কিন্ডল (Kindle) কী?
A
একটি ই-বুক রিডার
B
একটি স্মার্টফোন
C
একটি কম্পিউটার সফটওয়্যার
D
একটি মিউজিক প্লেয়ার
উত্তরের বিবরণ
কিন্ডল হলো অ্যামাজনের একটি ডিজিটাল রিডার ডিভাইস, যা ব্যবহারকারীদের ই-বুক পড়ার জন্য ডিজাইন করা হয়েছে। এটি প্রধানত ই-ইঙ্ক প্রযুক্তি ব্যবহার করে, যা চোখের উপর চাপ কমিয়ে দেয় এবং দীর্ঘ সময় ধরে পড়তে সুবিধাজনক।
কিন্ডলের মূল বৈশিষ্ট্যগুলো:
-
ই-বুক রিডার:
এটি এক ধরনের ই-বুক রিডার ডিভাইস, যার মাধ্যমে আপনি ইলেকট্রনিক বই পড়তে পারেন। কিন্ডলে পাঠকরা বিভিন্ন ধরনের বই, ম্যাগাজিন, নিউজপেপার এবং অন্যান্য কনটেন্ট পড়তে পারেন। বইগুলো কিনতে বা ডাউনলোড করতে অ্যামাজনের কিন্ডল স্টোর ব্যবহার করা হয়। -
ই-ইঙ্ক প্রযুক্তি:
কিন্ডলের স্ক্রীনে ই-ইঙ্ক টেকনোলজি ব্যবহৃত হয়, যা বইয়ের পৃষ্ঠাগুলোর মত দেখায় এবং এটি চোখে আরামদায়ক। ই-ইঙ্ক স্ক্রীনে সাদা ও কালো কনট্রাস্ট ঠিক রেখে, একটানা দীর্ঘ সময়ের জন্য পড়া সহজ করে তোলে। -
এন্টারনেট কানেক্টিভিটি:
কিন্ডল ডিভাইসে ওয়াই-ফাই বা 3G কানেক্টিভিটি থাকতে পারে, যা ব্যবহারকারীদের বই সহজেই ডাউনলোড করতে সহায়তা করে। আপনি এক স্থান থেকে অন্য স্থানে বই পাঠানোর জন্য ইন্টারনেট কানেকশন ব্যবহার করতে পারেন। -
কাস্টমাইজযোগ্য টেক্সট:
এতে টেক্সট সাইজ, ফন্ট স্টাইল, মার্জিন ইত্যাদি কাস্টমাইজ করা যায়, যা প্রতিটি ব্যবহারকারীর পড়ার অভিজ্ঞতাকে আরও সাচ্ছন্দ্যময় করে তোলে। -
ব্যাটারি লাইফ:
কিন্ডল ডিভাইসে ব্যাটারি লাইফ দীর্ঘ, এবং এটি কয়েক সপ্তাহ পর্যন্ত কাজ করতে পারে, কারণ এটি শক্তিশালী ব্যাটারি সঞ্চয় প্রযুক্তি ব্যবহার করে। বিশেষ করে, যখন আপনি ই-ইঙ্ক স্ক্রীন ব্যবহার করেন, তখন ব্যাটারি খরচ কম হয়, যা দীর্ঘ সময় ধরে পড়ার সুযোগ দেয়। -
প্রবেশযোগ্যতার সুবিধা:
কিন্ডল বৈশিষ্ট্য হিসেবে অন্ধ বা দৃষ্টিহীনদের জন্য বিশেষ সুবিধা দেয়, যেমন টেক্সট-টু-স্পিচ (Text-to-Speech) এবং স্ক্রীন রিডার। এতে তারা অডিও আকারে বই শোনার সুযোগ পায়। -
কিন্ডল অ্যাপ:
কিন্ডলের জন্য অ্যামাজন একটি অ্যাপও তৈরি করেছে, যা স্মার্টফোন, ট্যাবলেট, এবং কম্পিউটারেও ব্যবহার করা যায়। এর মাধ্যমে, আপনি কিন্ডল ডিভাইসে না থাকলেও, একই অ্যাকাউন্টে বই পড়তে পারেন।
সারাংশ:
কিন্ডল হল একটি ই-বুক রিডার যা বই পড়ার অভিজ্ঞতাকে সহজ ও আনন্দদায়ক করে তোলে। এর মাধ্যমে ব্যবহারকারীরা ডিজিটাল বই কিনতে, পড়তে এবং এক জায়গা থেকে অন্য জায়গায় নিতে পারেন। এছাড়াও, এর স্ক্রীন প্রযুক্তি এবং অন্যান্য বৈশিষ্ট্যগুলো এটি খুবই জনপ্রিয় করে তুলেছে।
0
Updated: 1 day ago
Management of first stage of Labour এ কোন ইনজেকশন ব্যবহার করা হয়?
