শুদ্ধ বানান কোনটি?
A
গীতাঞ্জালী
B
গীতাঞ্জলি
C
গিতাঞ্জলী
D
গিতাঞ্জলি
উত্তরের বিবরণ
বাংলা বানানে স্বরবর্ণ ও ব্যঞ্জনবর্ণের যথাযথ ব্যবহার অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। অনেক সময় এক অক্ষরের পার্থক্যেই শব্দের অর্থ ও শুদ্ধতা বদলে যায়। ‘গীতাঞ্জলি’ শব্দটি নোবেল বিজয়ী কবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের বিখ্যাত কাব্যগ্রন্থের নাম। এখানে বানানের সামান্য ভুলও শব্দের মর্যাদা নষ্ট করে ফেলে, তাই এর সঠিক রূপ জানা প্রয়োজন।
‘গীতাঞ্জলি’ শব্দটির শুদ্ধ বানান হচ্ছে – গীতাঞ্জলি।
-
‘গীতাঞ্জলি’ শব্দটি এসেছে দুটি শব্দের সমন্বয়ে— ‘গীত’ এবং ‘অঞ্জলি’। ‘গীত’ মানে গান বা সঙ্গীত, আর ‘অঞ্জলি’ মানে উৎসর্গ বা নিবেদন। অর্থাৎ গীতাঞ্জলি মানে ‘গানের অঞ্জলি’ বা ‘গানসমূহের নিবেদন’।
-
শব্দের উচ্চারণে দীর্ঘ ‘ঈ’ ধ্বনি আছে, তাই প্রথম অংশে ‘গীত’ লেখা হবে, ‘গিত’ নয়। বাংলা বানানে ধ্বনিগত নিয়ম অনুযায়ী, যখন কোনো শব্দে দীর্ঘ ‘ঈ’ উচ্চারণ হয়, তখন ‘ই’-এর পরিবর্তে ‘ঈ’ ব্যবহার করা হয়।
-
দ্বিতীয় অংশে ‘অঞ্জলি’ শব্দের সঠিক রূপ ‘অঞ্জলি’, এখানে ‘ঞ’ যুক্ত হয় কারণ ‘জ’ এর আগে ‘ঞ’ বসলে উচ্চারণ মসৃণ হয় এবং বাংলা ধ্বনিবিজ্ঞানেও এটি স্বীকৃত রূপ।
-
বিকল্প ‘গীতাঞ্জালী’ তে শেষের দিকে অতিরিক্ত ‘আ’ যুক্ত হওয়ায় এটি ভুল, কারণ ‘অঞ্জলি’ শব্দে দীর্ঘ ‘আ’ নেই।
-
আবার ‘গিতাঞ্জলী’ ও ‘গিতাঞ্জলি’ – এই দুই রূপেও ‘ঈ’ এর পরিবর্তে ‘ই’ ব্যবহার করা হয়েছে, যা ধ্বনিগতভাবে ও বানান অনুযায়ী ভুল।
রবীন্দ্রনাথের কাব্যগ্রন্থ ‘গীতাঞ্জলি’ (১৯১০) বাংলা সাহিত্যের এক অনন্য সৃষ্টি, যা ১৯১৩ সালে তাঁকে নোবেল পুরস্কার এনে দেয়। এই বইয়ে কবি ঈশ্বর, মানুষ ও জীবনের প্রতি আত্মসমর্পণের গভীর অনুভূতি প্রকাশ করেছেন। তাই এই শব্দটি শুধু একটি সাহিত্যিক নাম নয়, বরং বাংলার সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যের প্রতীক।
বাংলা বানান রীতিতে শুদ্ধতা বজায় রাখতে স্বরবর্ণ, যুক্তবর্ণ ও ধ্বনি-রীতি মেনে চলা অপরিহার্য। যেমন—
-
‘ঈ’ ও ‘ই’-এর পার্থক্য উচ্চারণে স্পষ্ট রাখতে হবে।
-
যেসব শব্দ সংস্কৃত বা তৎসম উৎস থেকে এসেছে, সেগুলোর মূল রূপ পরিবর্তন করা উচিত নয়।
-
শব্দের ঐতিহাসিক ও সাহিত্যিক গুরুত্ব থাকলে তার মূল বানানেই সঠিক রূপ গ্রহণ করতে হবে।
অতএব, প্রদত্ত বিকল্পগুলোর মধ্যে খ) গীতাঞ্জলি-ই একমাত্র শুদ্ধ বানান, কারণ এটি মূল শব্দের ধ্বনি, রূপ ও অর্থ—সব দিক থেকেই সঠিক ও প্রমিত।
0
Updated: 9 hours ago
কোন বানানটি শুদ্ধ?
