কোন ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর লোকেরা বাড়িতে অতিথি এলে পান সুপারি ও চা দিয়ে আপ্যায়ন করে?
A
গারো
B
খাসি
C
ওরাওঁ
D
ত্রিপুরা
উত্তরের বিবরণ
খাসি জনগোষ্ঠী বাংলাদেশের পাহাড়ী অঞ্চলের একটি প্রাচীন ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠী। তাদের সামাজিক জীবন, সংস্কৃতি ও রীতিনীতির মধ্যে অতিথি আপ্যায়নের বিশেষ গুরুত্ব রয়েছে। খাসিরা যখন কোনো অতিথি বাড়িতে আসেন, তখন সাধারণত সুপারি ও চা দিয়ে আপ্যায়ন করেন। এটি তাদের আতিথ্যপরায়ণতা এবং সামাজিক রীতির এক অঙ্গ।
-
আতিথ্য ও সামাজিক রীতি: খাসি সমাজে অতিথি আপ্যায়ন একটি গুরুত্বপূর্ণ সামাজিক অনুশীলন। অতিথি হলে প্রথমেই তাকে চা ও সুপারি দেওয়া হয়, যা সৌজন্য ও বন্ধুত্বের প্রতীক হিসেবে বিবেচিত।
-
সামাজিক ও সাংস্কৃতিক প্রভাব: এই রীতি শুধু আতিথ্য প্রদর্শনেই সীমাবদ্ধ নয়, বরং খাসির সমাজে সংহতি, বন্ধুত্ব এবং সামাজিক সম্পর্ক বজায় রাখতে সহায়ক। অতিথি আপ্যায়নের মাধ্যমে তারা পারস্পরিক সম্মান এবং সম্প্রদায়ের বন্ধনকে দৃঢ় করে।
-
অতিথি আপ্যায়নের অন্যান্য দিক: প্রয়োজনে খাবার, নৃত্য বা গান সহ খাসি সংস্কৃতির বিভিন্ন রীতিও অন্তর্ভুক্ত করা হয়। তবে চা ও সুপারি সবসময় মৌলিক ও প্রথমিক আতিথ্য হিসেবে দেওয়া হয়।
-
অন্যান্য নৃ-গোষ্ঠীর তুলনা:
-
গারো ও ওরাওঁ জনগোষ্ঠীও আতিথ্য প্রদর্শন করে, কিন্তু তাদের রীতি খাসির মতো চা ও সুপারির ওপর নির্ভরশীল নয়।
-
ত্রিপুরা জনগোষ্ঠীও অতিথি আপ্যায়ন করে, তবে সাধারণত বিভিন্ন খাদ্য ও ফলমূলের মাধ্যমে।
-
-
সংস্কৃতিক গুরুত্ব: খাসি জাতির এই রীতি তাদের পরিচয় ও ঐতিহ্যকে সংরক্ষণ করে। এটি নতুন প্রজন্মকে সামাজিক এবং সাংস্কৃতিক মূল্যবোধ শেখায়।
সারসংক্ষেপে, বাংলাদেশের পাহাড়ি অঞ্চলের ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠী খাসি অতিথি আপ্যায়নের জন্য সুপারি ও চা ব্যবহার করে। এটি তাদের আতিথ্যপ্রধান সংস্কৃতির একটি গুরুত্বপূর্ণ দিক এবং সামাজিক সংহতি ও সৌজন্যের প্রতীক হিসেবে বিবেচিত।
0
Updated: 1 day ago
বাংলাদেশে বসবাসকারী একমাত্র ইসলাম ধর্মাবলম্বী ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠী কোনটি?
