“সতত' শব্দের অর্থ কী?
A
কিছু সময়
B
মাঝে মাঝে
C
সবসময়
D
কখনোই না
উত্তরের বিবরণ
"সতত" শব্দটি বাংলা ভাষায় ব্যবহৃত একটি গুরুত্বপূর্ন শব্দ, যার অর্থ "সবসময়" বা "ধীরেস্তে" এমন কিছু। এটি এমন সময় ব্যবহৃত হয় যখন কোনো কিছু বা ব্যক্তি স্থিরভাবে বা একটানা অব্যাহতভাবে কোনো কাজ সম্পাদন করে। শব্দটির মানে যদি বিশদভাবে ব্যাখ্যা করা হয়, তবে এটি এমন কিছু বোঝায় যা কখনোই বিরতি বা থামা ছাড়া চলতে থাকে বা ঘটে। "সতত" শব্দের সাথে সম্পর্কিত কিছু গুরুত্বপূর্ণ তথ্য:
-
শব্দটি সাধারণত পরিশ্রমী বা নিয়মিত কাজের প্রতি মনোযোগ বা অভ্যাসের মধ্যে ব্যবহৃত হয়।
-
এটি এমন পরিস্থিতিতে ব্যবহৃত হয় যখন কোনো কিছু চালু থাকে বা অব্যাহত থাকে।
তালিকাভুক্ত করা যাক:
-
দৈনিক কাজ: যদি কেউ "সতত" কাজ করে, তবে তিনি প্রতিদিন তার কাজ অব্যাহত রাখছেন।
-
আধ্যাত্মিকতা বা ধার্মিকতা: আধ্যাত্মিক বা ধর্মীয় পরিভাষায়, "সতত" শব্দটি ধারাবাহিকভাবে ঈশ্বরের স্মরণ বা পূজা করতে নির্দেশ করে।
-
ধৈর্য ও নিরবিচ্ছিন্নতা: কোনো কাজ বা চিন্তা যদি "সতত" হয়, তবে এটি অটুট ও স্থিতিশীলভাবে প্রয়োগ হয়।
"সতত" শব্দটির ব্যবহার সামাজিক ও সাংস্কৃতিক পরিপ্রেক্ষিতেও গুরুত্বপূর্ণ। এটি প্রায়ই একটি মানুষের বা তার কর্মকাণ্ডের চরিত্র নির্দেশ করে, যা একসাথে ধারাবাহিক ও অবিচল থাকে।
0
Updated: 1 day ago
‘কপোল’ শব্দের অর্থ কোনটি?
Created: 3 days ago
A
কপাল
B
চোখ
C
গাল
D
ঠোঁট
‘কপোল’ শব্দটি বাংলা ভাষার একটি প্রাচীন ও প্রচলিত শব্দ, যার অর্থ ‘গাল’। এই শব্দটি মূলত মুখমণ্ডলের একটি অঙ্গকে নির্দেশ করে এবং সাহিত্য, কবিতা ও দৈনন্দিন জীবনে সৌন্দর্য বা আবেগ প্রকাশে ব্যবহৃত হয়। নিচে এই শব্দটির অর্থ, ব্যবহার ও উৎস সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য উপস্থাপন করা হলো।
-
শব্দের উৎস: ‘কপোল’ শব্দটি সংস্কৃত ভাষা থেকে এসেছে। সংস্কৃত ‘কপোল’ শব্দের অর্থও গাল বা মুখের পার্শ্বভাগ। বাংলা ভাষায় এটি অপরিবর্তিতভাবে গ্রহণ করা হয়েছে।
-
অর্থের বিশ্লেষণ: কপোল মানে হলো মানুষের মুখের দুই পার্শ্বে অবস্থিত নরম অংশ, যা সাধারণভাবে ‘গাল’ নামে পরিচিত। এটি সৌন্দর্যের একটি প্রধান অঙ্গ হিসেবে ধরা হয়।
-
সাহিত্যিক ব্যবহার: বাংলা সাহিত্য ও কবিতায় ‘কপোল’ শব্দটি বিশেষভাবে ব্যবহৃত হয়। যেমন— “লজ্জায় রাঙা কপোল”, “চাঁদের মতো কপোল”, “অশ্রুসিক্ত কপোল” ইত্যাদি বাক্যে এটি আবেগ, সৌন্দর্য বা লজ্জার প্রকাশে ব্যবহৃত হয়।
-
রূপক অর্থে ব্যবহার: কখনো কখনো ‘কপোল’ শব্দটি রূপকভাবে ব্যবহার করা হয় আবেগ বা অনুভূতির প্রতীক হিসেবে। উদাহরণস্বরূপ, লজ্জা পেলে বা রাগ হলে কারও কপোল লাল হয়ে ওঠে— এটি শরীরের প্রতিক্রিয়াকে বোঝাতে ব্যবহৃত হয়।
-
সমার্থক শব্দ: গাল, মুখের পাশ, মুখমণ্ডল প্রভৃতি শব্দকে ‘কপোল’-এর সমার্থক বলা যায়। তবে ‘গাল’ সবচেয়ে প্রচলিত অর্থ।
-
বিপরীত অর্থ: এই শব্দের সরাসরি বিপরীত অর্থ নেই, কারণ এটি দেহের একটি নির্দিষ্ট অংশ বোঝায়।
-
শব্দরূপ ও উচ্চারণ: কপোল (উচ্চারণ: ক-পো-ল) – তিন অক্ষরের এই শব্দটি তৃতীয় বর্ণে স্পষ্ট ধ্বনি সৃষ্টি করে, যা কাব্যিক ছন্দে বিশেষ সুর যোগ করে।
-
ব্যাকরণগত শ্রেণি: এটি একটি বিশেষ্য পদ, যা কোনো বস্তুর নাম বা অঙ্গনির্দেশ বোঝায়।
-
সাহিত্যিক উদাহরণ: রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের কবিতায় যেমন পাওয়া যায়— “লজ্জায় রাঙা হলো কপোল, হাসিতে ফুটল আলোর দোলা।” এখানে ‘কপোল’ শব্দটি লজ্জা ও সৌন্দর্যের প্রতীক হিসেবে ব্যবহৃত।
-
চিত্রকল্পে গুরুত্ব: চিত্রকলা ও কবিতায় ‘কপোল’ শব্দটি নান্দনিক সৌন্দর্য প্রকাশে ব্যবহৃত হয়। যেমন, চিত্রে বা বর্ণনায় কোনো চরিত্রের কপোলে আলোর ছায়া ফেলার মাধ্যমে আবেগের গভীরতা বোঝানো হয়।
সুতরাং, ‘কপোল’ শব্দের প্রকৃত ও প্রচলিত অর্থ গাল। এটি বাংলা ভাষার একটি শুদ্ধ, রুচিশীল ও কাব্যময় শব্দ, যা মুখমণ্ডলের সৌন্দর্য, আবেগ ও অভিব্যক্তি প্রকাশে বহুল ব্যবহৃত হয়ে আসছে।
0
Updated: 3 days ago
"ইনকিলাব" শব্দের অর্থ কি?
