নব্য সাক্ষর ব্যক্তির সাক্ষরতা ধরে রাখার জন্য কোন ধরনের শিক্ষা প্রতিষ্ঠান চালুর পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে।
A
আনন্দ বিদ্যালয়
B
গ্রাম শিক্ষা মিলন কেন্দ্র
C
গণবিদ্যালয়
D
শিখন কেন্দ্র
উত্তরের বিবরণ
নব্য সাক্ষর ব্যক্তিদের সাক্ষরতা ধরে রাখার জন্য সরকার একটি বিশেষ উদ্যোগ নিয়েছে, যার মাধ্যমে তারা অর্জিত জ্ঞান নিয়মিতভাবে চর্চা করতে পারে। এই উদ্দেশ্যে চালু করার পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে গ্রাম শিক্ষা মিলন কেন্দ্র। এটি মূলত প্রাথমিক সাক্ষরতা অর্জনের পর মানুষকে টিকিয়ে রাখার এবং বাস্তব জীবনে সেই জ্ঞানের প্রয়োগ ঘটানোর একটি কার্যকর উদ্যোগ।
• গ্রাম শিক্ষা মিলন কেন্দ্র হলো একটি অপ্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, যেখানে প্রাপ্তবয়স্ক ও নব্য সাক্ষর ব্যক্তিরা নিয়মিত মিলিত হয়ে পড়াশোনা, আলোচনা ও জ্ঞানচর্চা করেন।
• এই কেন্দ্রগুলোর মূল উদ্দেশ্য হলো— সাক্ষরতা অর্জনের পর শিক্ষার্থীরা যেন আবার নিরক্ষর হয়ে না পড়ে, বরং তারা শেখা বিষয়গুলোর অনুশীলন চালিয়ে যেতে পারে।
• এসব কেন্দ্রে বয়সভেদে উপযোগী শিক্ষা, যেমন— দৈনন্দিন জীবন দক্ষতা, কৃষি, স্বাস্থ্য, পরিবেশ, পারিবারিক সচেতনতা ও সামাজিক দায়িত্ববোধ বিষয়ক পাঠ প্রদান করা হয়।
• গ্রাম শিক্ষা মিলন কেন্দ্রগুলো সাধারণত স্থানীয় সম্প্রদায়, এনজিও ও সরকারের যৌথ ব্যবস্থাপনায় পরিচালিত হয়।
• এই কেন্দ্রগুলো নব্য সাক্ষরদের জন্য আজীবন শিক্ষা (Lifelong Learning) এর সুযোগ তৈরি করে, যাতে তারা সমাজে সক্রিয় ভূমিকা রাখতে পারে।
• এতে নারী ও পুরুষ উভয়েই অংশ নিতে পারে, তবে বিশেষভাবে নারীদের অংশগ্রহণ বাড়ানোর ওপর গুরুত্ব দেওয়া হয়।
• এসব কেন্দ্রে বই, পত্রিকা, সংবাদপত্র ও শিক্ষামূলক সামগ্রী রাখা হয়, যাতে শিক্ষার্থীরা নিয়মিত পাঠাভ্যাস গড়ে তুলতে পারে।
• নব্য সাক্ষরদের আর্থিক ও সামাজিক উন্নয়নে সহযোগিতা করার পাশাপাশি তাদের আত্মনির্ভরশীল করতে নানা বৃত্তিমূলক প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়।
• এই কর্মসূচি জাতীয় শিক্ষা নীতি ২০১০ এবং টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা (SDG-4) এর সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ, যেখানে সবার জন্য অন্তর্ভুক্তিমূলক ও মানসম্মত শিক্ষা নিশ্চিত করার লক্ষ্য নির্ধারিত হয়েছে।
• গ্রাম শিক্ষা মিলন কেন্দ্রের মাধ্যমে নব্য সাক্ষররা শুধু পড়া-লেখা শেখে না, বরং সমাজে সচেতন নাগরিক হিসেবে দায়িত্ব পালন করতেও উদ্বুদ্ধ হয়।
• এই উদ্যোগের ফলে গ্রামীণ অঞ্চলে শিক্ষা, তথ্যপ্রযুক্তি ও সামাজিক পরিবর্তনের বিস্তার ঘটছে, যা নিরক্ষরতা দূরীকরণে একটি বড় পদক্ষেপ।
সবশেষে বলা যায়, গ্রাম শিক্ষা মিলন কেন্দ্র হলো বাংলাদেশের সাক্ষরতা আন্দোলনের ধারাবাহিক প্রচেষ্টার অংশ, যা নব্য সাক্ষর জনগোষ্ঠীকে শিক্ষিত, সচেতন ও সমাজে কার্যকর নাগরিক হিসেবে গড়ে তুলতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে।
0
Updated: 18 hours ago
উত্তরা গণভবন কোথায় অবস্থিত?
