“হরতাল” শব্দটি কোন ভাষা থেকে আগত?
A
সংস্কৃত
B
হিন্দি
C
গুজরাটি
D
উর্দু
উত্তরের বিবরণ
"হরতাল" শব্দটি গুজরাটি ভাষা থেকে এসেছে এবং এর মূল অর্থ হলো “বিরতি” বা “বিক্ষোভের মাধ্যমে প্রতিবাদ জানানো।” এটি বিশেষত রাজনৈতিক ও সামাজিক আন্দোলনগুলোতে ব্যবহৃত হয়, যেখানে কোনও কর্মসূচি বা কর্মস্থল বন্ধ করার মাধ্যমে কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানানো হয়। শব্দটি মূলত গুজরাটি ভাষার "હરતા" (Harta) থেকে উদ্ভূত, যা বিরতি বা অবরোধের ধারণা প্রকাশ করে।
হরতাল শব্দটি ভারতীয় উপমহাদেশে খুবই পরিচিত, বিশেষ করে ভারতের রাজনৈতিক ও সামাজিক আন্দোলনে। এটির ব্যবহার বাংলাদেশের রাজনৈতিক পরিপ্রেক্ষিতেও ব্যাপকভাবে দেখা যায়।
হরতাল কার্যক্রমের মধ্যে সাধারণত কর্মক্ষেত্র, ব্যবসা প্রতিষ্ঠান, পরিবহন সেবা ইত্যাদি বন্ধ করে দেওয়া হয়। এটি অনেক সময় সরকারের বিরুদ্ধে বা কোনো বিশেষ নীতি বা আইন বিরোধী প্রতিবাদ হিসেবে অনুষ্ঠিত হয়। উদাহরণস্বরূপ, প্রাক্কালীন পরিবেশে হরতাল আয়োজন করা হয়েছিল একাধিক ইস্যুতে, যেমন—বিভিন্ন শ্রমিক আন্দোলন, নাগরিক অধিকার, অথবা বিশেষ আইন বিরোধী প্রতিবাদ।
গুজরাটি ভাষার মূল শব্দটির এই পরিবর্তিত রূপ "হরতাল" ভারতীয় উপমহাদেশে ব্যাপকভাবে গ্রহণ করা হয়েছে। এমনকি এ শব্দটি এমনকি বাংলা ভাষাতেও ব্যবহৃত হয়ে এসেছে এবং এর অর্থ ও প্রভাব এখন সামাজিক ও রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটে এক গুরুত্বপূর্ণ উপাদান হয়ে দাঁড়িয়েছে।
এই শব্দের ব্যবহার হিন্দি, বাংলা, এবং উর্দু ভাষাতেও লক্ষণীয়, তবে এর মূল শিকড় গুজরাটি ভাষার সাথে সম্পর্কিত।
0
Updated: 1 day ago
ঈশ্বর কনা কোনটি?
Created: 3 days ago
A
হিগস বোসন
B
ফোটন
C
ইলেকট্রন
D
লেপটন
ঈশ্বর কণা বলতে আসলে বোঝানো হয় হিগস বোসন (Higgs Boson)-কে। এটি এমন একটি মৌলিক কণা যা মহাবিশ্বে পদার্থের ভর কেন আছে, সেই প্রশ্নের উত্তর দেয়। ২০১২ সালে এই কণার অস্তিত্ব প্রমাণিত হওয়ার পর পদার্থবিজ্ঞানে এক যুগান্তকারী পরিবর্তন আসে। এখন হিগস বোসনকে আধুনিক পদার্থবিজ্ঞানের স্ট্যান্ডার্ড মডেলের অন্যতম মূল ভিত্তি হিসেবে ধরা হয়।
• হিগস বোসন হলো একটি মৌলিক কণা, যা পিটার হিগস এবং তাঁর সহকর্মীরা ১৯৬৪ সালে তাত্ত্বিকভাবে প্রস্তাব করেন। এই কণার কাজ হলো অন্যান্য কণাগুলিকে ভর প্রদান করা। অর্থাৎ, এটি ছাড়া মহাবিশ্বে কোনও পদার্থের ভর থাকত না, সব কিছু আলোর গতিতে চলত।
