কোনটি নাম ধাতু?
A
খা
B
কর
C
ঘুমা
D
হাড়
উত্তরের বিবরণ
“ঘুমা” হলো বাংলা ভাষায় ব্যবহৃত একটি নামধাতু (proper noun)। নামধাতু হলো সেই শব্দ যা কোনো নির্দিষ্ট ব্যক্তি, প্রাণী, স্থান বা বস্তু বোঝায়। এই ধরনের শব্দের মাধ্যমে আমরা কোনো বিশেষ ব্যক্তি বা বস্তু চিহ্নিত করতে পারি। সাধারণত নামধাতু হলো unique বা একক। অন্য সাধারণ noun যেমন “ছাত্র” বা “গাছ” যেটি সব ছাত্র বা সব গাছের জন্য ব্যবহার হয়, তার থেকে নামধাতু আলাদা।
“ঘুমা” শব্দটি সাধারণত কোনো নির্দিষ্ট বস্তু, প্রাণী বা ব্যক্তির নাম হিসেবে ব্যবহৃত হয়। এটি এমন একটি নাম যা অন্য সাধারণ শব্দের সঙ্গে মিলিত নয়, অর্থাৎ এর মাধ্যমে আমরা শুধু একটি বিশেষ জিনিস বা ব্যক্তিকে বোঝাই। এটি ব্যবহারের সময় সর্বদা প্রথম অক্ষর capital বা বড় অক্ষর হিসেবে লেখা হয় যদি ইংরেজিতে রূপান্তর করি। বাংলায়ও নামধাতু বোঝাতে এটি আলাদা করে ব্যবহার করা হয়।
বাক্যের উদাহরণ দিয়ে বোঝা যায়:
-
ঘুমা স্কুলে গেল।
এখানে “ঘুমা” হলো নির্দিষ্ট একটি ব্যক্তির নাম। -
ঘুমা খাওয়ার সময় মিষ্টি পছন্দ করে।
এই বাক্যেও “ঘুমা” নামধাতু হিসেবে ব্যবহৃত হয়েছে।
নামধাতুর বৈশিষ্ট্য:
-
নামধাতু সবসময় নির্দিষ্ট কোনো ব্যক্তি, প্রাণী বা স্থানের নাম বোঝায়।
-
এটি সাধারণ noun-এর মতো অনেক বার ব্যবহৃত হলেও প্রতিবার একই জিনিস বা ব্যক্তিকে বোঝায়।
-
নামধাতু সাধারণত প্রথম অক্ষর বড় করে লেখা হয় (বাংলা বা ইংরেজি উভয় ক্ষেত্রে)।
-
এটি অনন্য এবং পৃথক; অন্য কোন সাধারণ বস্তুর সঙ্গে মিলিত নয়।
নামধাতু শেখার উদ্দেশ্য হলো শিক্ষার্থীদের বোঝানো যে কোনো শব্দ কেবল সাধারণ অর্থ বহন করে না, বরং নির্দিষ্ট কিছু চিহ্নিত করতে পারে। নামধাতুর মধ্যে আমরা ব্যক্তি, প্রাণী, শহর, দেশ, নদী বা বিশেষ বস্তু অন্তর্ভুক্ত করতে পারি। “ঘুমা” এখানে একজন নির্দিষ্ট ব্যক্তি বা প্রাণী হতে পারে, যাকে বাক্যে আলাদা করে চিহ্নিত করা হয়েছে।
নিচে পয়েন্ট আকারে নামধাতুর আরও বৈশিষ্ট্য এবং উদাহরণ তুলে ধরা হলো:
-
নির্দিষ্টতা: নামধাতু কোনো বিশেষ ব্যক্তি, প্রাণী বা স্থান বোঝায়।
উদাহরণ: ঘুমা, ঢাকা, পদ্মা নদী। -
অনন্যতা: নামধাতু সাধারণ noun-এর মতো নয়, এটি একক এবং আলাদা।
উদাহরণ: ঘুমা হলো শুধুমাত্র ওই নির্দিষ্ট ব্যক্তির নাম। -
লিখনের নিয়ম: নামধাতু সাধারণত বাক্যের শুরুতে বা নির্দিষ্ট ব্যক্তি চিহ্নিত করতে বড় অক্ষর দিয়ে লেখা হয়।
উদাহরণ: ঘুমা আজ স্কুলে উপস্থিত ছিল। -
ব্যবহার: নামধাতু বাক্যে subject, object বা complement হিসেবে ব্যবহার করা যায়।
উদাহরণ:-
Subject: ঘুমা খেলায় অংশ নিল।
-
Object: আমি ঘুমাকে দেখেছি।
-
Complement: তার প্রিয় বন্ধু হলো ঘুমা।
-
-
প্রশিক্ষণমূলক দিক: নামধাতু শেখার মাধ্যমে শিক্ষার্থীরা জানবে যে শব্দের সাধারণ ব্যবহার এবং নির্দিষ্ট চিহ্নিত করার ব্যবহার আলাদা। এটি বাক্য গঠন এবং ব্যাকরণের জন্য গুরুত্বপূর্ণ।
-
ভাষাগত দিক: নামধাতু সরাসরি বোঝায় কারো পরিচয় বা পরিচিতি। এটি বাক্যের অর্থকে পরিষ্কার করে এবং বিভ্রান্তি কমায়।
উদাহরণ: “ঘুমা খেলে” → এখানে শুধু ওই নির্দিষ্ট ব্যক্তির খেলা বোঝায়, অন্য কাউকে নয়। -
সংক্ষিপ্তসার:
-
নামধাতু হলো নির্দিষ্ট ব্যক্তি, প্রাণী, স্থান বা বস্তু।
-
এটি একক ও অনন্য।
-
বাক্যে subject, object বা complement হিসেবে ব্যবহৃত হয়।
-
লেখার নিয়মে এটি আলাদা চিহ্নিত হয়।
-
শিক্ষার্থীদের ব্যাকরণ শেখার জন্য অপরিহার্য।
-
প্রশ্ন “কোনটি নাম ধাতু?” এর একমাত্র সঠিক উত্তর হলো ঘুমা, কারণ এটি একটি নির্দিষ্ট নাম, যা কোনো বিশেষ ব্যক্তি বা প্রাণী বোঝায়। এটি সাধারণ noun-এর মতো সাধারণ নয় এবং বাক্যে ব্যবহৃত হলে নির্দিষ্ট অর্থ প্রকাশ করে।
0
Updated: 17 hours ago
মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক "নিষিদ্ধ লোবান" উপন্যাস অবলম্বনে নির্মিত চলচ্চিত্রের নাম কী?