Created: 3 days ago
A
রাজশাহী
B
নওগাঁ
C
বগুড়া
D
নাটোর
উত্তরা গণভবন হলো বাংলাদেশের জাতীয় স্বীকৃতির একটি ঐতিহাসিক ও রাজনৈতিক স্থান, যা নাটোর জেলায় অবস্থিত। এটি মূলত বাংলাদেশের সাবেক রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রীদের ব্যবহারের জন্য সরকারিভাবে সংরক্ষিত। এর নামকরণ ও কার্যকারিতা রাজনৈতিক ও প্রশাসনিক গুরুত্বপূর্ণ কর্মকাণ্ডের সঙ্গে যুক্ত।
উত্তরা গণভবনের ইতিহাস ও গুরুত্ব বোঝার জন্য জানা দরকার, এটি মূলত রাজনৈতিক বৈঠক, সরকারি অনুষ্ঠান এবং বিশেষ অতিথি আপ্যায়নের জন্য ব্যবহৃত একটি সরকারি ভবন। এখানে দেশের গুরুত্বপূর্ণ রাষ্ট্রীয় কাজকর্ম এবং প্রশাসনিক সিদ্ধান্ত গ্রহণের জন্য প্রাথমিকভাবে ব্যবহৃত হয়। স্থানীয় প্রশাসন এবং কেন্দ্রীয় সরকারের সহযোগিতায় এর রক্ষণাবেক্ষণ নিশ্চিত করা হয়।
নাটোরের অবস্থান ও পরিবেশ এই ভবনের গুরুত্ব আরও বাড়িয়ে দিয়েছে। শহরটি ঢাকার তুলনায় শান্ত এবং প্রাকৃতিকভাবে সুন্দর, যা রাজনৈতিক ও প্রশাসনিক কর্মকাণ্ডের জন্য উপযুক্ত পরিবেশ সৃষ্টি করে। এখানকার ভৌগোলিক সুবিধা এবং নিরাপদ পরিবেশ ভবনের কার্যকারিতা এবং নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে সহায়ক।
উত্তরা গণভবনের স্থাপত্য ও নির্মাণ কৌশলও আকর্ষণীয়। এটি আধুনিক স্থাপত্যশৈলীতে নির্মিত হলেও, স্থানীয় স্থাপত্যশৈলীর ছোঁয়া রয়েছে। বিভিন্ন কক্ষে অফিস, সভা কক্ষ এবং অতিথি আপ্যায়নের ব্যবস্থা রয়েছে। ভবনের চারপাশে ল্যান্ডস্কেপিং ও সবুজায়ন করা হয়েছে, যা প্রশাসনিক কর্মকাণ্ডের পাশাপাশি দর্শনার্থীদের মনও আনন্দ দেয়।
এই ভবন শুধু প্রশাসনিক কাজের কেন্দ্র নয়, বরং এটি বাংলাদেশের রাজনৈতিক ইতিহাসে ও সাংস্কৃতিক চেতনায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। রাষ্ট্রীয় অনুষ্ঠান, সম্মেলন এবং বিশেষ সভার জন্য এটি প্রাথমিকভাবে ব্যবহার করা হয়।
সবশেষে বলা যায়, উত্তরা গণভবন নাটোর জেলায় অবস্থিত এবং এটি বাংলাদেশের রাজনৈতিক ও প্রশাসনিক কর্মকাণ্ডের একটি গুরুত্বপূর্ণ কেন্দ্র হিসেবে পরিচিত। এটি দেশের রাষ্ট্রীয় কর্মকাণ্ড, রাজনৈতিক সভা এবং সরকারি অতিথি আপ্যায়নের ক্ষেত্রে একটি মূল স্থান হিসেবে বিবেচিত হয়।
0
Updated: 3 days ago
তুরস্কের বিচ্ছিন্নতাবাদী দল Kurdistan Workers' Party বা PKK এর প্রতিষ্ঠাতা কে?
