পার্বত্য অঞ্চলের নদীর কোন ধরনের ক্ষয় বেশি হয়?
A
পাশ্বক্ষয়
B
নিম্নক্ষয়
C
নদীর মোহনায়
D
তীর ভাঙ্গন
উত্তরের বিবরণ
পার্বত্য অঞ্চলের নদীগুলিতে নিম্নক্ষয় (Downcutting বা Vertical Erosion) বেশি ঘটে, কারণ এসব নদীতে পানির গতি ও প্রবাহ অত্যন্ত প্রবল থাকে। এই প্রক্রিয়ায় নদী তলদেশ থেকে মাটি ও শিলা অপসারণ করে উপত্যকাকে ক্রমশ গভীর করে তোলে। নিচে বিষয়টি বিশদভাবে ব্যাখ্যা করা হলো।
-
ডাউনকাটিং বা নিম্নগামী ক্ষয় হলো এমন এক ভূতাত্ত্বিক প্রক্রিয়া যেখানে নদী নিজের তলদেশ থেকে ভূমির উপাদান সরিয়ে চ্যানেলকে গভীরতর করে।
-
এটি সাধারণত পার্বত্য অঞ্চলে বেশি দেখা যায়, কারণ সেখানে নদীর স্রোতের বেগ ও জলের পরিমাণ উভয়ই বেশি থাকে।
-
প্রবল জলস্রোতের সঙ্গে শিলাখণ্ডের ঘর্ষণ ভূমি ক্ষয়ের গতি বাড়িয়ে দেয়, ফলে নদীর তলদেশ ধীরে ধীরে নিচে নেমে যায়।
-
এই প্রক্রিয়ায় **নিম্নক্ষয়ের পাশাপাশি সামান্য পার্শ্বক্ষয় (Lateral Erosion)**ও ঘটে, যা উপত্যকার প্রস্থ সামান্য বৃদ্ধি করে।
-
ফলস্বরূপ নদী উপত্যকার আকৃতি হয়ে ওঠে ইংরেজি অক্ষর ‘V’-এর মতো, যা V-shaped valley নামে পরিচিত।
-
এই ধরনের উপত্যকা গঠনের সময় নদী তার তলদেশের দিকে শক্তি ব্যয় করে, প্রস্থে নয়।
-
ভূমিধস, বৃষ্টিপাত ও খনিজগঠনও এই ক্ষয় প্রক্রিয়াকে ত্বরান্বিত করে, যার ফলে উপত্যকার ঢাল আরও খাড়া হয়।
-
পরবর্তীতে, যখন প্রবাহ কিছুটা স্থিতিশীল হয়, তখন পার্শ্বক্ষয় বৃদ্ধি পেয়ে উপত্যকাকে ধীরে ধীরে প্রশস্ত আকার দেয়।
অতএব, পার্বত্য অঞ্চলের দ্রুতগামী নদীগুলিতে নিম্নক্ষয়ই মুখ্য ক্ষয় প্রক্রিয়া, যা উপত্যকাকে গভীর ও খাড়া আকারে রূপ দেয়, এবং এর ফলে নদীউপত্যকা ‘V’-আকৃতির ভূপ্রকৃতি ধারণ করে।
0
Updated: 15 hours ago
গারো পাহাড় থেকে নিম্নের কোন নদীর উৎপত্তি?
Created: 2 months ago
A
সোমেশ্বরী
B
আত্রাই
C
নিতাই
D
বাঙালি
আন্তর্জাতিক বিষয়াবলি
বাংলাদেশ বিষয়াবলি
সাধারণ জ্ঞান
নদ নদীর উৎপত্তিস্থল
নদী সম্পর্কিত তথ্য
বাংলাদেশের পাহাড়
গারো পাহাড়
-
বাংলাদেশের বৃহত্তম ও সর্বোচ্চ পাহাড়।
-
অবস্থান: উত্তর-পূর্ব বাংলাদেশ, পূর্ব-পশ্চিম বরাবর বিস্তৃত।
-
পাদদেশে অবস্থিত জেলা: ময়মনসিংহ, নেত্রকোণা, কিশোরগঞ্জ।
-
মোট আয়তন: প্রায় ৮,১৬৭ বর্গকিমি।
-
সর্বোচ্চ শৃঙ্গ: নকরেক (ভারত অংশে)।
-
উচ্চতা: ৪,৬৫২ ফুট ≈ ১,৪০০ মিটার।
-
প্রধান শহর: তুরা।
-
প্রধান নদী: সোমেশ্বরী/সিমসাং নদী।
সোমেশ্বরী/সিমসাং নদী
-
উৎপত্তি: ভারতের মেঘালয় রাজ্যের গারো পাহাড় থেকে।
-
প্রধান ঝর্ণাধারা: বিঞ্চুরীছড়া, বাঙাছড়া; পশ্চিম দিক থেকে রমফা নদী এর স্রোতধারা যুক্ত।
-
বাংলাদেশের প্রবেশ: নেত্রকোণার দুর্গাপুরে।
-
মোড়ল নদীতে মিলন: সুনামগঞ্জের জামালগঞ্জে বাউলাই নদী।
-
প্রাচীন নাম: সিমসাং।
অন্যান্য নদী
-
নিতাই নদী: ভারতের পশ্চিম ও দক্ষিণ গারো পাহাড় থেকে উৎপন্ন, বাংলাদেশের ময়মনসিংহ ও নেত্রকোণা দিয়ে প্রবাহিত।
-
বাঙালি নদী: উৎপত্তি নীলফামারী জেলার তিস্তা নদী, পরে গাইবান্ধা ও বগুড়া দিয়ে প্রবাহিত হয়ে বাঙালি নাম ধারণ।
0
Updated: 2 months ago
বাংলাদেশের বৃহত্তম নদী কোনটি?
