বাংলা ভাষা ও সাহিত্যের প্রাচীন নিদর্শন কোনটি?
A
চর্যাপদ
B
মহাভারত
C
রামায়ণ
D
জঙ্গনামা
উত্তরের বিবরণ
চর্যাপদ বাংলা ভাষা ও সাহিত্যের প্রাচীনতম নিদর্শন হিসেবে পরিচিত। এটি বৌদ্ধধর্ম সম্পর্কিত গান এবং দোহা সমৃদ্ধ একটি গ্রন্থ।
-
১৯০৭ খ্রিস্টাব্দে মহামহোপাধ্যায় হরপ্রসাদ শাস্ত্রী নেপাল রাজদরবারের গ্রন্থাগার থেকে চর্যাপদের পুথি আবিষ্কার করেন।
-
তাঁরই সম্পাদনায় ৪৭টি পদ বিশিষ্ট পুথিখানি ১৯১৬ সালে বঙ্গীয় সাহিত্য পরিষৎ কর্তৃক প্রকাশিত হয়।
-
প্রকাশিত গ্রন্থের শিরোনাম ছিল "হাজার বছরের পুরাণ বাঙ্গালা ভাষায় বৌদ্ধগান ও দোহা"।
-
এই পুথি বাংলা ভাষা ও সাহিত্য গবেষণায় এক গুরুত্বপূর্ণ ঐতিহাসিক উৎস হিসেবে বিবেচিত।
0
Updated: 18 hours ago
’উজবুক’ কোন ভাষা থেকে আগত শব্দ?
Created: 1 month ago
A
আরবি ভাষা
B
ফার্সি ভাষা
C
হিন্দি ভাষা
D
তুর্কি ভাষা
বাংলা একাডেমি প্রণীত আধুনিক বাংলা অভিধান অনুসারে, ‘উজবুক’ শব্দটি তুর্কি ভাষা থেকে গৃহীত এবং এটি একটি বিশেষণ পদ। শব্দটির অর্থ হলো—
-
আহাম্মক
-
বোকা
-
নির্বোধ
তুর্কি ভাষা থেকে গৃহীত গুরুত্বপূর্ণ কিছু শব্দ
-
সওগাত
-
বাবুর্চি
-
বেগম
-
কাবু
-
কাঁচি
-
তোপ
-
কুর্নিশ
-
কোর্মা
-
চাকু
-
চোগা
-
তকমা
উৎস:
0
Updated: 1 month ago
দোভাষী পুঁথি বলতে কি বোঝায়?
Created: 3 months ago
A
দুই ভাষায় রচিত পুঁথি
B
কয়েকটি ভাষার শব্দ ব্যবহার করে মিশ্রিত ভাষায় রচিত পুঁথি
C
তৈরি করা কৃত্রিম ভাষায় রচিত পুঁথি
D
আঞ্চলিক বাংলায় রচিত পুঁথি
• পুথি সাহিত্য:
- পুথি সাহিত্য আরবি, উর্দু, ফারসি ও হিন্দি ভাষার মিশ্রণে রচিত এক বিশেষ শ্রেণীর বাংলা সাহিত্য। আঠারো থেকে উনিশ শতক পর্যন্ত এর ব্যাপ্তিকাল। এ সাহিত্যের রচয়িতা এবং পাঠক উভয়ই ছিল মুসলমান সম্প্রদায়।
- পুথি (বা পুঁথি) শব্দের উৎপত্তি ‘পুস্তিকা’ শব্দ থেকে। এ অর্থে পুথি শব্দদ্বারা যেকোনো গ্রন্থকে বোঝালেও পুথি সাহিত্যের ক্ষেত্রে তা বিশেষ অর্থ বহন করে। বাংলা সাহিত্যের ইতিহাসে একটি বিশেষ সময়ে রচিত বিশেষ ধরণের সাহিত্যই পুথি সাহিত্য নামে পরিচিত।
- হুগলির বালিয়া-হাফেজপুরের কবি ফকির গরীবুল্লাহ (আনু. ১৬৮০-১৭৭০) আমীর হামজা রচনা করে এ কাব্যধারার সূত্রপাত করেন। আরবদেশের ইতিহাস-পুরাণ মিশ্রিত কাহিনি অবলম্বনে রচিত আমীর হামজা জঙ্গনামা বা যুদ্ধ বিষয়ক কাব্য।
- মধ্যযুগে প্রায় পাঁচশ বছর ধরে বাংলা ভাষার যে ঐতিহ্য তৈরি হয়েছিল, তার সঙ্গে এ কাব্যের ভাষার মিল নেই। বাংলা শব্দের সঙ্গে আরবি, ফারসি প্রভৃতি শব্দের মিশ্রণজাত একটি ভিন্ন ভাষায় কাব্যটি রচিত। সুনীতিকুমার চট্টোপাধ্যায় এ কাব্যে ৩২% বিদেশি শব্দের পরিসংখ্যান দিয়েছেন। হুগলি, হাওড়া, কলকাতা, ২৪ পরগনা প্রভৃতি অঞ্চলের মুসলমানদের কথ্যভাষা এর উৎস ছিল বলে মনে করা হয়।