Created: 3 weeks ago
A
জালাল তালাবানী
B
মাসুদ বারজানী
C
মাজলুম আবদি
D
আবদুল্লাহ ওচালান
তুরস্কের বিচ্ছিন্নতাবাদী দল Kurdistan Workers' Party (PKK)-এর প্রতিষ্ঠাতা হলেন আবদুল্লাহ ওচালান। এটি একটি কুর্দি জাতীয়তাবাদী রাজনৈতিক ও সামরিক সংগঠন, যা তুরস্কসহ ইরান, ইরাক ও সিরিয়ায় কুর্দিদের অধিকার আদায়ে কাজ করে আসছে।
প্রতিষ্ঠা: ১৯৭৮ সালে আবদুল্লাহ ওচালানের নেতৃত্বে।
-
প্রকৃতি: শুরুতে সাম্যবাদী বিপ্লবী গোষ্ঠী হিসেবে আত্মপ্রকাশ করে।
-
মূল লক্ষ্য: স্বাধীন কুর্দিস্তান প্রতিষ্ঠা; পরবর্তীতে আঞ্চলিক স্বায়ত্তশাসন ও সাংস্কৃতিক অধিকারে গুরুত্ব দেয়।
-
আদর্শ: বিপ্লবী মার্কসবাদ-লেনিনবাদ ও বিচ্ছিন্নতাবাদী জাতীয়তাবাদ।
-
কার্যক্রম: ১৯৮৪ সাল থেকে তুরস্কের বিরুদ্ধে সশস্ত্র বিদ্রোহ পরিচালনা করছে।
-
লক্ষ্যবস্তু: তুরস্কের পুলিশ, সামরিক বাহিনী, অর্থনৈতিক ও সামাজিক অবকাঠামো।
-
আন্তর্জাতিক অবস্থান: যুক্তরাষ্ট্র, ইউরোপীয় ইউনিয়ন, কানাডা ও অস্ট্রেলিয়াসহ বহু দেশ পিকেকে-কে সন্ত্রাসী সংগঠন হিসেবে ঘোষণা করেছে।
-
সাম্প্রতিক ঘটনা: ১ মার্চ ২০২৫ সালে পিকেকে ৪০ বছরের সংঘাতের অবসান ঘটাতে যুদ্ধবিরতি ঘোষণা করে।
0
Updated: 3 weeks ago
প্রাদেশিক স্বায়ত্তশাসন বলতে কি বুঝায়?
