'বল বীর বল উন্নত মম শির' বাক্যটি কী?
A
ইচ্ছাসূচক
B
আদেশসূচক
C
প্রশ্নসূচক
D
বিস্ময়সূচক
উত্তরের বিবরণ
আদেশসূচক বাক্যগুলো এমন বাক্য যেখানে কোনো নির্দেশ, আদেশ বা অনুরোধ প্রকাশ পায়; এখানে ক্রিয়া সাধারণত সরাসরি কাউকে কোনো কাজ করতে বলা হয়।
• সংজ্ঞা: আদেশসূচক বাক্য হচ্ছে সেই বাক্য যেখানে বক্তা কাউকে কোনো কাজ করার জন্য সরাসরি নির্দেশ দেয় বা অনুরোধ করে এবং বাক্যের অর্থে আদেশের ভাব প্রধান।
• প্রধান বৈশিষ্ট্য: এসব বাক্যে ক্রিয়া আদেশসূচক রূপে আসে ও বাক্যটি শ্রোতাকে কার্যত সক্রিয় হওয়ার নির্দেশ দেয়; কর্তা বা বিষয় পৃথকভাবে বিশদভাবে উল্লেখ করা জরুরি নয়।
• রূপভেদ: আদেশসূচক বাক্য সরাসরি আদেশ, অনুরোধ, নিষেধ বা আহ্বানের আভাস দিতে পারে।
• উদাহরণ: “শিক্ষক মহোদয় শ্রেণিকক্ষে এলে উঠে দাঁড়াবে।”, “চুপটি করে বস।”, “উঠে দাঁড়াও।”, “দেশের স্বাধীনতা রক্ষার জন্য যুদ্ধ কর,” “বল বীর বল উন্নত মম শির।”
• উপযোগিতা: ভাষায় নির্দেশনা, নিয়ম-নির্দেশ ও দ্রুত কার্য করানোর ক্ষেত্রে আদেশসূচক বাক্যের ব্যবহার বহুল পরিমাণে দেখা যায়।
0
Updated: 20 hours ago
বাক্যের তিনটি গুণ কী কী?
Created: 3 months ago
A
আকাঙ্ক্ষা, আসক্তি ও বিধেয়
B
আকাঙ্ক্ষা, আসত্তি ও যোগ্যতা
C
যোগ্যতা, উদ্দেশ্য ও বিধেয়
D
কোনোটিই নয়
আদর্শ বাক্যের ৩টি দরকারি গুণ
একটি ভালো বা আদর্শ বাক্য গঠনের জন্য তিনটি গুণ থাকা খুব গুরুত্বপূর্ণ। এগুলো হলো: আকাঙ্ক্ষা, আসত্তি, এবং যোগ্যতা।
আকাঙ্ক্ষা
বাক্য বুঝতে গেলে এক শব্দের পর আরেকটি শব্দ কী আসবে, তার একটি আশা বা চাহিদা থাকে। এই চাহিদার নামই আকাঙ্ক্ষা।
উদাহরণ:
কাজল নিয়মিত লেখাপড়া।
এই বাক্যটি অসম্পূর্ণ। এখানে বোঝা যাচ্ছে না কাজল লেখাপড়া করে নাকি করে না।
ঠিকভাবে বললে হবে: কাজল নিয়মিত লেখাপড়া করে।
আসত্তি
একটি বাক্যের মধ্যে শব্দগুলোর সঠিক জায়গায় বসার নিয়মই হলো আসত্তি।
উদাহরণ:
নিয়মিত করে হাসান লেখাপড়া।
এই বাক্যে শব্দগুলোর জায়গা ঠিক না থাকায় বুঝতে অসুবিধা হচ্ছে।
সঠিকভাবে বললে হবে: হাসান নিয়মিত লেখাপড়া করে।
যোগ্যতা
বাক্যের সব শব্দের মানে ও তথ্য যেন বাস্তবসম্মত ও মানানসই হয়, সেটাই হলো যোগ্যতা।
উদাহরণ:
বর্ষার রৌদ্র প্লাবনের সৃষ্টি করে।
এই বাক্যটি ভুল, কারণ বর্ষাকালে রোদে প্লাবন হয় না।
সঠিকভাবে বললে হবে: বর্ষার বৃষ্টি প্লাবনের সৃষ্টি করে।
তথ্যসূত্র: ভাষা-শিক্ষা, ড. হায়াত মাহমুদ
0
Updated: 3 months ago
"লোকটি অশিক্ষিত হলেও অভদ্র নয়।" — এটিকে যৌগিক বাক্যে রূপান্তর করলে কী হবে?
