ব্যবসার বিশ্লেষক ফার্ম আইএইচএস'র বিশ্লেষণে ২০১৪ সালে অস্ত্র আমদানিতে শীর্ষ দেশ হচ্ছে?
A
সৌদি আরব
B
ভারত
C
তাইওয়ান
D
সংযুক্ত আরব আমিরাত
উত্তরের বিবরণ
ব্যবসা বিশ্লেষক প্রতিষ্ঠান IHS (Information Handling Services)–এর প্রতিবেদনে দেখা যায়, ২০১৪ সালে অস্ত্র আমদানিতে শীর্ষ দেশ ছিল ভারত, কিন্তু পরবর্তীতে এই অবস্থান পরিবর্তিত হয়েছে। সর্বশেষ বিশ্লেষণ অনুযায়ী ২০১৯ সালে সৌদি আরব বিশ্বে সবচেয়ে বেশি অস্ত্র আমদানিকারক দেশ হিসেবে স্থান দখল করে। এই পরিবর্তন বৈশ্বিক প্রতিরক্ষা খাতে রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক ভারসাম্যের পরিবর্তনের ইঙ্গিত বহন করে।
-
IHS একটি আন্তর্জাতিক গবেষণা ও বিশ্লেষণ সংস্থা, যা প্রতিরক্ষা, জ্বালানি, অর্থনীতি এবং প্রযুক্তি খাতে তথ্য সরবরাহ করে।
-
ভারত, ২০১৪ সালে সর্বোচ্চ অস্ত্র আমদানিকারক দেশ হিসেবে তালিকাভুক্ত হয় মূলত চীন ও পাকিস্তানের সঙ্গে সীমান্ত উত্তেজনার কারণে।
-
সৌদি আরব, ২০১৯ সালে শীর্ষে উঠে আসে মধ্যপ্রাচ্যের নিরাপত্তা উদ্বেগ, ইয়েমেন যুদ্ধ এবং সামরিক শক্তি বৃদ্ধির লক্ষ্যে ব্যাপক অস্ত্র ক্রয়ের কারণে।
-
সৌদি আরবের অধিকাংশ অস্ত্র সরবরাহকারী দেশ হলো যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য ও ফ্রান্স, যারা তাদের প্রতিরক্ষা চুক্তির মাধ্যমে বিশাল পরিমাণ সামরিক সরঞ্জাম সরবরাহ করে।
-
অন্যদিকে, ভারতও এখনো শীর্ষ কয়েকটি অস্ত্র আমদানিকারক দেশের মধ্যে রয়েছে, তবে ২০১৯ সালের পর থেকে দেশটি ‘Make in India’ উদ্যোগের মাধ্যমে নিজস্ব প্রতিরক্ষা উৎপাদনে জোর দিচ্ছে।
-
এই তথ্য বৈশ্বিক অস্ত্র বাজারে রাজনৈতিক প্রভাব, আঞ্চলিক সংঘাত ও প্রতিরক্ষা কৌশল কতটা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে তা স্পষ্টভাবে তুলে ধরে।
0
Updated: 15 hours ago
কালাপানি অঞ্চলটি নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে চলমান দ্বন্দ্ব রয়েছে কোন দুটি দেশের মধ্যে?
Created: 1 month ago
A
ভারত ও পাকিস্তান
B
ভারত ও নেপাল
C
ভারত ও চীন
D
কোনটি নয়
কালাপানি অঞ্চল নিয়ে ভারত ও নেপালের মধ্যে দীর্ঘদিন ধরে সীমান্ত দ্বন্দ্ব চলছে। যদিও এটি ভারতের উত্তরাখণ্ডে অবস্থিত, নেপাল তাদের মানচিত্রে এটিকে নিজস্ব ভূখণ্ড হিসেবে দাবি করে।
-
সীমান্ত দৈর্ঘ্য: ভারত ও নেপালের মধ্যে সীমান্তের মোট দৈর্ঘ্য ১,৬৯০ কিলোমিটার (১,০৫০ মাইল)।
-
বিরোধিত এলাকা: দীর্ঘদিন ধরে চলা সীমান্ত বিরোধের প্রধান ক্ষেত্র হলো কালাপানি, লিমপিয়াধুরা, লিপুলেখ এবং সুস্তা।
-
নতুন মানচিত্র (২০১৯): ২ নভেম্বর, ২০১৯ সালে ভারত নতুন একটি রাজনৈতিক মানচিত্র প্রকাশ করে, যেখানে বিতর্কিত ভূখণ্ডগুলির মধ্যে কালাপানি, লিমপিয়াধুরা ও লিপুলেখকে ভারতীয় সীমান্তের অন্তর্ভুক্ত দেখানো হয়েছে।
-
নেপালের প্রতিক্রিয়া: মানচিত্র প্রকাশের পর নেপাল এটি নিয়ে আপত্তি জানায়।
0
Updated: 1 month ago
ভারতের কোন শহরকে Wifi শহর বলা হয়?
