GPS - এর পূর্ণরূপ কী?
A
Global positioning system
B
General positioning system
C
Global potential system
D
General processing system
উত্তরের বিবরণ
GPS (Global Positioning System) একটি স্যাটেলাইট ভিত্তিক ন্যাভিগেশন সিস্টেম, যা পৃথিবীজুড়ে যেকোনো স্থান বা অবস্থান সঠিকভাবে নির্ধারণ করতে সাহায্য করে। এটি প্রাথমিকভাবে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিরক্ষা বিভাগের মাধ্যমে পরিচালিত হলেও এখন এটি বিশ্বব্যাপী সিভিলিয়ানদের জন্যও উপলব্ধ। GPS সিস্টেমটি ২৪টি স্যাটেলাইট দ্বারা সমর্থিত, যা পৃথিবীকে চারপাশ থেকে ঘিরে থাকে এবং প্রতিটি স্যাটেলাইট নির্দিষ্ট সংকেত পাঠায়। এর মাধ্যমে ব্যবহারকারীরা তাদের বর্তমান অবস্থান, গন্তব্যের দূরত্ব, গতি, দিক ও সময় সম্পর্কে সঠিক তথ্য পেতে পারেন।
GPS-এর কার্যপদ্ধতি সহজভাবে বর্ণনা করা যায়:
-
স্যাটেলাইট সিগন্যাল:
GPS সিস্টেমে অন্তর্ভুক্ত স্যাটেলাইটগুলি পৃথিবী থেকে ২০,০০০ কিলোমিটার উচ্চতায় অবস্থিত। এই স্যাটেলাইটগুলি পৃথিবী থেকে সংকেত পাঠায় এবং আপনার GPS রিসিভার সেগুলিকে গ্রহণ করে। এর মাধ্যমে সঠিক অবস্থান চিহ্নিত করা হয়। -
পজিশনিং:
স্যাটেলাইটগুলি তাদের স্থান এবং সময়ের তথ্য প্রেরণ করে, এবং GPS রিসিভার সেই তথ্য ব্যবহার করে তার নিজস্ব অবস্থান নির্ধারণ করে। কমপক্ষে চারটি স্যাটেলাইটের সংকেত পেলে সঠিক অবস্থান নির্ধারণ করা সম্ভব হয়। -
ট্রায়াঙ্গুলেশন:
GPS রিসিভার তিনটি স্যাটেলাইট থেকে সিগন্যাল গ্রহণ করে তার অবস্থান গণনা করে। চারটি স্যাটেলাইটের সিগন্যাল গ্রহণ করলে নির্ভুল স্থান নির্ধারণ করা সম্ভব হয়। -
সঠিক গতি ও দিকনির্দেশনা:
GPS শুধু অবস্থানই জানায় না, এর মাধ্যমে গতি, দিক, এবং সময় সম্পর্কিত তথ্যও পাওয়া যায়। সেজন্য এটি গাড়ি, বিমান, এবং অন্যান্য পরিবহনের জন্য ব্যবহৃত হয়। -
ব্যবহার:
GPS বর্তমানে বিভিন্ন ক্ষেত্রে ব্যবহৃত হচ্ছে:-
নেভিগেশন: গাড়ি, ট্রাক, ও জাহাজের জন্য সঠিক গন্তব্য নির্দেশনা।
-
মোবাইল ফোন: লোকেশন ট্র্যাকিং ও ডিজিটাল মানচিত্রের জন্য।
-
সামরিক এবং জরুরি পরিষেবা: সেনা, পুলিশ, অ্যাম্বুলেন্স প্রভৃতি সেবা প্রদানকারী সংস্থাগুলির জন্য।
