প্রত্যেক শিশুই কোন না কোন বিষয়ে বুদ্ধিমান -কথাটি কার তত্ত্বে পাওয়া যায়?
A
জ্যাঁ পিয়াজেঁ
B
প্যাভলভ
C
হাওয়ার্ড গার্ডনার
D
স্কিনার
উত্তরের বিবরণ
হাওয়ার্ড গার্ডনার এর মতে, প্রত্যেক শিশুই কোনো না কোনো বিষয়ে বুদ্ধিমান। তিনি বিশ্বাস করতেন যে মানুষের বুদ্ধিমত্তা একমাত্র নয়, বরং এটি বিভিন্ন রকমের ক্ষমতা ও দক্ষতার সমষ্টি। এই ধারণাই পরে পরিচিত হয় Multiple Intelligence Theory বা বহুবুদ্ধি তত্ত্ব নামে। নিচে এই তত্ত্বের মূল দিকগুলো সংক্ষেপে তুলে ধরা হলো।
-
হাওয়ার্ড গার্ডনার ছিলেন হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের একজন মার্কিন মনোবিজ্ঞানী। তিনি ১৯৮৩ সালে তাঁর বিখ্যাত গ্রন্থ Frames of Mind: The Theory of Multiple Intelligences প্রকাশ করেন। এখানেই প্রথম বহুবুদ্ধি তত্ত্বের পূর্ণাঙ্গ ব্যাখ্যা পাওয়া যায়।
-
তাঁর মতে, মানুষের বুদ্ধিমত্তা শুধু ভাষা বা গণিত বোঝার ক্ষমতায় সীমাবদ্ধ নয়। বরং প্রত্যেক মানুষের মধ্যে আলাদা ধরনের প্রতিভা বা সক্ষমতা বিদ্যমান থাকে যা নির্দিষ্ট ক্ষেত্রে তাকে বুদ্ধিমান করে তোলে।
-
গার্ডনার মোট আট ধরনের বুদ্ধিমত্তা চিহ্নিত করেন —
-
ভাষাগত বুদ্ধিমত্তা (Linguistic Intelligence): কথা বলা, লেখা ও ভাষা ব্যবহার করার দক্ষতা।
-
যুক্তিনির্ভর-গাণিতিক বুদ্ধিমত্তা (Logical-Mathematical Intelligence): বিশ্লেষণ, সমস্যা সমাধান ও গণনার ক্ষমতা।
-
স্থানিক বুদ্ধিমত্তা (Spatial Intelligence): চিত্র, রঙ, স্থান ও আকার নিয়ে চিন্তা করার ক্ষমতা।
-
সঙ্গীতবুদ্ধি (Musical Intelligence): সুর, তাল ও সঙ্গীত বোঝা ও সৃষ্টি করার ক্ষমতা।
-
শারীরিক বা কাইনেস্টেটিক বুদ্ধিমত্তা (Bodily-Kinesthetic Intelligence): শরীরের অংশ নিয়ন্ত্রণ ও দক্ষভাবে ব্যবহারের ক্ষমতা, যেমন—নৃত্য বা ক্রীড়া।
-
আন্তঃব্যক্তিক বুদ্ধিমত্তা (Interpersonal Intelligence): অন্যদের অনুভূতি ও আচরণ বোঝার ক্ষমতা।
-
অন্তর্ব্যক্তিক বুদ্ধিমত্তা (Intrapersonal Intelligence): নিজের অনুভূতি, চিন্তা ও লক্ষ্য সম্পর্কে সচেতনতা।
-
প্রাকৃতিক বুদ্ধিমত্তা (Naturalistic Intelligence): প্রকৃতি, উদ্ভিদ, প্রাণী ও পরিবেশ সম্পর্কিত জ্ঞান ও আগ্রহ।
-
-
এই তত্ত্বের মূল বার্তা হলো—সব শিশুই কোনো না কোনো ক্ষেত্রে প্রতিভাবান। কেউ সঙ্গীতে, কেউ গণিতে, কেউ চিত্রাঙ্কনে, কেউ আবার মানুষের অনুভূতি বোঝায় দক্ষ হতে পারে।
-
গার্ডনারের তত্ত্ব শিক্ষা ব্যবস্থায় বড় পরিবর্তন আনে। আগে যেখানে শুধু ভাষা ও গণিতকেই বুদ্ধিমত্তার মাপকাঠি হিসেবে দেখা হতো, সেখানে এখন শিল্প, ক্রীড়া, নেতৃত্ব বা প্রাকৃতিক জ্ঞানকেও সমান গুরুত্ব দেওয়া হয়।
-
এই তত্ত্ব শিক্ষকদের শেখায় যে, শিক্ষার্থীদের তুলনা না করে তাদের নিজস্ব প্রতিভা চিহ্নিত ও বিকাশে সাহায্য করতে হবে।
-
বর্তমানে সারা বিশ্বের শিক্ষা ব্যবস্থা, বিশেষ করে শিশু মনোবিজ্ঞান ও আধুনিক শিক্ষণ পদ্ধতিতে গার্ডনারের বহুবুদ্ধি তত্ত্ব বিশেষভাবে প্রভাব ফেলেছে।
অতএব, “প্রত্যেক শিশুই কোনো না কোনো বিষয়ে বুদ্ধিমান” — এই কথাটি হাওয়ার্ড গার্ডনারের বহুবুদ্ধি তত্ত্বের মূল ভিত্তি, যা প্রতিটি শিশুর আলাদা প্রতিভা ও ক্ষমতাকে স্বীকৃতি দেয়।
0
Updated: 18 hours ago
∫(1/x)dx = ?
