'আমার ভাইয়ের রক্তে রাঙানো একুশে ফেব্রুয়ারি ' গানটি কার রচনা?
A
আবদুল গাফফার চৌধুরী
B
আলতাফ মাহমুদ
C
মোহাম্মদ মনিরুজ্জামান
D
আবু হেনা মোস্তাফা কামাল
উত্তরের বিবরণ
‘আমার ভাইয়ের রক্তে রাঙানো একুশে ফেব্রুয়ারি’ বাংলা জাতীয় জীবনের এক অনন্য সৃষ্টি। ভাষা আন্দোলনের চেতনা, ত্যাগ ও বেদনার প্রতীক এই গানটির মাধ্যমে বাঙালি জাতি পেয়েছে স্বাধীনতার এক অনুপ্রেরণা। এর রচয়িতা আবদুল গাফফার চৌধুরী, যিনি ১৯৫২ সালের ভাষা আন্দোলনের স্মৃতি ধারণ করে এই কালজয়ী গানটি রচনা করেন। নিচে গানটি ও এর প্রেক্ষাপট সম্পর্কিত কিছু গুরুত্বপূর্ণ তথ্য দেওয়া হলো।
-
গানটির রচয়িতা আবদুল গাফফার চৌধুরী (জন্ম: ১২ ডিসেম্বর ১৯৩৪ – মৃত্যু: ১৯ মে ২০২২)। তিনি ছিলেন বিশিষ্ট সাংবাদিক, লেখক ও কলামিস্ট।
-
গানটি রচিত হয় ১৯৫২ সালের ভাষা আন্দোলনের শহীদদের স্মরণে। সে সময়ে বাঙালিরা মাতৃভাষা বাংলাকে রাষ্ট্রভাষা করার দাবিতে আন্দোলন করছিলেন, এবং বহু তরুণ প্রাণ বিসর্জন দেন।
-
গানটির প্রথম পংক্তি “আমার ভাইয়ের রক্তে রাঙানো একুশে ফেব্রুয়ারি”– এই একটি লাইনেই পুরো আন্দোলনের ইতিহাস ও বেদনা ধরা পড়েছে। এটি বাঙালির জাতীয় চেতনার মূল প্রতীক হয়ে উঠেছে।
-
এই গানের সুরকার ছিলেন আলতাফ মাহমুদ (১৯৩৩–১৯৭১)। তিনি গানে এক গভীর আবেগ ও শোকের সুর সংযোজন করেন, যা গানটিকে অমর করে তোলে।
-
প্রথমবার এই গানটি পরিবেশন করা হয় ১৯৫৩ সালে ঢাকা মেডিকেল কলেজে ভাষা শহীদদের স্মরণে অনুষ্ঠিত সভায়। এরপর থেকেই এটি একুশে ফেব্রুয়ারির প্রতীকী সংগীতে পরিণত হয়।
-
গানটি পরবর্তীতে বিভিন্ন ভাষায় অনূদিত হয়েছে এবং বাংলাদেশের জাতীয় স্মৃতিসৌধে ও শহীদ মিনারে প্রতি বছর একুশে ফেব্রুয়ারিতে বাজানো হয়।
-
গানের তাৎপর্য: এটি শুধু একটি গান নয়, বরং ভাষার অধিকার ও আত্মত্যাগের প্রতীক। এটি বাঙালি জাতির আত্মপরিচয়, সাংস্কৃতিক চেতনা ও স্বাধীনতার পথে প্রথম পদক্ষেপের প্রতীক হিসেবে চিরস্মরণীয়।
-
আবদুল গাফফার চৌধুরীর অবদান: তিনি এই গানের মাধ্যমে ভাষা আন্দোলনের আবেগকে সাহিত্যিক ও সাংস্কৃতিক পরিসরে স্থায়ীভাবে প্রতিষ্ঠা করেন। পরবর্তীতে তিনি ‘পরান আমার ভাই’, ‘চন্দ্রনাথ’, ‘শতবর্ষের রক্তগাথা’সহ বহু সাহিত্যকর্ম রচনা করেন।
-
এই গানটি ইউনেস্কো কর্তৃক বিশ্ব ঐতিহ্যের অংশ হিসেবে স্বীকৃত আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসের প্রতীকী সংগীত হিসেবে বিশ্বের নানা প্রান্তে পরিবেশিত হয়।
এইভাবে “আমার ভাইয়ের রক্তে রাঙানো একুশে ফেব্রুয়ারি” গানটি কেবল একটি সংগীত নয়, বরং বাঙালি জাতির ত্যাগ, আত্মমর্যাদা ও মাতৃভাষার মর্যাদার চিরন্তন প্রতীক।
0
Updated: 22 hours ago
১৯৫২ সালের একুশে ফেব্রুয়ারির বিক্ষোভ সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন কে?
