'মহকুমা' শব্দটি কোন ভাষা থেকে এসেছে?
A
তুর্কি
B
ফারসি
C
পর্তুগিজ
D
আরবি
উত্তরের বিবরণ
“মহকুমা” শব্দটি মূলত আরবি ভাষা থেকে এসেছে। এটি প্রাচীন বাংলায় প্রশাসনিক ব্যবহারে প্রবেশ করেছে, বিশেষ করে মধ্যযুগীয় বাংলা এবং ব্রিটিশ উপনিবেশের আগে ও পরে। আরবি শব্দের ব্যবহার বাংলা প্রশাসনিক ভাষায় অনেকটা প্রাতিষ্ঠানিক ও শাসনসংক্রান্ত দৃষ্টিতে এসেছে। “মহকুমা” শব্দটি মূলত একটি প্রশাসনিক বা শাসনকেন্দ্রের উল্লেখ করে, যা জেলা বা অঞ্চলের তত্ত্বাবধায়ক প্রশাসনিক ইউনিট বোঝায়।
বাংলা ইতিহাসে, যখন মুঘল শাসন বা ব্রিটিশ আগমনের আগে স্থানীয় প্রশাসনিক ব্যবস্থা গঠিত হয়েছিল, তখন আরবি ও পারসী শব্দের প্রভাব ব্যাপকভাবে লক্ষ্য করা যায়। এই প্রভাবে, প্রশাসনিক পদ বা অঞ্চল বোঝাতে প্রায়শই আরবি বা পারসী শব্দ ব্যবহার করা হতো। “মহকুমা” শব্দটির আদি অর্থ হলো এমন একটি স্থান বা প্রশাসনিক ইউনিট যেখানে একজন উচ্চতর প্রশাসক বা জেলা প্রশাসকের অধীনে কাজ করে। এটি মূলত প্রশাসনিক নিয়ন্ত্রণ, আইন-শৃঙ্খলা এবং জনসেবা কার্যক্রমের জন্য ব্যবহৃত হত।
আজও বাংলাদেশে, যদিও প্রশাসনিক পদ বা অঞ্চলের নাম বদলেছে, “মহকুমা” শব্দটি ইতিহাস ও প্রশাসনিক আলোচনায় গুরুত্বপূর্ণ। শিক্ষার্থীদের জন্য এটা জানা প্রয়োজন, কারণ এটি বাংলা ভাষার ভাষাগত বিবর্তন এবং আরবি ভাষার প্রভাব বোঝার ক্ষেত্রে সাহায্য করে।
পয়েন্ট আকারে বিশ্লেষণ:
-
“মহকুমা” শব্দটি এসেছে আরবি ভাষা থেকে।
-
এটি মূলত প্রশাসনিক বা শাসনকেন্দ্রের ইউনিট বোঝাতে ব্যবহার হতো।
-
বাংলায় মধ্যযুগ এবং ব্রিটিশ শাসনের সময় এটি জনপ্রিয় হয়ে ওঠে।
-
আরবি ও পারসী ভাষার প্রভাবে বাংলায় প্রশাসনিক পদ ও অঞ্চলের নামের মধ্যে এই ধরনের শব্দ প্রবেশ করেছিল।
-
“মহকুমা” বোঝায় একটি নির্দিষ্ট অঞ্চলের প্রশাসনিক নিয়ন্ত্রণ।
-
একজন উচ্চতর প্রশাসক বা জেলা প্রশাসক মহকুমার কার্যক্রমের তত্ত্বাবধায়ক ছিলেন।
-
এটি জনসেবা, আইন-শৃঙ্খলা ও প্রশাসনিক কার্যক্রম পরিচালনার জন্য গুরুত্বপূর্ণ ছিল।
-
আজও ইতিহাস, প্রশাসন ও ভাষা অধ্যয়নে “মহকুমা” শব্দটি গুরুত্বপূর্ণ উদাহরণ।
-
এই শব্দের মাধ্যমে বোঝা যায় বাংলায় ভাষাগত বিবর্তন এবং বিদেশি ভাষার প্রভাব।
-
শিক্ষার্থীরা এটি মনে রাখলে বাংলা প্রশাসনিক ইতিহাস এবং ভাষার উৎস সম্পর্কে ভালো ধারণা পাবে।
সারসংক্ষেপে, “মহকুমা” আরবি ভাষা থেকে এসেছে এবং এটি একটি প্রশাসনিক ইউনিট বোঝায়, যা বাংলার ইতিহাসে বিশেষ গুরুত্ব বহন করে। শিক্ষার্থীদের জন্য এই তথ্য পরীক্ষামুখী ও ব্যবহারযোগ্য, কারণ এটি ইতিহাস, প্রশাসন এবং ভাষা-অধ্যয়নের সঙ্গে সরাসরি সম্পর্কিত।
0
Updated: 18 hours ago
'উপসর্গ' ব্যাকরণের কোন অংশে আলোচিত হয়?
