রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর রচিত প্রথম কাব্যগ্রন্থ কোনটি?
A
সন্ধ্যাসংগীত
B
কবিকাহিনী
C
জন্মদিনে
D
সোনার তরী
উত্তরের বিবরণ
রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের সাহিত্যজীবনের সূচনালগ্নেই কবিতার মাধ্যমে তাঁর প্রতিভার প্রকাশ ঘটে। তিনি মাত্র ষোল বছর বয়সে তাঁর প্রথম কাব্যগ্রন্থ ‘কবিকাহিনী’ রচনা করেন। এই গ্রন্থটির মাধ্যমে বাংলা সাহিত্যে তাঁর স্বতন্ত্র কাব্যধারা ও অনুভূতির প্রকাশ ঘটে যা পরবর্তীতে আরও পরিণত ও গভীর রূপ নেয়।
-
‘কবিকাহিনী’ গ্রন্থটি প্রকাশিত হয় ১৮৭৮ সালে। এটি তাঁর কাব্যজীবনের সূচনা নির্দেশ করে। এই কাব্যে রোমান্টিক আবেগ, প্রকৃতিপ্রেম, মানবিকতা ও ভাবালুতার সংমিশ্রণ দেখা যায়।
-
এই কাব্যগ্রন্থে রবীন্দ্রনাথ ইংরেজি রোমান্টিক কবিদের প্রভাব গ্রহণ করলেও তাঁর নিজস্ব কণ্ঠ ও ভাবনার সুর স্পষ্টভাবে প্রতিফলিত হয়।
-
‘কবিকাহিনী’-তে কবি মূলত এক কল্পিত প্রেমকাহিনী রচনা করেছেন, যেখানে প্রেম, বিরহ ও আত্মোপলব্ধি একত্রে মিশে গেছে।
-
এই গ্রন্থে ভাষা ছিল সহজ, মধুর ও ছন্দবদ্ধ। তা পাঠকদের মনে গভীর প্রভাব ফেলেছিল, যদিও সে সময় কবি খুব অল্প বয়সী ছিলেন।
-
কাব্যটির প্রকাশক ছিলেন ভারতী প্রেস, এবং এটি রবীন্দ্রনাথের ইংল্যান্ড যাত্রার পূর্বে প্রকাশিত হয়।
-
পরবর্তীকালে তাঁর বিখ্যাত কাব্যগ্রন্থ ‘সোনার তরী’ (১৮৯৪), ‘চিত্রা’ (১৮৯৬) ও ‘গীতাঞ্জলি’ (১৯১০) তাঁর সাহিত্যকীর্তিকে বিশ্বপরিচিত করে তোলে, কিন্তু সূচনা হয়েছিল এই ‘কবিকাহিনী’ দিয়েই।
-
রবীন্দ্রনাথের কবিতার মধ্যে মানবপ্রেম, প্রকৃতিচেতনা, দার্শনিক ভাবনা ও আধ্যাত্মিক অনুভূতি যে প্রবলভাবে প্রকাশ পেয়েছে, তার প্রাথমিক ইঙ্গিত এই গ্রন্থেই পাওয়া যায়।
-
এই গ্রন্থের কবিতাগুলোতে যুবক রবীন্দ্রনাথের মনের উচ্ছ্বাস ও আবেগের ঝলক পাওয়া যায়, যা পরবর্তীতে পরিণত বয়সে এক গভীর জীবনদর্শনে রূপ নেয়।
-
যদিও গ্রন্থটি সাহিত্যসমালোচকদের মধ্যে প্রথমে তেমন আলোচিত হয়নি, পরবর্তীকালে এটি রবীন্দ্রসাহিত্যের বিকাশধারার গুরুত্বপূর্ণ সূচক হিসেবে বিবেচিত হয়।
-
এর মাধ্যমে প্রমাণিত হয় যে রবীন্দ্রনাথ কেবল কাব্যরচনায়ই নয়, সাহিত্যজগতে এক নতুন যুগের সূচনা করেছিলেন, যা বাংলা কবিতাকে নতুন মাত্রায় উন্নীত করেছে।
অতএব, রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের রচিত প্রথম কাব্যগ্রন্থ হলো ‘কবিকাহিনী’, যা তাঁর সাহিত্যজীবনের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেছিল এবং তাঁকে বাংলা কবিতার নবযুগের অগ্রদূত হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করেছিল।
0
Updated: 22 hours ago
’মরিতে চাহি না আমি সুন্দর ভুবনে, মানবের মাঝে আমি বাঁচিবারে চাই।’ পঙ্ক্তিটি কোন কবিতার অংশবিশেষ?
