ইন্টারনেটের মাধ্যমে ঘরে বসে ব্যবসা করাকে কী বলা হয়?
A
ই-শপিং
B
ই-কমার্স
C
এম বিজনেস
D
মোবাইল বিজনেস
উত্তরের বিবরণ
বর্তমান সময়ে প্রযুক্তির অগ্রগতির সঙ্গে সঙ্গে ব্যবসায়িক কার্যক্রমও অনেকটাই ডিজিটাল হয়ে গেছে। ইন্টারনেটের মাধ্যমে ঘরে বসে পণ্য বা সেবা বিক্রি ও ক্রয় করা কার্যক্রমকে ই-কমার্স (E-Commerce) বলা হয়। এটি শুধু অনলাইন শপিংয়ের মধ্যে সীমাবদ্ধ নয়, বরং ব্যবসার সকল ডিজিটাল লেনদেনের প্রক্রিয়াকে অন্তর্ভুক্ত করে।
-
ই-কমার্সের সংজ্ঞা: ই-কমার্স হলো এমন একটি ব্যবসায়িক পদ্ধতি যেখানে ক্রেতা ও বিক্রেতা সরাসরি ইন্টারনেট ব্যবহার করে লেনদেন করে। এটি পণ্য বিক্রি, সেবা প্রদান, অনলাইন পেমেন্ট, ডেলিভারি ও গ্রাহক সমর্থন—all-কে অন্তর্ভুক্ত করে।
-
প্রধান বৈশিষ্ট্য:
-
ঘরে বসেই ক্রয়-বিক্রয় করা যায়।
-
লেনদেনের জন্য কোনো শারীরিক দোকান প্রয়োজন হয় না।
-
পেমেন্ট অনলাইন মাধ্যমে সম্পন্ন হয়, যেমন: ক্রেডিট/ডেবিট কার্ড, ই-ওয়ালেট বা ব্যাংক ট্রান্সফার।
-
-
ই-কমার্সের ধরন:
-
B2C (Business to Consumer): ব্যবসা থেকে সরাসরি গ্রাহকের কাছে পণ্য বা সেবা বিক্রয়, যেমন অ্যামাজন বা দারাজ।
-
B2B (Business to Business): ব্যবসা থেকে ব্যবসার মধ্যে লেনদেন, যেমন বড় কোম্পানির কাঁচামাল ক্রয়।
-
C2C (Consumer to Consumer): ভোক্তা থেকে ভোক্তার মধ্যে লেনদেন, যেমন অনলাইন মার্কেটপ্লেসে ব্যবহারকারীদের মধ্যকার বিক্রয়।
-
-
ফায়দা:
-
সময় ও অর্থ সাশ্রয়।
-
বিশ্বব্যাপী গ্রাহকের কাছে পৌঁছানোর সুযোগ।
-
ছোট ব্যবসায়ীদেরও বড় বাজারে প্রবেশের সুযোগ।
-
-
ভবিষ্যৎ সম্ভাবনা: ই-কমার্স শুধু ঘরে বসে ব্যবসা করার মাধ্যম নয়, বরং এটি বৈশ্বিক অর্থনীতির গুরুত্বপূর্ণ অংশ হয়ে উঠছে। প্রযুক্তিগত উন্নয়নের সঙ্গে সঙ্গে ই-কমার্স আরও বিস্তৃত ও শক্তিশালী হচ্ছে।
সারসংক্ষেপে, ইন্টারনেট ব্যবহার করে ঘরে বসে ব্যবসা চালানোর প্রক্রিয়াকে ই-কমার্স বলা হয়। এটি আধুনিক ব্যবসার ধারা এবং ক্রেতা-বিক্রেতার মধ্যে লেনদেনের সহজ, দ্রুত ও সুবিধাজনক মাধ্যম হিসেবে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে।
0
Updated: 1 day ago
বাংলাদেশের ই-ক্যাব-এর তথ্য অনুযায়ী, দেশে ই-কমার্স বা ডিজিটাল বাণিজ্য কত সালে শুরু হয়?
Created: 1 month ago
A
১৯৯১ সালে
B
১৯৯৩ সালে
C
১৯৯৭ সালে
D
১৯৯৯ সালে
বাংলাদেশের ই-কমার্স
-
বাংলাদেশে ই-কমার্স শুরু হয় ১৯৯৯ সাল থেকে, তবে পূর্ণাঙ্গ ও পেশাদার ই-কমার্সের যাত্রা শুরু হয় ২০০৯ সালে।
-
এই খাতের বিকাশ মূলত ২০১৪ সালে শুরু হয়।
-
ই-কমার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ই-ক্যাব) ২০১৫ সালে স্বীকৃতি পায়।
-
ই-কমার্স উদ্যোগ হিসেবে জনপ্রিয় হয়ে ওঠে ২০১৬ সাল থেকে।
-
সরকার ২০১৮ সালে ডিজিটাল কমার্স পলিসি ঘোষণা করে।
-
ই-কমার্সের ব্যাপক বিজ্ঞাপন শুরু হয় ২০১৯ সালে এবং প্রসার ঘটে ২০২০ সালে।
-
ই-ক্যাব ২০২০ সালে ডিজিটাল বাংলাদেশ পুরস্কার অর্জন করে।
ই-কমার্স সাধারণ তথ্য:
-
ইলেকট্রনিক্স মাধ্যমে যে কোনো ব্যবসা ই-কমার্স হতে পারে।
-
ই-কমার্স বিভিন্ন প্রকার হতে পারে, যেমন: B2B, B2C, C2B, B2G, G2C, G2B।
প্ল্যাটফর্ম অনুসারে ই-কমার্সের ধরন:
-
মার্কেটপ্লেস: বড় প্ল্যাটফর্মে হাজার হাজার বিক্রেতা তাদের পণ্য বিক্রি করে। উদাহরণ: দারাজ, আজকের ডিল।
-
অনলাইন শপ: একটি ওয়েবসাইটের মাধ্যমে বিভিন্ন ব্র্যান্ডের পণ্য বিক্রি করা হয়।
-
এক্সক্লুসিভ অনলাইন শপ: শুধুমাত্র নিজেদের উৎপাদিত পণ্য অনলাইনে বিক্রি করা হয়। উদাহরণ: Walton, Otobi.com।
-
সোশাল মিডিয়া ভিত্তিক ব্যবসা: যারা কেবল ফেসবুক পেজ ব্যবহার করে ব্যবসা পরিচালনা করে।
0
Updated: 1 month ago