২০১৯ সালের অষ্টম নারী বিশ্বকাপ ফুটবলে চ্যাম্পিয়ন হয় কোন দেশ?
A
জার্মানি
B
ব্রাজিল
C
আর্জেন্টিনা
D
যুক্তরাষ্ট্র
উত্তরের বিবরণ
২০১৯ সালে অনুষ্ঠিত ফিফা নারী ফুটবল বিশ্বকাপ ছিল নারী ফুটবলের ইতিহাসে একটি স্মরণীয় আসর। এই আসরে যুক্তরাষ্ট্র অসাধারণ দক্ষতা ও দলগত পারফরম্যান্স প্রদর্শন করে নেদারল্যান্ডসকে ২-০ গোলে পরাজিত করে চ্যাম্পিয়নের মুকুট অর্জন করে। এটি যুক্তরাষ্ট্র নারী ফুটবল দলের ধারাবাহিক সাফল্যের আরেকটি উজ্জ্বল অধ্যায়, কারণ এর মাধ্যমে তারা চতুর্থবারের মতো বিশ্বকাপ জয়ের গৌরব অর্জন করে।
এই টুর্নামেন্টটি ফ্রান্সে অনুষ্ঠিত হয়, যেখানে মোট ২৪টি দেশ অংশ নেয়। নারী ফুটবলের জনপ্রিয়তা বৃদ্ধি এবং বৈশ্বিক মান উন্নয়নে এই আসরটি একটি বড় ভূমিকা রাখে। প্রতিযোগিতার ম্যাচগুলো ছিল উত্তেজনাপূর্ণ ও কৌশলগতভাবে সমৃদ্ধ, যা ফুটবলপ্রেমীদের হৃদয় জয় করে নেয়।
ফাইনাল ম্যাচে যুক্তরাষ্ট্রের পক্ষে মেগান রাপিনো ও রোজ লাভেল গোল করেন। রাপিনো তার নেতৃত্বগুণ, নিখুঁত পেনাল্টি কিক এবং মাঠে অসাধারণ নিয়ন্ত্রণের মাধ্যমে দলের সাফল্যে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখেন। অপরদিকে, লাভেলের চমৎকার একক প্রচেষ্টায় করা গোলটি ম্যাচের ফলাফল নির্ধারণে বিশেষ ভূমিকা রাখে।
এই জয়ের মাধ্যমে যুক্তরাষ্ট্র নারী দল শুধু বিশ্বকাপ ট্রফিই জেতেনি, বরং নারী ফুটবলে নিজেদের আধিপত্য আরও শক্তিশালী করেছে। তারা এর আগে ১৯৯১, ১৯৯৯ ও ২০১৫ সালে চ্যাম্পিয়ন হয়েছিল। এই ধারাবাহিক সাফল্য প্রমাণ করে যে, যুক্তরাষ্ট্র নারী ফুটবল দল সংগঠিত প্রস্তুতি, শৃঙ্খলা ও মানসিক দৃঢ়তার এক উজ্জ্বল উদাহরণ।
২০১৯ সালের বিশ্বকাপে প্রথমবারের মতো ভিডিও অ্যাসিস্ট্যান্ট রেফারি (VAR) প্রযুক্তি ব্যবহৃত হয়, যা ম্যাচ পরিচালনায় স্বচ্ছতা ও ন্যায্যতা নিশ্চিত করে। এটি নারী ফুটবলের ইতিহাসে প্রযুক্তিগত এক বড় পদক্ষেপ হিসেবে বিবেচিত হয়।
এই আসরের বিশেষ দিক ছিল নারী খেলোয়াড়দের প্রতি বৈশ্বিক মনোযোগ ও সমর্থনের বৃদ্ধি। অনেক দেশ নারী ফুটবলে বিনিয়োগ বৃদ্ধি করে, যার ফলে নারী খেলাধুলার সামাজিক ও অর্থনৈতিক গুরুত্ব আরও বেড়ে যায়। যুক্তরাষ্ট্র দলের এই সাফল্য নারী ক্ষমতায়ন ও সমান সুযোগের বার্তাও দেয়, যা বিশ্বজুড়ে নারী খেলোয়াড়দের অনুপ্রাণিত করে।
টুর্নামেন্টের সমাপ্তিতে মেগান রাপিনো পান গোল্ডেন বুট ও গোল্ডেন বল পুরস্কার, যা তার অসাধারণ পারফরম্যান্সের স্বীকৃতি হিসেবে দেওয়া হয়। যুক্তরাষ্ট্র দল ফাইনাল পর্যন্ত অপরাজিত থেকে বিশ্বকাপ জয় করে, যা তাদের প্রস্তুতি, শারীরিক সক্ষমতা ও কৌশলগত গভীরতার প্রতিফলন।
