"Charity begins at home" একটি পুরনো ইংরেজি প্রবাদ, যার মানে হলো, সর্বপ্রথম নিজ ঘর বা পরিবারের সদস্যদের সহায়তা করা উচিত, তারপর সমাজ বা অন্যান্য মানুষের সাহায্য করা উচিত। এটি আসলে আমাদের সামাজিক দায়িত্ব ও ভালোবাসার প্রতি দৃষ্টিভঙ্গি নির্দেশ করে।
এই প্রবাদটি আমাদের শেখায় যে, একজন ব্যক্তি যতটা সম্ভব তার পরিবার ও ঘরের সদস্যদের জন্য সহানুভূতিশীল হতে হবে। শুধু সমাজ বা বিদেশী সাহায্য নিয়ে আলোচনা না করে, প্রথমত নিজের পরিবারে সহায়তার হাত বাড়ানো গুরুত্বপূর্ণ।
প্রবাদটির মধ্যে নিহিত ভাবনা হলো:
-
অগ্রাধিকার দেওয়া: একজন ব্যক্তির প্রথম দায়িত্ব তার পরিবার, আত্মীয়স্বজন এবং ঘরের মানুষের প্রতি।
-
নিজেকে প্রস্তুত করা: যখন আমরা নিজের পরিবারকে সাহায্য করি, তখন আমাদের কাছে সে সাহায্য দেয়ার সক্ষমতা এবং সহানুভূতির দক্ষতা বৃদ্ধি পায়, যা পরবর্তীতে সমাজের প্রতি আমাদের আচরণে প্রভাব ফেলে।
-
ভালোর প্রতীক: এই প্রবাদটি শুধু অর্থনৈতিক সাহায্যের প্রতি আহ্বান জানায় না, বরং একজনের মানসিক ও নৈতিক সাহায্যও তার পরিবারের জন্য অতীব গুরুত্বপূর্ণ।
-
সামাজিক মূল্যবোধ: যখন একজন ব্যক্তি নিজের পরিবারের প্রতি সহানুভূতি ও সহায়তা দেখায়, তখন সেটি সমাজে ভালো মূল্যবোধের পরিচায়ক হয়।
-
উত্তম মানুষ গড়ার প্রক্রিয়া: একটি মানুষ যত ভালো তার পরিবারে, তত ভালো সে সমাজে। পরিবারই একজন মানুষের প্রথম বিদ্যালয়, যেখানে ভালোবাসা, সহানুভূতি, এবং সহায়তার প্রাথমিক পাঠ শেখানো হয়।
অতএব, "Charity begins at home" মূলত একটি আধ্যাত্মিক এবং সামাজিক দৃষ্টিভঙ্গির প্রতীক, যা আমাদের শেখায় কিভাবে ভালোবাসা ও সহানুভূতি দিয়ে নিজের ঘর বা পরিবারকে প্রথমে শক্তিশালী করা যায়, যা পরবর্তীতে সমাজের উন্নতিতে সহায়ক হয়।