দুর্যোগ প্রশমন (Disaster Mitigation) হলো এমন একটি প্রক্রিয়া যার মাধ্যমে প্রাকৃতিক দুর্যোগের দীর্ঘস্থায়ী প্রভাব হ্রাস করা যায় এবং ক্ষয়ক্ষতির মাত্রা কমিয়ে আনা সম্ভব হয়। এর মূল উদ্দেশ্য হলো দুর্যোগ ঘটার আগেই পূর্বপ্রস্তুতি ও স্থায়ী প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করা, যাতে মানুষ, সম্পদ ও পরিবেশের ক্ষতি ন্যূনতম হয়।
-
দুর্যোগ প্রশমন বলতে বোঝায় প্রাকৃতিক দুর্যোগের ক্ষয়ক্ষতি কমানোর স্থায়ী ব্যবস্থা।
-
এর মূল কৌশল হলো পূর্বপ্রস্তুতি, প্রতিরোধমূলক অবকাঠামো নির্মাণ ও সচেতনতা বৃদ্ধি।
-
নদী খনন: অতিবৃষ্টি ও বন্যার পানি সহজে প্রবাহিত হয়, ফলে প্লাবন কমে যায়।
-
বেড়িবাঁধ নির্মাণ: উপকূলীয় এলাকায় জলোচ্ছ্বাস ও ঘূর্ণিঝড়ের ক্ষতি রোধে সহায়তা করে।
-
আশ্রয়কেন্দ্র নির্মাণ: দুর্যোগের সময় মানুষকে নিরাপদে আশ্রয় দেয়।
-
বনায়ন কর্মসূচি: ভূমিক্ষয় ও ঝড়ের ক্ষয়ক্ষতি হ্রাস করে পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষা করে।
-
শক্ত অবকাঠামো নির্মাণ: ভূমিকম্প বা ঝড়-ঝঞ্ঝায় টেকসই ভবন ও সড়ক ক্ষতি থেকে রক্ষা পায়।
-
এসব ব্যবস্থা দীর্ঘমেয়াদি দুর্যোগ প্রশমন কর্মসূচির আওতাভুক্ত, যা উন্নয়ন পরিকল্পনার সঙ্গে সংযুক্ত থাকে।
অতএব, নদী খনন, বেড়িবাঁধ ও আশ্রয়কেন্দ্র নির্মাণ, বনায়ন, শক্ত অবকাঠামো গঠন ইত্যাদি কার্যক্রম হলো দীর্ঘস্থায়ী দুর্যোগ প্রশমনের গুরুত্বপূর্ণ উপায়, যা সমাজকে দুর্যোগের ঝুঁকি থেকে রক্ষা করে।