বাংলা সাহিত্যের প্রথম সার্থক উপন্যাস হচ্ছে-
A
নয়নতারা
B
বিজয়বসন্ত
C
নববাবু বিলাস
D
দুর্গেশনন্দিনী
উত্তরের বিবরণ
বাংলা উপন্যাসের সূচনা পর্বে অনেক লেখক উপন্যাস রচনার চেষ্টা করলেও প্রকৃত সার্থকতা অর্জন করেছিল বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়ের লেখা ‘দুর্গেশনন্দিনী’। এটি বাংলা সাহিত্যের প্রথম পূর্ণাঙ্গ ও সার্থক উপন্যাস হিসেবে স্বীকৃত। ১৮৬৫ সালে প্রকাশিত এই উপন্যাস বাংলা সাহিত্যকে নতুন ধারা ও রূপ দেয়। নিচে এর প্রাসঙ্গিক কিছু তথ্য তুলে ধরা হলো।
• রচয়িতা ও প্রকাশকাল: উপন্যাসটি রচনা করেন বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায় (১৮৩৮–১৮৯৪)। এটি প্রকাশিত হয় ১৮৬৫ সালে। এটি ছিল তাঁর প্রথম উপন্যাস, যা পাঠকসমাজে বিপুল জনপ্রিয়তা পায়।
• কাহিনির পটভূমি: দুর্গেশনন্দিনীর কাহিনি মূলত সপ্তদশ শতাব্দীর বাংলার ঐতিহাসিক প্রেক্ষাপটে রচিত। এতে মুসলমান ও হিন্দু শাসকদের রাজনীতি, প্রেম, আনুগত্য ও সংঘাতের চিত্র বর্ণিত হয়েছে। কাহিনির মূল চরিত্র রাজা বীরেন্দ্রসিংহ ও দুর্গেশনন্দিনী।
• সাহিত্যিক বৈশিষ্ট্য: এই উপন্যাসে রয়েছে রোমান্স, বীরত্ব, ধর্মীয় সহনশীলতা ও মানবিকতার সমন্বয়। লেখক কাহিনির বিন্যাসে ইতিহাস ও কল্পনার মেলবন্ধন ঘটিয়েছেন, যা তৎকালীন পাঠকদের নতুন অভিজ্ঞতা দেয়।
• উপন্যাসটির প্রভাব: দুর্গেশনন্দিনীর মাধ্যমে বাংলা সাহিত্যে গদ্যভাষার পরিপক্বতা ও উপন্যাস রচনার শিল্পরূপ প্রতিষ্ঠিত হয়। পরবর্তীকালে বঙ্কিমচন্দ্রের ‘কপালকুণ্ডলা’, ‘আনন্দমঠ’, ‘কৃষ্ণকান্তের উইল’ প্রভৃতি উপন্যাসও এই ধারার বিকাশ ঘটায়।
• সার্থকতার কারণ: দুর্গেশনন্দিনীর কাহিনির গঠন, চরিত্রচিত্রণ, ভাষা, রোমান্টিক আবহ ও নাটকীয় বিন্যাস একে সার্থক উপন্যাসে পরিণত করেছে। এর মাধ্যমে বাংলা সাহিত্য ইউরোপীয় উপন্যাসধারার সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ গঠন ও শৈলী অর্জন করে।
• বাংলা উপন্যাসের সূচনা ধারা: দুর্গেশনন্দিনীর আগে ‘নববাবু বিলাস’ (১৮৫৫) ও ‘বিজয়বসন্ত’ (১৮৫৯) প্রকাশিত হলেও এগুলো সম্পূর্ণ উপন্যাস হিসেবে পরিপূর্ণতা লাভ করেনি। তাই সাহিত্যবিশারদদের মতে, ‘দুর্গেশনন্দিনী’ই প্রথম সার্থক বাংলা উপন্যাস।
• বাংলা সাহিত্যে গুরুত্ব: এটি বাংলা উপন্যাসের ভিত্তি স্থাপন করে এবং বঙ্কিমচন্দ্রকে “বাংলা উপন্যাসের জনক” উপাধিতে ভূষিত করে। উপন্যাসটি পরবর্তীকালে নাটক ও চলচ্চিত্র হিসেবেও জনপ্রিয়তা পায়।
সব মিলিয়ে, ‘দুর্গেশনন্দিনী’ বাংলা সাহিত্যে উপন্যাসের ধারাকে সুপ্রতিষ্ঠিত করে এবং এটি ইতিহাস, প্রেম ও দেশাত্মবোধের এক অসামান্য সংমিশ্রণ হিসেবে চিরস্মরণীয় হয়ে আছে।
0
Updated: 18 hours ago
বৈষ্ণব পদাবলির আদি নিদর্শন 'গীতগোবিন্দম্' কাব্যটি কার রচনা?
