'পথিক তুমি পথ হারাইয়াছ ' - উক্তিটি কার?
A
নবকুমার
B
শ্রীকান্ত
C
কপালকুণ্ডলা
D
কুমুদিনী
উত্তরের বিবরণ
বাংলা সাহিত্য জগতে ‘কপালকুণ্ডলা’ উপন্যাসটি সত্যজিৎ রায়ের সাহিত্যে নয়, বরং বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়ের একটি চিরস্মরণীয় রচনা। এই উপন্যাসে বিভিন্ন চরিত্রের সংলাপ এবং মনস্তাত্ত্বিক ভাব প্রকাশ অত্যন্ত সুক্ষ্মভাবে ফুটে উঠেছে।
উক্তি: “পথিক তুমি পথ হারাইয়াছ” এই কথাটি উপন্যাসের প্রধান চরিত্র কুণ্ডলা বলেছেন। এটি একদিকে চরিত্রের ভেতরের দুঃখ, উদ্বেগ এবং অন্যদিকে পথভ্রষ্ট বা বিভ্রান্ত মানুষের প্রতি সতর্ক বার্তা হিসেবে ব্যবহৃত হয়েছে।
সঠিক উত্তর: কপালকুণ্ডলা
ব্যাখ্যা—
-
কপালকুণ্ডলা উপন্যাসটি বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়ের লেখা এবং এটি ১৮৬৬ সালে প্রকাশিত হয়।
-
উপন্যাসের কেন্দ্রবিন্দু হলো প্রেম, সামাজিক মূল্যবোধ এবং নৈতিকতা।
-
এখানে কুণ্ডলা চরিত্র সাহসী, নৈতিক ও বুদ্ধিমত্তা সমৃদ্ধ নারী হিসেবে চিত্রিত। “পথিক তুমি পথ হারাইয়াছ” সংলাপটি মানুষের ভুল পথচলা ও জীবনের বিকল্প পথের প্রতি দৃষ্টি আকর্ষণ করে।
-
বাক্যটির অর্থ হলো—“পথিক, তুমি ভুল পথে চলে গেছ।” এটি চরিত্রের সতর্কবার্তা এবং দৃষ্টিকোণ উভয়ই প্রকাশ করে।
-
বঙ্কিমচন্দ্রের সাহিত্যকর্মে এমন সংলাপের মাধ্যমে তিনি নৈতিক শিক্ষা, সামাজিক সচেতনতা এবং চরিত্র গঠনের গুরুত্ব ফুটিয়ে তুলেছেন।
-
উপন্যাসে ভাষা, ভাব এবং চরিত্রের গভীরতা পাঠককে মনোযোগী করে এবং সমাজ ও নৈতিকতার মূল বার্তা উপস্থাপন করে।
অতএব, এই উক্তি সরাসরি কপালকুণ্ডলা উপন্যাসের চরিত্র ও পরিবেশের সঙ্গে সম্পূর্ণ সামঞ্জস্যপূর্ণ। তাই প্রদত্ত বিকল্পগুলোর মধ্যে সঠিক উত্তর হলো কপালকুণ্ডলা।
0
Updated: 8 hours ago