সরস প্রাণের জীবন্ত উৎস কোনগুলো?
A
ছড়া ও গান
B
গল্প ও কবিতা
C
নাটক ও সিনেমা
D
বই ও সংবাদপত্র
উত্তরের বিবরণ
সরস প্রাণের জীবন্ত উৎস বলতে এমন কিছু উপাদানকে বোঝায় যা মানুষের মন ও অনুভূতিতে প্রাণবন্ততা, সজীবতা এবং উৎসাহের সঞ্চার করে। ছড়া ও গান এই ধরনের উপাদানগুলোর মধ্যে অন্যতম।
১. ছড়া:
ছড়া হলো ছোট, সহজ, এবং সহজে মুখস্থ করা যায় এমন একটি সাহিত্য রচনা। এটি সাধারণত শিশুদের শেখানোর জন্য ব্যবহৃত হয়। ছড়ার মাধ্যমে শিশুদের মজা, শিক্ষার সঙ্গে সঙ্গে সৃজনশীলতা এবং কল্পনাশক্তি বৃদ্ধি পায়। ছড়া পড়লে শিশুদের মনে আনন্দ ও প্রাণবন্ততা আসে, যা তাদের মেধা বিকাশে সহায়তা করে। এর মধ্যে গান, ছন্দ এবং ছড়ার শব্দের খেলা শিশুদের মনে সুস্থ এবং সজীব অনুভূতি সৃষ্টি করে।
-
গান:
গান হচ্ছে একটি অত্যন্ত শক্তিশালী মাধ্যম, যা মানুষের অনুভূতিকে সরাসরি স্পর্শ করে। এটি মনোরঞ্জন, শিক্ষা, বা আবেগের প্রকাশ হতে পারে। সঙ্গীতের সুর, রিদম এবং লিরিক্স মানুষের অনুভূতিকে জীবন্ত এবং প্রাণবন্ত করে তোলে। গান যেমন একটি শিল্প, তেমনি এটি মানুষের মন ও মস্তিষ্কে উৎসাহ, ভালোবাসা, এবং জীবনের প্রতি উদ্দীপনা সৃষ্টি করতে সক্ষম। গান শুনলে মানুষের দেহে এন্ডোরফিন নামক একটি সুখী রাসায়নিক উৎপন্ন হয়, যা তাদের মনোবল এবং প্রাণশক্তি বাড়ায়। -
মানবিক এবং সামাজিক কার্যকলাপ:
ছড়া ও গান, বিশেষত শিশুদের মধ্যে, মানবিক এবং সামাজিক সম্পর্কের স্থাপনেও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। শিশুদের মধ্যে একটি সংস্কৃতির অভ্যন্তরে এর স্থান এবং সৃজনশীলতা বাড়ায়। যেমন, স্কুলে বা ঘরোয়া পরিবেশে শিশুরা ছড়া বা গান গাইলে তারা একে অপরের সঙ্গে যোগাযোগ স্থাপন করতে শেখে, যা তাদের মানসিক ও সামাজিক বৃদ্ধিতে সহায়ক। -
প্রাকৃতিক অনুভূতি:
ছড়া ও গান শুধুমাত্র মানুষের মধ্যে জীবন্ত উৎস তৈরি করতে সহায়তা করে না, বরং এটি প্রাকৃতিক উপাদানের সঙ্গে সংযোগ স্থাপন করতে সাহায্য করে। কিছু গান এবং ছড়া প্রাকৃতিক দৃশ্যাবলী, জীবজন্তু, বা এমনকি পরিবেশের উপর ভিত্তি করে তৈরি হয়, যা শোনার মাধ্যমে মানুষের মনে প্রশান্তি এবং প্রাণশক্তির অনুভূতি সৃষ্টি হয়।
এই সব উপাদান একত্রিত হয়ে একটি সজীব, প্রাণবন্ত পরিবেশ তৈরি করে, যা মানুষের আত্মবিশ্বাস এবং সৃজনশীলতা বাড়াতে সাহায্য করে। ছড়া ও গান মানুষের সাংস্কৃতিক এবং মানসিক উন্নতির জন্য গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে এবং জীবনের প্রতি উদ্দীপনা এবং আনন্দের সৃষ্টি করে।
0
Updated: 1 day ago
'পল্লিজননী' কবিতার রচয়িতা কে?