সর্বোপরি, ২০১৯ সালের ফিফা নারী বিশ্বকাপ শুধু যুক্তরাষ্ট্রের বিজয়ের গল্প নয়, বরং এটি নারী ফুটবলের গৌরব, উন্নয়ন ও আন্তর্জাতিক স্বীকৃতির প্রতীক হয়ে দাঁড়িয়েছে। এই আসর প্রমাণ করেছে যে নারী ফুটবল আজ শুধু প্রতিযোগিতা নয়, বরং বিশ্ব ক্রীড়াঙ্গনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ।
0
Updated: 10 hours ago
২০২২ সালের ফিফা বিশ্বকাপ অনুষ্ঠিত হয়েছে -
Created: 2 months ago
A
দুবাই
B
সিউল
C
কাতার
D
বার্লিন
ফুটবল বিশ্বকাপ ২০২২
-
আয়োজক দেশ: কাতার
-
বিশ্বকাপের আসর: ২২তম
-
সময়কাল: ২০ নভেম্বর থেকে ১৮ ডিসেম্বর ২০২২
-
অংশগ্রহণকারী দেশ: ৩২টি
-
চ্যাম্পিয়ন: আর্জেন্টিনা (তৃতীয়বারের মতো জয়)
-
রানার্স আপ: ফ্রান্স
-
গোল্ডেন বল (সেরা খেলোয়াড়): লিওনেল মেসি (আর্জেন্টিনা)
-
সর্বাধিক গোলদাতা/গোল্ডেন বুট: কিলিয়ান এমবাপ্পে (৮টি গোল)
-
গোল্ডেন গ্লাভস (সেরা গোলরক্ষক): এমিলিয়ানো মার্টিনেজ (আর্জেন্টিনা)
-
সেরা উদীয়মান খেলোয়াড়: এনজো ফার্নান্দেজ (আর্জেন্টিনা)
-
টুর্নামেন্টের সেরা গোল: রিচার্লিসন (ব্রাজিল বনাম সার্বিয়া)
-
বিশেষ ঘটনা: এই বিশ্বকাপে প্রথমবারের মতো নারী রেফারি মাঠে নেতৃত্ব দেন
উৎস:
FIFA ওয়েবসাইট
0
Updated: 2 months ago
২০১৪ সালে বিশ্বকাপ ফুটবল কোথায় অনুষ্ঠিত হয়?
Created: 2 months ago
A
লন্ডন
B
বার্লিন
C
ব্রাজিল
D
আর্জেন্টিনা
[এটি তৎকালীন সাম্প্রতিক প্রশ্ন যা বর্তমানে গুরুত্বপূর্ণ নয়। পরিবর্তনশীল তথ্যগুলো অনুগ্রহ করে সাম্প্রতিক তথ্য থেকে দেখে নিন। সাম্প্রতিক আপডেট তথ্য জানার জন্য Live MCQ ডাইনামিক ইনফো প্যানেল, সাম্প্রতিক সমাচার বা অথেনটিক সংবাদপত্র দেখুন।]
২০১৪ সালের ফুটবল বিশ্বকাপ অনুষ্ঠিত হয় ব্রাজিলে।
সর্বশেষ ২০২২ সালের ফুটবল বিশ্বকাপ অনুষ্ঠিত হবে কাতারে।
ফুটবল বিশ্বকাপ ২০২২:
- আয়োজক দেশ: কাতার।
- এটি বিশ্বকাপ ফুটবলের ২২তম আসর।
- অংশগ্রহণকারী দেশ: ৩২টি।
- চ্যাম্পিয়ন: আর্জেন্টিনা (৩য় বার)।
- রানার্স আপ: ফ্রান্স।
- গোল্ডেন বল: লিওনেল মেসি (আর্জেন্টিনা)।
- সর্বাধিক গোলদাতা/গোল্ডেন বুট: কিলিয়ান এমবাপ্পে (৮টি)।
- গোল্ডেন গ্লাভস/সেরা গোলরক্ষক: এমিলিয়ানো মার্টিনেজ (আর্জেন্টিনা)।
- সেরা উদীয়মান খেলোয়াড়: এনজো ফার্নান্দেজ (আর্জেন্টিনা)।
- টুর্নামেন্ট সেরা গোল: রিচার্লিসন (ব্রাজিলের হয়ে সার্বিয়ায় বিপক্ষে)।
এছাড়াও,
ফুটবল বিশ্বকাপ ২০২৬:
- আয়োজক দেশ: ৩টি (মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, কানাডা এবং মেক্সিকো)।
- এটি বিশ্বকাপ ফুটবলের ২৩তম আসর।
- অংশগ্রহণকারী দেশ: ৪৮টি।