Created: 1 month ago
A
জয়দেব
B
বিদ্যাপতি
C
চণ্ডীদাস
D
মুকুন্দরাম চক্রবর্তী
‘গীতগোবিন্দম্’ কাব্য
-
রচয়িতা: জয়দেব
-
ধরণ: সংস্কৃত গীতিকাব্য, আদি বৈষ্ণব পদাবলির নিদর্শন
-
মূল বিষয়: রাধা–কৃষ্ণের প্রেমলীলা, যা জীবাত্মা–পরমাত্মার সম্পর্ক এবং নর–নারীর চিরন্তন প্রেমের প্রতীক হিসেবে উপস্থাপিত হয়েছে।
-
গঠন: ২৮৬টি শ্লোক এবং ২৪টি গীতের সমন্বয়ে ১২ সর্গে রচিত।
-
সর্গের নামকরণ: বর্ণিত বিষয় অনুযায়ী ১২টি ভিন্ন নাম দেওয়া হয়েছে।
-
সাহিত্যিক বৈশিষ্ট্য:
-
রাগমূলক গীতসমূহ কাব্যের শ্রেষ্ঠ সম্পদ।
-
চরণশেষে অন্তমিল ব্যবহার করা হয়েছে, যা সংস্কৃত সাহিত্যে বিরল।
-
-
প্রভাব: পরবর্তীকালের বাংলা পদাবলি সাহিত্যে এর গভীর প্রভাব রয়েছে।
-
গুরুত্ব: বৈষ্ণব সম্প্রদায় ও সাহিত্য-রসিকদের কাছে গীতগোবিন্দম্ এক সময় পরম শ্রদ্ধার বিষয় ছিল।
উৎস: বাংলাপিডিয়া
0
Updated: 1 month ago
যদি X একটি নির্দিষ্ট দিকে চলে, তাহলে নিচের কোনটি সত্য?
Created: 1 month ago
A
Y এবং Z ঘড়ির কাঁটার দিকে ঘুরবে
B
Y ঘড়ির কাঁটার দিকে ঘুরবে এবং Z ঘড়ির কাঁটার বিপরীত দিকে ঘুরবে
C
Y ঘড়ির কাঁটার বিপরীত দিকে ঘুরবে এবং Z ঘড়ির কাঁটার দিকে ঘুরবে
D
Y এবং Z বিপরীত ঘড়ির কাঁটার দিকে ঘুরবে
প্রশ্ন: যদি X একটি নির্দিষ্ট দিকে চলে, তাহলে-
সমাধান:
আমরা জানি,
পরস্পর সংযুক্ত দুটি চাকা সমান্তরাল-বেল্ট দ্বারা যুক্ত থাকলে একই দিকে ঘুরবে।
প্রদত্ত চিত্রে X চাকাটি ঘড়ির কাঁটার দিকে ঘুরছে এবং চাকাগুলো সমান্তরাল বেল্ট দ্বারা যুক্ত আছে, তাই Y ও Z চাকাটি ঘড়ির কাঁটার দিকে ঘুরবে।
0
Updated: 1 month ago
মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়ের আসল নাম কী?
Created: 1 month ago
A
প্রভাতকুমার বন্দ্যোপাধ্যায়
B
প্রবোধকুমার বন্দ্যোপাধ্যায়
C
প্রভাতকুমার শর্মা
D
প্রবোধকুমার শর্মা
মানিক বন্দ্যোপাধ্যায় ছিলেন ত্রিশোত্তর বাংলা কথাসাহিত্যের একজন প্রভাবশালী এবং শক্তিমান লেখক। তিনি ১৯০৮ খ্রিষ্টাব্দের ২৯ মে পিতার কর্মস্থল বিহারের সাঁওতাল পরগনার দুমকা শহরে জন্মগ্রহণ করেন। তাঁর পৈতৃক নিবাস ছিল ঢাকা জেলার বিক্রমপুরের নিকট মালবদিয়া গ্রামে। প্রকৃত নাম প্রবোধকুমার, এবং ‘মানিক’ ছিল তাঁর ডাকনাম।
মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়ের সাহিত্যকর্মে বাংলার সামাজিক, রাজনৈতিক ও মানবিক বাস্তবতার জীবন্ত চিত্র পাওয়া যায়। তাঁর উপন্যাসগুলোতে সাধারণ মানুষের জীবন, সংগ্রাম ও সম্পর্কের জটিলতা গভীরভাবে ফুটে ওঠে।
মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়ের রচিত উল্লেখযোগ্য উপন্যাসসমূহ
-
জননী
-
দিবারাত্রির কাব্য
-
পদ্মানদীর মাঝি
-
পুতুলনাচের ইতিকথা
-
শহরতলী
-
চিহ্ন
-
চতুষ্কোণ
-
সার্বজনীন
-
আরোগ্য
0
Updated: 1 month ago