কোন ধ্বনি উচ্চারণের সময় বাতাসের চাপের আধিক্য থাকে?
A
অল্পপ্রাণ ধ্বনি
B
অঘোষ ধ্বনি
C
মহাপ্রাণ ধ্বনি
D
ঘোষ ধ্বনি
উত্তরের বিবরণ
বাংলা ভাষাসহ বিভিন্ন ভাষায় কিছু ব্যঞ্জনধ্বনির সাথে একটি বাড়তি হ ধ্বনি যুক্ত করে উচ্চারণ করা হয়। এই ধ্বনিগুলিতে মূল ধ্বনির সাথে হ ধ্বনিটি এমনভাবে মিশে থাকে যে, তাকে পৃথকভাবে শোনা যায় না। এর ভিত্তিতে ব্যঞ্জনধ্বনিগুলোকে দুটি ভাগে ভাগ করা হয়।
অল্পপ্রাণ (Unaspirated):
যে সকল ব্যঞ্জনধ্বনির সাথে হ ধ্বনি যুক্ত হয় না, তাকে অল্পপ্রাণ ধ্বনি বলে। বাংলা ভাষায় এই ধরনের ব্যঞ্জনধ্বনিগুলো হল:
-
ক, গ, ঙ, চ, জ, ঞ, ট, ড, ণ, ত, দ, ন, প, ব, ম, র, ল, ড়।
মহাপ্রাণ (Aspirated):
যে সকল ব্যঞ্জনধ্বনির সাথে হ ধ্বনি যুক্ত হয়, তাকে মহাপ্রাণ ধ্বনি বলে। বাংলা ভাষায় এই ধরনের ব্যঞ্জনধ্বনিগুলো হল:
-
খ, ঘ, ছ, ঝ, ঠ, ঢ, থ, ধ, ফ, ভ, ঢ়, এবং হ।
0
Updated: 1 day ago
কোনটি মহাপ্রাণ ধ্বনি?
Created: 1 month ago
A
স
B
ঠ
C
প
D
জ
‘ঠ’ হলো মহাপ্রাণ ধ্বনি, অন্যদিকে স, প, জ হলো অল্পপ্রাণ ধ্বনি।
মহাপ্রাণ ধ্বনি:
-
এমন ধ্বনি যা উচ্চারণের সময় বাতাস জোরে বের হয় এবং বাতাসের চাপ বেশি থাকে।
-
বর্গের ২য় ও ৪র্থ ধ্বনি সাধারণত মহাপ্রাণ ধ্বনি হয়।
-
উদাহরণ: খ, ঘ; ছ, ঝ; ঠ, ঢ; থ, ধ; ফ, ভ; এবং হ।
অল্পপ্রাণ ধ্বনি:
-
এমন ধ্বনি যার উচ্চারণে ফুসফুস থেকে বের হওয়া বায়ুর প্রবাহ অপেক্ষাকৃত কম থাকে।
-
উদাহরণ: প, ব, ত, দ, স, ট, ড, ড়, চ, জ, শ, ক, গ।
0
Updated: 1 month ago
বর্গের কোন বর্ণসমূহের ধ্বনি মহাপ্রাণধ্বনি?
Created: 2 months ago
A
তৃতীয় বর্ণ
B
দ্বিতীয় ও চতুর্থ বর্ণ
C
প্রথম ও দ্বিতীয় বর্ণ
D
দ্বিতীয় ও তৃতীয় বর্ণ
যে ধ্বনি উচ্চারণ করার সময় মুখ থেকে বাতাস জোরে বের হয় এবং বাতাসের চাপ বেশি থাকে, তাকে মহাপ্রাণ ধ্বনি বলা হয়।
বাংলা বর্ণমালার বর্গ অনুযায়ী—
-
২য় ও ৪র্থ বর্ণগুলো মহাপ্রাণ ধ্বনি।
-
যেমন: খ, ঘ; ছ, ঝ; ঠ, ঢ; থ, ধ; ফ, ভ এবং ‘হ’।
অল্পপ্রাণ ধ্বনি
-
১ম ও ৩য় বর্ণ অল্পপ্রাণ ধ্বনি।
অর্থাৎ এগুলোর উচ্চারণে বাতাস জোরে বের হয় না।
নাসিক্য ধ্বনি
-
৫ম বর্ণ নাসিক্য ধ্বনি, কারণ এর উচ্চারণ নাকে প্রতিধ্বনিত হয়।
ঘােষ ও অঘোষ
-
১ম ও ২য় বর্ণ অঘোষ ধ্বনি, অর্থাৎ উচ্চারণে স্বরযন্ত্র কম্পিত হয় না।
-
৩য়, ৪র্থ ও ৫ম বর্ণ ঘোষ ধ্বনি, অর্থাৎ উচ্চারণে স্বরযন্ত্র কম্পিত হয়।
উৎস: বাংলা ভাষার ব্যাকরণ, নবম-দশম শ্রেণি (২০১৯ সংস্করণ)
0
Updated: 2 months ago