বাংলাদেশে প্রথম জাতীয় সংসদের নির্বাচন কবে হয়?
A
৭ মার্চ ১৯৭৩
B
৫ মার্চ ১৯৭৩
C
৬ এপ্রিল ১৯৭৩
D
১১ এপ্রিল ১৯৭৩
উত্তরের বিবরণ
বাংলাদেশে প্রথম জাতীয় সংসদের নির্বাচন ৭ মার্চ ১৯৭৩ তারিখে অনুষ্ঠিত হয়। এই নির্বাচনে আওয়ামী লীগ ৩০০টি আসনের মধ্যে ২৯৩টি আসনে জয়লাভ করে।
-
৭ মার্চ ১৯৭৩: প্রথম জাতীয় সংসদের নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়।
-
আওয়ামী লীগ ৩০০টি আসনের মধ্যে ২৯৩টি আসনে বিজয়ী হয়।
-
এই নির্বাচন বাংলাদেশের রাজনৈতিক ইতিহাসে একটি গুরুত্বপূর্ণ মুহূর্ত হিসেবে চিহ্নিত।
0
Updated: 1 day ago
জাতীয় সংসদে সংরক্ষিত আসনের নারী সদস্যগণ নির্বাচিত হন কোন পদ্ধতিতে?
Created: 2 months ago
A
স্পিকারের মাধ্যমে
B
প্রত্যক্ষ নির্বাচনে
C
পরোক্ষ নির্বাচনে
D
বিচারপতির মাধ্যমে
সংরক্ষিত সংসদীয় আসন
-
বাংলাদেশের জাতীয় সংসদ ৩৫০টি আসন নিয়ে গঠিত।
-
এর মধ্যে জনগণের প্রত্যক্ষ ভোটে নির্বাচিত আসন সংখ্যা ৩০০টি।
-
মহিলাদের জন্য সংসদে সংরক্ষিত আসন ৫০টি।
উল্লেখ্য:
-
সংরক্ষিত নারী আসনের সাংসদ নির্বাচিত হন জাতীয় নির্বাচনে ৩০০ আসনে বিজয়ী হয়ে শপথ গ্রহণ করা সাংসদদের ভোটের মাধ্যমে।
-
অর্থাৎ, সংরক্ষিত আসনের নারী সদস্যগণ পরোক্ষ নির্বাচনের মাধ্যমে নির্বাচিত হন।
সূত্র: জাতীয় তথ্য বাতায়ন
0
Updated: 2 months ago
জাতীয় সংসদে 'কাস্টিং ভোট' প্রদান করে -
Created: 2 months ago
A
স্পিকার
B
প্রধানমন্ত্রী
C
রাষ্ট্রপতি
D
চিফ হুইপ
জাতীয় সংসদে কাস্টিং ভোট
সংসদে কোনো বিষয়ে ভোটাভুটির সময় পক্ষে ও বিপক্ষে সমান ভোট হলে সংসদ অচলাবস্থায় পড়ে।
এ অবস্থায় স্পিকার তার ভোট প্রদান করে অচলাবস্থা দূর করেন।
এই নির্ণায়ক ভোটকেই বলা হয় কাস্টিং ভোট।
অন্য কোনো পরিস্থিতিতে স্পিকার ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে পারেন না।
সংবিধান অনুযায়ী:
গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশের সংবিধান, অনুচ্ছেদ ৭৫(১):
“উপস্থিত ও ভোটদানকারী সদস্যদের সংখ্যাগরিষ্ঠ ভোটে সংসদে সিদ্ধান্ত গৃহীত হইবে, তবে সমসংখ্যক ভোটের ক্ষেত্র ব্যতীত সভাপতি (স্পিকার) ভোটদান করিবেন না এবং অনুরূপ ক্ষেত্রে তিনি নির্ণায়ক (casting) ভোট প্রদান করিবেন।”
তথ্যসূত্র:
বাংলাদেশের সংবিধান
আরিফ খান, বাংলাদেশের সংবিধান
0
Updated: 2 months ago
বাংলাদেশের জাতীয় সংসদ কয় কক্ষ বিশিষ্ট্য?