Created: 3 days ago
A
দিল্লি
B
কলকাতা
C
বেঙ্গালুরু
D
জয়পুর
ভারতের প্রযুক্তি ও তথ্যপ্রযুক্তি শিল্পের প্রাণকেন্দ্র হিসেবে পরিচিত বেঙ্গালুরু (Bengaluru) শহরটি জনপ্রিয়ভাবে “WiFi শহর” নামে খ্যাত। আধুনিক তথ্যপ্রযুক্তির বিকাশ, ডিজিটাল পরিকাঠামোর বিস্তার এবং উচ্চমানের প্রযুক্তি-নির্ভর জীবনধারার কারণে এই উপাধি পেয়েছে বেঙ্গালুরু। একে অনেক সময় ভারতের “সিলিকন ভ্যালি” বলেও অভিহিত করা হয়, কারণ এটি তথ্যপ্রযুক্তি শিল্প, সফটওয়্যার উন্নয়ন এবং স্টার্টআপ সংস্কৃতির কেন্দ্রবিন্দু।
বেঙ্গালুরু শহরটি ভারতের দক্ষিণাঞ্চলের কর্ণাটক রাজ্যে অবস্থিত। স্বাধীনতার পর থেকেই এটি শিক্ষা, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিতে দ্রুত অগ্রগতি অর্জন করে। বিশেষত ১৯৯০-এর দশকে ভারতের অর্থনৈতিক উদারীকরণের পর থেকে শহরটি আন্তর্জাতিক প্রযুক্তি কোম্পানি ও সফটওয়্যার শিল্পের জন্য আকর্ষণীয় কেন্দ্র হিসেবে গড়ে ওঠে। Infosys, Wipro, IBM, Microsoft, Google, Amazon প্রভৃতি বিশ্বখ্যাত প্রতিষ্ঠান বেঙ্গালুরুর বিভিন্ন এলাকায় তাদের প্রধান কার্যালয় বা বড় আকারের অফিস স্থাপন করেছে।
“WiFi শহর” উপাধি পাওয়ার পেছনে মূল কারণ হলো শহরটির উন্নত ডিজিটাল অবকাঠামো। ভারতের প্রথম দিকের শহরগুলোর মধ্যে বেঙ্গালুরুই সর্বজনীন ফ্রি ও পাবলিক WiFi পরিষেবা চালু করে। শহরের বিভিন্ন পার্ক, ক্যাফে, অফিস জোন, রেলস্টেশন, বিমানবন্দর এবং শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে বিনামূল্যে ইন্টারনেট ব্যবহারের সুযোগ তৈরি করা হয়। এতে নাগরিকদের পাশাপাশি পর্যটক ও ব্যবসায়ীদের জন্যও যোগাযোগ ও তথ্য বিনিময় সহজ হয়ে ওঠে।
শহরটির প্রযুক্তিনির্ভর সংস্কৃতি এখানকার তরুণ প্রজন্মের মধ্যে স্টার্টআপ এবং উদ্ভাবনী উদ্যোগ গড়ে তুলতে সহায়তা করেছে। ভারতের মোট প্রযুক্তি স্টার্টআপের একটি বড় অংশই বেঙ্গালুরুতে অবস্থিত। শহরটিতে প্রতিদিন হাজারো প্রযুক্তিবিদ, সফটওয়্যার ডেভেলপার এবং উদ্যোক্তা তাদের উদ্ভাবনী প্রজেক্ট নিয়ে কাজ করেন। ফলে শহরটি আজ ভারতের ডিজিটাল অগ্রগতির প্রতীক হয়ে দাঁড়িয়েছে।
