সার্কের সচিবালয় কোথায় অবস্থিত?
A
দিল্লী
B
ইসলামাবাদ
C
ঢাকা
D
কাঠমুন্ডু
উত্তরের বিবরণ
দক্ষিণ এশিয়ার আঞ্চলিক সহযোগিতা সংস্থা বা সার্ক (SAARC) দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোর পারস্পরিক সম্পর্ক, উন্নয়ন ও ঐক্য বৃদ্ধির লক্ষ্যে গঠিত একটি আন্তর্জাতিক সংস্থা। এই সংস্থার সচিবালয় অবস্থিত নেপালের রাজধানী কাঠমুন্ডুতে, যা সার্কের প্রশাসনিক কেন্দ্র হিসেবে কাজ করে। নিচে সার্ক সচিবালয় সম্পর্কিত প্রয়োজনীয় তথ্য দেওয়া হলো।
• সার্কের পূর্ণরূপ হলো South Asian Association for Regional Cooperation। এটি দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোর মধ্যে সহযোগিতা ও উন্নয়নের উদ্দেশ্যে ৮ ডিসেম্বর ১৯৮৫ সালে প্রতিষ্ঠিত হয়।
• সার্কের প্রতিষ্ঠাতা সদস্য দেশ হলো—বাংলাদেশ, ভারত, পাকিস্তান, নেপাল, শ্রীলঙ্কা, ভুটান ও মালদ্বীপ। পরে আফগানিস্তান ২০০৭ সালে সদস্য হিসেবে যোগ দেয়, ফলে বর্তমানে সার্কের সদস্য রাষ্ট্র সংখ্যা ৮টি।
• সার্কের প্রতিষ্ঠার প্রস্তাব প্রথম দেন বাংলাদেশের তৎকালীন রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান, যিনি দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোর মধ্যে অর্থনৈতিক ও সাংস্কৃতিক সম্পর্ক জোরদারের উদ্দেশ্যে এই ধারণা দেন।
• সার্কের প্রথম সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয় ১৯৮৫ সালে ঢাকায়, যেখানে সদস্য দেশগুলোর রাষ্ট্রপ্রধানেরা অংশ নেন এবং আনুষ্ঠানিকভাবে সংস্থাটি গঠিত হয়।
• সার্কের সচিবালয় দক্ষিণ এশিয়ার আঞ্চলিক কার্যক্রম, গবেষণা, পরিকল্পনা এবং সদস্য রাষ্ট্রগুলোর মধ্যে যোগাযোগ রক্ষার দায়িত্ব পালন করে। এটি সার্কের মূল প্রশাসনিক কেন্দ্র হিসেবে কাজ করে।
• সচিবালয়টি আনুষ্ঠানিকভাবে কাঠমুন্ডুতে ১৯৮৭ সালের ১৭ জানুয়ারি প্রতিষ্ঠিত হয়। এখানে সার্কের সচিব জেনারেল (Secretary-General) এবং অন্যান্য কর্মকর্তা-কর্মচারীরা কর্মরত আছেন।
• সচিব জেনারেল পদটি পর্যায়ক্রমে সদস্য রাষ্ট্রগুলোর প্রতিনিধিদের মধ্যে থেকে নির্দিষ্ট মেয়াদের জন্য নির্বাচিত হন। এ পদে প্রথম দায়িত্ব পালন করেন আশরাফ আলী চৌধুরী (বাংলাদেশ)।
• সার্ক সচিবালয়ের মূল কাজগুলোর মধ্যে রয়েছে—
-
সদস্য রাষ্ট্রগুলোর মধ্যে অর্থনৈতিক ও প্রযুক্তিগত সহযোগিতা সমন্বয় করা।
-
সার্ক সম্মেলন ও বৈঠকের সিদ্ধান্ত বাস্তবায়ন করা।
-
বিভিন্ন আঞ্চলিক প্রকল্প ও প্রোগ্রাম তদারকি করা।
-
সদস্য রাষ্ট্রগুলোর মধ্যে শান্তি, স্থিতিশীলতা ও উন্নয়নের পরিবেশ সৃষ্টি করা।
• সার্ক সচিবালয়ের ভবনটি কাঠমুন্ডুর প্রধান এলাকায় অবস্থিত এবং এটি নেপালের সরকারের সহযোগিতায় নির্মিত হয়েছে।
• বাংলাদেশ সার্কের একজন প্রতিষ্ঠাতা সদস্য এবং সংস্থাটির গঠন প্রক্রিয়ায় মুখ্য ভূমিকা পালন করেছে। ঢাকা শহরেই প্রথম সার্ক সম্মেলন হওয়ায় বাংলাদেশের ঐতিহাসিক গুরুত্ব বিশেষভাবে স্বীকৃত।
সব মিলিয়ে বলা যায়, সার্কের প্রশাসনিক কার্যক্রম পরিচালনার জন্য কাঠমুন্ডুতেই সচিবালয় স্থাপন করা হয়েছে, যা সংস্থার কেন্দ্রবিন্দু হিসেবে কাজ করে দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোর ঐক্য, সহযোগিতা ও উন্নয়নের প্রতীক হয়ে উঠেছে।
0
Updated: 22 hours ago
সার্কের সর্বশেষ সদস্য রাষ্ট্র কোনটি? [আগস্ট, ২০২৫]
Created: 1 month ago
A
ভুটান
B
মালদ্বীপ
C
পাকিস্তান
D
আফগানিস্তান
সার্ক (SAARC)
পূর্ণরূপ: South Asian Association for Regional Cooperation (দক্ষিণ এশীয় আঞ্চলিক সহযোগিতা সংস্থা)
প্রতিষ্ঠা: ৮ ডিসেম্বর, ১৯৮৫, ঢাকা, বাংলাদেশ
প্রথম সম্মেলন: ঢাকায় অনুষ্ঠিত
প্রাথমিক সদস্য সংখ্যা: ৭টি দেশ
বর্তমান সদস্য সংখ্যা: ৮টি দেশ
-
সদস্য রাষ্ট্রগুলো: বাংলাদেশ, ভুটান, মালদ্বীপ, নেপাল, ভারত, পাকিস্তান, শ্রীলঙ্কা, আফগানিস্তান (২০০৭ সালে অন্তর্ভুক্ত)
সচিবালয়: কাঠমান্ডু, নেপাল
প্রধান: সেক্রেটারি জেনারেল
সার্কের লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য:
-
সদস্য দেশগুলোর জনগণের জীবনযাত্রার মান উন্নয়ন করা
-
এ অঞ্চলের অর্থনৈতিক ও সামাজিক উন্নয়ন এবং সংস্কৃতির বিকাশ নিশ্চিত করা
-
দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোকে জাতীয়ভাবে আত্মনির্ভরশীল করে তোলা
-
রাষ্ট্রগুলোর সাধারণ স্বার্থে সহানুভূতি ও সহযোগিতা বৃদ্ধি করা
-
বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সংস্থার সাথে সহযোগিতার সম্পর্ক স্থাপন
0
Updated: 1 month ago
সার্ক বিশ্ববিদ্যালয় কোথায় অবস্থিত?
