কোন জাতীয় খাদ্য পাকস্থলীতে অনেকক্ষণ থাকে?

A

আমিষ

B

শর্করা

C

স্নেহ

D

ভিটামিন

উত্তরের বিবরণ

img

পাকস্থলীর হজম প্রক্রিয়ায় বিভিন্ন ধরনের খাদ্য ভিন্ন সময় ধরে অবস্থান করে। বিশেষভাবে আমিষ বা প্রোটিনসমৃদ্ধ খাবার পাকস্থলীতে দীর্ঘ সময় থাকে। এর কারণ হলো প্রোটিন হজমের জন্য বিশেষ ধরনের এনজাইম ও পেপটিক অ্যাসিডের প্রয়োজন হয়, যা ধীরে ধীরে কাজ করে। ফলে আমিষের হজম প্রক্রিয়া শর্করা বা ভিটামিনের তুলনায় অনেক বেশি সময় নেয়।

  • হজম প্রক্রিয়ার সময়: আমিষ পাকস্থলীতে সাধারণত ৩–৬ ঘণ্টা থাকে, কখনও কখনও দীর্ঘ সময়ও ধরে থাকতে পারে। শর্করা বা কার্বোহাইড্রেট অনেক দ্রুত হজম হয়, প্রায় ১–২ ঘণ্টার মধ্যে। ভিটামিন ও খনিজ উপাদান সাধারণত আরও দ্রুত রক্তে শোষিত হয়।

  • হজমের কৌশল: আমিষের জটিল রচনা (প্রোটিন চেইন) ভেঙে ছোট আণবিক পর্যায়ে রূপান্তরিত হতে সময় লাগে। পাকস্থলীর অ্যাসিড ও পেপটিক এনজাইমগুলি এই প্রক্রিয়ায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। তাই আমিষ দীর্ঘ সময় ধরে পাকস্থলীতে অবস্থান করে।

  • পুষ্টি এবং সেরেটি প্রভাব: দীর্ঘ সময় হজম হওয়ার কারণে আমিষ ধীরে ধীরে রক্তে প্রবেশ করে, যা দেহে দীর্ঘস্থায়ী শক্তি সরবরাহ করে। এটি মাংস, মাছ, ডিম, দুধ ও ডালজাতীয় খাবারের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য।

  • অন্যান্য খাদ্যের তুলনা: শর্করা বা কার্বোহাইড্রেট যেমন ভাত বা রুটি দ্রুত হজম হওয়ায় পাকস্থলীতে কম সময় থাকে। স্নেহ বা চর্বি হজমের ক্ষেত্রে আমিষের চেয়ে কিছুটা বেশি সময় লাগে, তবে প্রোটিনের মতো দীর্ঘ নয়। ভিটামিন ও খনিজের হজম প্রায় সরাসরি অন্ত্রে ঘটে।

  • জীববিজ্ঞানীয় প্রভাব: পাকস্থলীতে আমিষ দীর্ঘ সময় থাকার কারণে হজম প্রক্রিয়ার নিয়ন্ত্রণ এবং শক্তি নির্গমনে সহায়তা করে। এটি দেহে পুষ্টি শোষণ এবং স্বাভাবিক চयাপচয় নিশ্চিত করে।

সারসংক্ষেপে, আমিষ এমন একটি জাতীয় খাদ্য যা পাকস্থলীতে দীর্ঘ সময় অবস্থান করে। এটি শুধুমাত্র দেহে প্রয়োজনীয় প্রোটিন সরবরাহ করে না, বরং শক্তি উৎপাদন ও পুষ্টির শোষণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। এই কারণে আমিষকে অন্যান্য খাদ্যের তুলনায় হজম প্রক্রিয়ায় ধীর এবং দীর্ঘস্থায়ী হিসেবে বিবেচনা করা হয়।

Unfavorite

0

Updated: 1 day ago

Related MCQ

© LXMCQ, Inc. - All Rights Reserved

Developed by WiztecBD