- অনুষ্ঠিত হবে ১০৪টি ম্যাচ।
- তিন দেশের ১৬টি ভেন্যুতে এই ম্যাচ অনুষ্ঠিত হবে।
উৎস: FIFA ওয়েবসাইট।
0
Updated: 2 months ago
কোপা আমেরিকা ২০১৬ টুর্নামেন্টে চ্যাম্পিয়ন কোন দেশ? [তৎকালীন সাম্প্রতিক প্রশ্ন বর্তমানে গুরুত্বহীন]
Created: 1 week ago
A
আমেরিকা
B
আর্জেন্টিনা
C
চিলি
D
ব্রাজিল
কোপা আমেরিকা ২০১৬ ছিল দক্ষিণ আমেরিকার ফুটবল ইতিহাসে একটি বিশেষ আসর, কারণ এটি ছিল টুর্নামেন্টের শতবর্ষ পূর্তি উপলক্ষে আয়োজন করা “Copa América Centenario”। এই প্রতিযোগিতাটি অনুষ্ঠিত হয় যুক্তরাষ্ট্রে, যেখানে দক্ষিণ আমেরিকার ফুটবল ফেডারেশন CONMEBOL এবং উত্তর ও মধ্য আমেরিকার CONCACAF যৌথভাবে অংশ নেয়। টুর্নামেন্টের ফাইনালে চিলি দল তাদের অসাধারণ পারফরম্যান্সের মাধ্যমে আর্জেন্টিনাকে পরাজিত করে টানা দ্বিতীয়বারের মতো শিরোপা জেতে।
চিলির এই জয়কে ফুটবলপ্রেমীরা দক্ষিণ আমেরিকার ইতিহাসের অন্যতম সেরা অর্জন বলে মনে করে।
– ফাইনাল ম্যাচটি অনুষ্ঠিত হয় ২৬ জুন, ২০১৬ তারিখে যুক্তরাষ্ট্রের MetLife Stadium-এ।
– ফাইনালে দুই দল নির্ধারিত সময় ও অতিরিক্ত সময় শেষে গোলশূন্য অবস্থায় থাকে। ফলে ম্যাচটি গড়ায় টাইব্রেকারে (Penalty shootout)।
– চিলি পেনাল্টিতে ৪–২ ব্যবধানে আর্জেন্টিনাকে হারিয়ে চ্যাম্পিয়ন হয়।
– এটি ছিল চিলির টানা দ্বিতীয় কোপা আমেরিকা জয়। তারা এর আগে ২০১৫ সালে প্রথমবারের মতো শিরোপা জিতেছিল।
– চিলির অধিনায়ক ছিলেন ক্লাউদিও ব্রাভো (Claudio Bravo), যিনি গোলরক্ষক হিসেবে পুরো টুর্নামেন্টে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখেন।
– দলের মূল ভরসা ছিলেন আলেক্সিস সানচেজ, আরতুরো ভিদাল, এবং এদুয়ার্দো ভার্গাস।
– আর্জেন্টিনার হয়ে খেলেছিলেন বিশ্বের অন্যতম সেরা খেলোয়াড় লিওনেল মেসি, যিনি সেই ফাইনালের পর পেনাল্টি মিস করে হতাশায় কিছু সময়ের জন্য আন্তর্জাতিক ফুটবল থেকে অবসর নেওয়ার ঘোষণা দিয়েছিলেন।
– টুর্নামেন্টের সেরা খেলোয়াড় নির্বাচিত হন আলেক্সিস সানচেজ, আর সর্বোচ্চ গোলদাতা ছিলেন এদুয়ার্দো ভার্গাস।
– কোপা আমেরিকা সেন্টেনারিও ছিল ইতিহাসে প্রথমবারের মতো টুর্নামেন্ট যেখানে ১৬টি দল অংশ নেয়, সাধারণত যেখানে ১২টি দল খেলে।
চিলির এই জয় শুধু একটি ট্রফি নয়, বরং এটি ছিল তাদের ফুটবল ইতিহাসে আত্মবিশ্বাস পুনর্গঠনের প্রতীক। তারা প্রমাণ করেছিল যে কঠোর পরিশ্রম, টিমওয়ার্ক এবং শৃঙ্খলা থাকলে বড় দলগুলোকেও হারানো সম্ভব। তাই ২০১৬ সালের কোপা আমেরিকার চ্যাম্পিয়ন দেশ ছিল চিলি, যা আজও তাদের ফুটবল ইতিহাসের গর্বের অধ্যায়।
0
Updated: 1 week ago