- গরীবুল্লাহ নিজে এবং তাঁর শিষ্য সৈয়দ হামজা এ ভাষায় আরও কয়েকখানি কাব্য রচনা করেন। তাঁদের অনুসরণে পরবর্তীকালে বহু সংখ্যক মুসলমান কবি এ জাতীয় কাব্য রচনা করেন।
- এগুলির পাঠক ছিল সর্বস্তরের মুসলমান; তবে নিম্নবিত্তের চাকরিজীবী, ব্যবসায়ী ও শ্রমজীবী মানুষের কাছে এর জনপ্রিয়তা ছিল সর্বাধিক।
- পুথি সাহিত্যের শব্দসম্ভার ও ভাষারীতি লক্ষ করে বিভিন্ন জন এর বিভিন্ন নামকরণ করেছেন। রেভারেন্ড জেমস লং এ ভাষাকে বলেছেন ‘মুসলমানী বাংলা’, আর এ ভাষায় রচিত সাহিত্যকে বলেছেন ‘মুসলমানী বাংলা সাহিত্য’।
- কলকাতার বটতলার ছাপাখানার বদৌলতে প্রচার লাভ করে বলে এগুলি ‘বটতলার পুথি’ নামেও পরিচিত হয়।
- গবেষকগণ ভাষা-বৈশিষ্ট্য ও বাক্যরীতির দিক থেকে বিচার করে প্রথমে এগুলিকে দোভাষী পুথি এবং পরবর্তীকালে ‘মিশ্র ভাষারীতির কাব্য’ বলে অভিহিত করেন।
উৎস: বাংলাপিডিয়া।
0
Updated: 3 months ago
ঈশ্বরচন্দ্র গুপ্ত ব্যবহৃত ছদ্মনাম কোনটি?
Created: 1 month ago
A
ক্বচিৎ প্রৌঢ়
B
ভ্রমণকারী বন্ধু
C
যুগসন্ধির কবি
D
কস্যচিৎ উপযুক্ত ভাইপোস্য
ঈশ্বরচন্দ্র গুপ্ত
-
ঈশ্বরচন্দ্র গুপ্ত ছিলেন কবি ও সাংবাদিক, জন্ম ১৮১২ সালে শিয়ালডাঙ্গা, কাঁচড়াপাড়া, পশ্চিমবঙ্গে।
-
তিনি ‘ভ্রমণকারী বন্ধু’ ছদ্মনামে লেখালিখি করতেন। বাংলা সাহিত্যে তিনি যুগসন্ধির কবি নামে পরিচিত—মধ্যযুগ ও আধুনিক যুগের মিলন ঘটিয়েছেন।
-
সমকালের সামাজিক ও ঐতিহাসিক বিষয় নিয়ে কবিতা রচনা করলেও তাঁর ভাষা, ছন্দ ও অলঙ্কার ছিল মধ্যযুগীয়।
-
তাঁর রচনার বিশেষত্ব হলো ব্যঙ্গ-বিদ্রূপ।
-
সাংবাদিকতা
-
তিনি প্রথম বাংলা দৈনিক পত্রিকা ‘সংবাদ প্রভাকর’ সম্পাদনা করেন।
-
১৮৩১ সালে এটি সাপ্তাহিক পত্রিকা হিসেবে প্রতিষ্ঠিত।
-
১৮৩৯ সাল থেকে দৈনিক পত্রিকা হিসেবে আত্মপ্রকাশ করে।
-
-
অন্যান্য সম্পাদিত পত্রিকা: সংবাদ রত্নাবলী, পাষণ্ডপীড়ন, সংবাদ সাধুরঞ্জন।
সাহিত্যকীর্তি
-
কবিয়ালদের লুপ্তপ্রায় জীবনী উদ্ধার ও প্রকাশ তাঁর অন্যতম কীর্তি।
-
প্রকাশিত গ্রন্থসমূহ:
-
রামপ্রসাদ সেন কৃত কালীকীর্তন
-
কবিবর ভারতচন্দ্র রায় ও তাঁর জীবনবৃত্তান্ত
-
বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায় সম্পাদিত কাব্যসংগ্রহ
-
কালীপ্রসন্ন বিদ্যারত্ন সম্পাদিত সংগ্রহ
-
মণিকৃষ্ণ গুপ্ত সম্পাদিত সংগ্রহ
-
অন্যান্য তথ্য
-
‘যুগসন্ধির কবি’ ঈশ্বরচন্দ্র গুপ্তের উপাধি; এটি তাঁর ছদ্মনাম নয়।
-
বিভূতিভূষণ মুখোপাধ্যায়ের ছদ্মনাম: ক্বচিৎ প্রৌঢ়
-
ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগরের ছদ্মনাম: কস্যচিৎ উপযুক্ত ভাইপোস্য
উৎস: বাংলা ভাষা ও সাহিত্য জিজ্ঞাসা এবং বাংলাপিডিয়া
0
Updated: 1 month ago