বাংলা ভাষায় সমাসের রীতি কোন ভাষা থেকে এসেছে?
A
আরবি
B
ফারসি
C
সংস্কৃত
D
ইংরেজি
উত্তরের বিবরণ
বাংলা ভাষায় বিভিন্ন অর্থসম্পর্কিত একাধিক শব্দের একটি নতুন শব্দ বা পদে রূপান্তরিত হওয়ার প্রক্রিয়াকে সমাস বলা হয়। এটি বাংলা ভাষায় শব্দ সৃষ্টি বা নতুন পদ গঠনের একটি প্রক্রিয়া। সমাসের ধারণাটি সংস্কৃত ভাষা থেকে বাংলায় এসেছিল।
-
সমাস একটি শব্দগত প্রক্রিয়া যেখানে একাধিক শব্দ একত্রিত হয়ে নতুন অর্থপূর্ণ শব্দ তৈরি করে।
-
এটি বাংলা ভাষায় শব্দ গঠনের একটি গুরুত্বপূর্ণ উপাদান, যা সংস্কৃত থেকে এসেছে।
-
সমাসের মাধ্যমে বাংলা ভাষায় নতুন শব্দ বা পদ তৈরি করা হয়, যা ভাষার বিকাশে ভূমিকা রাখে।
-
সমাসের সাহায্যে ভাষার অর্থ ও গঠনকে আরও সঠিক ও সংক্ষেপে প্রকাশ করা সম্ভব হয়।
0
Updated: 1 day ago
নিচের কোনটি সংযোগ ক্রিয়ার উদাহরণ?
Created: 1 month ago
A
কমে আসা
B
এগিয়ে চলা
C
পেয়ে বসা
D
বৃদ্ধি পাওয়া
সংযোগ ক্রিয়া হলো সেই ক্রিয়া যা বিশেষ্য, বিশেষণ বা ধ্বন্যাত্মক শব্দের সঙ্গে যুক্ত হয়ে একটি যৌগিক রূপ ধারণ করে।
উদাহরণ:
-
বৃদ্ধি পাওয়া
-
কমে আসা
-
এগিয়ে চলা
-
পেয়ে বসা
এ ধরনের ক্রিয়াগুলোতে করা, কাটা, হওয়া, দেওয়া, ধরা, পাওয়া, খাওয়া, মারা ইত্যাদি ক্রিয়া বিশেষ্য বা বিশেষণের সঙ্গে যুক্ত হয়ে যৌগিক ক্রিয়া গঠন করে।
উল্লেখ্য, যৌগিক ক্রিয়া হলো সেই ক্রিয়া যেখানে অসমাপিকা ক্রিয়া এবং সমাপিকা ক্রিয়া একত্রিত হয়ে একটি পূর্ণ ক্রিয়ার ভাব প্রকাশ করে।
0
Updated: 1 week ago
কোনটি চলিত ভাষারীতির বৈশিষ্ট্য নয়?
Created: 1 month ago
A
সর্বনাম, ক্রিয়া ও অব্যয়পদের সংক্ষিপ্তরূপ ব্যবহৃত হয়
B
চটুল, সরল ও সাবলীল
C
গুরুগম্ভীর, দুর্বোধ্য ও মন্থর
D
সর্বজনবোধ্য মুখের ও লেখার ভাষা
সাধু ভাষারীতি সাধারণত গুরুগম্ভীর, দুর্বোধ্য ও মন্থর। এটি লিখিত রূপে প্রচলিত হলেও কথ্য ব্যবহারের জন্য অপ্রাকৃতিক।
চলিত ভাষারীতি হলো সাধারণ মানুষের মুখে ও লেখায় সর্বজনবোধ্য ভাষা, যা সহজে বোঝা যায় এবং জীবন্ত।
-
চলিত ভাষা সবসময় ব্যাকরণের নিয়ম মেনে চলে না।
-
এতে পদবিন্যাস রীতি অনেক সময় পরিবর্তিত হয়।
-
চলিত ভাষায় তৎসম বা সংস্কৃত শব্দের ব্যবহার কম।
-
এটি বক্তৃতা, ভাষণ ও নাটকের সংলাপের জন্য উপযোগী।
-
চলিত ভাষায় সর্বনাম, ক্রিয়া ও অব্যয়পদের সংক্ষিপ্তরূপ ব্যবহৃত হয়।
-
ভাষার রূপ হলো চটুল, সরল ও সাবলীল।
-
চলিত ভাষারীতি পরিবর্তনশীল হওয়ায় জীবন্ত।
0
Updated: 1 month ago
'বকেয়া' এর বিপরীতার্থক শব্দ কোনটি?
Created: 1 month ago
A
গ্রহণ
B
প্রসারণ
C
হৃদ্যতা
D
অগ্রিম
বাংলা ভাষায় বিভিন্ন শব্দের বিপরীতার্থক শব্দ জানা পরীক্ষার জন্য অত্যন্ত জরুরি। নিচে কিছু গুরুত্বপূর্ণ শব্দের বিপরীতার্থক রূপ দেওয়া হলো।
-
‘বকেয়া’ এর বিপরীতার্থক শব্দ: অগ্রিম
-
‘বর্জন’ এর বিপরীতার্থক শব্দ: গ্রহণ
-
‘আকুঞ্চন’ এর বিপরীতার্থক শব্দ: প্রসারণ
-
‘হৃদ্যতা’ এর বিপরীতার্থক শব্দ: কপটতা
আরো কিছু গুরুত্বপূর্ণ বিপরীত শব্দ:
-
‘গৃহী’ ↔ ‘সন্ন্যাসী’
-
‘নির্মীলিত’ ↔ ‘উন্মীলিত’
-
‘সিক্ত’ ↔ ‘শুষ্ক’
-
‘সুলভ’ ↔ ‘দুর্লভ’
-
‘সন্ধি’ ↔ ‘বিবাদ’, ‘বিগ্রহ’
-
‘হরদম’ ↔ ‘কদাচিৎ’
-
‘হাজির’ ↔ ‘গরহাজির’
0
Updated: 1 month ago