Created: 1 week ago
A
ইসলামাবাদ
B
ঢাকা
C
কাঠমান্ডু
D
নয়াদিল্লি
সার্ক বিশ্ববিদ্যালয় দক্ষিণ এশীয় দেশগুলোর মধ্যে শিক্ষা ও সাংস্কৃতিক সহযোগিতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে প্রতিষ্ঠিত একটি আন্তর্জাতিক উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠান। এটি সার্কভুক্ত দেশগুলোর মধ্যে সম্পর্ক জোরদার করতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। বিশ্ববিদ্যালয়টি মূলত দক্ষিণ এশীয় অঞ্চলে উচ্চশিক্ষার মান উন্নয়ন এবং গবেষণার মাধ্যমে আঞ্চলিক উন্নয়ন সাধনে কাজ করে।
বিশ্ববিদ্যালয়টি ভারতের নয়াদিল্লিতে অবস্থিত। এটি ২০০৭ সালে প্রতিষ্ঠিত হয় সার্কভুক্ত আটটি দেশের যৌথ উদ্যোগে। সদস্য দেশগুলো হলো—বাংলাদেশ, ভারত, পাকিস্তান, নেপাল, ভুটান, শ্রীলঙ্কা, মালদ্বীপ এবং আফগানিস্তান। এর মাধ্যমে এসব দেশের শিক্ষার্থী ও গবেষকরা একত্রে কাজ করার সুযোগ পান, যা আঞ্চলিক ঐক্য ও সহযোগিতার প্রতীক হিসেবে কাজ করে।
বিশ্ববিদ্যালয়টি আন্তর্জাতিক মান বজায় রেখে পরিচালিত হয় এবং শিক্ষার্থীদের জন্য আধুনিক শিক্ষা ব্যবস্থার সুযোগ তৈরি করে।
• সার্ক বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষার্থীরা বিজ্ঞান, সমাজবিজ্ঞান, অর্থনীতি, পরিবেশবিদ্যা, আন্তর্জাতিক সম্পর্কসহ নানা বিষয়ে স্নাতকোত্তর ও পিএইচডি পর্যায়ের শিক্ষা গ্রহণ করতে পারে।
• বিশ্ববিদ্যালয়ের পাঠ্যক্রম এমনভাবে সাজানো হয়েছে যাতে সার্কভুক্ত দেশগুলোর সাধারণ সমস্যা যেমন দারিদ্র্য, পরিবেশ সংকট, জলবায়ু পরিবর্তন ও অর্থনৈতিক বৈষম্য নিয়ে গবেষণা সম্ভব হয়।
• এর মূল লক্ষ্য হলো আঞ্চলিক জ্ঞান ও দক্ষতা বৃদ্ধি, যাতে সদস্য দেশগুলোর মধ্যে সহযোগিতার একটি স্থায়ী ভিত্তি তৈরি হয়।
• সার্ক বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক কাঠামো সার্ক সচিবালয়ের তত্ত্বাবধানে পরিচালিত হয় এবং প্রতিটি দেশ এখানকার কার্যক্রমে ভূমিকা রাখে।
• বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের মধ্যে বহুজাতিক পরিবেশ বিদ্যমান, যা দক্ষিণ এশীয় সংস্কৃতির বৈচিত্র্য ও ঐক্যের প্রতিফলন ঘটায়।
সারসংক্ষেপে বলা যায়, নয়াদিল্লিতে অবস্থিত সার্ক বিশ্ববিদ্যালয় দক্ষিণ এশিয়ার উচ্চশিক্ষার কেন্দ্রবিন্দু হিসেবে কাজ করছে, যা আঞ্চলিক ঐক্য, গবেষণা এবং উন্নয়নের এক উজ্জ্বল প্রতীক।
0
Updated: 1 week ago
সার্ক প্রতিষ্ঠিত হয়-
Created: 1 week ago
A
১৯৮২ সালে
B
১৯৮৫ সালে
C
১৯৮৪ সালে
D
১৯৮৩ সালে
0
Updated: 1 week ago