বাঙালি জাতীয়তাবাদের ভিত্তি কোনটি?
A
ঐক্য ও সংহতি
B
মমত্ববোধ
C
ভ্রাতৃত্ববোধ
D
ধর্মীয় ঐক্য
উত্তরের বিবরণ
বাঙালি জাতীয়তাবাদ মূলত একটি ঐতিহাসিক ও সাংস্কৃতিক আন্দোলন, যা বাঙালি মানুষের মধ্যে জাতিসত্তা, সাংস্কৃতিক পরিচয় এবং স্বাতন্ত্র্যের চেতনাকে শক্তিশালী করে। এর মূল ভিত্তি হলো ঐক্য ও সংহতি, যা বাঙালি মানুষকে একত্রিত করে রাজনৈতিক, সামাজিক এবং সাংস্কৃতিক অধিকার রক্ষায় সচেষ্ট করে। ঐক্য ও সংহতির মাধ্যমে বাঙালি জাতীয়তাবাদ দেশপ্রেম এবং স্বাধিকার চেতনার সঙ্গে সংযুক্ত হয়।
-
ঐক্য ও সংহতির ভূমিকা: বাঙালি জাতি যখন একত্রিত হয়, তখন তারা স্বাধিকার, ভাষা এবং সাংস্কৃতিক অধিকার রক্ষার জন্য শক্তিশালী আন্দোলন করতে সক্ষম হয়। ভাষা আন্দোলন, স্বাধীনতা সংগ্রাম এবং সমাজকল্যাণমূলক উদ্যোগের মধ্যে এই ঐক্য ও সংহতি স্পষ্টভাবে প্রকাশ পায়।
-
সংস্কৃতিক পরিচয়: বাঙালি জাতীয়তাবাদের মধ্যে ভাষা, সাহিত্য, সংগীত, নৃত্য ও ঐতিহ্য গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। এই সাংস্কৃতিক ঐক্য মানুষকে একত্রিত করে এবং জাতীয় চেতনার বিকাশ ঘটায়।
-
রাজনৈতিক প্রভাব: ঐক্য ও সংহতি ছাড়া কোনো জাতি দীর্ঘমেয়াদী রাজনৈতিক অর্জন করতে পারে না। বাঙালি জাতীয়তাবাদও ইতিহাসে এর প্রমাণ দিয়েছে—১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধের সময় জনগণ ঐক্যবদ্ধ হয়ে দেশকে স্বাধীন করার পথে এগিয়েছিল।
-
সামাজিক সংহতি: বাঙালি জাতীয়তাবাদের মধ্যে সামাজিক সংহতির গুরুত্ব অপরিসীম। এটি বিভিন্ন ধর্ম, বর্ণ ও সম্প্রদায়ের মানুষকে একত্রিত করে জাতীয় চেতনা জাগ্রত করে। সংহতির কারণে সমাজে সাম্যের বোধ এবং সহযোগিতার পরিবেশ তৈরি হয়।
-
ভ্রাতৃত্ববোধ ও মমত্ববোধ: যদিও এগুলোও গুরুত্বপূর্ণ সামাজিক গুণাবলি, তবে বাঙালি জাতীয়তাবাদের মূল ভিত্তি হিসেবে এগুলো নয়। এগুলো ঐক্য ও সংহতির সঙ্গে সম্পর্কিত হলেও প্রধান ভিত্তি নয়।
সারসংক্ষেপে, বাঙালি জাতীয়তাবাদের শক্তিশালী ভিত্তি হলো ঐক্য ও সংহতি, যা বাঙালি জনগণকে একত্রিত করে, তাদের সাংস্কৃতিক, রাজনৈতিক ও সামাজিক অধিকার রক্ষায় সক্ষম করে এবং স্বাধীনতা ও জাতীয় চেতনার বিকাশ ঘটায়। এই ঐক্য ও সংহতি ছাড়া বাঙালি জাতীয়তাবাদ পূর্ণাঙ্গভাবে কার্যকর হতে পারত না।
0
Updated: 1 day ago
'Untranquil Recollections: The Years of Fulfilment' শীর্ষক গ্রন্থটির লেখক কে?