Created: 5 months ago
A
কাজী নজরুল ইসলাম
B
মাইকেল মধুসূদন দত্ত
C
জসীম উদ্দীন
D
জীবনানন্দ দাশ
• 'পল্লিজননী' কবিতাটি জসীম উদ্দীন রচিত 'রাখালী' কাব্যগ্রন্থের অন্তর্ভুক্ত।
- এটি তাঁর প্রথম কাব্যগ্রন্থ।
- এটি ১৯২৭ সালে প্রকাশিত হয়।
- বিখ্যাত কবর কবিতাটিও এই কাব্যগ্রন্থের অন্তর্ভুক্ত।
• জসীম উদ্দীন:
- তিনি ১৯০৩ সালের ১ জানুয়ারি ফরিদপুর জেলার তাম্বুলখানা গ্রামে মাতুলালয়ে জন্মগ্রহণ করেন।
- তিনি পল্লিকবি হিসেবে পরিচিত।
- তাঁর রচিত 'নক্সী কাঁথার মাঠ' একটি বিখ্যাত গাথাকাব্য। এটি ১৯২৯ সালে প্রকাশিত হয়।
- ১৯৭৬ সালের ১৩ মার্চ তিনি ঢাকায় মারা যান।
• তাঁর রচিত জনপ্রিয় খণ্ড কবিতার সংকলন:
- রাখালী,
- বালুচর,
- রূপবতী,
- ধানখেত,
- মাটির কান্না,
- সুচয়নী।
উৎস: বাংলা ভাষা ও সাহিত্য জিজ্ঞাসা, ড. সৌমিত্র শেখর।
1
Updated: 5 months ago
‘কবর’ কবিতাটি কোন ছন্দে রচিত?
Created: 1 month ago
A
স্বরবৃত্ত
B
মাত্রাবৃত্ত
C
অক্ষরবৃত্ত
D
ত্রিপদী
‘কবর’ কবিতা
-
সংকলন: জসীম উদ্দীনের রাখালী কাব্যগ্রন্থ থেকে
-
প্রথম প্রকাশ: রাখালী (১৯২৭) এবং 'কল্লোল' পত্রিকায়
-
ছন্দ: মাত্রাবৃত্ত ছন্দ, মোট ১১৮টি পঙক্তি
-
বিষয়বস্তু: এক গ্রামীণ বৃদ্ধের জীবনের প্রিয়জন হারানোর বেদনার স্মৃতি, সহজ সরল ভাষায় কাহিনীধর্মীভাবে প্রকাশিত
জসীম উদ্দীন সম্পর্কে:
-
জন্ম: ১ জানুয়ারি ১৯০৩, ফরিদপুর জেলা, তাম্বুলখানা গ্রাম
-
পরিচিতি: বাংলাদেশে ‘পল্লীকবি’ হিসেবে
-
উল্লেখযোগ্য রচনা: নক্সী কাঁথার মাঠ (গাথাকাব্য)
প্রধান কাব্যগ্রন্থসমূহ:
-
নক্সী কাঁথার মাঠ
-
সোজন বাদিয়ার ঘাট
-
মাটির কান্না
-
মা যে জননী কান্দে
-
বালুচর
-
রাখালী
-
সূচয়নী
-
নিমন্ত্রণ
-
রূপবতী
বিখ্যাত কবিতা:
-
মুসাফির
-
রাখাল ছেলে
-
পল্লী জননী
-
আসমানী
-
নিমন্ত্রণ
0
Updated: 1 month ago
”কুহেলি উত্তরীতলে মাঘের সন্ন্যাসী”- পঙ্ক্তিটি কোন কবিতার অন্তর্গত?
Created: 2 months ago
A
উদাত্ত পৃথিবী
B
কেয়ার কাঁটা
C
তাহারেই পড়ে মনে
D
মন ও পৃথিবী
”তাহারেই পড়ে মনে” কবিতা
-
রচয়িতা: বেগম সুফিয়া কামাল
-
কাব্যগ্রন্থ: সাঝোঁর মায়া
-
প্রকাশকাল: ১৯৩৫ সাল
-
ছন্দ: অক্ষরবৃত্ত ছন্দ
-
উল্লেখযোগ্য পঙ্ক্তি: “কুহেলি উত্তরীতলে মাঘের সন্ন্যাসী”
বেগম সুফিয়া কামাল
-
জন্ম: ১৯১১ সালের ২০ জুন, বরিশালের শায়েস্তাবাদে এক অভিজাত পরিবারে।
-
তিনি ছিলেন স্বশিক্ষিত ও সুশিক্ষিত।
-
পারিবারিক উর্দুভাষার পরিবেশে থেকেও নিজ উদ্যোগে বাংলা শিখেছিলেন।
-
প্রথম গল্প: ‘সৈনিক বধূ’ (১৯২৩ সালে বরিশালের তরুণ পত্রিকায় প্রকাশিত)।
তাঁর উল্লেখযোগ্য গ্রন্থসমূহ
-
মায়া কাজল
-
মন ও জীবন
-
উদাত্ত পৃথিবী
-
অভিযাত্রিক
-
(এছাড়া আরও অনেক প্রবন্ধ, কবিতা ও গল্পগ্রন্থ রচনা করেছেন)।
উৎস: বাংলা ভাষা ও সাহিত্য জিজ্ঞাসা, বাংলাপিডিয়া
0
Updated: 2 months ago