'হ্ম' যুক্ত বর্ণটি কীভাবে গঠিত হয়েছে?
A
হ্ + ম
B
ক + ষ
C
ষ্ + ম
D
ম্ + হ
উত্তরের বিবরণ
হ + ম = হ্ম, যেমন: ব্রাহ্মণ, ব্রহ্ম ইত্যাদি। এখানে হ এবং ম যুক্ত হয়ে একটি যুক্তব্যঞ্জন হ্ম গঠন করে, যা উচ্চারণে হ-ধ্বনির পর ম-ধ্বনি স্পষ্টভাবে শোনা যায় না; বরং মিলিতভাবে একটি ভারসাম্যপূর্ণ ধ্বনি সৃষ্টি করে। এ ধরনের যুক্তাক্ষর বাংলা ভাষার ধ্বনিগত সৌন্দর্য বৃদ্ধি করে এবং উচ্চারণে একটি বিশেষ গাম্ভীর্য আনে।
হ্ম সম্পর্কিত তথ্য:
• এটি একধরনের যুক্তব্যঞ্জন, যেখানে হ ও ম একত্রে উচ্চারিত হয়।
• শব্দের মূল রূপে হ্ম ধ্বনি সাধারণত সংস্কৃতমূল শব্দে পাওয়া যায়।
• বাংলা ভাষায় ‘ব্রাহ্মণ’, ‘ব্রহ্ম’, ‘মহ্মা’ প্রভৃতি শব্দে এই যুক্তাক্ষর ব্যবহৃত হয়।
• উচ্চারণে এটি হ ও ম এর মাঝামাঝি এক সংক্ষিপ্ত ধ্বনি তৈরি করে।
ক + ষ = ক্ষ, যেমন: শিক্ষা, রক্ষা ইত্যাদি। এখানে ক ও ষ যুক্ত হয়ে ক্ষ নামক বিশেষ যুক্তব্যঞ্জন সৃষ্টি হয়। এটি বাংলা ভাষার অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ ও প্রাচীন যুক্তাক্ষর, যা একটিমাত্র ধ্বনির মতো উচ্চারিত হলেও এর গঠন দ্ব্যর্থক—ক ও ষ উভয়ের সংমিশ্রণ।
ক্ষ সম্পর্কিত তথ্য:
• ‘ক্ষ’ ধ্বনি সংস্কৃত ও প্রাচীন বাংলা শব্দে বহুল ব্যবহৃত।
• এটি একপ্রকার দ্বিত্ব ধ্বনি, যার উচ্চারণে ক-এর আভাস থাকে।
• শব্দে ‘ক্ষ’ সাধারণত শক্তিশালী বা দৃঢ় অর্থবোধক শব্দে ব্যবহৃত হয়, যেমন ‘রক্ষা’, ‘শিক্ষা’, ‘ক্ষত্রিয়’।
• আধুনিক উচ্চারণে অনেক সময় ‘ক্ষ’ ধ্বনিটি ‘খ’ বা ‘ক্ক’ হিসেবে উচ্চারিত হয়, তবে প্রমিত রূপে এর নিজস্ব ধ্বনি বজায় থাকে।
0
Updated: 20 hours ago
'ঞ্জ' যুক্তবর্ণটি কীভাবে গঠিত হয়েছে?
Created: 3 days ago
A
ঞ +ন
B
জ্+ণ
C
ঞ্+জ
D
ন্ +জ
‘ঞ্জ’ যুক্তবর্ণটি গঠিত হয়েছে দুটি পৃথক বর্ণের মিশ্রণ থেকে, যা হচ্ছে ঞ্ এবং জ। এই ধরনের বর্ণগুলোর গঠন বাংলায় বিশেষভাবে গুরুত্বপূর্ণ, কারণ এটি শব্দের উচ্চারণ এবং অর্থের পরিবর্তন ঘটায়।
-
ঞ্ একটি স্বরবর্ণের সাথে যুক্ত একটি মূর্ত বর্ণ, যা কণ্ঠের মধ্যবর্তী অংশে উচ্চারিত হয়।
-
জ হলো একটি ধ্বনি, যা মূলত য, জ, ঝ, ঞ এর মতো ব্যঞ্জনবর্ণ থেকে উৎপন্ন হয়।
যখন এই দুটি বর্ণ ঞ্ এবং জ একত্রিত হয়, তখন তার উচ্চারণে পরিবর্তন ঘটে, এবং নতুন একটি বর্ণ গঠন হয়, যা আমরা ‘ঞ্জ’ হিসেবে চিনি। এটি সাধারণত বাংলা ভাষায় শব্দের মধ্যে ব্যবহৃত হয়, যেখানে একটি শব্দের পরবর্তী অংশে ‘জ্ঞ’ বা ‘ঞ্জ’ আসতে পারে। উদাহরণস্বরূপ, ‘জ্ঞ’ শব্দটি ‘জ্ঞ’ বা ‘জ্ঞানের’ মতো শব্দে ব্যবহৃত হয়ে থাকে, যেখানে গঠিত হয় ঞ্ এবং জ।
এটি একটি গুরুত্বপূর্ণ যুক্তবর্ণ হিসেবে চিহ্নিত, যা ভাষার শব্দ গঠনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে এবং উচ্চারণে একাধিক প্রয়োগ থাকে।
0
Updated: 3 days ago
অস্বচ্ছ যুক্তবর্ণ -
Created: 1 month ago
A
ল্ক
B
ন্ধ
C
ল্প
D
শ্চ
ধ্য/দ্ধ/ন্ধ – অস্বচ্ছ যুক্তবর্ণ
যুক্তবর্ণ:
একাধিক বর্ণ যুক্ত হয়ে যে বর্ণ তৈরি হয়, তাকে যুক্তবর্ণ বলা হয়। যুক্ত হওয়া বর্ণগুলোকে দেখে কখনো সহজে চেনা যায়, কখনো সহজে চেনা যায় না। এই দিক থেকে যুক্তবর্ণ দুই ধরনের: স্বচ্ছ ও অস্বচ্ছ।
স্বচ্ছ যুক্তবর্ণের উদাহরণ:
জ, ব্দ, ম্ফ, ল্ক, ল্গ, ল্ট, ল্ড, ল্প, ল্ফ, শ্চ, ষ্ট ইত্যাদি
অস্বচ্ছ যুক্তবর্ণের উদাহরণ:
-
দ্ধ (দ+ধ)
-
ন্ধ (ন্+ধ)
-
ব্ধ (ব্+ধ)
-
ভ্র (ভ্+র)
-
ষ্ণ (ষ্ + ণ)
উৎস: বাংলা ভাষার ব্যাকরণ ও নির্মিতি, নবম-দশম শ্রেণি (সংস্করণ ২০২১)
0
Updated: 1 month ago
নিচের কোনটি শুদ্ধ?
Created: 1 month ago
A
ষ্ণ= ষ + ণ
B
ষ্ণ= ষ + ঞ
C
ষ্ণ= ষ + ন
D
ষ্ণ= ষ + ঙ
যুক্তাক্ষর হলো মিলিত অক্ষর বা সংযুক্ত বর্ণ।
একাধিক বর্ণ এক সঙ্গে যুক্ত করে লিখিত ও উচ্চারিত হওয়াকে যুক্তবর্ণ বলে।
যেমন - ল্ + ল = ল্ল ( আল্লাহ )
ষ্ণ = ষ্ + ণ।
0
Updated: 1 month ago