কোন তারিখে ভারত সরকারের অনুমতিক্রমে বাংলাদেশ সরকার কবি কাজী নজরুল ইসলামকে সপরিবারে বাংলাদেশে নিয়ে আসেন?
A
১৯৭২ সালের ১৪ মে
B
১৯৭২ সালের ২৪ মে
C
১৯৭৪ সালের ১২ মে
D
১৯৭৪ সালের ২২ মে
উত্তরের বিবরণ
স্বাধীনতার পর বাংলাদেশের নবগঠিত সরকার দেশের সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যকে পুনর্জাগরিত করার অংশ হিসেবে কাজী নজরুল ইসলামকে জাতীয় মর্যাদায় স্বীকৃতি দেয়। ১৯৭২ সালের ২৪ মে ভারত সরকারের অনুমতিক্রমে তাঁকে তাঁর পরিবারসহ বাংলাদেশে নিয়ে আসা হয়, যা ছিল দেশের সাহিত্য ও সংস্কৃতির ইতিহাসে এক গৌরবময় ঘটনা।
-
কাজী নজরুল ইসলাম ছিলেন বাংলাদেশের জাতীয় কবি, যিনি বিদ্রোহ, মানবতা ও সাম্যের কবি হিসেবে খ্যাত।
-
১৯৭২ সালের ২৪ মে তাঁকে তাঁর পরিবারসহ ভারত সরকার অনুমোদিতভাবে বাংলাদেশে নিয়ে আসা হয়।
-
তাঁকে বাংলাদেশ সরকার জাতীয় কবির মর্যাদা প্রদান করে, যা ছিল তাঁর সাহিত্য ও অবদানের প্রতি শ্রদ্ধার প্রকাশ।
-
নজরুল ইসলামকে ঢাকায় ধানমন্ডির ৩২ নম্বর বাড়িতে কিছুদিন রাখা হয় এবং পরবর্তীতে তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় মসজিদের পাশে সমাহিত হন।
-
তাঁর আগমন বাংলাদেশের সাংস্কৃতিক পুনর্জাগরণের প্রতীক হয়ে ওঠে এবং কবির প্রতি জাতির ভালোবাসার এক ঐতিহাসিক দৃষ্টান্ত স্থাপন করে।
-
এই উদ্যোগের মাধ্যমে স্বাধীন বাংলাদেশের সরকার তাঁর বিপ্লবী চেতনা ও মানবতাবাদী দৃষ্টিভঙ্গিকে রাষ্ট্রীয়ভাবে স্বীকৃতি দেয়।
0
Updated: 17 hours ago
কোনটি কাজী নজরুল ইসলামের রচনা?
Created: 3 weeks ago
A
মরুশিখা
B
আসমানী
C
কাব্য আমপারা
D
চলে মুসাফির
‘কাব্য আমপারা’ (১৯৩৩) কাজী নজরুল ইসলামের অনুবাদ গ্রন্থটি পবিত্র কোরআনের বাংলা অনুবাদ হিসেবে অসামান্য কাব্যদক্ষতার পরিচয় বহন করে। কাজী নজরুল ইসলামের অনুবাদে কোরআনের আটত্রিশটি সূরা কবিতার ছন্দে ফুটিয়ে তোলা হয়েছে। তিনি আরবি ভাষার মূল অর্থ এবং অক্ষুন্নতা রক্ষা করে বাংলা ভাষার সরল ও যথাযথ শব্দ ব্যবহার করেছেন, যা বাংলা পাঠকের জন্য সহজ ও সাবলীল। এই অনুবাদ তাঁর কাব্যিক প্রতিভা ও ভাষাগত দক্ষতার স্বীকৃতি হিসেবে বিবেচিত।
নজরুলের পাশাপাশি অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ সাহিত্যকর্মসমূহ:
-
যতীন্দ্রনাথ সেনগুপ্ত রচিত কাব্য: মরুশিখা
-
কবি জসীম উদ্দীন রচিত কবিতা: আসমানী
-
জসীম উদ্দীন রচিত ভ্রমণকাহিনী: চলে মুসাফির
-
জসীম উদ্দীন রচিত নির্বাচিত কবিতার সংকলন: সূচয়নী
0
Updated: 3 weeks ago
কাজী নজরুল ইসলাম রচিত 'বাঁধন-হারা' পত্রোপন্যাসে মোট কয়টি পত্র রয়েছে?