Created: 5 months ago
A
মেঘনা
B
পদ্মা
C
ব্রহ্মপুত্র
D
যমুনা
দেশে দীর্ঘতম নদী:
- দেশে বর্তমানে জীবন্ত নদ-নদীর সংখ্যা ১০০৮টি।
- দেশের দীর্ঘতম নদী পদ্মা।
- দেশের তিন বিভাগের ১২টি জেলায় প্রবাহিত এ নদীটির দৈর্ঘ্য ৩৪১ কিলোমিটার।
পদ্মা নদী:
- ভারতের মধ্য হিমালয়ের গঙ্গোত্রী হিমবাহ থেকে গঙ্গা নদীর উৎপত্তি।
- রাজশাহীর কাছে কুষ্টিয়ার উত্তর প্রান্ত দিয়ে বাংলাদেশে প্রবেশ করেছে।
- তারপর গোয়ালন্দে যমুনা নদীর সঙ্গে মিলিত হয়েছে।
- এই মিলিত ধারা পদ্মা নামে দক্ষিণ-পূর্ব দিকে প্রবাহিত হয়ে চাঁদপুরে মেঘনার সাথে মিলিত হয়েছে।
- অতঃপর তিন নদীর মিলিত স্রোত বঙ্গোপসাগরে ঢুকেছে।
- শাখা নদী: মধুমতী, আড়িয়াল খাঁ, ভৈরব, মাথাভাঙা, কুমার, কপোতাক্ষ, শিবসা, পশুর (বা পসুর) বড়াল প্রধান।
- উপনদী: মহানন্দা, ট্যাঙ্গন, পুনর্ভবা, নগর, কুলিক।
- পদ্মা-বিধৌত অঞ্চল - ৩৪,১৮৮ বর্গকি.মি.
মেঘনা নদী:
- মেঘনা বাংলাদেশের সবচেয়ে প্রশস্ততম নদী।
- মেঘনার উৎপত্তি: আসামের লুসাই পাহাড় হতে বরাক নদী নামে।
- বাংলাদেশে প্রবেশ: সুরমা ও কুশিয়ারা নামে সিলেট জেলা দিয়ে ।
- সুরমা ও কুশিয়ারা মিলিত হয়েছে আজমিরীগঞ্জে এবং নামধারণ করেছে কালনী।
- কালনী ও পুরাতন ব্রহ্মপুত্রের মিলিত স্রোতের নাম: মেঘনা (ভৈরববাজার)।
- শাখানদী: ব্রহ্মপুত্র, গোমতী, শীতলক্ষা, ধলেশ্বরী, ডাকাতিয়া।
- বাংলাদেশে মেঘনা বিধৌত অঞ্চলের আয়তন প্রায় ২৯,৭৮৫ বর্গকিলোমিটার।
• দৈর্ঘের দিক থেকে বর্তমানে নবম দীর্ঘতম নদী- মেঘনা। তবে এটি এখনো দেশের প্রশস্ততম ও গভীরতম নদী।
সে হিসেবে- সঠিক উত্তর হবে — মেঘনা।
উল্লেখ্য,
- দেশের দ্বিতীয় দীর্ঘতম নদী ইছামতী নদী (দৈর্ঘ্য ৩৩৪ কি.মি.)।
- দেশের দ্বিতীয় দীর্ঘতম নদী সাঙ্গু বা শঙ্খ নদী (দৈর্ঘ্য ২৯৪ কি.মি.)।
- সবচেয়ে বেশি উপজেলা দিয়ে প্রবাহিত নদী মেঘনা (৩৬টি উপজেলা)।
- সবচেয়ে বেশি নদ-নদী রয়েছে ঢাকা বিভাগে, ২২২টি।
- সবচেয়ে বেশি নদী রয়েছে সুনামগঞ্জ জেলায়, ৯৭টি।
‘বাংলাদেশ নদ-নদী: সংজ্ঞা ও সংখ্যাবিষয়ক বই’ অনুসারে,
- দেশে বর্তমানে নদ-নদীর সংখ্যা ১০০৮টি।
- দেশে নদীপথ রয়েছে: ২২ হাজার কি.মি.।
- দেশের ক্ষুদ্রতম নদী: গাঙ্গিনা নদী (দৈর্ঘ্য ০.০৩২ কি.মি.)।
- সবচেয়ে বেশি উপজেলা দিয়ে প্রবাহিত নদী মেঘনা (৩৬টি উপজেলা)।
উৎস: নদী রক্ষা কমিশন ওয়েবসাইট এবং ২৫ সেপ্টেম্বর, ২০২৩ তারিখের প্রথম আলো প্রতিবেদন, বাংলাদেশ ও বিশ্বপরিচয়, SSC প্রোগ্রাম, বাংলাদেশ উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়
0
Updated: 5 months ago
বাংলাদেশের কোন জেলা সবচেয়ে বেশী নদীবিধৌত?
Created: 6 months ago
A
গৌরনদী
B
পিরোজপুর
C
বরিশাল
D
ভোলা
0
Updated: 6 months ago