'ভানুসিংহ' কার ছদ্মনাম?
A
শরৎচন্দ্র চট্রোপাধ্যায়
B
বঙ্গিমচন্দ্র চট্রোপাধ্যায়
C
রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর
D
সত্যেন্দ্রনাথ দত্ত
উত্তরের বিবরণ
বাংলা সাহিত্য জগতে অনেক বিখ্যাত লেখক তাদের বিভিন্ন ছদ্মনাম ব্যবহার করেছেন, বিশেষ করে যখন তারা সামাজিক বা রাজনৈতিক বিষয় নিয়ে রচনা করেছেন। ‘ভানুসিংহ’ হল সেই ছদ্মনাম যা ব্যবহার করেছিলেন রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর।
সঠিক উত্তর: গ) রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর
ব্যাখ্যা—
-
রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর ছিলেন কবি, সাহিত্যিক, নাট্যকার এবং দার্শনিক। তাঁর সাহিত্যজগতে ছদ্মনাম ব্যবহার করার উদ্দেশ্য ছিল ব্যক্তিগত বা রাজনৈতিক ভাব প্রকাশ করা এবং কখনও কখনও সামাজিক সমালোচনা।
-
ভানুসিংহ ছদ্মনামের মাধ্যমে তিনি কিছু সাহিত্যিক রচনা প্রকাশ করতেন, যা মূলত সাধারণ পাঠকের নজর কাড়ার জন্য এবং কখনও ব্যক্তিগত পরিচয় লুকানোর জন্য ব্যবহৃত হত।
-
রবীন্দ্রনাথ ছদ্মনামের ব্যবহার মূলত তাঁর কবিতা, ছোটগল্প বা প্রবন্ধে লক্ষ্য করা যায়। এটি তাঁর সাহিত্যিক পরিচয়কে বহুমাত্রিক করেছে এবং পাঠকের কাছে নতুন রূপে প্রকাশ পেতে সাহায্য করেছে।
-
অন্যান্য বিকল্প—
-
শরৎচন্দ্র চট্রোপাধ্যায়: তিনি ছদ্মনাম ব্যবহার করেছেন “বিমল”, কিন্তু ভানুসিংহ নয়।
-
বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়: তাঁর ছদ্মনাম “আনন্দমণি” বা “কপালকুণ্ডলা”-র জন্য পরিচিত, ভানুসিংহ নয়।
-
সত্যেন্দ্রনাথ দত্ত: সাহিত্যিক হলেও তিনি ভানুসিংহ ছদ্মনাম ব্যবহার করেননি।
-
সারসংক্ষেপে, ‘ভানুসিংহ’ ছদ্মনামটি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর ব্যবহার করেছিলেন, যা তাঁর সাহিত্যকর্ম ও প্রকাশনার এক বিশেষ পরিচয় বহন করে। তাই প্রদত্ত বিকল্পগুলোর মধ্যে সঠিক উত্তর হলো রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর।
0
Updated: 8 hours ago
রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর নোবেল পুস্কারর লাভ করেন-
Created: 1 week ago
A
১৯০৫ সালে
B
১৯১৩ সালে
C
১৯২৩ সালে
D
১৯২৫ সালে
আন্তর্জাতিক বিষয়াবলি
সাধারণ জ্ঞান
নোবেল পুরস্কার
রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর
অন্যান্য সরকারি চাকরির নিয়োগ পরীক্ষা
রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর ছিলেন বাংলা সাহিত্য ও সংস্কৃতির এক উজ্জ্বল নক্ষত্র। তাঁর সাহিত্যকীর্তি শুধু বাংলাতেই নয়, সমগ্র বিশ্বে ছড়িয়ে পড়েছিল। সাহিত্য ক্ষেত্রে তাঁর অসামান্য অবদানের স্বীকৃতি হিসেবে তিনি নোবেল পুরস্কারে ভূষিত হন। নিচে তাঁর নোবেল প্রাপ্তির সম্পর্কিত গুরুত্বপূর্ণ তথ্যগুলো তুলে ধরা হলো।
রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর ১৯১৩ সালে সাহিত্যে নোবেল পুরস্কার লাভ করেন। এটি ছিল বাংলা ভাষার এবং সমগ্র এশিয়ার প্রথম নোবেল পুরস্কার। এই পুরস্কার তাঁকে আন্তর্জাতিক খ্যাতির শীর্ষে পৌঁছে দেয় এবং বাংলা সাহিত্যের মর্যাদা বিশ্বে প্রতিষ্ঠিত করে।
-
রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর নোবেল পুরস্কার পান তাঁর কাব্যগ্রন্থ “গীতাঞ্জলি”-র জন্য। ইংরেজিতে অনূদিত “Gitanjali: Song Offerings” বইটি ১৯১২ সালে লন্ডনে প্রকাশিত হয় এবং এর কাব্যিক ভাব, গভীর আধ্যাত্মিকতা ও মানবতার বার্তা পশ্চিমা পাঠক ও সমালোচকদের গভীরভাবে স্পর্শ করে।
-
১৯১৩ সালে সুইডিশ একাডেমি সাহিত্য ক্ষেত্রে এই অনন্য কীর্তির স্বীকৃতি হিসেবে তাঁকে নোবেল পুরস্কারে ভূষিত করে।
-
গীতাঞ্জলির কবিতাগুলোতে রবীন্দ্রনাথ ঈশ্বর, মানবতা ও প্রকৃতির এক গভীর মিলন ঘটিয়েছেন। এর ভাষা সহজ অথচ ভাবগভীর, যা ধর্মীয় আধ্যাত্মিকতা ও মানবিক অনুভূতিকে একত্রিত করেছে।
-
নোবেল প্রাপ্তির পর তাঁর খ্যাতি বিশ্বজুড়ে ছড়িয়ে পড়ে এবং তিনি ভারতের সাহিত্য, সংস্কৃতি ও চিন্তাধারার এক বিশ্বদূত হিসেবে পরিচিত হন।
-
রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের নোবেল প্রাপ্তি শুধু একজন ব্যক্তির সম্মান নয়, এটি বাংলা ভাষা ও সাহিত্যের জন্য এক ঐতিহাসিক অর্জন।
-
উল্লেখযোগ্য যে, তিনি তখনো ভারতের স্বাধীনতার পূর্ববর্তী সময়ে এই সম্মান পান, যা উপনিবেশিক ভারতে এক বিরল ঘটনা ছিল।
-
গীতাঞ্জলির ইংরেজি অনুবাদের ভূমিকাটি লিখেছিলেন বিখ্যাত ইংরেজ কবি ডব্লিউ. বি. ইয়েটস (W. B. Yeats), যিনি রবীন্দ্রনাথের কবিতা দেখে গভীরভাবে মুগ্ধ হয়েছিলেন।
-
তাঁর এই অর্জন বিশ্বে প্রমাণ করে যে, পূর্বের সাহিত্যও পশ্চিমের সমান গভীরতা ও সৌন্দর্যে পরিপূর্ণ হতে পারে।
সবশেষে বলা যায়, ১৯১৩ সালে নোবেল পুরস্কার অর্জন রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের জীবন ও সাহিত্যজগতে এক অনন্য মাইলফলক। এটি শুধু তাঁর ব্যক্তিগত অর্জন নয়, বরং সমগ্র বাংলা জাতির গর্ব ও আত্মমর্যাদার প্রতীক।
0
Updated: 1 week ago