Created: 2 months ago
A
অলি আহাদ
B
কাশেম আলী
C
গাজীউল হক
D
তোফাজ্জল হোসেন
বাংলাদেশ বিষয়াবলি
আমার ভাইয়ের রক্তে রাঙানো একুশে ফেব্রুয়ারী - গান
একুশে ফেব্রুয়ারী, ১৯৫২
ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠী
জনশুমারি ও গৃহ গণনা
ভাষা আন্দোলন
মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক গ্রন্থ
মুক্তিযুদ্ধে সাত বীরশ্রেষ্ঠ
সেক্টর ও সেক্টর কমান্ডারগণ
একুশে ফেব্রুয়ারির ঘটনাবলি (১৯৫২)
-
তারিখ ও দিন: ২১ ফেব্রুয়ারি ১৯৫২, বৃহষ্পতিবার (৮ ফাল্গুন ১৩৫৮ বঙ্গাব্দ)।
-
জমায়েত: পূর্ব ঘোষণা অনুযায়ী সকাল থেকেই ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্ররা জমায়েত হতে থাকে।
-
বিধিনিষেধ: সরকার ১৪৪ ধারা জারি করায় ছাত্ররা বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান থেকে দুজন দুজন করে বিশ্ববিদ্যালয়ে আসে।
-
ছাত্রসভা: বেলা ১১টায় সভা শুরু হয়। ১৪৪ ধারা ভঙ্গ করার সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়।
-
সভাপতিত্ব: গাজীউল হক
-
বক্তৃতা: শামসুল হক, মোহাম্মদ তোয়াহা, কাজী গোলাম মাহবুব, খালেক নেওয়াজ, আবদুল মতিন
-
সভাপতি ১০ জনকে ১৪৪ ধারা ভঙ্গের নির্দেশ দেন।
-
-
প্রতিরোধ: পুলিশ মিছিলকারীদের উপর লাঠিচার্জ এবং কাঁদুনে গ্যাস নিক্ষেপ করে।
-
অবস্থান: মেডিকেল হোস্টেলের প্রধান ফটকের কাছে ছাত্ররা জমায়েত হয়। এখানে জগন্নাথ হলের অডিটোরিয়াম ছিল, যেখানে পূর্ববাংলা আইন পরিষদের অধিবেশন চলছিল।
-
উদ্দেশ্য: ছাত্ররা চাইছিলেন অধিবেশনে যোগদানকারী সদস্যদের কাছে বাংলাকে রাষ্ট্রভাষা করার সুপারিশ পৌঁছে দিতে।
-
বিবাদ: ছাত্ররা শ্লোগান দিতে থাকলে পুলিশ তাদের তাড়া করে। প্রতিবাদে ছাত্ররা ইট-পাটকেল ছুঁড়তে শুরু করে।
-
শহিদ ও আহত:
-
ঘটনাস্থলেই শহীদ: আব্দুল জব্বার, রফিকউদ্দিন আহমদ
-
আহত: প্রায় ১৭ জন, রাত ৮টায় আবুল বরকত শহীদ হন
-
তথ্যসূত্র: বাংলাদেশের ইতিহাস ও বিশ্বসভ্যতা (এসএসসি প্রোগ্রাম, বাংলাদেশ উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়), দৈনিক ইত্তেফাক (২১ ফেব্রুয়ারি ২০২১)
0
Updated: 2 months ago
'আমার ভাইয়ের রক্তে রাঙানাে একুশে ফেব্রুয়ারি, আমি কি ভুলিতে পারি' গানটি কে রচনা করেন?