Created: 4 months ago
A
শুশ্রুষা
B
সুশ্রুষা
C
শুশ্রূষা
D
সুশ্রুসা
শব্দ: শুশ্রূষা
-
শুদ্ধ বানান: শুশ্রূষা
-
পদপ্রকৃতি: বিশেষ্য
-
মূল শব্দ: সংস্কৃত
-
প্রকৃতি ও প্রত্যয় বিশ্লেষণ:
শুশ্রূষা + √কৃ (ধাতু) + ইন্ + ঈ = শুশ্রূষা -
অর্থ: পরিচর্যা, সেবা, যত্ন নেওয়া কিংবা কষ্টে থাকা ব্যক্তির প্রতি সহানুভূতিশীলভাবে মনোযোগ দেওয়া।
📚 উৎস: আধুনিক বাংলা অভিধান, বাংলা একাডেমি
বিশেষ দ্রষ্টব্য:
“শুশ্রূষা” শব্দটি মূলত সেবা ও পরিচর্যার একটি সুসংস্কৃত ও শুদ্ধ রূপ, যা আধুনিক বাংলা ভাষায় অনেক সময় ভুল বানানে (যেমন: শুশ্রুষা) লেখা হয়ে থাকে। শব্দটি ব্যবহারে শুদ্ধ বানান ও অর্থ বোঝা গুরুত্বপূর্ণ।
0
Updated: 4 months ago
কোন বানানটি শুদ্ধ?
Created: 2 months ago
A
সমিচীন
B
সমীচিন
C
সমিচিন
D
সমীচীন
সঠিক উত্তর: ঘ) সমীচীন
ব্যাখ্যা:
বাংলা ভাষায় "সমীচীন" শব্দটি ব্যবহার করা হয় যা অর্থে "যা উপযুক্ত বা যথাযথ"।
-
ক) সমিচীন → ভুল, কারণ এর বানান অসম্পূর্ণ এবং প্রায়ই শুদ্ধ উচ্চারণের সঙ্গে মেলে না।
-
খ) সমীচিন → ভুল, কারণ শেষের ‘ন’-এর পরিবর্তে ‘ন’ থাকা উচিত, কিন্তু ‘ণ’ হবে।
-
গ) সমিচিন → ভুল, কারণ স্বরবর্ণ ঠিক নয়।
-
ঘ) সমীচীন → শুদ্ধ বানান; ‘ী’ দীর্ঘ স্বর এবং ‘ণ’ শেষাংশ সঠিকভাবে ব্যবহৃত হয়েছে।
0
Updated: 2 months ago
নিচের কোন বানানগুলো শুদ্ধ?
Created: 4 days ago
A
সোনালী, তরি, নিশ্বাস
B
সোনালী, তরী, নিঃশ্বাস
C
সোনালী, তরী, নিশ্বাস
D
সোনালী, তড়ি, নিঃশ্বাস
শুদ্ধ বানানগুলো হলো সোনালী, তরী, নিঃশ্বাস। এই তিনটি শব্দই বাংলা ব্যাকরণ অনুযায়ী সঠিক রূপে ব্যবহৃত হয় এবং প্রচলিত বানানরীতির সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ।
-
সোনালী শব্দটি “সোনা” থেকে এসেছে, যার অর্থ সোনার মতো রঙ বা দীপ্তি। “সোনালী আলো” বা “সোনালী সকাল” বলা হয়।
-
তরী অর্থ নৌকা বা জলযান। “তরী” শব্দটি সংস্কৃত “তর” ধাতু থেকে এসেছে, যার মানে পার হওয়া।
-
নিঃশ্বাস শব্দে “নিঃ” উপসর্গ যোগে তৈরি হয়েছে, যার মানে শ্বাসত্যাগ বা প্রশ্বাস।
ভুল বিকল্পগুলোর বিশ্লেষণ:
-
তরি ভুল, কারণ এটি “তরী” শব্দের বিকৃত রূপ।
-
নিশ্বাস ভুল, কারণ “নিঃ” উপসর্গ বাদ পড়লে অর্থ ও রূপ দুটোই বিকৃত হয়।
-
তড়ি সম্পূর্ণভাবে অশুদ্ধ বানান, যা বাংলা ভাষায় স্বীকৃত নয়।
সুতরাং শুদ্ধ বানান অনুযায়ী সঠিক উত্তর হলো — খ) সোনালী, তরী, নিঃশ্বাস।
0
Updated: 4 days ago