-
ভূতত্ত্ব এবং কৃষি: কৃষকরা ফসলের স্থান নির্ধারণ ও পানি সরবরাহ ব্যবস্থার জন্য।
-
GPS এর সুবিধা:
-
সঠিকতা: GPS সিস্টেমের মাধ্যমে নির্ভুল অবস্থান জানা সম্ভব হয়, যা পৃথিবীর যেকোনো স্থানে, যেকোনো সময় পাওয়া যায়।
-
অবাধ ব্যবহার: এটি পৃথিবীর যেকোনো স্থানে ব্যবহৃত হতে পারে এবং এর ব্যবহারে কোনো বাধা থাকে না।
-
বিভিন্ন কাজের জন্য উপযোগী: GPS ব্যবহৃত হতে পারে নেভিগেশন, আবহাওয়া পূর্বাভাস, এবং জরুরি সেবা প্রদানেও।
GPS এর সীমাবদ্ধতা:
-
স্যাটেলাইট সংকেত ব্যাঘাত: কিছু অঞ্চলে যেমন পাহাড়ি এলাকাগুলিতে বা দালান-কোঠা ঘেরা শহরগুলিতে GPS সংকেত দুর্বল হয়ে যায়।
-
ভোকেশনাল এবং পেশাগত তথ্যের জন্য নির্ভরশীলতা: যদিও GPS অত্যন্ত নির্ভুল, তবুও এটি সব সময় ১০০% নির্ভুল নয়, বিশেষ করে দীর্ঘ সময়ের জন্য বা দ্রুত গতির পরিবহন ব্যবস্থায়।
GPS বিশ্বের অধিকাংশ ন্যাভিগেশন সিস্টেমের মূল ভিত্তি এবং এটি আমাদের দৈনন্দিন জীবনে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে। বিশেষ করে যানবাহন চলাচলে, বিমান চলাচলে এবং বিভিন্ন ক্ষেত্রের সঠিক অবস্থান নির্ধারণের জন্য এর ব্যবহার অসীম।
0
Updated: 1 day ago
পাইরেসি কি?
Created: 2 weeks ago
A
তথ্য সংরক্ষণ
B
কপিরাইট বিঘ্নিত করা
C
বৈধ প্রকাশনা
D
আইনানুগ ব্যবহার
পাইরেসি বলতে বোঝানো হয় কোনো সৃষ্টিশীল বা মেধাস্বত্বসম্পন্ন কাজ অন্যের অনুমতি ছাড়া ব্যবহার, কপি, বিক্রি বা বিতরণ করা। এটি একধরনের বুদ্ধিবৃত্তিক সম্পত্তি চুরির সমার্থক এবং আধুনিক যুগে এর প্রভাব ব্যাপকভাবে বিস্তৃত হয়েছে, বিশেষ করে ডিজিটাল মাধ্যমের কারণে। নিচে পাইরেসি সম্পর্কে গুরুত্বপূর্ণ তথ্যগুলো ধাপে ধাপে তুলে ধরা হলো।
১. অর্থ ও ধারণা: পাইরেসি শব্দটি মূলত "pirate" অর্থাৎ জলদস্যু শব্দ থেকে এসেছে। আধুনিক আইনে এর অর্থ হলো কারও মেধাস্বত্ব লঙ্ঘন করে অনুমতি ছাড়া তার কাজ ব্যবহার করা। যেমন—বই, চলচ্চিত্র, গান, সফটওয়্যার, বা ভিডিও কনটেন্ট অননুমোদিতভাবে কপি করে বিতরণ করা।