Created: 1 week ago
A
এক কক্ষ
B
দুই কক্ষ
C
তিন কক্ষ
D
বহু কক্ষ
বাংলাদেশের জাতীয় সংসদ একটি এককক্ষ বিশিষ্ট (Unicameral) সংসদ ব্যবস্থা। অর্থাৎ, এখানে আইন প্রণয়ন ও রাষ্ট্রীয় সিদ্ধান্ত গ্রহণের জন্য মাত্র একটি কক্ষ বা সংসদীয় চেম্বার রয়েছে, যেখানে সব সংসদ সদস্য একত্রে বসে আলোচনা, বিতর্ক ও ভোটের মাধ্যমে আইন পাস করেন।
বাংলাদেশের সংবিধান অনুযায়ী, জাতীয় সংসদই দেশের সর্বোচ্চ আইন প্রণয়নকারী প্রতিষ্ঠান এবং রাষ্ট্রীয় নীতিনির্ধারণে এর ভূমিকা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
– বাংলাদেশের সংবিধানের ৬৫(১) অনুচ্ছেদে উল্লেখ রয়েছে যে, জাতীয় সংসদ একটি কক্ষ বিশিষ্ট হবে এবং এর নাম হবে “জাতীয় সংসদ”।
– সংসদ সদস্যদের নির্বাচন সরাসরি জনগণের ভোটে অনুষ্ঠিত হয়, যা গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ার অন্যতম ভিত্তি।
– জাতীয় সংসদের মোট আসন সংখ্যা ৩০০টি সাধারণ আসন, যা জনগণের ভোটে নির্বাচিত হয়, এবং অতিরিক্ত ৫০টি সংরক্ষিত নারী আসন রয়েছে, যা সংসদে দলীয় অনুপাতে বণ্টন করা হয়।
– সংসদের প্রধান হচ্ছেন স্পিকার, যিনি অধিবেশনে সভাপতিত্ব করেন এবং সংসদের শৃঙ্খলা বজায় রাখেন।
– সংসদের প্রধান দায়িত্ব হলো আইন প্রণয়ন, সরকারের কার্যক্রম তদারকি, বাজেট অনুমোদন এবং জনগণের স্বার্থ রক্ষা করা।
– সংসদ সদস্যদের মেয়াদ পাঁচ বছর, তবে প্রয়োজনে রাষ্ট্রপতি সংসদ ভেঙে দিতে পারেন।
– বাংলাদেশের সংসদীয় ব্যবস্থা যুক্তরাজ্যের ওয়েস্টমিনস্টার মডেল অনুসরণ করে, যেখানে সরকার সংসদে সংখ্যাগরিষ্ঠ দল দ্বারা পরিচালিত হয়।
– সংসদ ভবনটি ঢাকার শেরেবাংলা নগরে অবস্থিত, যার নকশা করেছিলেন বিখ্যাত স্থপতি লুই কান (Louis I. Kahn)।
– এককক্ষ বিশিষ্ট সংসদ ব্যবস্থার সুবিধা হলো আইন প্রণয়ন দ্রুত সম্পন্ন হয়, প্রশাসনিক জটিলতা কম থাকে এবং জনগণের সরাসরি প্রতিনিধিত্ব নিশ্চিত হয়।
অন্যদিকে, কিছু দেশে যেমন যুক্তরাষ্ট্র বা ভারত দুই কক্ষ বিশিষ্ট (Bicameral) সংসদ ব্যবস্থা রয়েছে, যেখানে উচ্চকক্ষ (Upper House) ও নিম্নকক্ষ (Lower House)—দুটি পৃথক চেম্বারে আইন প্রণয়ন করা হয়। কিন্তু বাংলাদেশের ক্ষেত্রে এই ব্যবস্থা নেই।
তাই সঠিক উত্তর হলো — এক কক্ষ (Unicameral), যা বাংলাদেশের জাতীয় সংসদ ব্যবস্থার অন্যতম বৈশিষ্ট্য এবং গণতন্ত্রের কেন্দ্রীয় স্তম্ভ।
0
Updated: 1 week ago