বাংলাদেশের কোন ঋতুকে স্বতন্ত্র ঋতু বলা হয়?
A
শরৎ
B
বর্ষা
C
হেমন্ত
D
বসন্ত
উত্তরের বিবরণ
বাংলাদেশের ছয় ঋতুর মধ্যে বর্ষা ঋতু এক বিশেষ তাৎপর্যপূর্ণ ঋতু। এই ঋতুকে ‘স্বতন্ত্র ঋতু’ বলা হয় কারণ এটি বাংলাদেশের প্রকৃতি, জলবায়ু, কৃষি, জীবজগৎ এবং মানুষের জীবনযাত্রায় অনন্য পরিবর্তন এনে দেয়। বর্ষা এমন এক সময় যখন প্রকৃতি নতুন করে সজীবতা লাভ করে, নদী-নালা, খাল-বিল, মাঠ-ঘাট জলময় হয়ে ওঠে এবং দেশের সামগ্রিক পরিবেশে এক নবজীবনের সঞ্চার ঘটে।
বাংলাদেশের বর্ষা ঋতুকে স্বতন্ত্র বলা হয় নানা কারণেই।
প্রথমত, বর্ষা ঋতুর আগমনের সঙ্গে বাংলাদেশের জলবায়ুতে ব্যাপক পরিবর্তন দেখা যায়। গ্রীষ্মের প্রচণ্ড তাপের পর আকাশে জমে ওঠে কালো মেঘ, শুরু হয় ধারাবাহিক বৃষ্টি। দেশের প্রায় সব অঞ্চলেই আর্দ্রতা বৃদ্ধি পায়, তাপমাত্রা কমে আসে, আর প্রকৃতি পায় এক স্নিগ্ধ রূপ।
দ্বিতীয়ত, বর্ষা ঋতুর সঙ্গে বাংলাদেশের কৃষির গভীর সম্পর্ক রয়েছে। এ সময় ধান চাষের মৌসুম শুরু হয়। বৃষ্টি না হলে কৃষক তাদের জমিতে আউশ বা আমন ধান রোপণ করতে পারেন না। তাই বর্ষার বৃষ্টি কৃষকদের জীবনের আশীর্বাদ। বৃষ্টির পানি জমে খাল-বিল ও নদীগুলিকে পূর্ণ করে, যা কৃষিকাজে অমূল্য ভূমিকা রাখে।
তৃতীয়ত, বর্ষা বাংলাদেশের নদীনির্ভর ভূগোলের প্রাণ। এই সময় নদীগুলিতে পানির প্রবাহ বেড়ে যায়, যা মাটিতে পলি জমাতে সাহায্য করে। পলি জমে মাটি উর্বর হয়, ফলে পরবর্তী মৌসুমে ফসল ভালো হয়। আবার নদী ও খাল-বিলে মাছের প্রজনন ঘটে, যা দেশের মৎস্যসম্পদ বৃদ্ধিতে সহায়তা করে।
চতুর্থত, বর্ষা ঋতু বাংলাদেশের সাহিত্য, সংগীত ও সংস্কৃতির সঙ্গে গভীরভাবে যুক্ত। বৃষ্টি নিয়ে অসংখ্য গান, কবিতা, প্রবাদ ও গল্প রচিত হয়েছে। রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর, কাজী নজরুল ইসলাম ও জীবনানন্দ দাশের লেখায় বর্ষার সৌন্দর্য বারবার ফুটে উঠেছে। গ্রামীণ সমাজে বর্ষার দিন মানেই বাউলগান, কাদা-মাটির খেলা, পিঠা-পায়েস আর প্রকৃতির আনন্দে মগ্ন জীবন।
পঞ্চমত, বর্ষা শুধু আনন্দ নয়, চ্যালেঞ্জও বয়ে আনে। অতিবৃষ্টি, বন্যা ও জলাবদ্ধতা মানুষের জীবনে দুর্ভোগ সৃষ্টি করে। তবু এই দুর্যোগও বাংলাদেশের মানুষ সহনশীলতার সঙ্গে মোকাবিলা করে। এই ঋতুর প্রভাব বাংলাদেশের মানুষের মানসিক দৃঢ়তাকেও প্রকাশ করে।
সব মিলিয়ে বলা যায়, বর্ষা ঋতু বাংলাদেশের প্রকৃতি, কৃষি, জীবনধারা, সংস্কৃতি ও আবেগের সঙ্গে এমনভাবে মিশে আছে যে, এটি অন্য যেকোনো ঋতুর তুলনায় আলাদা এবং অনন্য। তাই বাংলাদেশের বর্ষা ঋতুকে যথার্থভাবেই ‘স্বতন্ত্র ঋতু’ বলা হয়, যা দেশের জীবন ও প্রকৃতির প্রতিটি স্তরে গভীর ছাপ ফেলে।
0
Updated: 10 hours ago
অর্থনৈতিক সমীক্ষা ২০১৫ অনুসারে, বাংলাদেশের দারিদ্রের হার কত?
