বাংলাদেশকে স্বীকৃতি দানকারী প্রথম আরব দেশ কোনটি?

A

সৌদি আরব

B

ইরান

C

ইরাক

D

মিশর

উত্তরের বিবরণ

img

বাংলাদেশ ১৯৭১ সালের ১৬ ডিসেম্বর স্বাধীনতা অর্জনের পর আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডলে একটি নতুন রাষ্ট্র হিসেবে আত্মপ্রকাশ করে। স্বাধীনতার পরপরই বিশ্বের বিভিন্ন দেশ একে একে বাংলাদেশকে স্বীকৃতি দিতে শুরু করে। প্রথমদিকে পশ্চিমা ও আরব দেশগুলোর অনেকেই রাজনৈতিক ও কূটনৈতিক কারণে কিছুটা সময় নেয়। তবে আরব বিশ্বের মধ্যে ইরাকই সর্বপ্রথম বাংলাদেশকে স্বীকৃতি প্রদান করে, যা বাংলাদেশের আন্তর্জাতিক মর্যাদা বৃদ্ধিতে বিশেষ ভূমিকা রাখে।

ইরাকের এই স্বীকৃতি বাংলাদেশের পররাষ্ট্রনীতিতে এক নতুন দিক উন্মোচন করে এবং অন্যান্য আরব ও মুসলিম দেশগুলোকে পরবর্তীতে স্বীকৃতি প্রদানের জন্য অনুপ্রাণিত করে। নিচে এই বিষয়ে গুরুত্বপূর্ণ তথ্যগুলো তুলে ধরা হলো—

স্বীকৃতির সময়কাল: ইরাক বাংলাদেশকে স্বীকৃতি দেয় ১৯৭২ সালের ৮ জুলাই। এটি বাংলাদেশের স্বাধীনতার পর প্রায় সাত মাসের ব্যবধানে ঘটে।
প্রেক্ষাপট: সে সময় মধ্যপ্রাচ্যের অনেক দেশ পাকিস্তানের সঙ্গে রাজনৈতিক ও ধর্মীয় সম্পর্কের কারণে দ্বিধায় ছিল। তবে ইরাক তাদের অবস্থান থেকে সরে এসে বাংলাদেশের সার্বভৌমত্বকে মেনে নেয়, যা ছিল একটি সাহসী কূটনৈতিক পদক্ষেপ।
ইরাকের অবস্থান: ইরাক তৎকালীন সময়ে আরব বিশ্বের অন্যতম প্রভাবশালী দেশ ছিল। তাদের স্বীকৃতি আরব লীগ এবং মুসলিম বিশ্বের অন্যান্য দেশের ওপর ইতিবাচক প্রভাব ফেলে।
বাংলাদেশের কূটনৈতিক প্রচেষ্টা: স্বাধীনতার পর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নেতৃত্বে বাংলাদেশ সক্রিয়ভাবে আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি পাওয়ার প্রচেষ্টা চালায়। পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বিভিন্ন দেশের সঙ্গে যোগাযোগ রক্ষা করে বাংলাদেশের স্বাধীনতার বৈধতা ও মানবিক দিক তুলে ধরে।
আরব দেশগুলোর মনোভাব পরিবর্তন: ইরাকের পর ধীরে ধীরে সিরিয়া, মিশর, লিবিয়া এবং আলজেরিয়ার মতো দেশগুলোও বাংলাদেশকে স্বীকৃতি দিতে শুরু করে। এতে করে বাংলাদেশ ইসলামিক বিশ্বে নিজের অবস্থান শক্তিশালী করতে সক্ষম হয়।
রাজনৈতিক তাৎপর্য: ইরাকের স্বীকৃতি প্রমাণ করে যে, ধর্মীয় সম্পর্ক বা রাজনৈতিক জোটের ঊর্ধ্বে উঠে একটি জাতির স্বাধীনতা ও আত্মনিয়ন্ত্রণের অধিকার আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় গ্রহণ করতে প্রস্তুত।
বাংলাদেশ-ইরাক সম্পর্ক: এই স্বীকৃতির পর দুই দেশের মধ্যে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক স্থাপিত হয়। পরবর্তীতে বাংলাদেশ ও ইরাকের মধ্যে কূটনৈতিক মিশন স্থাপন এবং বাণিজ্য, সংস্কৃতি ও শিক্ষা ক্ষেত্রে সহযোগিতা বৃদ্ধি পায়।
জাতিসংঘে প্রভাব: আরব বিশ্বের স্বীকৃতি বাংলাদেশকে জাতিসংঘে সদস্যপদ লাভে সহায়ক ভূমিকা রাখে। ইরাকের মতো দেশগুলোর সমর্থন বাংলাদেশকে আন্তর্জাতিক অঙ্গনে স্বীকৃত ও গ্রহণযোগ্য রাষ্ট্র হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করে।
ধর্মীয় ও মানবিক সংহতি: ইরাকের স্বীকৃতি মুসলিম উম্মাহর মধ্যে মানবিক মূল্যবোধ ও স্বাধীনতার প্রতি শ্রদ্ধার দৃষ্টান্ত স্থাপন করে।

সারসংক্ষেপ:
ইরাক বাংলাদেশের স্বাধীনতাকে প্রথম স্বীকৃতি দেওয়া আরব দেশ হিসেবে ইতিহাসে বিশেষভাবে স্থান পেয়েছে। তাদের এই সিদ্ধান্ত শুধু বাংলাদেশের জন্য নয়, বরং পুরো দক্ষিণ এশিয়া অঞ্চলের জন্য ছিল একটি গুরুত্বপূর্ণ কূটনৈতিক সাফল্য। এটি বাংলাদেশের স্বাধীনতা সংগ্রামের ন্যায্যতা আন্তর্জাতিক অঙ্গনে আরও দৃঢ়ভাবে প্রতিষ্ঠিত করে এবং মুসলিম বিশ্বের সঙ্গে বাংলাদেশের সম্পর্কের নতুন অধ্যায় সূচনা করে।

Unfavorite

0

Updated: 15 hours ago

Related MCQ

Which is the most important resource of Bangladesh? 


Created: 2 months ago

A

Limestone


B

White Clay 


C

Hard rock


D

Natural Gas


Unfavorite

0

Updated: 2 months ago

 উপমহাদেশের কোন রাজনৈতিক ব্যক্তিত্বকে গণতন্ত্রের মানসপুত্র বলা হয়?

Created: 6 months ago

A

হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দী

B

এ কে ফজলুল হক

C

আব্দুল হামিদ খান ভাসানী

D

সৈয়দ আমীর আলী

Unfavorite

0

Updated: 6 months ago

What is Ribon's rating?


Created: 2 months ago

A

Jute decomposition method


B

Wheat threshing method


C

Jute planting method


D

Rice Cultivation Method


Unfavorite

0

Updated: 2 months ago

© LXMCQ, Inc. - All Rights Reserved

Developed by WiztecBD