Created: 1 month ago
A
অর্থতত্ত্ব
B
বাক্যতত্ত্ব
C
ধ্বনিতত্ত্ব
D
রূপতত্ত্ব
রূপতত্ত্ব ভাষার এমন একটি শাখা যেখানে শব্দের ক্ষুদ্রতম অর্থবোধক অংশ ও তার গঠনপ্রক্রিয়া বিশ্লেষণ করা হয়। শব্দ রূপ দ্বারা গঠিত, তাই শব্দতত্ত্বকেও রূপতত্ত্ব বলা হয়ে থাকে।
-
রূপ হলো এক বা একাধিক ধ্বনির অর্থবোধক সম্মিলন।
-
রূপের সমন্বয়ে শব্দ তৈরি হয়।
-
রূপতত্ত্বে মূলত শব্দ ও তার উপাদান নিয়ে আলোচনা করা হয়।
-
এ আলোচনায় অন্তর্ভুক্ত হয়: শব্দ, দ্বিরুক্ত শব্দ, বচন, সমাস, প্রত্যয়, উপসর্গ, অনুসর্গ, পদ-প্রকরণ, অনুজ্ঞা, ক্রিয়ার কাল, পুরুষ, লিঙ্গ, বচন, ধাতু ইত্যাদি।
-
রূপতত্ত্বে বিশেষ গুরুত্ব পায় শব্দগঠন প্রক্রিয়া।
0
Updated: 1 month ago
"বার"— শব্দের 'র' কোন ধরনের ধ্বনি?
Created: 1 month ago
A
ঘর্ষণজাত ধ্বনি
B
তাড়নজাত ধ্বনি
C
কম্পনজাত ধ্বনি
D
পার্শ্বিক ধ্বনি
“বার” শব্দের ‘র’ → কম্পনজাত ধ্বনি
-
কম্পনজাত ধ্বনি:
-
উচ্চারণে জিভ কম্পিত হয় বা দন্তমূল বারবার আঘাত করে।
-
বাংলা ব্যঞ্জন: /র/
-
উদাহরণ: বার, ধার
-
-
তাড়নজাত ধ্বনি:
-
উচ্চারণে জিভের সামনের অংশ উপরের শক্ত তালুতে একটিমাত্র টোকা দেয়।
-
বাংলা প্রতিবেষ্টিত ব্যঞ্জন: ড়, ঢ
-
উদাহরণ: ধড়ফড়, বাড়, গাঢ়, নিগূঢ়
-
-
ঘর্ষণজাত ধ্বনি:
-
উচ্চারণে দুটি বাগযন্ত্র খুব কাছাকাছি আসে, বাতাসের চলাচলে ঘর্ষণ সৃষ্টি হয়।
-
উচ্চারণস্থান অনুযায়ী:
-
দন্তমূলীয়: /স/ (বস্তু)
-
কাস্তে/তালব্য: /শ/ (দাশ, রাশ, হ্রাস)
-
কণ্ঠনালীয়: /হ/ (হাট, হনহন)
-
-
-
পার্শ্বিক ধ্বনি:
-
বাতাস জিভের এক বা দুই পাশ দিয়ে বের হয়।
-
বাংলা ধ্বনি: ল
-
উদাহরণ: তাল, শাল
-
0
Updated: 1 month ago
"জন্ম > জনম" - কোন ধরনের ধ্বনি পরিবর্তন ঘটেছে?
Created: 1 month ago
A
অপিনিহিতি
B
আদি স্বরাগম
C
বিপ্রকর্ষ
D
অন্ত্যস্বরাগম
• “জন্ম → জনম” — এটি বিপ্রকর্ষ (Anaptyxis / স্বরভক্তি) এর উদাহরণ।
স্বরাগমের প্রকারভেদ:
-
মধ্য স্বরাগম / বিপ্রকর্ষ / স্বরভক্তি (Anaptyxis):
-
সংযুক্ত ব্যঞ্জনধ্বনির মধ্যে উচ্চারণের সুবিধার জন্য স্বরধ্বনি যুক্ত করা হয়।
-
উদাহরণ:
-
অ: রত্ন → রতন, ধর্ম → ধরম, স্বপ্ন → স্বপন, হর্ষ → হরষ
-
ই: প্রীতি → পিরীতি, ক্লিপ → কিলিপ, ফিল্ম → ফিলিম
-
উ: মুক্তা → মুকুতা, তুর্ক → তুরুক, ভূ → ভুরু
-
এ: গ্রাম → গেরাম, প্রেক → পেরেক, স্রেফ → সেরেফ
-
ও: শ্লোক → শোলোক, মুরগ → মুরোগ → মোরগ
-
-
-
অপিনিহিতি (Apenthesis):
-
পরের ই-কার আগে বা সংযুক্ত ব্যঞ্জনের আগে ই/উ-কার উচ্চারিত হলে।
-
উদাহরণ: আজি → আইজ, সাধু → সাউধ, রাখিয়া → রাইখ্যা, বাক্য → বাইক্য, সত্য → সইত্য, চারি → চাইর, মারি → মাইর
-
-
আদি স্বরাগম (Prothesis):
-
শব্দের আদিতে স্বরধ্বনি যুক্ত হওয়া উচ্চারণের সুবিধার জন্য।
-
উদাহরণ: স্কুল → ইস্কুল, স্টেশন → ইস্টিশন
-
-
অন্ত্যস্বরাগম (Apothesis):
-
শব্দের শেষে অতিরিক্ত স্বরধ্বনি যুক্ত হওয়া।
-
উদাহরণ: দিশ → দিশা, পোখত্ → পোক্ত, বেঞ্চ → বেঞ্চি, সত্য → সত্যি
-
সংক্ষেপে, “জন্ম → জনম” মধ্য স্বরাগম বা বিপ্রকর্ষের পরিচিত উদাহরণ।
0
Updated: 1 month ago