Economist Intelligence Unit (2015)- এর মতে বিশ্বের সবচেয়ে ব্যায়বহুল শহর কোনটি?
A
সিঙ্গাপুর
B
জুরিখ
C
প্যারিস
D
অসলো
উত্তরের বিবরণ
Economist Intelligence Unit (EIU)–এর ২০১৫ সালের প্রতিবেদন অনুযায়ী, বিশ্বের সবচেয়ে ব্যয়বহুল শহর ছিল সিঙ্গাপুর। এই প্রতিষ্ঠানটি প্রতি বছর বিশ্বের বিভিন্ন শহরের জীবনযাত্রার ব্যয় তুলনা করে একটি সূচক প্রকাশ করে, যা আন্তর্জাতিকভাবে অত্যন্ত স্বীকৃত। নিচে বিষয়টি বিস্তারিতভাবে ব্যাখ্যা করা হলো।
-
২০১৫ সালে, Economist Intelligence Unit প্রকাশিত “Worldwide Cost of Living Survey”–এ সিঙ্গাপুরকে বিশ্বের সবচেয়ে ব্যয়বহুল শহর হিসেবে ঘোষণা করা হয়।
-
সিঙ্গাপুর টানা পাঁচ বছর (২০১৪–২০১৮) এই অবস্থান ধরে রাখে, যা অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতা ও উচ্চ জীবনযাত্রার ব্যয়ের প্রতিফলন।
-
২০১৯ সালে, প্রথমবারের মতো তিনটি শহর যৌথভাবে শীর্ষস্থানে আসে—সিঙ্গাপুর, হংকং, এবং প্যারিস।
-
এই তিন শহরের জীবনযাত্রার ব্যয় প্রায় সমান হওয়ায়, Economist Intelligence Unit তাদেরকে “jointly the world’s most expensive cities” হিসেবে ঘোষণা করে।
-
সিঙ্গাপুরে উচ্চ আবাসন খরচ, যানবাহনের ওপর কর, এবং সীমিত জমির কারণে জীবনযাত্রার ব্যয় বেশি।
-
হংকং-এর ক্ষেত্রে মূল কারণ ছিল জমির সংকট এবং রিয়েল এস্টেটের দাম বৃদ্ধি।
-
প্যারিসের উচ্চ ব্যয়ের পেছনে ভূমিকা রেখেছিল বিলাসবহুল পণ্য, রেস্তোরাঁর দাম এবং পরিবহন খরচ।
-
এই সূচকটি সাধারণত ১৬০টি পণ্য ও সেবার দাম বিবেচনা করে তৈরি হয়, যার মধ্যে খাদ্য, পোশাক, পরিবহন, শিক্ষা ও বিনোদন অন্তর্ভুক্ত।
অতএব, Economist Intelligence Unit–এর তথ্য অনুযায়ী, ২০১৫ সালে এককভাবে সিঙ্গাপুর, আর ২০১৯ সালে সিঙ্গাপুর, হংকং ও প্যারিস যৌথভাবে বিশ্বের সবচেয়ে ব্যয়বহুল শহরের শিরোনাম পায়।
0
Updated: 16 hours ago
অর্থনৈতিক স্বাধীনতা সূচক- ২০২৫ এ শীর্ষ দেশ কোনটি? [সেপ্টেম্বর, ২০২৫]
Created: 1 month ago
A
আইসল্যান্ড
B
সিঙ্গাপুর
C
সুইজারল্যান্ড
D
নরওয়ে
অর্থনৈতিক স্বাধীনতা সূচক ২০২৫ প্রকাশিত হয়েছে Index of Economic Freedom 2025 শিরোনামে, ফেব্রুয়ারি ২০২৫ সালে The Heritage Foundation, যুক্তরাষ্ট্র কর্তৃক। সূচকটি বিশ্বের ১৭৬টি দেশকে অন্তর্ভুক্ত করে।
-
সূচক অনুযায়ী শীর্ষ দেশ: সিঙ্গাপুর।
-
সর্বনিম্ন দেশ: উত্তর কোরিয়া।
-
বাংলাদেশের অবস্থান: ১২২তম।
-
সূচকটি প্রতিটি দেশের বাণিজ্য স্বাধীনতা, কর কাঠামো, সরকারি ব্যয়, নীতি স্থিতিশীলতা, আইনি কাঠামো ও বাজারের কার্যকারিতা বিবেচনা করে তৈরি করা হয়।
-
শীর্ষ অবস্থানের দেশগুলো সাধারণত উচ্চ বিনিয়োগের সুযোগ, উদ্ভাবনী পরিবেশ ও প্রগতিশীল নীতি দ্বারা চিহ্নিত।
-
নিম্ন অবস্থানের দেশগুলোতে সীমিত বাজার প্রবেশাধিকার, উচ্চ সরকারি নিয়ন্ত্রণ ও রাজনৈতিক অনিশ্চয়তা লক্ষ্য করা যায়।
-
সূচকের মাধ্যমে দেশগুলোকে তাদের অর্থনৈতিক সংস্কার এবং নীতি উন্নয়নের জন্য নির্দেশনা প্রদান করা হয়।
0
Updated: 1 month ago