চির বসন্তের শহর নামে পরিচিত কোন দেশ?
A
রোম
B
নরওয়ে
C
ইকুয়েডর
D
এথেন্স
উত্তরের বিবরণ
ইকুয়েডরকে “চির বসন্তের শহর” নামে পরিচিত করা হয়। এটি নামকরণের প্রধান কারণ হলো দেশের জলবায়ু অত্যন্ত উষ্ণ ও স্থায়ী, যা বছরের প্রতিটি সময় প্রায় সমান থাকে। ইকুয়েডরের উচ্চতা এবং ভূগোলের কারণে তাপমাত্রা খুব বেশি ওঠানামা করে না, ফলে বসন্তের মতো আবহাওয়া সারাবছর অনুভূত হয়।
-
জলবায়ু বৈশিষ্ট্য: ইকুয়েডর মূলত পৃথিবীর ইকুয়েটরের কাছাকাছি অবস্থান করছে। সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে মাঝারি উচ্চতায় হওয়ায় দিনের তাপমাত্রা প্রায় ২০–২৫ ডিগ্রি সেলসিয়াসের মধ্যে থাকে। ফলে এটি চির বসন্তের পরিবেশ দেয়।
-
ভূগোলের প্রভাব: ইকুয়েডরের ভূখণ্ডে পাহাড়, সমভূমি ও আগ্নেয়গিরির সংমিশ্রণ রয়েছে। এই বৈচিত্র্য দেশটিকে সমতল থেকে উচ্চ পাহাড় পর্যন্ত বিভিন্ন জলবায়ু প্রদান করে। তবে শহরগুলোতে বসন্তের আবহাওয়া বজায় থাকে।
-
সাংস্কৃতিক ও ভ্রমণমূলক গুরুত্ব: এই স্থায়ী বসন্তের জলবায়ুর কারণে ইকুয়েডর পর্যটকদের কাছে আকর্ষণীয়। এখানে আগ্নেয়গিরি, বন্যপ্রাণী এবং প্রকৃতির সৌন্দর্য উপভোগ করা যায়।
-
অন্যান্য বিকল্পের তুলনা:
-
রোম, এথেন্স এবং নরওয়ে—সবই ঋতু পরিবর্তনের মধ্যে পড়ে। রোম ও এথেন্সে গ্রীষ্ম ও শীতের তাপমাত্রার পার্থক্য থাকে। নরওয়ে শীতকালে অত্যন্ত ঠান্ডা হয়। তাই এরা “চির বসন্তের শহর” হিসেবে পরিচিত নয়।
-
-
বিশেষত্ব: ইকুয়েডরের শহরগুলো, যেমন কুইটো এবং গয়াকিল, প্রাকৃতিক সৌন্দর্য এবং স্থায়ী বসন্তের আবহাওয়ার জন্য বিশ্বব্যাপী পরিচিত।
সারসংক্ষেপে, ইকুয়েডরকে “চির বসন্তের শহর” বলা হয়, কারণ এখানে সারাবছর প্রায় সমান তাপমাত্রা ও অনবরত বসন্তকালীন আবহাওয়া বজায় থাকে। এর জন্য এটি পর্যটক ও ভ্রমণপ্রেমীদের কাছে বিশেষভাবে জনপ্রিয়।
0
Updated: 1 day ago