• ২০১২ সালের ৪ জুলাই, ইউরোপীয় পারমাণবিক গবেষণা কেন্দ্র CERN–এর লার্জ হ্যাড্রন কোলাইডার (LHC)-এর মাধ্যমে হিগস বোসনের অস্তিত্বের পরীক্ষামূলক প্রমাণ পাওয়া যায়। এই আবিষ্কারটি বিজ্ঞানের ইতিহাসে এক বিশাল মাইলফলক হিসেবে গণ্য হয়।
• হিগস বোসনের নামকরণ হয়েছে পিটার হিগস-এর নামানুসারে, কিন্তু “ঈশ্বর কণা (God Particle)” নামটি প্রথম দেন পদার্থবিদ লিওন লেডারম্যান তাঁর বই The God Particle: If the Universe Is the Answer, What Is the Question?–এ। এই নামটি আসলে প্রতীকী; এটি কোনও ধর্মীয় অর্থ বহন করে না। নামটি ব্যবহারের উদ্দেশ্য ছিল কণাটির রহস্যময় ও মৌলিক গুরুত্ব বোঝানো।
• হিগস বোসন হিগস ক্ষেত্র (Higgs Field)-এর সঙ্গে সম্পর্কিত। এই ক্ষেত্রটি গোটা মহাবিশ্ব জুড়ে বিস্তৃত থাকে, আর যখন অন্য কণাগুলি এর সঙ্গে প্রতিক্রিয়া করে, তখনই তারা ভর পায়। যেসব কণার সঙ্গে এর প্রতিক্রিয়া বেশি, তাদের ভরও বেশি হয়।
• এই কণার ভর প্রায় ১২৫ গিগা ইলেকট্রন ভোল্ট (GeV), যা একটি প্রোটনের প্রায় ১৩০ গুণ। এত ছোট কণা সনাক্ত করতে লার্জ হ্যাড্রন কোলাইডার ব্যবহার করা হয়, যেখানে প্রোটনগুলিকে আলোর গতির কাছাকাছি গতি দিয়ে সংঘর্ষ করানো হয়।
• এই আবিষ্কার স্ট্যান্ডার্ড মডেল অফ পার্টিকেল ফিজিক্স–কে সম্পূর্ণতা দেয়, কারণ এটি ব্যাখ্যা করে কীভাবে মৌলিক কণাগুলি ভর অর্জন করে। স্ট্যান্ডার্ড মডেলে ফোটন, ইলেকট্রন, লেপটন প্রভৃতি কণার ভূমিকা বোঝানো হয়েছে, কিন্তু হিগস বোসন ব্যাখ্যা দেয় তাদের ভরের উৎপত্তি সম্পর্কে।
• হিগস বোসনের আবিষ্কারের জন্য ২০১৩ সালে নোবেল পুরস্কার পান পিটার হিগস এবং ফ্রাঁসোয়া অ্যাংলার (François Englert)। এটি বিজ্ঞানের ইতিহাসে অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ নোবেল পুরস্কার বলে বিবেচিত হয়।
• অন্য বিকল্পগুলো যেমন ফোটন, ইলেকট্রন ও লেপটন—এগুলোও মৌলিক কণা, কিন্তু তারা ঈশ্বর কণা নয়। ফোটন হলো আলোর কণা, ইলেকট্রন হলো ঋণাত্মক চার্জযুক্ত কণা, আর লেপটন একটি কণাগোষ্ঠী (যার মধ্যে ইলেকট্রনও পড়ে)। কিন্তু তাদের কেউই ভরের উৎপত্তি ব্যাখ্যা করে না।
সবশেষে বলা যায়, হিগস বোসনই “ঈশ্বর কণা”, কারণ এটি মহাবিশ্বে পদার্থের ভর সৃষ্টির মূল চাবিকাঠি। এর আবিষ্কার মানবজ্ঞানকে মহাবিশ্বের মৌলিক কাঠামো বোঝার এক নতুন দিগন্তে পৌঁছে দিয়েছে।
0
Updated: 3 days ago
2010 সালে চিলির খনিতে আটকাপড়া শ্রমিকরা কতদিন পর উদ্ধার পায়?
