'বাঁশী বাজে ঐ মধুর লগনে' --- এটি কোন বাচ্য?
A
কর্মকর্তৃবাচ্য
B
কর্মবাচ্য
C
কর্তৃবাচ্য
D
ভাববাচ্য
উত্তরের বিবরণ
বাংলা ব্যাকরণের মধ্যে বাচ্য হলো এমন একটি রূপ, যা বাক্যে ক্রিয়ার (action) কারক ও প্রভাবকে বোঝায়। বাংলায় প্রধানত তিন ধরনের বাচ্য রয়েছে – কর্তৃত্ববাচ্য, কর্মবাচ্য এবং প্রতিশব্দবাচ্য। এই প্রশ্নে “বাঁশী বাজে ঐ মধুর লগনে” বাক্যটি বিশ্লেষণ করে দেখা যায়, এটি কর্তৃত্ববাচ্য।
বিস্তারিত বিশ্লেষণ:
-
কর্তৃত্ববাচ্য (Agentive/Active Voice):
-
এই বাচ্যে ক্রিয়ার কাজ কে বা কী করেছে তা স্পষ্টভাবে উল্লেখ থাকে।
-
অর্থাৎ বাক্যের subject ক্রিয়ার (verb) কাজের সম্পূর্ণ কর্তৃত্ব রাখে।
-
উদাহরণ: “বাঁশী বাজে ঐ মধুর লগনে।”
-
এখানে বাঁশী হলো subject বা কাজ করা বস্তু।
-
বাজে হলো ক্রিয়া (verb)।
-
বাক্যটি নির্দেশ করছে যে বাঁশী নিজেই বাজছে, অর্থাৎ কারও দ্বারা নয়, কিন্তু বাক্যটি কার্যকরভাবে কারককেও বোঝাচ্ছে।
-
-
-
বাক্যের উপাদান বিশ্লেষণ:
-
বাঁশী → subject (ক্রিয়ার কার্যকর)
-
বাজে → ক্রিয়া (action)
-
ঐ মধুর লগনে → ক্রিয়ার স্থান বা সময়/পাঠককে আনন্দ দেওয়ার প্রেক্ষাপট
-
-
বিষয় ও কার্য সম্পর্ক:
-
কর্মকর্তৃবাচ্যে কাজের ক্রিয়া সম্পন্ন হয়েছে এবং subject সেই কাজের নিয়ন্ত্রণে আছে।
-
বাক্যটি এমনভাবে গঠিত যেখানে subject (বাঁশী) এবং verb (বাজে) এর মধ্যে সরাসরি সম্পর্ক রয়েছে।
-
এর অর্থ, এখানে কাজের পরিচালনাকারী (agent) এবং কাজের কর্তা একই, যা কর্তৃত্ববাচ্যের প্রধান বৈশিষ্ট্য।
-
-
পয়েন্ট আকারে বিশ্লেষণ:
-
Subject স্পষ্ট আছে: বাঁশী
-
Verb স্পষ্ট আছে: বাজে
-
Agent বোঝানো হয়েছে: বাঁশী নিজের ক্রিয়ার মাধ্যমে সঙ্গীত সৃষ্টি করছে
-
Object বা goal optional: ঐ মধুর লগনে (যেখানে সঙ্গীত শুনতে পাওয়া যাচ্ছে)
-
ক্রিয়ার দায়িত্ব subject-এর: পুরো কাজ subject কর্তৃক সম্পন্ন হচ্ছে
-
-
কর্তৃত্ববাচ্য-এর মূল বৈশিষ্ট্য:
-
Subject ক্রিয়ার কাজের প্রধান কর্তাব্যক্তি।
-
বাক্য সাধারণত active voice বা কর্মকাণ্ডকেন্দ্রিক।
-
ইংরেজিতে এটিকে “Active Voice” বলা হয়।
-
উদাহরণ: “He plays the flute.” → সে বাঁশী বাজায়। বাংলায়ও একই নিয়ম প্রযোজ্য।
-
-
কর্মবাচ্য বা passive voice থেকে পার্থক্য:
-
Passive বা কর্মবাচ্যে কাজের উপর জোর থাকে, কারক (subject) উল্লেখ থাকে না বা optional।
-
উদাহরণ: “বাঁশী ঐ মধুর লগনে বাজানো হলো।”
-
এখানে কার্যকরী agent উল্লেখ নেই বা কম গুরুত্বপূর্ণ।
-
তাই এটি কর্তৃত্ববাচ্য নয়, বরং কর্মবাচ্যের উদাহরণ।
-
-
-
বাক্যের অর্থের বিশ্লেষণ:
-
বাক্যটি কেবল ক্রিয়াকে নির্দেশ করছে না, বরং ক্রিয়ার কার্যকরী কারককেও স্পষ্টভাবে দেখাচ্ছে।
-
“বাঁশী বাজে” অংশ থেকে বোঝা যায়, সঙ্গীতের সৃষ্টি active এবং subject দ্বারা নিয়ন্ত্রিত।
-
“ঐ মধুর লগনে” অংশটি ক্রিয়ার প্রভাব বা ফলাফল প্রকাশ করে।
-
-
পরীক্ষামুখী গুরুত্বপূর্ণ তথ্য:
-
কর্তৃত্ববাচ্য চিহ্নিত করতে: subject + verb + (object/goal) কাঠামো লক্ষ্য করুন।
-
প্রায় সব ক্ষেত্রে যেখানে কাজের কর্তৃপক্ষ subject-এর হাতে থাকে, সেটি কর্তৃত্ববাচ্য।
-
বিষয় বোঝার জন্য সহজ নিয়ম: “কে বা কী কাজটি করছে?” যদি স্পষ্ট হয় → কর্তৃত্ববাচ্য।
-
“বাঁশী বাজে ঐ মধুর লগনে” বাক্যটি কর্তৃত্ববাচ্য, কারণ এখানে subject (বাঁশী) ক্রিয়ার পুরো কর্তৃত্ব রাখে এবং কাজের সম্পাদনায় প্রধান। ক্রিয়ার ফলাফল স্পষ্টভাবে বোঝানো হয়েছে এবং বাক্যটি active voice-এর নিয়ম অনুযায়ী গঠিত।
0
Updated: 18 hours ago
'বাঁশি বাজে ঐ দূরে।' - বাক্যটি কোন বাচ্যের উদাহরণ?
Created: 1 month ago
A
কর্তৃবাচ্য
B
কর্মবাচ্য
C
ভাববাচ্য
D
কর্মকর্তৃবাচ্য
কর্মকর্তৃবাচ্য:
বাংলায় এমন একটি প্রকাশভঙ্গির বাক্য দেখা যায়, যাকে কর্মকর্তৃবাচ্য বলা হয়।
বৈশিষ্ট্য:
-
এই ধরনের বাক্যে কর্তাপদ উহ্য থাকে, তবে কর্মপদ থাকে।
-
ওই কর্মপদই কর্তার কাজ করে।
-
অর্থাৎ, যে বাক্যে কর্তা নেই, কর্মই কর্তার কাজ করে, তাকে কর্মকর্তৃবাচ্য বলে।
উদাহরণ:
-
কাজটা ভাল দেখায় না।
-
বাঁশি বাজে ঐ দূরে।
(এখানে কর্তা নেই; বাঁশিই কর্তার মতো বাক্যকে নেতৃত্ব দিচ্ছে বা কাজ সম্পন্ন করছে)
উৎস: বাংলা ভাষার ব্যাকরণ, নবম-দশম শ্রেণি (২০১৯ সংস্করণ)
0
Updated: 1 month ago