Created: 1 day ago
A
৩১.৫০%
B
৩২.৭০%
C
৩৩.৩০%
D
৩৩.৮০%
অর্থনৈতিক সমীক্ষা ২০১৫ অনুযায়ী, বাংলাদেশের দারিদ্র্যের হার ছিল ৩১.৫০%। বর্তমানে দেশে দারিদ্র্যের হার ২১.৮% এবং হতদরিদ্রের হার ১১.৩%। এই তথ্য পরিসংখ্যান ব্যুরো (বিবিএস) দ্বারা প্রকাশিত হয়েছে।
-
দারিদ্র্য হার: এটি একটি দেশের জনগণের মধ্যে কত শতাংশ মানুষ দারিদ্র্যের সীমার নিচে জীবনযাপন করছে, তা নির্ধারণ করে। বর্তমানে বাংলাদেশে দারিদ্র্যের হার ২১.৮% যা আগের তুলনায় কম।
-
হতদরিদ্রের হার: হতদরিদ্র হিসেবে বিবেচিত মানুষের সংখ্যা, যারা অত্যন্ত কম আয় ও দুর্বল অর্থনৈতিক অবস্থায় থাকে। বর্তমানে এটি ১১.৩%।
-
অর্থনৈতিক উন্নয়ন: দারিদ্র্যের হার কমানো বাংলাদেশের জন্য এক গুরুত্বপূর্ণ লক্ষ্য, যা অর্থনৈতিক উন্নয়ন এবং জনকল্যাণের জন্য সরকারের বিভিন্ন উদ্যোগের ফলস্বরূপ অর্জিত হচ্ছে।
-
পরিসংখ্যান ব্যুরো (বিবিএস): এই তথ্য দেশের সরকারি পরিসংখ্যান ও জরিপের মাধ্যমে সংকলিত হয়েছে এবং দেশের অর্থনৈতিক অবস্থার উন্নতি বা অবনতির ধারণা দেয়।
0
Updated: 1 day ago
বাংলাদেশের উপকূলীয় জেলা কতগুলো?
Created: 3 days ago
A
১৭ টি
B
১৮ টি
C
১৯ টি
D
২০ টি
বাংলাদেশের উপকূলীয় জেলা ১৯টি: সাতক্ষীরা, খুলনা, বাগেরহাট, বরগুনা, বরিশাল, ভোলা, চাঁদপুর, চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, ফেনী, গোপালগঞ্জ, যশোর, ঝালকাঠি, লক্ষীপুর, নড়াইল, নোয়াখালী, পিরোজপুর, শরীয়তপুর ও পটুয়াখালী।
ব্যাখ্যা:
-
উপকূলীয় জেলা বলতে এমন জেলাগুলি বোঝানো হয়, যেগুলি সমুদ্র তটের কাছাকাছি অবস্থিত।
-
এই ১৯টি জেলা সমুদ্রের নিকটবর্তী হওয়ার কারণে দেশের প্রাকৃতিক সম্পদ, মৎস সম্পদ, এবং বাণিজ্যিক সুবিধা লাভের গুরুত্বপূর্ণ কেন্দ্র।
-
উপকূলীয় এলাকার এই জেলাগুলি সমুদ্রের প্রভাব বেশি অনুভব করে, ফলে জলবায়ু পরিবর্তন, বন্যা এবং ঘূর্ণিঝড়ের ঝুঁকি বেশি থাকে।
-
এসব জেলার অনেকেই প্রকৃতির বিপর্যয় মোকাবিলার জন্য প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা ও পুনর্বাসন কার্যক্রমে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।
0
Updated: 3 days ago
বাংলাদেশের গ্র্যান্ড মাষ্টার খেতাব অর্জনকারী প্রথম দাবাড়ু কে?
Created: 3 days ago
A
রানী হামিদ
B
রিফাত বিন সাত্তার
C
জিয়াউর রহমান
D
নিয়াজ মোর্শেদ
নিয়াজ মোরশেদ দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোর মধ্যে প্রথম গ্র্যান্ড মাস্টার খেতাবধারী হওয়ার বিরল কৃতিত্ব অর্জন করেন। ক্রীড়াক্ষেত্রে তার অসামান্য অবদানের জন্য ১৯৮৯ সালে বাংলাদেশ সরকার তাকে স্বাধীনতা দিবস পুরস্কারে ভূষিত করে।
0
Updated: 3 days ago