Created: 1 week ago
A
৬৯ দিন
B
৫৯ দিন
C
৬৬ দিন
D
৬৮ দিন
(প্রশ্নটি বর্তমান প্রেক্ষাপটে আর প্রাসঙ্গিক নয়) চিলি বিশ্বের সর্বাপেক্ষা সরু দেশ (রাজধানী সান্টিয়াগো)। পৃথিবীর সর্বদক্ষিণের নগরী চিলির পুয়ার্তো উইলিয়াম। চিলির রাজধানী- সান্টিয়াগো।
0
Updated: 1 week ago
ডিপিএড এর পূর্ণরুপ কোনটি?
Created: 2 days ago
A
ডিপ্লোমা ফর প্রাইমারি এডুকেশন
B
ডিগ্রি ইন প্রাইমারি এডুকেশন
C
ডিপ্লোমা ইন প্রাইমারি এডুকেশন
D
ডিপ্লােমা ইন এডুকেশন
ডিপিএড (DPEd) হল একটি বিশেষ শিক্ষাগত প্রশিক্ষণ প্রোগ্রাম, যা প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকদের জন্য ডিজাইন করা হয়েছে। এটি একটি ডিপ্লোমা কোর্স, যা শিক্ষকদের প্রাথমিক স্তরে পাঠদান দক্ষতা এবং জ্ঞান উন্নত করতে সহায়ক। প্রশ্নে উল্লেখিত বিকল্পগুলির মধ্যে সঠিক উত্তর হল "ডিপ্লোমা ইন প্রাইমারি এডুকেশন"।
-
ডিপিএড এর পূর্ণরূপ ডিপ্লোমা ইন প্রাইমারি এডুকেশন (Diploma in Primary Education), যা প্রাথমিক শিক্ষা সম্পর্কিত একটি ডিপ্লোমা কোর্স।
-
এই কোর্সটি শিক্ষকদের প্রাথমিক বিদ্যালয়ে পাঠদান করার জন্য প্রয়োজনীয় দক্ষতা, পদ্ধতি এবং আধুনিক শিক্ষণ কৌশল শিখতে সহায়ক।
-
ডিপিএড প্রোগ্রামের মাধ্যমে শিক্ষার্থীরা প্রাথমিক শিক্ষা সংক্রান্ত বিভিন্ন বিষয়ে জ্ঞান লাভ করেন এবং এটি তাদের পেশাগত জীবনে সাহায্য করে।
অন্য বিকল্পগুলো কেন ভুল:
-
ক) ডিপ্লোমা ফর প্রাইমারি এডুকেশন: এই বিকল্পটি ভুল, কারণ "ফর" শব্দটি এখানে ব্যবহৃত হওয়া উচিত নয়। সঠিক শব্দটি "ইন" হওয়া উচিত।
-
খ) ডিগ্রি ইন প্রাইমারি এডুকেশন: এটি ভুল কারণ ডিপিএড একটি ডিগ্রি কোর্স নয়, বরং একটি ডিপ্লোমা কোর্স। এখানে "ডিগ্রি" শব্দের ব্যবহার সঠিক নয়।
-
ঘ) ডিপ্লোমা ইন এডুকেশন: এটি কিছুটা সঠিক হলেও, "প্রাইমারি" শব্দটি এখানে উল্লেখিত নয়, যা কোর্সের মূল উদ্দেশ্য ও স্তরকে স্পষ্টভাবে তুলে ধরে।
এখন, এই কোর্সটি প্রাথমিক শিক্ষা সম্পর্কিত যা প্রাথমিক বিদ্যালয়ে শিক্ষকতার জন্য প্রয়োজনীয় বিশেষ প্রশিক্ষণ প্রদান করে। এর মাধ্যমে শিক্ষকরা প্রাথমিক শিক্ষার্থীদের উন্নতির জন্য উপযুক্ত কৌশল ও পদ্ধতি শিখে থাকেন, যা শিক্ষার মান উন্নত করতে সাহায্য করে।
0
Updated: 2 days ago