'অহি-নকুল' শব্দটি কোন নিয়মে গঠিত হয়েছে?
A
প্রত্যয়
B
সমাস
C
সন্ধি
D
উপসর্গ
উত্তরের বিবরণ
‘অহি-নকুল’ শব্দটি সমাস নিয়মে গঠিত হয়েছে। এটি এমন একটি গঠনপ্রণালী যেখানে দুই বা ততোধিক শব্দ একত্রে মিলিত হয়ে একটি নতুন শব্দ তৈরি করে, কিন্তু প্রত্যেকটি অংশের অর্থ নিজস্বভাবে বজায় থাকে। ‘অহি’ অর্থ সাপ এবং ‘নকুল’ অর্থ বেজি—দুইয়ের মধ্যকার বিরোধ বা যুগল অর্থ প্রকাশ করে এটি দ্বন্দ্ব সমাসের উদাহরণ।
-
সমাস হলো এমন একটি প্রক্রিয়া, যেখানে দুটি বা ততোধিক পদ একত্রে মিলিত হয়ে নতুন শব্দ তৈরি করে, এবং তাতে পূর্ববর্তী ও পরবর্তী উভয় পদের অর্থ থাকে।
-
‘অহি-নকুল’ শব্দে ‘অহি’ (সাপ) এবং ‘নকুল’ (বেজি) দুটি পদ সমান গুরুত্বে যুক্ত হয়েছে, ফলে এটি দ্বন্দ্ব সমাস।
-
দ্বন্দ্ব সমাসে দুটি সমান বা বিপরীত অর্থের শব্দ যুক্ত হয়, যা একত্রে মিলিত হয়ে যুগলবাচক বা যুগ্ম অর্থ প্রকাশ করে।
-
এই সমাসে প্রায়ই সংযোজক অব্যয় যেমন “ও”, “এবং”, “বা” ইত্যাদি ব্যাসবাক্যে উপস্থিত থাকে, কিন্তু সমাসগঠনের সময় তা অপসারিত হয়। যেমন—‘অহি-নকুল’ অর্থ ‘সাপ ও বেজি’।
-
‘দা-কুমড়া’, ‘স্বর্গ-নরক’, ‘পিতা-মাতা’, ‘রাম-লক্ষ্মণ’ ইত্যাদিও দ্বন্দ্ব সমাসের উদাহরণ, যেখানে প্রতিটি পদ সমান মর্যাদা পায়।
-
‘অহি-নকুল’ শব্দে কোনো উপসর্গ, প্রত্যয়, বা সন্ধি প্রয়োগ নেই। কারণ এখানে শব্দ দুটি স্বাধীনভাবে অর্থপূর্ণ এবং কেবল সমাসবদ্ধ হয়ে যৌগিক অর্থ তৈরি করেছে।
-
প্রত্যয় সাধারণত শব্দের শেষে যুক্ত হয়ে নতুন শব্দ তৈরি করে, যেমন—‘পাঠ’ + ‘ক’ = ‘পাঠক’। কিন্তু ‘অহি-নকুল’-এ এমন কোনো যোগ নেই।
-
উপসর্গ শব্দের শুরুতে যুক্ত হয়, যেমন—‘অতি’ + ‘সুন্দর’ = ‘অতিসুন্দর’। ‘অহি-নকুল’-এ সেটিও অনুপস্থিত।
-
সন্ধি হলো ধ্বনিগত পরিবর্তনের মাধ্যমে দুটি ধ্বনির মিলন, যেমন—‘রাম’ + ‘ইশ্বর’ = ‘রামেশ্বর’। কিন্তু এখানে ধ্বনিগত কোনো পরিবর্তন হয়নি।
অতএব, ‘অহি-নকুল’ শব্দটি সমাস, বিশেষ করে দ্বন্দ্ব সমাস দ্বারা গঠিত। এটি সমান প্রাধান্যসম্পন্ন দুটি শব্দের সংযুক্ত রূপ, যার অর্থ ‘সাপ ও বেজি’।
0
Updated: 18 hours ago
‘রাজপথ’-এর ব্যাসবাক্য কোনটি হবে?
Created: 1 month ago
A
পথের রাজা
B
রাজার পথ
C
রাজা নির্মিত পথ
D
রাজাদের পথ
‘রাজপথ’ এর ব্যাসবাক্য পথের রাজা। পূর্বপদে ষষ্ঠী বিভক্তির (র, এর) লোপ হয়ে যে সমাস হয়, তাকে ষষ্ঠী তৎপুরুষ সমাস বলে। ব্যাসবাক্যে 'রাজা' শব্দ পরে থাকলে সমস্তপদে তা আগে বসে। যেমন: পথের রাজা = রাজপথ, হাঁসের রাজা = রাজহাঁস।
0
Updated: 1 month ago
অশুদ্ধ বানান কোনটি?
Created: 1 month ago
A
নিক্বণ
B
শূদ্রাণী
C
সূচগ্রমোদিনী
D
শুশ্রূষা
অশুদ্ধ বানান: সূচগ্রমোদিনী
শুদ্ধ বানান: সূচ্যগ্রমোদিনী
এটি একটি বিশেষ্য পদ।
শব্দের অর্থ—
-
সুচের ডগায় ধরে এমন পরিমাণ ভূমি
-
সামান্য পরিমাণ জমি
অন্যদিকে, নিম্নলিখিত শব্দগুলোর বানান শুদ্ধ—
-
শুশ্রূষা
-
নিক্বণ
-
শূদ্রাণী
0
Updated: 1 month ago
'অনুরাগ' এর বিপরীতার্থক শব্দ -
Created: 4 weeks ago
A
আসক্তি
B
বিতৃষ্ণা
C
স্নেহ
D
প্রতিরাগ
‘অনুরাগ’ এবং ‘বিতৃষ্ণা’ সম্পর্কিত বিস্তারিত বিশ্লেষণ:
অনুরাগ:
-
অর্থ: প্রেম, প্রীতি, স্নেহ, আদর, সোহাগ, যত্ন, প্রবৃত্তি, আসক্তি, অভিমান।
-
ব্যবহার: মানুষের মধ্যে সখ্য বা ভালোবাসার অনুভূতি প্রকাশ করতে ব্যবহৃত হয়। এটি সাধারণত ইতিবাচক মানসিক অবস্থা নির্দেশ করে।
-
উদাহরণ: তার প্রতি আমার অনুরাগ সীমাহীন।
বিতৃষ্ণা (বিরাগ):
-
অর্থ: অনুরাগের অভাব, নিস্পৃহতা, উদাসীনতা।
-
ব্যবহার: আগ্রহহীনতা, অমনোযোগ বা বেজায় বিরক্তির অনুভূতি বোঝাতে ব্যবহৃত হয়। এটি সাধারণত নেতিবাচক বা নিরপেক্ষ মানসিক অবস্থা নির্দেশ করে।
-
উদাহরণ: বহু পরিশ্রমের পরও সে শিক্ষার প্রতি বিতৃষ্ণা প্রকাশ করল।
সম্পর্ক:
-
বিপরীতার্থক শব্দ হিসেবে ব্যবহৃত হয়।
-
অনুরাগ এবং বিতৃষ্ণা একে অপরের বিপরীত অনুভূতি বোঝায়।
0
Updated: 4 weeks ago