Created: 1 month ago
A
আনিসুর রহমান
B
রেহমান সােবহান
C
নুরুল ইসলাম
D
রওনক জাহান
অধ্যাপক রেহমান সোবহান বাংলাদেশের একজন খ্যাতনামা অর্থনীতিবিদ, যিনি একদিকে একাডেমিক অবদান রেখেছেন, অন্যদিকে রাজনৈতিক ও সামাজিক আন্দোলনেও সক্রিয় ছিলেন।
তিনি বিশেষভাবে বাঙালি জাতীয়তাবাদ এবং স্বাধীনতার আন্দোলনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছেন। নিচে তাঁর জীবন ও কর্মের উল্লেখযোগ্য দিকগুলো তুলে ধরা হলো।
-
রেহমান সোবহান একজন বাংলাদেশি অর্থনীতিবিদ।
-
তিনি ষাটের দশকে বাঙালি জাতীয়তাবাদ আন্দোলনের অন্যতম সক্রিয় কর্মী ছিলেন।
-
তিনি সেন্টার ফর পলিসি ডায়লগ (CPD)-এর প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান।
-
১৯৯১ সালে তিনি তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অন্যতম উপদেষ্টা হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।
-
তাঁর লেখা Untranquil Recollections: The Years of Fulfilment গ্রন্থটি ২০১৫ সালে প্রকাশিত হয়।
-
১৯৬১ থেকে ১৯৭১ পর্যন্ত লেখা তাঁর নিবন্ধ, কলাম ও সম্পাদকীয় সমন্বয়ে প্রকাশিত হয়েছে From Two Economies to Two Nations: My Journey to Bangladesh নামক গ্রন্থ।
0
Updated: 1 month ago
'Let There Be light ' - বিখ্যাত ছবিটি পরিচালনা করেন-
Created: 1 month ago
A
আমজাদ হোসেন
B
জহির রায়হান
C
খান আতাউর রহমান
D
শেখ নিয়ামত আলী
জহির রায়হান ও তাঁর চলচ্চিত্র
‘Let There Be Light’
-
এটি জহির রায়হানের নির্মাণাধীন একটি চলচ্চিত্র।
-
ছবিটি অসমাপ্ত থেকে যায়, কারণ চলচ্চিত্র শেষ হওয়ার আগেই মুক্তিযুদ্ধ শুরু হয়।
জহির রায়হান সম্পর্কে
-
জন্ম: ১৯৩৫ সালে ফেনী জেলায়।
-
তিনি ছিলেন একাধারে কথাসাহিত্যিক, ঔপন্যাসিক ও খ্যাতনামা চলচ্চিত্র পরিচালক।
-
প্রকৃত নাম: মোহাম্মদ জহিরুল্লাহ।
তাঁর উল্লেখযোগ্য চলচ্চিত্র সাফল্য
-
বাংলাদেশের প্রথম রঙিন চলচ্চিত্র ‘সঙ্গম’ তাঁর সৃষ্টি।
-
পরিচালিত প্রথম ছবি ‘কখনো আসেনি’।
-
দেশের প্রথম সিনেমাস্কোপ চলচ্চিত্র ‘বাহানা’।
-
‘কাঁচের দেয়াল’ চলচ্চিত্রটি নিগার পুরস্কারে শ্রেষ্ঠ চলচ্চিত্র নির্বাচিত হয়।
অন্যান্য চলচ্চিত্রের মধ্যে রয়েছে:
-
Let There Be Light
-
Stop Genocide
-
কখনো আসেনি
-
কাজল
-
কাঁচের দেয়াল
-
বেহুলা
-
আনোয়ারা
-
সঙ্গম
-
বাহানা ইত্যাদি।
উৎস: বাংলাপিডিয়া, প্রথম আলো
0
Updated: 1 month ago
[তৎকালীন গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন। অনুগ্রহ করে বর্তমান তথ্য দেখে নিন] ২০১১ সালের আদমশুমারি অনুযায়ী বাংলাদেশে নারী-পুরুষের অনুপাত-
Created: 2 months ago
A
১০০ : ১০৬
B
১০০ : ১০০.৬
C
১০০ : ১০০.৩
D
১০০ : ১০০
[তৎকালীন গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন। অনুগ্রহ করে বর্তমান তথ্য দেখে নিন]
বাংলাদেশের সর্বশেষ (পঞ্চম) আদমশুমারি ২০১১ অনুযায়ী,
- নারীর সংখ্যা ৭,৪৭,৯১,৯৭৮ জন এবং পুরুষের সংখ্যা ৭,৪৯,৮০,৩৮৬ জন।
- নারী ও পুরুষের অনুপাত ১০০ : ১০০.৩।
--------------------
৬ষ্ঠ আদমশুমারির তথ্যানুযায়ী বাংলাদেশের:
মোট জনসংখ্যা (প্রাথমিক হিসাবে) : ১৬,৫১,৫৮,৬১৬
- পুরুষ জনসংখ্যা : ৮.১৭ কোটি
- নারী জনসংখ্যা : ৮.৩৩ কোটি।
চূড়ান্ত হিসাবে মোট জনসংখ্যা : ১৬,৯৮,২৮,৯১১)
- পুরুষ জনসংখ্যা : ৮.৪০ কোটি
- নারী জনসংখ্যা : ৮.৫৬ কোটি।
- পুরুষ-নারীর অনুপাত ৯৮ : ১০০।
তথ্যসূত্র: ৬ষ্ঠ জনশুমারি ও গৃহগণনা প্রাথমিক প্রতিবেদন, বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো ওয়েবসাইট এবং লাইভ এমসিকিউ সাম্প্রতিক সমাচার।
0
Updated: 2 months ago