Created: 1 month ago
A
মরণ
B
বধূ
C
প্রাণ
D
বর্ষা
রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর রচিত ‘প্রাণ’ কবিতার অংশবিশেষ হলো— “মরিতে চাহি না আমি সুন্দর ভুবনে, মানবের মাঝে আমি বাঁচিবারে চাই।” কবিতাটি তাঁর কড়ি ও কোমল কাব্যগ্রন্থের অন্তর্গত। এই কবিতায় কবির প্রাণপ্রবাহ, জীবনপ্রেম এবং মানবজীবনের সঙ্গে গভীর একাত্মতার আকাঙ্ক্ষা প্রতিফলিত হয়েছে।
রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর ১৮৬১ সালের ৭ মে (১২৬৮ বঙ্গাব্দের ২৫ বৈশাখ) কলকাতার জোড়াসাঁকোর অভিজাত ঠাকুর পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। তাঁর পিতা ছিলেন মহার্ষি দেবেন্দ্রনাথ ঠাকুর এবং মাতা সারদা দেবী। ঠাকুর বাড়ির সাহিত্য ও সংস্কৃতিমণ্ডিত পরিবেশে শৈশবেই তাঁর কবি-প্রতিভার বিকাশ ঘটে।
তিনি ১৯০১ সালে প্রতিষ্ঠা করেন শান্তিনিকেতন বিদ্যালয়। ১৯১৩ সালে তাঁর ইংরেজি অনুবাদগ্রন্থ ‘গীতাঞ্জলি’ (The Song Offerings, ১৯১১)-এর জন্য সাহিত্যে নোবেল পুরস্কারে ভূষিত হন। তাঁর প্রথম প্রকাশিত কবিতা ছিল ‘হিন্দুমেলার উপহার’।
তাঁর রচিত উল্লেখযোগ্য কাব্যগ্রন্থগুলো হলো—
-
প্রভাতসঙ্গীত
-
মানসী
-
সোনার তরী
-
চিত্র
-
চৈতালী
-
কল্পনা
-
ক্ষণিকা
-
গীতাঞ্জলি
-
বলাকা
-
পুনশ্চ
0
Updated: 1 month ago
রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর রচিত কাব্যগ্রন্থ-
Created: 1 month ago
A
শেষের কবিতা
B
শেষ লেখা
C
শেষ রক্ষা
D
চোখের বালি
শেষ লেখা
-
রচয়িতা: রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর
-
প্রকাশকাল: ১৯৪১
-
বিবরণ: 'শেষলেখা' রবীন্দ্রনাথের সর্বশেষ কাব্যগ্রন্থ। অধিকাংশ কবিতা তাঁর জীবনের শেষ কয়েক দিনের রচনা।
-
বৈশিষ্ট্য: কাব্যগ্রন্থে ভাববাদী দর্শনের মধ্যেও চরমভাবে ইহজগৎপ্রীতি প্রকাশ পেয়েছে।
-
উদাহরণ কবিতা:
রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর
-
জন্ম: ৭ মে ১৮৬১ (২৫ বৈশাখ ১২৬৮ বঙ্গাব্দ), কলকাতা, জোড়াসাঁকোর ঠাকুর পরিবার
-
পিতা: মহর্ষি দেবেন্দ্রনাথ ঠাকুর
-
পিতামহ: প্রিন্স দ্বারকানাথ ঠাকুর
-
বৈশিষ্ট্য: কবি, সঙ্গীতজ্ঞ, কথাসাহিত্যিক, নাট্যকার, চিত্রশিল্পী, প্রাবন্ধিক, দার্শনিক, শিক্ষাবিদ ও সমাজ-সংস্কারক
-
উল্লেখযোগ্য অর্জন: 'গীতাঞ্জলি' কাব্যের জন্য ১৯১৩ সালে সাহিত্যে নোবেল পুরস্কারপ্রাপ্ত; শিশু-কালের 'বনফুল' কাব্য প্রকাশ
-
মৃত্যু: ৭ আগস্ট ১৯৪১ (২২ শ্রাবণ ১৩৪৮ বঙ্গাব্দ), কলকাতা
প্রধান কাব্যগ্রন্থ:
-
মানসী, সোনার তরী, চিত্রা, চৈতালী, কল্পনা, ক্ষণিকা, গীতাঞ্জলি, বলাকা, পূরবী, পুনশ্চ, পত্রপুট, সেঁজুতি, শেষ লেখা
অন্যান্য সাহিত্যকর্ম:
-
নাটক: শেষ রক্ষা
-
উপন্যাস: শেষের কবিতা, চোখের বালি
উৎস:
0
Updated: 1 month ago
'দেনাপাওনা' গল্পের নায়িকা কে?
Created: 1 month ago
A
সুরবালা
B
চন্দরা
C
নিরূপমা
D
মৃন্ময়ী
‘দেনাপাওনা’ রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের রচিত একটি বিখ্যাত ছোটগল্প, যার কেন্দ্রীয় চরিত্র হলো নিরূপমা। এই গল্পটি সামাজিক ও মানবিক মূল্যবোধের উপর আলোকপাত করে।
-
রবীন্দ্রনাথের অন্যান্য ছোটগল্পের উল্লেখযোগ্য চরিত্র:
-
সমাপ্তি গল্পের চরিত্র: মৃন্ময়ী
-
পোস্টমাস্টার গল্পের চরিত্র: রতন
-
একরাত্রি গল্পের চরিত্র: সুরবালা
-
শাস্তি গল্পের নায়িকা: চন্দরা
-
0
Updated: 1 month ago