Created: 2 weeks ago
A
কেন্দ্রীয় সরকারের সম্পূর্ণ কর্তৃত্ব
B
প্রদেশের সকল বিষয়ে কেন্দ্রের নির্দেশ
C
কেন্দ্রে ও প্রদেশের মধ্যে ক্ষমতার বণ্টন
D
শুধুমাত্র প্রতিরক্ষা ব্যবস্থার নিয়ন্ত্রণ
প্রাদেশিক স্বায়ত্তশাসন এমন একটি শাসনব্যবস্থা, যেখানে কেন্দ্রীয় সরকার এবং প্রাদেশিক বা রাজ্য সরকার—দুই স্তরের সরকারের মধ্যে দায়িত্ব ও ক্ষমতার সুষম বণ্টন থাকে। এর উদ্দেশ্য হলো প্রশাসনিক দক্ষতা বৃদ্ধি, স্থানীয় চাহিদা অনুযায়ী সিদ্ধান্ত গ্রহণ এবং জাতীয় ঐক্য রক্ষা করা।
প্রাদেশিক স্বায়ত্তশাসনের মূল বৈশিষ্ট্যগুলো হলো:
-
ক্ষমতার বণ্টন: রাষ্ট্রের সংবিধান অনুযায়ী কেন্দ্র ও প্রদেশের মধ্যে ক্ষমতা ভাগ করা হয়। যেমন—প্রতিরক্ষা, পররাষ্ট্রনীতি ও মুদ্রা নিয়ন্ত্রণ থাকে কেন্দ্রের হাতে; অন্যদিকে শিক্ষা, স্বাস্থ্য, কৃষি ইত্যাদি স্থানীয় বিষয়ে প্রদেশের হাতে থাকে।
-
স্বাধীন সিদ্ধান্তের অধিকার: প্রদেশগুলোর নিজস্ব আইন প্রণয়ন, বাজেট তৈরি এবং প্রশাসনিক সিদ্ধান্ত গ্রহণের ক্ষমতা থাকে, তবে এগুলো কেন্দ্রীয় সংবিধান বা নীতির বিরোধী হতে পারে না।
-
কেন্দ্রের তত্ত্বাবধান: প্রাদেশিক সরকারের কার্যক্রম কেন্দ্রীয় সরকারের নির্দেশনা বা তত্ত্বাবধানে চলে, যাতে জাতীয় ঐক্য বজায় থাকে এবং সাংবিধানিক সীমা অতিক্রম না করে।
-
অর্থনৈতিক সম্পর্ক: প্রদেশগুলো সাধারণত কেন্দ্রীয় সরকারের কাছ থেকে বাজেট অনুদান বা আর্থিক সহায়তা পায়। একইভাবে তারা কেন্দ্রকে বার্ষিক রাজস্ব বা কর প্রদান করে।
-
উদ্দেশ্য ও গুরুত্ব:
-
স্থানীয় সমস্যার দ্রুত সমাধান নিশ্চিত করা।
-
প্রশাসনিক দক্ষতা বৃদ্ধি করা।
-
জাতীয় ঐক্যের পাশাপাশি আঞ্চলিক উন্নয়ন ঘটানো।
-
জনগণের অংশগ্রহণমূলক শাসনব্যবস্থা প্রতিষ্ঠা করা।
-
-
উদাহরণ: ভারত, যুক্তরাষ্ট্র, কানাডা ইত্যাদি দেশে এই ধরনের প্রাদেশিক স্বায়ত্তশাসন বা ফেডারেল ব্যবস্থা বিদ্যমান, যেখানে প্রতিটি রাজ্য বা প্রদেশ নিজস্ব সংবিধান অনুযায়ী পরিচালিত হয়।
সারসংক্ষেপে, প্রাদেশিক স্বায়ত্তশাসন হলো এমন একটি সাংবিধানিক ব্যবস্থা যেখানে কেন্দ্র ও প্রদেশের মধ্যে ক্ষমতা ভাগ করে দেওয়া হয়, যাতে উভয় স্তরের সরকার নির্দিষ্ট সীমার মধ্যে থেকে দায়িত্ব পালন করতে পারে। এটি প্রশাসনিক ভারসাম্য, আঞ্চলিক উন্নয়ন ও গণতান্ত্রিক শাসনের ভিত্তি তৈরি করে।
0
Updated: 2 weeks ago