Created: 1 week ago
A
Adrenalin
B
Insulin
C
Oxytocin
D
Diazepam
প্রসবের প্রথম ধাপ বা First Stage of Labour হলো সময়কাল যখন জরায়ুর মুখ ধীরে ধীরে প্রসারিত হয়ে প্রসবের উপযোগী হয়। এই সময়টিতে প্রসবের গতি ও কার্যকারিতা বজায় রাখতে কিছু ঔষধ ব্যবহার করা হয়, যার মধ্যে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হলো Oxytocin। এটি এমন একটি হরমোন যা জরায়ুর পেশি সংকোচন বাড়িয়ে প্রসব প্রক্রিয়া ত্বরান্বিত করে।
Oxytocin ব্যবহারের উদ্দেশ্য ও কার্যকারিতা:
এটি জরায়ুর পেশি শক্তভাবে সংকুচিত করতে সাহায্য করে, ফলে প্রসবের সময়কাল কমে আসে এবং শিশুর জন্ম সহজ হয়।
Oxytocin সাধারণত ইনজেকশন বা স্যালাইনের মাধ্যমে দেওয়া হয়, বিশেষ করে যখন প্রসবের অগ্রগতি ধীর হয়ে যায় বা সংকোচন দুর্বল হয়।
এই ইনজেকশন ব্যবহারে মায়ের রক্তক্ষরণ কমে, কারণ এটি জরায়ুকে সঠিকভাবে সংকুচিত রাখে, যা পরবর্তী Postpartum Haemorrhage প্রতিরোধে সহায়তা করে।
প্রসবের সময় Oxytocin ব্যবহারের আগে মায়ের ও শিশুর হার্টবিট ও জরায়ুর সংকোচনের গতি পর্যবেক্ষণ করা হয়, যাতে কোনো জটিলতা না ঘটে।
এটি এমনভাবে দেওয়া হয় যাতে সংকোচন নিয়ন্ত্রিত থাকে— অতিরিক্ত মাত্রা দেওয়া হলে অতিরিক্ত সংকোচনের কারণে শিশুর অক্সিজেন সরবরাহ ব্যাহত হতে পারে, তাই চিকিৎসকের তত্ত্বাবধান অত্যন্ত জরুরি।
প্রসবের প্রথম ধাপে Oxytocin কেবল তখনই প্রয়োগ করা হয়, যখন নিশ্চিত হওয়া যায় যে জরায়ুর মুখ যথেষ্ট প্রসারিত হচ্ছে এবং প্রসবের প্রক্রিয়া সঠিকভাবে এগোচ্ছে।
Oxytocin প্রাকৃতিকভাবেও শরীরে নিঃসৃত হয়, কিন্তু ইনজেকশন হিসেবে এটি প্রয়োগ করলে সংকোচনের তীব্রতা ও ধারাবাহিকতা বাড়ে, যা মাকে প্রসবে সহায়তা করে।
সুতরাং, প্রসবের প্রথম ধাপে শ্রম প্রক্রিয়া ত্বরান্বিত ও কার্যকর করার জন্য সবচেয়ে বেশি ব্যবহৃত ইনজেকশন হলো Oxytocin।
উ. গ) Oxytocin
0
Updated: 1 week ago
কোন মশার কামড়ে চিকুনগুনিয়া জ্বর হয়?
