নিচের কোনটি দ্বন্দ্ব সমাসের উদাহরণ?
A
বিলাত-ফেরত
B
অহি-নকুল
C
গায়ে হলুদ
D
কলে ছাঁটা
উত্তরের বিবরণ
যে সমাসে প্রতিটি সমস্যমান পদের অর্থ সমান প্রাধান্য ধারণ করে এবং যেখানে একটি সংযোজক অব্যয় (কখনো বিয়োজক) দ্বারা দুটি শব্দ যুক্ত হয়, তাকে দ্বন্দ্ব সমাস বলা হয়। এই ধরনের সমাসে দুটি শব্দ একে অপরের সঙ্গে যুক্ত হয়ে এক নতুন অর্থ তৈরি করে, কিন্তু তাদের মধ্যে সমান গুরুত্ব থাকে। উদাহরণস্বরূপ:
-
দা-কুমড়া
-
অহি-নকুল
-
স্বর্গ-নরক
এই শব্দগুলোর মধ্যে দুটি অংশের অর্থ সমানভাবে গুরুত্ব পায় এবং সাধারণত কোনো সংযোজক শব্দ দ্বারা যুক্ত থাকে।
0
Updated: 1 day ago
কোনটি দ্বন্দ্ব সমাস?
Created: 3 days ago
A
ভালোমন্দ
B
তুষার শুভ্র
C
সেতার
D
শতবর্ষ
দ্বন্দ্ব সমাস এমন এক প্রকার সমাস যেখানে দুটি শব্দ একে অপরের সঙ্গে সমানভাবে যুক্ত হয়, এবং উভয় শব্দই সমান গুরুত্ব বহন করে। এখানে কোনো শব্দ অপরটির বিশেষণ বা কর্ম নয়, বরং দুটি শব্দ একত্রে মিলে একটি নতুন অর্থ প্রকাশ করে। “ভালোমন্দ” শব্দটি এই শ্রেণির অন্তর্ভুক্ত, কারণ এটি দুটি বিপরীতার্থক শব্দের সমন্বয়ে গঠিত।
• ভালোমন্দ শব্দটি গঠিত হয়েছে “ভালো” ও “মন্দ” — এই দুটি বিপরীত অর্থের শব্দ থেকে। এদের যুক্তিতে একটি সমষ্টিগত ভাব প্রকাশ পেয়েছে, যার অর্থ “সব কিছু মিলিয়ে” বা “সমস্ত দিক থেকে বিচার করলে”। এ কারণেই এটি দ্বন্দ্ব সমাস।
• দ্বন্দ্ব সমাসে সাধারণত দুই বা ততোধিক শব্দ একত্র হয়ে একটি যৌগিক পদ তৈরি করে, যেখানে প্রতিটি শব্দের অর্থ স্বাধীন হলেও তাদের মিলিত অর্থ একটি সামগ্রিক ধারণা দেয়। যেমন— রামলক্ষণ, দেনাপাওনা, ভালোমন্দ।
• এই সমাসে কোনো নির্দিষ্ট শব্দ প্রধান নয়। দুটি শব্দই সমান মর্যাদা পায়, তাই একে “দ্বন্দ্ব” বলা হয়।
• বাংলায় দ্বন্দ্ব সমাসের দুটি প্রধান ধরন রয়েছে—
– সমার্থক দ্বন্দ্ব সমাস, যেখানে দুইটি সমার্থক শব্দ যুক্ত হয়। যেমন— দুখকষ্ট, হাসিখুশি।
– বিপরীতার্থক দ্বন্দ্ব সমাস, যেখানে দুইটি বিপরীতার্থক শব্দ যুক্ত হয়। যেমন— ভালোমন্দ, সুখদুঃখ।
• “ভালোমন্দ” শব্দটি বিপরীতার্থক দ্বন্দ্ব সমাসের উৎকৃষ্ট উদাহরণ, কারণ “ভালো” অর্থাৎ শুভ ও “মন্দ” অর্থাৎ অশুভ — দুইটি বিপরীত ভাবের শব্দ মিলেই এখানে একটি নতুন অর্থ তৈরি করেছে।