Created: 1 month ago
A
মুনীর চৌধুরী
B
জহির রায়হান
C
আবদুল গাফফার চৌধুরী
D
কাজী নজরুল ইসলাম
“আমার ভাইয়ের রক্তে রাঙানো একুশে ফেব্রুয়ারী, আমি কি ভুলিতে পারি” কবিতাটি ১৯৫২ সালের ভাষার দাবিতে ছাত্রমিছিলে গুলি চালানোর প্রেক্ষাপটকে কেন্দ্র করে রচিত হয়েছিল। কবিতাটি ঢাকা কলেজের ছাত্র আব্দুল গাফ্ফার চৌধুরী রচনা করেন।
পরবর্তীতে এটি হাসান হাফিজুর রহমান সম্পাদিত এবং মোহাম্মদ সুলতান কর্তৃক প্রকাশিত “একুশে ফেব্রুয়ারি” সংকলনে ‘একুশের গান’ হিসেবে ১৯৫৩ সালের মার্চ মাসে প্রকাশিত হয়। কবিতাটির সুর প্রথমে দিয়েছিলেন আব্দুল লতিফ, আর বর্তমানে যে সুরে এটি গাওয়া হয়, তা করেছেন আলতাফ মাহমুদ।
-
কবিতাটির রচনা প্রেক্ষাপট: ১৯৫২ সালের একুশে ফেব্রুয়ারি ভাষার দাবিতে ছাত্রমিছিল।
-
রচয়িতা: ঢাকা কলেজের ছাত্র আব্দুল গাফ্ফার চৌধুরী।
-
সংকলন ও প্রকাশনা: হাসান হাফিজুর রহমান সম্পাদিত ও মোহাম্মদ সুলতান প্রকাশিত “একুশে ফেব্রুয়ারি”, ১৯৫৩ সালের মার্চ।
-
মূল সুর: আব্দুল লতিফ।
-
বর্তমান জনপ্রিয় সুর: আলতাফ মাহমুদ।
0
Updated: 1 month ago
'আমার ভাইয়ের রক্তে রাঙানো একুশে ফেব্রুয়ারি, আমি কি ভুলিতে পারি' গানটির বর্তমান সুরকার কে?
Created: 2 months ago
A
আপেল মাহমুদ
B
আব্দুল লতিফ
C
আলতাফ মাহমুদ
D
আব্দুল গাফ্ফার চৌধুরী
আমার ভাইয়ের রক্তে রাঙানো একুশে ফেব্রুয়ারি
-
গানটির নাম: আমার ভাইয়ের রক্তে রাঙানো একুশে ফেব্রুয়ারি
-
গীতিকার: আব্দুল গাফ্ফার চৌধুরী
-
প্রথম সুরকার: আবদুল লতিফ
-
বর্তমান সুরকার: আলতাফ মাহমুদ (প্রথম সুরের পরিবর্তিত সংস্করণ)
-
উদ্দেশ্য ও অর্থ: গানটি একুশে ফেব্রুয়ারিতে শহীদদের স্মরণে রচিত, যেখানে ভাষা আন্দোলনে বহু মানুষের রক্ত ঝরার কথাকে স্মরণ করা হয়েছে।
তথ্যসূত্র: বাংলাপিডিয়া ও ডেইলি স্টার, ২১ ফেব্রুয়ারি, ২০২৩
0
Updated: 2 months ago