বায়ুমন্ডলের ওজনস্তর অবক্ষয়ে কোন গ্যাসটির ভূমিকা সর্ব্বোচ্চ?
A
কার্বন ডাই-অক্সাইড
B
জলীয় বাষ্প
C
নাইট্রিক অক্সাইড
D
ক্লোরোফ্লোরো কার্বন
উত্তরের বিবরণ
ওজোনস্তরের ক্ষয় ঘটে মূলত ওজোন অণুর সঙ্গে হ্যালোজেন যৌগের প্রভাবকীয় বিক্রিয়ার কারণে, যার ফলে বায়ুমণ্ডলের সুরক্ষামূলক স্তরটি ধীরে ধীরে ভেঙে যায়। এই হ্যালোজেন যৌগগুলোর প্রধান উৎস হলো মানবসৃষ্ট হ্যালোকার্বন হিমায়ন পদার্থের সালোক বিভাজন। সূর্যালোকের উপস্থিতিতে এই যৌগগুলো ভেঙে ক্লোরিন (Cl) ও ব্রোমিন (Br) মুক্ত করে, যা ওজোন অণুর সঙ্গে বিক্রিয়া করে তাকে ধ্বংস করে ফেলে।
-
ওজোনস্তর ক্ষয়ের প্রধান দায়ী যৌগ হলো CFC (Chlorofluorocarbons), যা সাধারণত রেফ্রিজারেন্ট, এয়ার কন্ডিশনার, এবং স্প্রে প্রপেলান্টে ব্যবহৃত হয়।
-
ফ্রেয়ন (Freon), হ্যালোআলকেন (Haloalkane) এবং অন্যান্য হ্যালোকার্বন পদার্থ সূর্যালোকের অতিবেগুনি রশ্মিতে ভেঙে ক্লোরিন পরমাণু উৎপন্ন করে, যা একটির পর একটি ওজোন অণু ধ্বংস করে।
-
একটি মাত্র ক্লোরিন পরমাণু প্রায় এক লক্ষের বেশি ওজোন অণু ধ্বংস করতে সক্ষম।
-
এই ধরনের যৌগগুলোকে Ozone Depleting Substances (ODS) বলা হয়, কারণ এগুলো ওজোনস্তরের অবক্ষয়ে প্রত্যক্ষ ভূমিকা রাখে।
-
ওজোনস্তর ক্ষয়ের ফলে পৃথিবীতে অতিবেগুনি রশ্মির পরিমাণ বৃদ্ধি পায়, যা ত্বক ক্যান্সার, চোখের ছানি, এবং ফসলের ক্ষতি ঘটাতে পারে।
-
এই ক্ষয় রোধে ১৯৮৭ সালে Montreal Protocol গৃহীত হয়, যার মাধ্যমে ধীরে ধীরে ODS ব্যবহারে বিশ্বব্যাপী নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়েছে।
0
Updated: 15 hours ago
প্রাকৃতিক গ্যাসের প্রধান উপাদান হলো-
Created: 5 months ago
A
নাইট্রোজেন গ্যাস
B
মিথেন
C
হাইড্রোজেন গ্যাস
D
কার্বন মনোক্সাইড
প্রাকৃতিক গ্যাস
প্রাকৃতিক গ্যাস হলো শক্তির একটি গুরুত্বপূর্ণ উৎস, যা প্রধানত মিথেন গ্যাস দ্বারা গঠিত। এটি মূলত পেট্রোলিয়াম কূপ বা ভূগর্ভ থেকে উত্তোলন করা হয়। পৃথিবীর গভীরে তাপ ও চাপের প্রভাবে দীর্ঘ সময়ে এই গ্যাস তৈরি হয়।
এই গ্যাস জ্বালিয়ে তাপশক্তি উৎপন্ন করা যায়, যা বিদ্যুৎ উৎপাদনের জন্য ব্যবহৃত হয়—বিশেষ করে তাপ বিদ্যুৎ কেন্দ্রে। যেহেতু এটি ভূগর্ভে জমে থাকা জীবাশ্ম পদার্থ থেকে তৈরি হয়, তাই একে জীবাশ্ম শক্তির একটি রূপও বলা হয়।
0
Updated: 5 months ago
বাংলাদেশে প্রাপ্ত প্রাকৃতিক গ্যাসে শতকরা কত ভাগ মিথেন থাকে?