২. কপিরাইটের ভূমিকা: কপিরাইট হলো সৃষ্টিকর্তার আইনি অধিকার, যা তার কাজকে সুরক্ষিত রাখে। এটি সৃষ্টিকর্তাকে তার কাজের প্রকাশ, বিক্রয় এবং ব্যবহার নিয়ন্ত্রণের ক্ষমতা দেয়। কোনো ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠান যদি এই অধিকার লঙ্ঘন করে, সেটাই পাইরেসি হিসেবে গণ্য হয়।
৩. পাইরেসির ধরন:
-
বইয়ের পাইরেসি: অনুমতি ছাড়া বই ছাপানো বা PDF আকারে বিতরণ।
-
সিনেমা ও সঙ্গীত পাইরেসি: সিনেমা বা গান ইন্টারনেটে ফ্রি আপলোড বা বিক্রি করা।
-
সফটওয়্যার পাইরেসি: পেইড সফটওয়্যারের ক্র্যাক বা হ্যাক করা সংস্করণ বিনা অনুমতিতে ব্যবহার।
-
ডিজিটাল কনটেন্ট পাইরেসি: ইউটিউব ভিডিও, কোর্স, ই-বুক বা গেম অবৈধভাবে ডাউনলোড বা পুনঃপ্রচার করা।
৪. আইনি দৃষ্টিকোণ: বেশিরভাগ দেশে পাইরেসি অপরাধ হিসেবে বিবেচিত। কপিরাইট আইন অনুযায়ী, অপরাধীকে জরিমানা বা কারাদণ্ডের মুখোমুখি হতে হয়। বাংলাদেশে "কপিরাইট আইন, ২০০০" অনুযায়ী কোনো সৃষ্টির অনুমতি ছাড়া পুনঃপ্রকাশ বা বিতরণ শাস্তিযোগ্য অপরাধ।
৫. পাইরেসির প্রভাব:
-
সৃষ্টিকর্তার ক্ষতি: তারা তাদের কাজ থেকে ন্যায্য পারিশ্রমিক পান না।
-
অর্থনীতির ক্ষতি: পাইরেসির কারণে বই, চলচ্চিত্র ও সফটওয়্যার শিল্পে বিপুল অর্থনৈতিক ক্ষতি হয়।
-
গুণগত মানের অবনতি: পাইরেটেড কনটেন্ট সাধারণত নিম্নমানের হয় এবং ভাইরাস বা ক্ষতিকর কোড বহন করতে পারে।
-
সৃজনশীলতার নিরুৎসাহ: সৃষ্টিকর্তারা নতুন কাজ তৈরিতে আগ্রহ হারান কারণ তাদের পরিশ্রমের যথাযথ মূল্যায়ন হয় না।
৬. প্রতিরোধের উপায়:
-
সচেতনতা বৃদ্ধি করা।
-
বৈধ উৎস থেকে কনটেন্ট ক্রয় বা ব্যবহার করা।
-
সরকারের পক্ষ থেকে কঠোর আইন প্রয়োগ ও প্রযুক্তিগত নজরদারি।
-
ডিজিটাল রাইটস ম্যানেজমেন্ট (DRM) প্রযুক্তি ব্যবহার করে কনটেন্ট সুরক্ষা।
৭. নৈতিক দিক: পাইরেসি শুধু আইনগত নয়, এটি নৈতিক অপরাধও। এটি সৃষ্টিকর্তার শ্রম ও মেধাকে অসম্মান করে। তাই একজন সচেতন নাগরিক হিসেবে বৈধভাবে কনটেন্ট ব্যবহার করা উচিত।
অতএব, "পাইরেসি" বলতে বোঝায় কপিরাইট বিঘ্নিত করা, অর্থাৎ অনুমতি ছাড়া অন্যের মেধাস্বত্ব ব্যবহার করা। এটি আইনি, নৈতিক এবং অর্থনৈতিকভাবে ক্ষতিকর একটি কার্যক্রম, যা রোধ করতে ব্যক্তিগত সচেতনতা ও আইন প্রয়োগ উভয়ই জরুরি।
0
Updated: 2 weeks ago
জ্যাঁ পিয়াজেঁ কোন তত্ত্বের মাধ্যমে শিক্ষায় অবদান রেখেছেন?