Created: 2 months ago
A
ওঙ্কার
B
যাত্রা
C
গেরিলা
D
কুল নাই কিনারা নাই
‘নিষিদ্ধ লোবান’ উপন্যাস
-
লেখক: সৈয়দ শামসুল হক
-
প্রকাশকাল: ১৯৮১
-
বিষয়বস্তু: মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক, পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী কর্তৃক নারী নির্যাতন, লিবিডো ক্রিয়া, লালসা ও রিরংসাবৃত্তি।
-
চলচ্চিত্রে রূপান্তর: ‘গেরিলা’ সিনেমা নির্মিত হয়েছে এই উপন্যাস অবলম্বনে।
কাহিনি সংক্ষেপ
-
উপন্যাসের কেন্দ্রীয় চরিত্র বিলকিস, যিনি মুক্তিযুদ্ধের শুরুতে তার পিতামাতা, ভাইবোন ও আত্মীয়স্বজন হারায়।
-
তার স্বামী নিখোঁজ হয়ে যায়।
-
ঘটনার সূত্র ধরে পরিচয় হয় প্রদীপকুমার/সিরাজের সঙ্গে।
-
পাকিস্তানি সৈন্যরা নিহত মুক্তিযোদ্ধাদের লাশ দাফনের নিষেধাজ্ঞা জারি করে।
-
বিলকিস ও তার সহযোগীরা রাতের অন্ধকারে লাশগুলো দাফন করতে গেলে পাকিস্তানি মিলিটারির হাতে ধরা পড়ে।
-
এর পরও বিলকিস প্রতিবাদে অবিচল থাকে, যা তার দৃঢ় চরিত্র এবং স্বাধীনচেতা মনোভাবের প্রকাশ।
উৎস: ‘নিষিদ্ধ লোবান’, বাংলা ভাষা ও সাহিত্য জিজ্ঞাসা; বাংলাপিডিয়া
0
Updated: 2 months ago
'ঘাত' এর বিপরীতার্থক শব্দ -
Created: 4 weeks ago
A
প্রত্যাঘাত
B
ক্ষত
C
আঘাত
D
অঘাত
‘ঘাত’ এবং ‘প্রত্যাঘাত’ সম্পর্কিত বিশদ বিশ্লেষণ:
ঘাত:
-
অর্থ: চোট, আঘাত, হত্যা, কোপ, ঘা, ক্ষত।
-
ব্যবহার: কোনো ব্যক্তিকে বা বস্তুকে শারীরিক বা মানসিক আঘাত দেওয়ার ক্ষেত্রে ব্যবহৃত হয়।
-
উদাহরণ: ছুরির আঘাতে তার পিঠে ঘাত লেগেছে।
প্রত্যাঘাত (প্রতিঘাত):
-
অর্থ: আঘাতের বদলে আঘাত, প্রতিরোধমূলক আঘাত, পাল্টা আঘাত।
-
ব্যবহার: প্রতিপক্ষের আক্রমণ বা অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনার বিরুদ্ধে প্রতিকার বা প্রতিঘাত বোঝাতে ব্যবহৃত হয়।
-
উদাহরণ: হামলার পর তিনি প্রতিপক্ষকে প্রত্যাঘাত দেন।
সম্পর্ক:
-
বিপরীতার্থক শব্দ হিসেবে ব্যবহৃত হয়।
-
ঘাত মানে আঘাত বা ক্ষতি, আর প্রত্যাঘাত মানে সেই আঘাতের প্রতিসম বা পাল্টা প্রতিক্রিয়া
0
Updated: 4 weeks ago
'জিজীবিষা' শব্দটি দিয়ে বোঝায়-
Created: 1 month ago
A
জয়ের ইচ্ছা
B
হত্যার ইচ্ছা
C
বেঁচে থাকার ইচ্ছা
D
শোনার ইচ্ছা
এক কথায় ইচ্ছার প্রকাশ
-
বেঁচে থাকার ইচ্ছা → জিজীবিষা
-
জয়ের ইচ্ছা → জিগীষা
-
হনন (হত্যা) করার ইচ্ছা → জিঘাংসা
-
শ্রবণ (শোনা) করার ইচ্ছা → শ্রবণেচ্ছা
উৎস: বাংলা ভাষা ও সাহিত্য জিজ্ঞাসা – ড. সৌমিত্র শেখর; বাংলা একাডেমী অভিধান; বাংলা ভাষার ব্যাকরণ (নবম-দশম শ্রেণি, ২০১৮ সংস্করণ)।
0
Updated: 1 month ago