Created: 3 weeks ago
A
৬৫-৭০ ভাগ
B
৬০-৬৫ ভাগ
C
৯৫-৯৯ ভাগ
D
৭৫-৮৫ ভাগ
প্রাকৃতিক গ্যাস হলো এক ধরনের জীবাশ্ম জ্বালানি, যা পৃথিবীর ভূগর্ভে জৈব পদার্থের পচন ও দীর্ঘমেয়াদি রাসায়নিক প্রক্রিয়ার ফলে গঠিত হয়। এটি শক্তির একটি গুরুত্বপূর্ণ ও পরিচিত উৎস, যা গৃহস্থালি, শিল্প এবং বিদ্যুৎ উৎপাদনে ব্যাপকভাবে ব্যবহৃত হয়।
-
প্রাকৃতিক গ্যাসের মাধ্যমে তাপশক্তি উৎপন্ন হয়, এবং সেই তাপ ব্যবহার করে তাপ বিদ্যুৎ কেন্দ্রে বিদ্যুৎ উৎপাদন করা হয়।
-
এটি মূলত ভূগর্ভ থেকে উত্তোলিত হয় এবং প্রায়ই পেট্রোলিয়াম কূপের সাথে পাওয়া যায়।
-
পৃথিবীর অভ্যন্তরে প্রচণ্ড তাপ ও চাপের কারণে উদ্ভিদ ও প্রাণীর জৈব পদার্থ দীর্ঘ সময়ে রাসায়নিকভাবে পরিবর্তিত হয়ে এই গ্যাস তৈরি করে।
-
প্রাকৃতিক গ্যাসের প্রধান উপাদান হলো মিথেন (CH₄), যা একে পরিষ্কার জ্বালানি হিসেবে বিশেষভাবে কার্যকর করে তোলে।
-
গ্যাসের উপাদানসমূহ হলো:
• মিথেন (CH₄) – ৮০–৯০%
• ইথেন (C₂H₆) – প্রায় ১৩%
• প্রোপেন (C₃H₈) – প্রায় ৩%
• এছাড়াও অল্প পরিমাণে বিউটেন, ইথিলিন ও নাইট্রোজেন থাকে। -
বাংলাদেশের প্রাকৃতিক গ্যাসে মিথেনের পরিমাণ ৯৫–৯৯%, যা একে উচ্চমানের জ্বালানি হিসেবে উপযুক্ত করে তোলে।
-
প্রাকৃতিক গ্যাসের মতো শক্তিগুলোকে একত্রে জীবাশ্ম শক্তি (Fossil Fuel) বলা হয়।
-
এটি তাপ, রান্না, সার উৎপাদন, বিদ্যুৎ উৎপাদন এবং শিল্পকারখানার জ্বালানি হিসেবে ব্যবহৃত হয়।
-
পরিবেশগতভাবে এটি তেল ও কয়লার তুলনায় কম দূষণকারী, তাই এটি একটি তুলনামূলকভাবে পরিবেশবান্ধব শক্তির উৎস।
0
Updated: 3 weeks ago
প্রাকৃতিক গ্যাসের প্রধান উপাদান কোনটি?
Created: 1 month ago
A
বিউটেন
B
প্রোপেন
C
ইথেন
D
মিথেন
প্রাকৃতিক গ্যাস
প্রাকৃতিক গ্যাস হলো শক্তির একটি গুরুত্বপূর্ণ উৎস, যা জীবাশ্ম শক্তির অংশ হিসেবে পরিচিত। এটি মূলত ভূগর্ভ থেকে প্রাপ্ত হয় এবং পৃথিবীর অভ্যন্তরে প্রচন্ড তাপ ও চাপের কারণে সৃষ্ট হয়। প্রাকৃতিক গ্যাসের সাহায্যে তাপশক্তি উৎপন্ন করা যায়, যা বিদ্যুৎ কেন্দ্রের মাধ্যমে বিদ্যুতে রূপান্তরিত হয়। এই ধরনের গ্যাস সাধারণত পেট্রোলিয়াম কূপ থেকে আহরিত হয় এবং এর প্রধান উপাদান হলো মিথেন (CH₄)।
0
Updated: 1 month ago