Created: 1 week ago
A
ln| x |+c
B
log₁₀x+c
C
-(1/x²)
D
-(1/2x²)
∫(1/x)dx = ?
ধাপ ১: ∫(1/x)dx এর সমাধান করার জন্য আমরা জানি, ∫(1/x)dx = ln|x| + C (এটি মৌলিক ইন্টিগ্রাল ফর্ম)।
অতএব, সঠিক উত্তর হবে:
উত্তরঃ ক) ln| x |+c
0
Updated: 1 week ago
শিখন-শেখানো প্রক্রিয়ায় কাকে বেশি গুরুত্ব দেওয়া প্রয়োজন ?
Created: 1 day ago
A
শিক্ষা প্রশাসক
B
শ্রেণি পরিদর্শক
C
শিক্ষক
D
শিক্ষার্থী
শিখন-শেখানো প্রক্রিয়ায় সবচেয়ে বেশি গুরুত্ব দেওয়া উচিত শিক্ষার্থীর প্রতি। এটি একটি মৌলিক দৃষ্টিভঙ্গি, যা নিশ্চিত করে যে শেখার প্রক্রিয়া কার্যকর এবং ফলপ্রসূ হয়। যদিও শিক্ষক, শ্রেণি পরিদর্শক এবং শিক্ষা প্রশাসকও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন, তবে শিক্ষার্থীই মূল উদ্দেশ্য। তাদের চাহিদা, আগ্রহ এবং শেখার প্রক্রিয়া যতটুকু পারফেক্ট হবে, ততই প্রক্রিয়াটি সফল হবে।
-
শিক্ষার্থী শিখন প্রক্রিয়ার কেন্দ্রবিন্দু। তাদের প্রয়োজনীয়তা এবং আগ্রহ অনুযায়ী পাঠদান পদ্ধতি কাস্টমাইজ করলে তাদের শিক্ষার মান বৃদ্ধি পায়। শিক্ষার্থীকে সক্রিয়ভাবে পাঠদান প্রক্রিয়ায় অংশগ্রহণ করতে উদ্বুদ্ধ করা, তাদের জিজ্ঞাসা এবং ভাবনা শোনার মাধ্যমে শিক্ষার গুণগত মান উন্নত করা সম্ভব।
-
শিক্ষক অবশ্যই গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন, তবে তাদের কাজ শিক্ষার্থীদেরকে সহায়তা করা এবং তাদের শেখার প্রক্রিয়া সহজ করা। শিক্ষককে সহানুভূতিশীল ও কার্যকরী হতে হয়, যাতে তারা শিক্ষার্থীদের চাহিদা এবং উন্নতির দিকে নজর রাখেন।
-
শ্রেণি পরিদর্শক সাধারণত পাঠদান পদ্ধতি এবং শিক্ষার মানের তদারকি করেন। তবে তারা সরাসরি শিখন প্রক্রিয়ায় অংশ নেন না, শুধু প্রক্রিয়াটির সঠিকতা এবং কার্যকারিতা নিশ্চিত করেন।
-
শিক্ষা প্রশাসক প্রতিষ্ঠানগুলোর নীতিমালা ও পরিকল্পনা তৈরি করেন। তাদের কাজ শিখন প্রক্রিয়ার উপকরণ এবং পরিবেশ তৈরি করা, কিন্তু শিক্ষার্থীদের শেখার অভ্যন্তরীণ প্রক্রিয়ায় সরাসরি প্রভাব নেই।
এইভাবে, শিক্ষার্থীদের প্রতি প্রধান গুরুত্ব দিয়ে একটি কার্যকর এবং ফলপ্রসূ শিক্ষা ব্যবস্থা গড়ে তোলা সম্ভব।
0
Updated: 1 day ago
স্ট্রোক শরীরের কোন অংশের রোগ?
