোর যন্ত্র।
উদাহরণ:
-
কি-বোর্ড (Keyboard)
-
ওএমআর (OMR)
-
মাউস (Mouse)
-
ওসিআর (OCR)
-
ট্র্যাকবল (Trackball)
-
স্ক্যানার (Scanner)
-
জয়স্টিক (Joystick)
-
ডিজিটাইজার (Digitizer)
-
লাইটপেন (Light pen)
-
বার কোড রিডার (Bar Code Reader)
-
গ্রাফিক্স প্যাড (Graphics Pad)
-
পয়েন্ট অফ সেল (Point-of-Sale)
-
ডিজিটাল ক্যামেরা (Digital Camera)
২. আউটপুট ডিভাইস (Output Devices)
সংজ্ঞা: কম্পিউটারে প্রক্রিয়াজাত তথ্য বা ফলাফল প্রদর্শনের যন্ত্র।
উদাহরণ:
-
মনিটর (Monitor)
-
প্রিন্টার (Printer)
-
প্লটার (Plotter)
-
স্পিকার (Speaker)
-
মাল্টিমিডিয়া প্রজেক্টর (Multimedia Projector)
-
ইমেজ সেটার (Image Setter)
-
ফিল্ম রেকর্ডার (Film Recorder)
-
হেডফোন (Headphone)
৩. ইনপুট-আউটপুট ডিভাইস (Input-Output Devices)
সংজ্ঞা: এমন ডিভাইস যা একই সাথে তথ্য পাঠানো ও প্রাপ্তি দুটোই করতে পারে।
উদাহরণ:
-
হার্ডডিস্ক
-
সিডি বা ডিভিডি
-
পেনড্রাইভ
-
টাচ স্ক্রিন
উৎস: কম্পিউটার ও তথ্যপ্রযুক্তি-১, এসএসসি ও দাখিল (ভোকেশনাল), মৌলিক কম্পিউটার শিক্ষা, বিবিএ প্রোগ্রাম, বাংলাদেশ উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়
0
Updated: 1 month ago