কোন চলচ্চিত্রটি ১৯৪৭ -এর দেশভাগ নিয়ে নির্মিত হয়?
A
আবার তোরা মানুষ 'হ'
B
চিত্রা নদীর পাড়ে
C
মাটির ময়না
D
নদীর নাম মধুমতি
উত্তরের বিবরণ
বাংলাদেশের চলচ্চিত্র ইতিহাসে ‘চিত্রা নদীর পাড়ে’ একটি গুরুত্বপূর্ণ সৃষ্টি, যা ১৯৪৭ সালের দেশভাগের গভীর মানসিক ও সামাজিক প্রভাবকে তুলে ধরেছে। এই চলচ্চিত্রটি তানভীর মোকাম্মেলের অসাধারণ পরিচালনায় ১৯৯৮ সালে মুক্তি পায় এবং এটি মূলত দেশভাগ-পরবর্তী গ্রামীণ জীবনের পরিবর্তন, বেদনা ও বিভক্ত সমাজের চিত্র ফুটিয়ে তোলে। এটি এমন এক সময়ের গল্প বলে, যখন মানুষ ধর্ম, রাজনীতি ও ভৌগোলিক বিভাজনের কারণে পরিচিত জীবন থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছিল।
চলচ্চিত্রটির কাহিনি গড়ে উঠেছে বাংলাদেশের দক্ষিণাঞ্চলের এক নদী–চিত্রা নদীর পাড় ঘিরে। এখানে দেশভাগের প্রভাব কেবল রাজনৈতিক সীমারেখায় সীমাবদ্ধ ছিল না, বরং মানুষের হৃদয় ও সম্পর্কের ওপরও গভীর ক্ষত সৃষ্টি করেছিল। তানভীর মোকাম্মেল তাঁর এই চলচ্চিত্রে সেই মানবিক বেদনা ও সামাজিক পরিবর্তনের বাস্তবচিত্র তুলে ধরেছেন। গল্পের কেন্দ্রে রয়েছে কিছু সাধারণ মানুষ, যাদের জীবনে দেশভাগ এনে দেয় অনিশ্চয়তা, ভয় ও বিচ্ছিন্নতার যন্ত্রণা।
এই চলচ্চিত্রের বিশেষত্ব হলো, এটি মুক্তিযুদ্ধ বা রাজনৈতিক সংগ্রামের চলচ্চিত্র নয়, বরং দেশভাগের পটভূমিতে নির্মিত, যেখানে মানবিক সম্পর্ক, ধর্মীয় বিভাজন ও সামাজিক মূল্যবোধের পতনের বিষয়টি প্রাধান্য পেয়েছে। চলচ্চিত্রটির নান্দনিক গুণ, সংলাপের গভীরতা এবং চিত্রনাট্যের বাস্তবধর্মিতা দর্শকদের হৃদয়ে গভীর ছাপ ফেলে।
তানভীর মোকাম্মেল বাংলাদেশের একজন স্বনামধন্য চলচ্চিত্রকার, যিনি সমাজবাস্তবতা ও ইতিহাসনির্ভর চলচ্চিত্র নির্মাণে বিশেষ খ্যাতি অর্জন করেছেন। তাঁর অন্যান্য উল্লেখযোগ্য চলচ্চিত্র যেমন ‘নদীর নাম মধুমতি’, ‘লালন’, ‘জীবনঢুলী’, ‘রূপালী সৈকতে’ ইত্যাদি মূলত মুক্তিযুদ্ধ ও সামাজিক সংগ্রামের পটভূমিতে রচিত। কিন্তু ‘চিত্রা নদীর পাড়ে’ চলচ্চিত্রটি সেই ধারার বাইরে গিয়ে ভিন্ন এক ঐতিহাসিক বাস্তবতা তুলে ধরে, যা তৎকালীন পূর্ববাংলার সমাজে দেশভাগের অভিঘাতকে প্রতিফলিত করে।
এই চলচ্চিত্রটি ইতিহাসের এক দুঃখজনক অধ্যায়কে মানবিক দৃষ্টিকোণ থেকে প্রকাশ করেছে। গ্রামীণ মানুষের দৈনন্দিন জীবন, ধর্মীয় বিভক্তি এবং পরবর্তী রাজনৈতিক অস্থিরতা এতে বাস্তবভাবে ফুটে উঠেছে। তানভীর মোকাম্মেল তাঁর নিপুণ পরিচালনা ও চিত্রনাট্যের মাধ্যমে দেখিয়েছেন, কীভাবে এক নদীর দুই পাড়ে বসবাসকারী মানুষ এক রাতের মধ্যে পরিণত হয় দুই দেশের নাগরিকে, আর সেই বিভাজন তাদের মনের ভেতরও সৃষ্টি করে এক অদৃশ্য সীমানা।
সবশেষে বলা যায়, ‘চিত্রা নদীর পাড়ে’ শুধু একটি চলচ্চিত্র নয়, এটি বাংলাদেশের ইতিহাসের এক গুরুত্বপূর্ণ অধ্যায়ের প্রতিচ্ছবি। এটি প্রমাণ করে যে তানভীর মোকাম্মেল কেবল মুক্তিযুদ্ধ নয়, বরং দেশভাগের মতো জটিল ঐতিহাসিক বাস্তবতাও পর্দায় সার্থকভাবে তুলে ধরতে সক্ষম হয়েছেন।
0
Updated: 10 hours ago
'গেরিলা' চলচ্চিত্র কোন উপন্যাস অবলম্বনে নির্মিত?