বেঙ্গালুরুর শিক্ষা ও গবেষণা প্রতিষ্ঠানগুলো যেমন Indian Institute of Science (IISc), Indian Institute of Management (IIM Bangalore), এবং বিভিন্ন ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজ—এই ডিজিটাল বিপ্লবের ভিত্তি আরও মজবুত করেছে। এসব প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থী ও গবেষকরা তথ্যপ্রযুক্তি, কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা, সাইবার নিরাপত্তা ও ডেটা সায়েন্সে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখছে।
এছাড়া শহরটির সরকারও “Digital Bengaluru” নামে একাধিক প্রকল্প হাতে নিয়েছে, যার মাধ্যমে নাগরিকদের জন্য অনলাইন সরকারি সেবা, স্মার্ট ট্রাফিক নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থা এবং ই-গভর্ন্যান্স প্রবর্তন করা হয়েছে। এর ফলে শহরটি ভারতের অন্যতম স্মার্ট সিটি মডেল হিসেবে পরিচিতি পেয়েছে।
সবশেষে বলা যায়, বেঙ্গালুরুকে ‘WiFi শহর’ বলা হয় কারণ এটি ভারতের ডিজিটাল বিপ্লবের সূতিকাগার, যেখানে প্রযুক্তি, সংযোগ ও উদ্ভাবনের মিলনে গড়ে উঠেছে এক আধুনিক নগর সংস্কৃতি। এই শহর আজ কেবল ভারতের নয়, বরং পুরো দক্ষিণ এশিয়ার তথ্যপ্রযুক্তি ও উদ্ভাবনের গর্বিত প্রতীক।
0
Updated: 3 days ago
'Aksai Chin' অঞ্চলটি নিয়ে চীন ও ভারতের মধ্যে কত সালে যুদ্ধ সংঘটিত হয়?
Created: 4 weeks ago
A
১৯৬২ সালে
B
১৯৪৮ সালে
C
১৯৭১ সালে
D
১৯৮৮ সালে
চীন–ভারত যুদ্ধ (Sino-Indian War, 1962)
-
সময়কাল: ২০ অক্টোবর ১৯৬২ – ২০ নভেম্বর ১৯৬২
-
যুদ্ধক্ষেত্র: আক্সাই চিন (Aksai Chin) এবং অরুণাচল প্রদেশ (তৎকালীন নর্থ ইস্ট ফ্রন্টিয়ার এজেন্সি)
-
মূল কারণ: সীমান্ত বিরোধ
-
আক্সাই চিন অঞ্চল নিয়ে দ্বন্দ্ব, যা চীন নিজের অংশ দাবি করে এবং ভারতও এটিকে নিজেদের অংশ মনে করে
-
চীন ১৯৫০-এর দশকের মধ্যে আক্সাই চিনে সড়ক নির্মাণ শুরু করলে ভারত বিরোধিতা করে
-
-
চীনের দাবি:
-
অরুণাচল প্রদেশকে "জ্যাং নান" বলে তিব্বতের অংশ হিসেবে দাবি
-
২৭টি স্থানের নাম চীনা অক্ষর, তিব্বতি ও পিনয়িন ভাষায় প্রকাশ এবং মানচিত্রে স্থানাঙ্কসহ প্রদর্শন
-
-
পরিণতি:
-
১৯৬২ সালের যুদ্ধের পরে চীন ভারতকে ব্যাপকভাবে পরাজিত করে
-
আংশিকভাবে আক্সাই চিনে নিজেদের দখল প্রতিষ্ঠিত করে
-
-
বর্তমান প্রভাব:
-
আক্সাই চিন আজও ভারত–চীনের মধ্যে সীমান্ত বিতর্ক ও উত্তেজনার কেন্দ্রবিন্দু
-
অঞ্চলটির কৌশলগত গুরুত্ব দুই দেশের সম্পর্কের জন্য গুরুত্বপূর্ণ সমস্যা হিসেবে রয়েছে
-
0
Updated: 4 weeks ago