Created: 5 days ago
A
কিউলেক্স
B
এনোফিলিস
C
এডিস
D
Sand fly
চিকুনগুনিয়া জ্বর একটি ভাইরাসজনিত রোগ যা মানুষের মধ্যে ছড়িয়ে পড়ে নির্দিষ্ট প্রজাতির মশার মাধ্যমে। এই রোগে আক্রান্ত হওয়ার মূল বাহক হলো এডিস মশা, বিশেষ করে Aedes aegypti এবং Aedes albopictus প্রজাতি। এ মশাগুলো সাধারণত দিনের বেলায় কামড়ায় এবং ঘরের ভেতর বা আশপাশের জমে থাকা পানিতে বংশবিস্তার করে।
• এডিস মশা-ই চিকুনগুনিয়া ভাইরাস বহন করে। এই ভাইরাসটি মূলত Togaviridae পরিবারের অন্তর্গত এবং Alphavirus শ্রেণির অন্তর্গত। সংক্রমিত ব্যক্তি যখন এডিস মশার কামড়ে আক্রান্ত হয়, তখন সেই মশাটি ভাইরাস গ্রহণ করে এবং পরবর্তীতে আরেকজন মানুষকে কামড়ালে তার দেহে ভাইরাস ছড়িয়ে দেয়।
• এডিস মশা সাধারণত দিনের আলোতে, বিশেষত সকাল ও বিকেলের দিকে বেশি সক্রিয় থাকে। অন্য মশার মতো এটি রাতে ততটা সক্রিয় নয়। এদের বংশবিস্তার হয় ঘরের ভেতর বা বাইরে রাখা ফুলের টব, ফেলে রাখা টায়ার, ভাঙা বোতল, বা যেকোনো স্থির পানিতে।
• চিকুনগুনিয়া ভাইরাস শরীরে প্রবেশ করার ২ থেকে ৭ দিনের মধ্যে লক্ষণ প্রকাশ পায়। প্রধান লক্ষণগুলো হলো উচ্চ জ্বর, জয়েন্টে প্রচণ্ড ব্যথা, মাথাব্যথা, চোখে ব্যথা, চামড়ায় র্যাশ, এবং দুর্বলতা। বিশেষ করে জয়েন্টের ব্যথা দীর্ঘস্থায়ী হতে পারে।
• এই রোগ সাধারণত মারাত্মক নয়, তবে বয়স্ক ও দুর্বল রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাসম্পন্ন ব্যক্তিদের জন্য এটি জটিল হতে পারে। চিকুনগুনিয়ার জন্য কোনো নির্দিষ্ট ওষুধ বা টিকা নেই, তবে বিশ্রাম, তরল খাবার এবং ব্যথানাশক ওষুধ দিয়ে উপসর্গ উপশম করা হয়।
• প্রতিরোধই হলো চিকুনগুনিয়া থেকে রক্ষা পাওয়ার প্রধান উপায়। এজন্য ঘরের আশপাশে কোথাও পানি জমে থাকতে দেওয়া যাবে না, টব ও ড্রাম পরিষ্কার রাখতে হবে, মশারি ব্যবহার করতে হবে, এবং শরীর ঢাকা পোশাক পরতে হবে।
• ভুল বিকল্পগুলোর মধ্যে—
-
কিউলেক্স মশা মূলত জাপানিজ এনসেফালাইটিস বা মস্তিষ্কের প্রদাহজনিত রোগ ছড়ায়।
-
এনোফিলিস মশা হলো ম্যালেরিয়া রোগের বাহক।
-
Sand fly ছড়ায় কালা-আজার বা visceral leishmaniasis।
সব মিলিয়ে বলা যায়, চিকুনগুনিয়া জ্বরের জন্য দায়ী মশাটি হলো এডিস, যা একই সঙ্গে ডেঙ্গু ও জিকা ভাইরাসেরও বাহক হিসেবে পরিচিত। তাই এ মশার নিয়ন্ত্রণই জনস্বাস্থ্য রক্ষার সবচেয়ে কার্যকর উপায়।
0
Updated: 5 days ago
কোন প্রাণী নিজের শরীরের চেয়ে পঞ্চাশ গুন বেশি ভরের বস্তু বহন করতে পারে ?