Created: 2 days ago
A
মস্তিষ্ক
B
যকৃত
C
কিডনি
D
প্লীহা
স্ট্রোক হলো এমন একটি জটিল রোগ যা সরাসরি মস্তিষ্কের কার্যক্রমকে ব্যাহত করে। এটি সাধারণত ঘটে যখন মস্তিষ্কে রক্তপ্রবাহ হঠাৎ বন্ধ হয়ে যায় বা রক্তনালী ফেটে রক্তক্ষরণ হয়। ফলে মস্তিষ্কের নির্দিষ্ট অংশে অক্সিজেন ও পুষ্টির অভাব ঘটে, যা সেই অংশের কোষগুলোকে নষ্ট করে ফেলে। তাই স্ট্রোককে মস্তিষ্কজনিত রোগ বলা হয় এবং এটি মানবদেহে মৃত্যুর অন্যতম প্রধান কারণ।
-
স্ট্রোকের মূল কারণ হলো মস্তিষ্কে রক্ত সরবরাহে বিঘ্ন ঘটানো। সাধারণত দুটি কারণে এটি ঘটে—একটি ইস্কেমিক স্ট্রোক, যেখানে রক্তনালী ব্লক হয়ে যায়, এবং অন্যটি হেমোরেজিক স্ট্রোক, যেখানে রক্তনালী ফেটে যায়।
-
মস্তিষ্কে রক্তপ্রবাহ বন্ধ হলে সেখানে থাকা স্নায়ুকোষগুলো (neurons) দ্রুত ক্ষতিগ্রস্ত হয়, কারণ তারা অক্সিজেন ও গ্লুকোজের উপর নির্ভরশীল। এই ক্ষতি কয়েক মিনিটের মধ্যেই স্থায়ী মস্তিষ্কজনিত অক্ষমতা সৃষ্টি করতে পারে।
-
স্ট্রোক সাধারণত হঠাৎ কথা জড়িয়ে যাওয়া, দৃষ্টিশক্তি হারানো, শরীরের এক পাশ অবশ হয়ে যাওয়া, বা চলাফেরায় ভারসাম্য হারানোর মাধ্যমে প্রকাশ পায়।
-
বয়স, উচ্চ রক্তচাপ, ডায়াবেটিস, ধূমপান, এবং অতিরিক্ত চর্বিযুক্ত খাবার গ্রহণ স্ট্রোকের ঝুঁকি বাড়ায়।
-
চিকিৎসাবিজ্ঞানে স্ট্রোককে কখনও কখনও “Brain Attack” বলা হয়, কারণ এটি হার্ট অ্যাটাকের মতোই হঠাৎ ঘটে এবং দ্রুত চিকিৎসা প্রয়োজন।
-
স্ট্রোক হলে মস্তিষ্কের ক্ষতিগ্রস্ত অংশ অনুযায়ী শারীরিক ও মানসিক সমস্যা দেখা দেয়। যেমন—কথা বলা ও বোঝার অসুবিধা, হাত-পা অবশ হওয়া, মুখ বেঁকে যাওয়া বা স্মৃতিভ্রংশ।
-
দ্রুত চিকিৎসা না হলে মস্তিষ্কের টিস্যু স্থায়ীভাবে নষ্ট হয়ে যায়, যা স্থায়ী পঙ্গুত্ব বা মৃত্যুর কারণ হতে পারে।
-
চিকিৎসার ক্ষেত্রে প্রথম কয়েক ঘণ্টা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। ইস্কেমিক স্ট্রোকে রক্ত জমাট গলানোর ওষুধ (thrombolytic therapy) দেওয়া হয়, আর হেমোরেজিক স্ট্রোকে রক্তপাত বন্ধ করার পদক্ষেপ নেওয়া হয়।
-
প্রতিরোধে নিয়মিত ব্যায়াম, রক্তচাপ ও রক্তে চর্বি নিয়ন্ত্রণ, এবং সুষম খাদ্যাভ্যাস অত্যন্ত জরুরি।
-
যারা স্ট্রোক থেকে বেঁচে যান, তাদের পুনর্বাসনের জন্য ফিজিওথেরাপি, স্পিচ থেরাপি ও মানসিক সহায়তা প্রয়োজন হয়।
সব মিলিয়ে বলা যায়, স্ট্রোক হলো মস্তিষ্কের রোগ, যা রক্ত সরবরাহে বাধার কারণে ঘটে। এটি একদিকে প্রাণঘাতী, অন্যদিকে স্থায়ী শারীরিক অক্ষমতারও কারণ হতে পারে। তাই প্রাথমিক লক্ষণ দেখা দিলে দ্রুত চিকিৎসা নেওয়াই সবচেয়ে কার্যকর প্রতিরোধ।
0
Updated: 2 days ago