Created: 2 months ago
A
যদিও লোকটি অশিক্ষিত, অথচ অভদ্র নয়।
B
লোকটি অশিক্ষিত, কিন্তু অভদ্র নয়।
C
লোকটি অশিক্ষিত বলেই অভদ্র নয়।
D
লোকটি অভদ্র, কিন্তু অশিক্ষিত নয়।
সরল বাক্যকে যৌগিক বাক্যে রূপান্তর করার নিয়ম: - যৌগিক বাক্যে একাধিক সমাপিকা ক্রিয়ার প্রয়োজন হয়। - এজন্য সরলবাক্যকে যৌগিক বাক্য করতে হলে সরল বাক্যের মাঝখানের অসমাপিকা ক্রিয়াকে সমাপিকা ক্রিয়া রূপান্তর করতে হয়। - সরল বাক্যে একটি মাত্র ক্রিয়া থাকলে যৌগিক বাক্য গঠনের সময়ে আরেকটি ক্রিয়া তৈরি করে নিতে হয়। - সরল বাক্যকে যৌগিক বাক্যে পরিণত করতে হলে সরল বাক্যের কোন অংশকে নিরপেক্ষ বাক্যে রূপান্তর করতে হয়। যেমন: • সরল বাক্য: লােকটি অশিক্ষিত হলেও অভদ্র নয়। • যৌগিক বাক্য: লােকটি অশিক্ষিত, কিন্তু অভদ্র নয়। • সরল বাক্য: পরিশ্রম করলে ফল পাবে। • যৌগিক বাক্য: পরিশ্রম কর তবেই ফল পাবে। • সরল বাক্য: এখন পরবালের কর্ম না করিলে কবে করিব? • যৌগিক বাক্য: এখন পরকালের কর্ম করিব, নাতো কবে করিব? উৎস: ভাষা-শিক্ষা, ড. হায়াৎ মামুদ এবং বাংলা ভাষা ও সাহিত্য জিজ্ঞাসা।
0
Updated: 2 months ago
'যেহেতু তুমি বেশি নম্বর পেয়েছ, সুতরাং তুমি প্রথম হবে' কোন ধরনের বাক্য?
Created: 3 months ago
A
সরল
B
জটিল
C
যৌগিক
D
অনুজ্ঞামূলক
যে বাক্যে একটি প্রধান খণ্ডবাক্যের সাথে এক বা একাধিক অপ্রধান খণ্ডবাক্য যুক্ত থাকে, বা একাধিক বাক্য পরস্পরের সঙ্গে নির্ভরশীল ও সম্পর্কিত হয়ে ব্যবহৃত হয়, তাকে জটিল বাক্য বলা হয়।
সহজ কথায়, যেখানে একটি মূল বাক্যের সঙ্গে সাব-বাক্যগুলো সংযুক্ত থাকে এবং তারা একে অপরের ওপর নির্ভরশীল, সেসব বাক্যই জটিল বাক্য।
জটিল বাক্যে ব্যবহৃত সাপেক্ষ সর্বনাম ও সাপেক্ষ যোজক
জটিল বাক্যে প্রায়শই ‘যে-সে’, ‘যারা-তারা’, ‘যিনি-তিনি’, ‘যাঁরা-তাঁরা’, ‘যা-তা’ এর মতো সাপেক্ষ সর্বনাম এবং ‘যদি-তবে’, ‘যদিও-তবু’, ‘যেহেতু-সেহতু’, ‘যত-তত’, ‘যেটুকু-সেটুকু’, ‘যেমন-তেমন’, ‘যখন-তখন’ ইত্যাদি সাপেক্ষ যোজক ব্যবহৃত হয়।
এই ধরনের শব্দ ও যুক্তি অপ্রধান ও প্রধান খণ্ডবাক্যগুলোকে যুক্ত করে এবং বাক্যের অর্থকে পরস্পরের সঙ্গে সাপেক্ষ করে।
উদাহরণসমূহ
-
যেহেতু তুমি ভালো ফলাফল করেছ, তাই তুমি প্রথম স্থান অধিকার করবে।
(এখানে ‘যেহেতু তুমি ভালো ফলাফল করেছ’ অংশটি অপ্রধান খণ্ডবাক্য এবং ‘তুমি প্রথম স্থান অধিকার করবে’ প্রধান খণ্ডবাক্য।) -
যে ছাত্রটি সময়মতো এসেছে, সে আমার বন্ধু।
-
যখন বৃষ্টি শুরু হলো, তখন আমরা ছাতা নিয়ে বের হলাম।
তথ্যসূত্র: বাংলা ভাষার ব্যাকরণ, নবম-দশম শ্রেণি (২০১৯), ড. হায়াৎ মামুদ, ভাষা-শিক্ষা
0
Updated: 3 months ago