Created: 1 week ago
A
ঘোড়া
B
হাতি
C
পিঁপড়া
D
গাধা
পিঁপড়া পৃথিবীর ক্ষুদ্রতম কিন্তু সবচেয়ে পরিশ্রমী ও শক্তিশালী প্রাণীদের একটি। আকারে ছোট হলেও এর শক্তি ও সংগঠনের ক্ষমতা বিস্ময়কর। বিজ্ঞানীরা দেখেছেন, একটি পিঁপড়া নিজের শরীরের ওজনের ৫০ গুণ পর্যন্ত ভার বহন করতে পারে। এই আশ্চর্য ক্ষমতাই তাকে অন্যান্য প্রাণীর তুলনায় ব্যতিক্রমী করে তুলেছে। নিচে এই বিষয়টি সম্পর্কিত কিছু গুরুত্বপূর্ণ তথ্য দেওয়া হলো।
• পিঁপড়ার শারীরিক গঠন অত্যন্ত মজবুত। তাদের দেহে শক্ত এক্সোস্কেলেটন (বাহ্যিক কঙ্কাল) থাকে যা প্রচণ্ড চাপ সহ্য করতে পারে। এর ফলে তারা নিজের ওজনের বহু গুণ বেশি ভারও তুলতে পারে।
• তাদের ছোট আকারই শক্তির উৎস। জীববিজ্ঞানের নিয়ম অনুযায়ী, আকার ছোট হলে পেশির অনুপাত বেশি থাকে। ফলে পিঁপড়ার মতো ক্ষুদ্র প্রাণী তুলনামূলকভাবে বেশি শক্তিশালী হয়।
• গঠনগত ভারসাম্য ও জৈব বলবিদ্যা তাদের সক্ষমতা বাড়ায়। পিঁপড়ার ঘাড় ও বুকে বিশেষ ধরনের পেশি থাকে, যা ওজন বহনের সময় ভারসাম্য বজায় রাখতে সাহায্য করে।
• বিজ্ঞানীরা একে “প্রাকৃতিক ভারোত্তোলক” বলে থাকেন। গবেষণায় দেখা গেছে, একটি পিঁপড়া প্রায় ৫,০০০ মিলিগ্রাম (৫ গ্রাম) পর্যন্ত বস্তু তুলতে পারে, যেখানে তার নিজের ওজন মাত্র ০.১ মিলিগ্রাম।
• এরা দলবদ্ধভাবে কাজ করে। একসাথে কাজ করার ফলে ভারী খাবার বা জিনিসপত্র বাসায় নিয়ে যাওয়া সহজ হয়। প্রতিটি পিঁপড়া নির্দিষ্ট দায়িত্ব পালন করে, যেমন খাদ্য সংগ্রাহক, রক্ষী বা পরিচর্যাকারী।
• পিঁপড়ার প্রজাতি হাজারের বেশি। পৃথিবীতে প্রায় ১২,০০০টিরও বেশি প্রজাতির পিঁপড়া রয়েছে, যেগুলোর বাস বিশ্বের প্রায় সব অঞ্চলে। প্রতিটি প্রজাতির পেশিশক্তি ও কাজের ধরন কিছুটা ভিন্ন।
• তাদের জীবনযাপন অত্যন্ত সংগঠিত। প্রতিটি উপনিবেশে একটি রাণী পিঁপড়া থাকে, যার কাজ ডিম দেওয়া। অন্যরা খাবার জোগাড় ও বাচ্চাদের যত্ন নেয়। এই শৃঙ্খলা তাদের সফল সমাজিক প্রাণীতে পরিণত করেছে।
• পিঁপড়া পরিবেশের জন্যও উপকারী। তারা মাটিতে বায়ুচলাচল সৃষ্টি করে, মৃত প্রাণী ও গাছপালা পচিয়ে প্রাকৃতিক ভারসাম্য রক্ষা করে।
• অন্য প্রাণীর তুলনা:
-
ঘোড়া সাধারণত নিজের ওজনের প্রায় ১.৫ গুণ ভার টানতে পারে।
-
হাতি তার শরীরের প্রায় ১০-১২ গুণ পর্যন্ত ভার বহন করতে পারে।
-
গাধা তুলনামূলক দুর্বল, নিজের ওজনের সমান বা সামান্য বেশি ভার বহন করতে পারে।
সব মিলিয়ে বলা যায়, পিঁপড়া হলো ক্ষুদ্র অথচ অসাধারণ শক্তিশালী প্রাণী, যার শারীরিক গঠন ও দলবদ্ধ কাজের দক্ষতা একে প্রকৃতির এক বিস্ময়কর উদাহরণে পরিণত করেছে।
0
Updated: 1 week ago