বাংলাদেশে প্রথম ১০০০ টাকার নোট চালু হয় কোন সালে?

A

২০০৮ সালে

B

২০১০ সালে

C

২০০৫ সালে

D

২০০৭ সালে

উত্তরের বিবরণ

img

২০০৮ সালে বাংলাদেশের বাজারে প্রথমবারের মতো ১০০০ টাকার নোট চালু করা হয়। এটি ছিল দেশের মুদ্রা ব্যবস্থার ইতিহাসে একটি গুরুত্বপূর্ণ পরিবর্তন, কারণ এর আগে সর্বোচ্চ মূল্যমানের নোট ছিল ৫০০ টাকা। নতুন এই নোট চালুর মাধ্যমে সরকার দেশের আর্থিক লেনদেনে আধুনিকতা আনার পাশাপাশি বড় অঙ্কের লেনদেনকে আরও সহজ ও নিরাপদ করতে চেয়েছিল।

১০০০ টাকার নোট বাজারে আনার পেছনে মূল উদ্দেশ্য ছিল দেশের অর্থনীতির প্রবৃদ্ধি ও লেনদেনের পরিমাণ বৃদ্ধির সঙ্গে সামঞ্জস্য রাখা। সময়ের সঙ্গে সঙ্গে মানুষের ক্রয়ক্ষমতা বেড়েছিল, ফলে বড় অঙ্কের নোটের প্রয়োজনীয়তা দেখা দেয়। বাংলাদেশ ব্যাংক তাই অর্থনীতির চাহিদা বিবেচনা করে ২০০৮ সালে এই নোটটি চালু করে।

এই নোটটি চালুর সময় এতে ছিল উন্নত নিরাপত্তা বৈশিষ্ট্য, যাতে জাল নোট প্রতিরোধ করা যায়। নোটের রঙ, নকশা এবং জলছাপ (Watermark) ছিল এমনভাবে তৈরি, যা সহজে জাল করা সম্ভব নয়। নোটটির বাম পাশে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিকৃতি এবং ডান পাশে জাতীয় স্মৃতিসৌধের ছবি ব্যবহার করা হয়, যা দেশের ঐতিহ্য ও মুক্তিযুদ্ধের চেতনার প্রতীক।

নোটের উপাদান ছিল উন্নতমানের কাগজ, যাতে নিরাপত্তা সূতা (Security Thread) যুক্ত করা হয়। এই সূতা আলোর বিপরীতে ধরলে নোটের ভেতরে বাংলাদেশ ব্যাংক লেখা দেখা যায়। এছাড়াও, এতে ছিল লুকানো সংখ্যা ও রঙ পরিবর্তনশীল কালি, যা আসল ও জাল নোট পার্থক্য করতে সহায়তা করে।

১০০০ টাকার নোট চালুর ফলে দেশের ব্যাংকিং খাত ও ব্যবসায়িক লেনদেনের গতি বৃদ্ধি পায়। বড় ব্যবসা, বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠান ও সরকারি লেনদেনে নগদ অর্থ ব্যবহারে সুবিধা হয়। এটি মুদ্রা ব্যবস্থাপনার দক্ষতা বৃদ্ধি করে এবং অর্থনীতির স্থিতিশীলতা বজায় রাখতে সহায়তা করে।

তবে, বড় অঙ্কের নোট চালুর ফলে কিছু চ্যালেঞ্জও দেখা দেয়, যেমন কালো টাকা বা অবৈধ অর্থ লেনদেনের ঝুঁকি বৃদ্ধি পাওয়া। এজন্য বাংলাদেশ ব্যাংক বিভিন্ন সময়ে নোটের নকশা ও নিরাপত্তা বৈশিষ্ট্য উন্নত করেছে, যাতে জাল নোটের বিস্তার রোধ করা যায়।

বর্তমানে ১০০০ টাকার নোট দেশের অর্থনীতিতে একটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে। এটি শুধু একটি লেনদেনের মাধ্যম নয়, বরং অর্থনৈতিক অগ্রগতির প্রতীক হিসেবে বিবেচিত হয়। এর নকশা, রঙ ও নিরাপত্তা বৈশিষ্ট্য সময়ের সঙ্গে আরও আধুনিক করা হয়েছে, যাতে সাধারণ মানুষ সহজে নোটটির আসল-নকল চিনতে পারে এবং নিরাপদভাবে ব্যবহার করতে পারে।

সর্বোপরি, ২০০৮ সালে ১০০০ টাকার নোটের প্রচলন বাংলাদেশের আর্থিক ইতিহাসে একটি মাইলফলক ঘটনা। এটি প্রমাণ করে যে, দেশের অর্থনীতি ক্রমে শক্তিশালী হচ্ছে এবং মানুষ বড় অঙ্কের লেনদেন করতে পারছে, যা একটি বিকাশমান অর্থনীতির স্বাভাবিক অগ্রযাত্রার অংশ।

দৈনিক প্রথম আলো
Unfavorite

0

Updated: 10 hours ago

Related MCQ

বীরশ্রেষ্ঠ রুহুল আমীন কোন গানবোটের Engine Room Artificer নিযুক্ত ছিলেন?

Created: 1 day ago

A

পদ্মা

B

পলাশ

C

বাংলার দূত

D

বখতিয়ার

Unfavorite

0

Updated: 1 day ago

বাংলাদেশের উপকূলীয় জেলা কতগুলো?


Created: 3 days ago

A

 ১৭ টি


B

১৮ টি


C

১৯ টি


D

 ২০ টি


Unfavorite

0

Updated: 3 days ago

 বাংলাদেশের গ্র্যান্ড মাষ্টার খেতাব অর্জনকারী প্রথম দাবাড়ু কে?


Created: 3 days ago

A

রানী হামিদ


B

রিফাত বিন সাত্তার


C

জিয়াউর রহমান


D

নিয়াজ মোর্শেদ


Unfavorite

0

Updated: 3 days ago

© LXMCQ, Inc. - All Rights Reserved

Developed by WiztecBD