Created: 1 month ago
A
যাত্রা
B
নিষিদ্ধ লোবান
C
আরেক ফাল্গুন
D
হাঙর নদী গ্রেনেড
গেরিলা চলচ্চিত্র ২০১১ সালে মুক্তিপ্রাপ্ত একটি বাংলাদেশি সিনেমা, যা বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের পটভূমিতে নির্মিত। চলচ্চিত্রটি পরিচালনা করেছেন নাসির উদ্দিন ইউসুফ।
চলচ্চিত্রের বৈশিষ্ট্যসমূহ:
-
গল্পের ভিত্তি: সৈয়দ শামসুল হকের 'নিষিদ্ধ লোবান' উপন্যাস।
-
চিত্রনাট্য রচনা করেছেন নাসির উদ্দিন ইউসুফ ও এবাদুর রহমান যৌথভাবে।
-
চলচ্চিত্রটি পেয়েছে জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার।
0
Updated: 1 month ago
'আবার তোরা মানুষ হ' চলচ্চিত্রে কী চিত্রিত হয়েছে?
Created: 1 month ago
A
গ্রামীণ জীবনের চিত্র
B
ভাষা আন্দোলনের সংগ্রাম
C
মুক্তিযুদ্ধকালীন লড়াই
D
মুক্তিযুদ্ধ-পরবর্তী সামাজিক বিশৃঙ্খলা
আবার তোরা মানুষ হ একটি বাংলাদেশি চলচ্চিত্র যা ১৯৭৩ সালে মুক্তি পায়।
মূল তথ্যসমূহ:
-
পরিচালক: খান আতাউর রহমান
-
চলচ্চিত্রের বিষয়: যুদ্ধ-পরবর্তী সময়ের সামাজিক বিশৃঙ্খলা ও অবক্ষয় তুলে ধরা।
-
উদ্দেশ্য: মুক্তিযুদ্ধের সময় যারা অংশগ্রহণ করেনি, তারা পরবর্তী সময়ে বিভিন্ন কাজে সুবিধা নেওয়ার প্রভাব ফুটিয়ে তোলা।
-
প্রধান চরিত্র ও অভিনয়শিল্পী: ফারুক, রাইসুল ইসলাম আসাদ, ববিতা, রোজী আফসারী, রওশন জামিল প্রমুখ।
-
বিস্তারিত চিত্রায়ন: উচ্ছৃঙ্খল ছাত্র ও তরুণদের কর্মকাণ্ড এবং একজন আদর্শবাদী অধ্যক্ষের দৃঢ়তা দেখানো হয়েছে।
0
Updated: 1 month ago
বাংলাদেশের প্রথম সবাক চলচ্চিত্র ‘মুখ ও মুখোশ’ – এর সংগীত পরিচালক কে ছিলেন?
Created: 2 weeks ago
A
সমর দাস
B
গাজী মাজহারুল আনোয়ার
C
খান আতাউর রহমান
D
সুবল দাস
বাংলাদেশের প্রথম সবাক চলচ্চিত্র ‘মুখ ও মুখোশ’ এর সংগীত পরিচালক ছিলেন সুবল দাস। তিনি এই চলচ্চিত্রের মাধ্যমে বাংলা চলচ্চিত্রের সংগীতাঙ্গনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখেন।
0
Updated: 2 weeks ago