Created: 1 month ago
A
পাংখোয়া
B
পাঙন
C
বম
D
লুসাই
পাঙন উপজাতি
-
পাঙন সম্প্রদায় মূলত সিলেট অঞ্চলে বসবাস করে।
-
অধিকাংশ পাঙনের বসতি মৌলভীবাজার জেলার কমলগঞ্জ উপজেলায়।
-
পাঙনরা মণিপুরী নৃ-গোষ্ঠীর একটি শাখা।
-
এরা বাংলাদেশে বসবাসকারী একমাত্র ইসলাম ধর্মাবলম্বী উপজাতি।
-
ধর্মীয়ভাবে এরা সুন্নি মুসলিম।
0
Updated: 1 month ago
মুক্তিযুদ্ধের সময় সিপাহী হামিদুর রহমান কোন সেক্টরের অধীনে যুদ্ধ করেন?
Created: 2 months ago
A
১নং সেক্টর
B
২নং সেক্টর
C
৩নং সেক্টর
D
৪নং সেক্টর
বাংলাদেশ বিষয়াবলি
ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠী
জনশুমারি ও গৃহ গণনা
ভাষা আন্দোলন
মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক গ্রন্থ
মুক্তিযুদ্ধে সাত বীরশ্রেষ্ঠ
সেক্টর ও সেক্টর কমান্ডারগণ
মুক্তিযুদ্ধের বীরশ্রেষ্ঠ ও সংশ্লিষ্ট সেক্টর
| বীরশ্রেষ্ঠ | সেক্টর |
|---|---|
| ল্যান্স নায়েক মুন্সি আব্দুর রউফ | ১নং সেক্টর |
| সিপাহী মোস্তফা কামাল | ২নং সেক্টর |
| সিপাহী হামিদুর রহমান | ৪নং সেক্টর |
| ক্যাপ্টেন মহিউদ্দিন জাহাঙ্গীর | ৭নং সেক্টর |
| ল্যান্স নায়েক নূর মোহাম্মদ শেখ | ৮নং সেক্টর |
| ইঞ্জিনরুম আর্টিফিসার রুহুল আমীন | ১০নং সেক্টর |
| ফ্লাইট লেফটেন্যান্ট মতিউর রহমান | কোনো সেক্টরের অধীনে ছিলেন না |
তথ্যসূত্র: বাংলাপিডিয়া এবং মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয় অফিসিয়াল ওয়েবসাইট।
0
Updated: 2 months ago
বর্তমানে দেশে স্বীকৃত ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠী কয়টি? [আগস্ট, ২০২৫]
Created: 1 month ago
A
৪৮টি
B
৪৯টি
C
৫০টি
D
৫১টি
বাংলাদেশের ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠী
-
সংখ্যা ও স্বীকৃতি:
-
দেশে বর্তমানে ৫০টি স্বীকৃত ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠী রয়েছে (জনশুমারি ও গৃহগণনা ২০২২ অনুযায়ী)।
-
-
ভৌগোলিক বিস্তৃতি:
-
সবচেয়ে বেশি ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠী রাঙামাটিতে বসবাস করে।
-
পার্বত্য জেলা খাগড়াছড়ি দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছে।
-
মোট মানুষের মধ্যে পুরুষ ৪৯.৯৮%, নারী ৫০.০২%।
-
৬০.০৪% চট্টগ্রাম বিভাগে, ১৪.৮২% রাজশাহী, ৮.২৮% সিলেট, ৫.৫২% রংপুর, ৪.৯৯% ঢাকা বিভাগে বসবাস করে।
-
-
প্রধান জনগোষ্ঠী ও বৈচিত্র্য:
-
পার্বত্য চট্টগ্রামে ১৩টি ক্ষুদ্র জাতিগোষ্ঠীর মানুষ বসবাস করে।
-
উল্লেখযোগ্য গোষ্ঠী: চাকমা, ত্রিপুরা, ম্রো, খুমি, লুসাই, মারমা, রাখাইন, চাক, বম, খেয়াং, পাঙ্খোয়া।
-
-
সর্ববৃহৎ গোষ্ঠী:
১. চাকমা
২. মারমা
৩. ত্রিপুরা
উৎস:
i) জনশুমারি ও গৃহগণনা ২০২২
ii) প্রথম আলো
0
Updated: 1 month ago