Created: 2 days ago
A
বহুমাত্রিক বুদ্ধিমত্তা তত্ত্ব
B
জ্ঞানমূলক তত্ত্ব
C
অভিযোজন তত্ত্ব
D
প্রেষণী তত্ত্ব
জ্যাঁ পিয়াজেঁ শিক্ষায় যে তত্ত্বের মাধ্যমে অবদান রেখেছেন, তা হল জ্ঞানমূলক তত্ত্ব। পিয়াজেঁ ছিলেন একজন সুপরিচিত সুইস মনোবিজ্ঞানী, যিনি শিশুদের মানসিক বিকাশ এবং তাদের চিন্তাভাবনার প্রক্রিয়া নিয়ে গবেষণা করেছেন। তার এই তত্ত্ব শিক্ষায় একটি নতুন দৃষ্টিভঙ্গি নিয়ে আসে, যা শিশুদের জ্ঞানী হিসেবে বিকাশের জন্য বিভিন্ন পর্যায়ে চিন্তা ও শিক্ষা প্রক্রিয়া সম্পর্কে গভীর ধারণা দেয়।
-
জ্ঞানমূলক তত্ত্ব: পিয়াজেঁ বিশ্বাস করতেন যে শিশুদের চিন্তাভাবনা বিকাশের মধ্যে ধাপে ধাপে উন্নতি ঘটে। তিনি জানিয়েছেন যে, শিশুরা একটি নির্দিষ্ট বয়সে কিছু নির্দিষ্ট চিন্তাভাবনা এবং শিখন প্রক্রিয়ায় অবস্থিত থাকে, এবং তারা নিজের অভিজ্ঞতা থেকে ধীরে ধীরে জ্ঞান সংগ্রহ করে। তার মতে, শিশুরা যেমন বড় হয়, তেমন তাদের চিন্তাভাবনার ধরণও পরিবর্তিত হয়।
-
অভিযোজন প্রক্রিয়া: পিয়াজেঁ বিশ্বাস করতেন যে শিশুরা তাদের পরিবেশের সাথে সম্পর্ক তৈরি করে, এবং এই সম্পর্ক তৈরি করার মাধ্যমে তারা নতুন তথ্য শিখে এবং নিজস্ব চিন্তাভাবনা তৈরি করে। এটি দুই ধরনের প্রক্রিয়া— অ্যাকোমোডেশন এবং অ্যাডাপটেশন—এর মাধ্যমে ঘটে।
-
ধাপভিত্তিক চিন্তা: পিয়াজেঁ শিশুদের মানসিক বিকাশকে চারটি ধাপে বিভক্ত করেছিলেন। এই ধাপগুলো হল:
-
সেন্সরি-মোটর স্টেজ (0-2 বছর): শিশুরা তাদের শারীরিক অনুভূতি ও কাজের মাধ্যমে পৃথিবী সম্পর্কে জানে।
-
প্রি-অপারেশনাল স্টেজ (2-7 বছর): শিশুরা শব্দ, চিত্র এবং বাচনকে ব্যবহার করে চিন্তা করে, তবে তাদের চিন্তাভাবনা যুক্তি বা গাণিতিকভাবে পরিপূর্ণ নয়।
-
কনক্রিট অপারেশনাল স্টেজ (7-11 বছর): শিশুরা এখন বাস্তবিক সমস্যা সমাধানে সক্ষম, তবে বিমূর্ত ধারণা বুঝতে তাদের সমস্যা হতে পারে।
-
ফরমাল অপারেশনাল স্টেজ (11 বছর ও তার পর): এখানে শিশুরা যুক্তিযুক্ত চিন্তা করতে সক্ষম হয়, এবং বিমূর্ত ধারণা ও তত্ত্ব ধারণা করতে পারে।
-
-
শিক্ষা ও শিক্ষকের ভূমিকা: পিয়াজেঁ শিক্ষকদের একটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা হিসেবে দেখেছেন, যেখানে তারা শিশুদের গাইড হিসেবে কাজ করেন, কিন্তু শিশুরা তাদের নিজস্ব জ্ঞান তৈরি করতে সাহায্য পায়। শিক্ষকরা শিশুদের উন্নতির জন্য পরিবেশ তৈরি করতে পারেন, কিন্তু তাদের চিন্তা এবং জ্ঞান অর্জন স্বতন্ত্রভাবে ঘটতে হবে।
এই তত্ত্ব শিক্ষার ক্ষেত্রে অনেক গুরুত্বপূর্ণ প্রভাব ফেলেছে, কারণ এটি শিক্ষার ধাপগুলো এবং শিক্ষার্থীর চিন্তাভাবনার বিকাশের প্রক্রিয়া নিয়ে স্পষ্ট ধারণা দিয়েছে।
0
Updated: 2 days ago
বাংলাদেশের যে জেলায় সবচেয়ে বেশি চা বাগান রয়েছে –
Created: 1 week ago
A
হবিগঞ্জ
B
মৌলভীবাজার
C
সিলেট
D
কুড়িগ্রাম
বাংলাদেশে বর্তমানে (২০২৩ সালে) মোট ১৬৮টি চা বাগান রয়েছে। এর মধ্যে মৌলভীবাজার জেলায় সর্বোচ্চ চা বাগান রয়েছে এবং দ্বিতীয় সর্বোচ্চ চা বাগান রয়েছে হবিগঞ্জ জেলায়।
0
Updated: 1 week ago