Created: 4 months ago
A
১২ টি
B
১৪টি
C
১৭টি
D
১৮টি
বাঁধন-হারা:
- ‘বাঁধন-হারা’ কাজী নজরুল ইসলামের প্রথম উপন্যাস, যা প্রকাশিত হয় ১৯২৭ সালে।
- এটি বাংলা সাহিত্যের প্রথম পত্রোপন্যাস, যেখানে মোট ১৮টি পত্র অন্তর্ভুক্ত রয়েছে।
- নজরুল ইসলাম করাচিতে অবস্থানকালে এই উপন্যাস রচনা শুরু করেন।
- এটি মুসলিম ভারত পত্রিকায় ধারাবাহিকভাবে প্রকাশিত হয়।
- উপন্যাসটির প্রধান চরিত্র নুরুল হুদা, এবং অন্যান্য চরিত্রের মধ্যে রয়েছে মাহবুবা, রবিউল, রাবেয়া ও সোফিয়া।
কাজী নজরুল ইসলাম:
- তিনি বাংলাদেশের জাতীয় কবি এবং অবিভক্ত বাংলার সাহিত্য, সমাজ ও সংস্কৃতির অন্যতম শ্রেষ্ঠ ব্যক্তিত্ব।
- তাঁর জন্ম ১৩০৬ বঙ্গাব্দের ১১ জ্যৈষ্ঠ (২৪ মে ১৮৯৯) খ্রিস্টাব্দে, পশ্চিমবঙ্গের বর্ধমান জেলার চুরুলিয়া গ্রামে।
- বাংলা সাহিত্যে তিনি পরিচিত ‘বিদ্রোহী কবি’ হিসেবে এবং আধুনিক বাংলা গানে ‘বুলবুল’ নামে খ্যাত।
- ১৯৭২ সালের ২৪ মে, ভারত সরকারের অনুমতিক্রমে কবিকে সপরিবারে স্বাধীন বাংলাদেশে আনা হয়।
- ১৯৭৬ সালের জানুয়ারিতে, বাংলাদেশ সরকার তাঁকে নাগরিকত্ব প্রদান করে এবং ২১ ফেব্রুয়ারি তাঁকে ‘একুশে পদকে’ ভূষিত করে।
- কবি মৃত্যুবরণ করেন ২৯ আগস্ট ১৯৭৬ (১২ ভাদ্র ১৩৮৩), ঢাকার পিজি হাসপাতালে।
কাজী নজরুল ইসলাম রচিত উপন্যাস:
- বাঁধন-হারা
- মৃত্যুক্ষুধা
- কুহেলিকা
উৎস: বাংলা ভাষা ও সাহিত্য জিজ্ঞাসা, ড. সৌমিত্র শেখর।
0
Updated: 4 months ago
কোনটি জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম রচিত গ্রন্থ নয়?
Created: 1 month ago
A
ব্যথার দান
B
দোলনচাঁপা
C
সোনার তরী
D
শিউলিমালা
কাজী নজরুল ইসলাম বাংলাদেশের জাতীয় কবি এবং অবিভক্ত বাংলার সাহিত্য, সমাজ ও সংস্কৃতির অন্যতম শ্রেষ্ঠ ব্যক্তিত্ব। তিনি বাংলা সাহিত্যে “বিদ্রোহী কবি” হিসেবে খ্যাত এবং আধুনিক বাংলা গানের জগতে ‘বুলবুল’ নামে পরিচিত।
কাজী নজরুল ইসলাম ১৩০৬ বঙ্গাব্দের ১১ জ্যৈষ্ঠ (২৪ মে ১৮৯৯) পশ্চিমবঙ্গের বর্ধমান জেলার চুরুলিয়া গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। তাঁর ডাক নাম ছিল দুখু মিয়া।
-
কাব্যগ্রন্থ:
-
অগ্নিবীণা
-
সাম্যবাদী
-
ঝিঙে ফুল
-
দোলনচাঁপা
-
সিন্ধু হিন্দোল
-
চক্রবাক
-
নতুন চাঁদ
-
মরুভাস্কর
-
-
গল্পগ্রন্থ:
-
ব্যথার দান
-
রিক্তের বেদন
-
শিউলিমালা
-
-
নাটক:
-
ঝিলিমিলি
-
আলেয়া
-
উল্লেখযোগ্য, “সোনার তরী” রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের রচিত একটি বিখ্যাত কাব্যগ্রন্থ।
0
Updated: 1 month ago