• বাক্যে এর ব্যবহার দেখা যায়— “মানুষের জীবনে ভালোমন্দ দুটোই থাকে।” এখানে শব্দটি জীবনের বিভিন্ন দিক বোঝাতে ব্যবহৃত হয়েছে, যা দ্বন্দ্ব সমাসের প্রকৃত উদ্দেশ্যকে স্পষ্ট করে।
• অন্য বিকল্পগুলোর বিশ্লেষণ করলে দেখা যায়—
– তুষার শুভ্র: এটি কর্মধারয় সমাস, যেখানে “তুষারের মতো শুভ্র” অর্থ প্রকাশ পায়।
– সেতার: এটি তৎসম শব্দ, কোনো সমাস নয়।
– শতবর্ষ: এটি দ্বিগু সমাস, কারণ “শত” (সংখ্যা) শব্দটি “বর্ষ” শব্দকে বিশেষিত করেছে।
তাই বিশ্লেষণ করলে দেখা যায়, প্রদত্ত বিকল্পগুলির মধ্যে একমাত্র “ভালোমন্দ”-ই দ্বন্দ্ব সমাসের উদাহরণ।
0
Updated: 3 days ago
'আলোছায়া' শব্দটি কোন সমাসের উদাহরণ?
Created: 2 months ago
A
তৎপুরুষ সমাস
B
দ্বন্দ্ব সমাস
C
কর্মধারয় সমাস
D
বহুব্রীহি সমাস
দ্বন্দ্ব সমাস
সংজ্ঞা
যে সমাসে প্রতিটি সমস্যমান পদের অর্থ সমান প্রাধান্য পায়, তাকে দ্বন্দ্ব সমাস বলে।
বৈশিষ্ট্য
-
প্রতিটি পদের অর্থ সমানভাবে রক্ষিত হয়।
-
ব্যাসবাক্যে (পূর্ণ বাক্যে) “এবং / ও / আর” ইত্যাদি অব্যয় দ্বারা সম্পর্ক প্রকাশ পায়।
উদাহরণ
-
আলো + ছায়া → আলোছায়া (আলো ও ছায়া)
-
তাল + তমাল → তালতমাল (তাল ও তমাল)
-
দোয়াত + কলম → দোয়াতকলম (দোয়াত ও কলম)
-
মাতা + পিতা → মাতাপিতা (মাতা ও পিতা)
উৎস: বাংলা ভাষার ব্যাকরণ, নবম-দশম শ্রেণি, ২০১৮ সংস্করণ
0
Updated: 2 months ago
অলুক দ্বন্দ্ব সমাস সাধিত শব্দ কোনটি?
Created: 2 months ago
A
হাট-বাজার
B
মা-বাপ
C
সাত-পাঁচ
D
হাতে-কলমে
দ্বন্দ্ব সমাস
১. অলুক দ্বন্দ্ব
যে দ্বন্দ্ব সমাসে কোনো সমস্যমান (পদের) বিভক্তি লোপ পায় না, তাকে অলুক দ্বন্দ্ব বলে।
উদাহরণ:
-
হাতে ও কলমে → হাতে-কলমে
-
চোখে ও মুখে → চোখে-মুখে
-
চলনে ও বলনে → চলনে-বলনে
২. সমার্থক শব্দযোগে দ্বন্দ্ব
একই অর্থবোধক শব্দ যোগে যে দ্বন্দ্ব সমাস হয়।
উদাহরণ: হাট-বাজার
৩. মিলনার্থক শব্দযোগে দ্বন্দ্ব
যেখানে দুটি ভিন্ন কিন্তু সম্পর্কিত অর্থবোধক শব্দ যোগ হয়।
উদাহরণ: মা-বাপ
৪. সংখ্যাবাচক শব্দযোগে দ্বন্দ্ব
সংখ্যাবাচক শব্দের যোগে গঠিত দ্বন্দ্ব।
উদাহরণ: সাত-পাঁচ
উৎস: বাংলা ভাষার ব্যাকরণ, নবম ও দশম শ্রেণি (২০১৯ সালের সংস্করণ)
0
Updated: 2 months ago