Created: 1 day ago
A
ঐক্য
B
বিপ্লব
C
স্বাধীনতা
D
উন্নতি
"ইনকিলাব" একটি আরবী শব্দ, যার অর্থ "বিপ্লব" বা "পাল্টি ঘটনা"। এটি এমন এক শব্দ যা সাধারণত রাজনৈতিক বা সামাজিক আন্দোলন বা পরিবর্তনের জন্য ব্যবহৃত হয়। “ইনকিলাব” শব্দটির সাধারণ ব্যবহার এমন বিপ্লব বা পরিবর্তনকে নির্দেশ করে, যা সমাজ, রাষ্ট্র বা ব্যবস্থায় বড় ধরনের পরিবর্তন আনে। এটি মূলত ইসলামী আন্দোলন এবং বিশেষ করে ভারতীয় উপমহাদেশের স্বাধীনতা সংগ্রামে ব্যাপকভাবে ব্যবহৃত হয়েছে।
-
ইতিহাসে ব্যবহৃত:
"ইনকিলাব" শব্দটি ইতিহাসের বিভিন্ন প্রেক্ষাপটে ব্যবহৃত হয়েছে, বিশেষ করে ভারতীয় স্বাধীনতা আন্দোলনে। চন্দ্রশেখর আজাদ এবং ভগৎ সিং সহ অন্যান্য বিপ্লবীরা এই শব্দটি প্রচলন করেছিলেন। ভগৎ সিং, যিনি "ইনকিলাব জিন্দাবাদ" স্লোগান দিয়ে বিপ্লবী আন্দোলনকে উজ্জীবিত করেছিলেন, তার নেতৃত্বে এই শব্দটি ঐতিহাসিকভাবে ব্যাপক পরিচিতি পেয়েছে। -
পাল্টানো বা বিপ্লবের ধারণা:
"ইনকিলাব" মূলত কোনো কঠোর বা বিদ্রোহী পরিবর্তনকে চিহ্নিত করে, যা পুরানো নিয়ম বা শাসনের পরিবর্তে নতুন এক শাসন ব্যবস্থা বা সামাজিক কাঠামো আনে। এটি জনগণের অধিকার, স্বাধীনতা, এবং ন্যায়বিচারের জন্য সংগ্রামের প্রতীক হিসেবে ব্যবহৃত হয়। -
সামাজিক এবং রাজনৈতিক পরিবর্তন:
এই শব্দটির মাধ্যমে সাধারণ জনগণের অধিকার প্রতিষ্ঠা বা শাসন ব্যবস্থায় পরিবর্তনের প্রতি আকাঙ্ক্ষা প্রকাশ করা হয়। উদাহরণস্বরূপ, বাংলার স্বাধীনতা সংগ্রামে এবং পাকিস্তানের সৃষ্টির সময়ও এ ধরনের বিপ্লবী স্লোগান ব্যবহৃত হয়েছিল।
এভাবেই "ইনকিলাব" শব্দটি বিপ্লব বা সামাজিক পরিবর্তনের সাথে যুক্ত হয়ে এক শক্তিশালী রাজনৈতিক ধারণা হয়ে উঠেছে।
0
Updated: 1 day ago
অর্বাচীন শব্দের অর্থ কি?
Created: 1 week ago
A
বিদ্বান
B
শিক্ষিত
C
মূর্খ
D
বিজ্ঞ
‘অর্বাচীন’ শব্দটি বাংলা ভাষায় একটি নেতিবাচক অর্থ বহন করে, যার অর্থ মূর্খ বা অশিক্ষিত ব্যক্তি। সাধারণত, এটি এমন একজন ব্যক্তিকে নির্দেশ করতে ব্যবহৃত হয় যে জ্ঞান বা বুদ্ধিতে সীমিত, অথবা যিনি কোনো বিষয় বা কাজের ব্যাপারে অভিজ্ঞ নন।
এই শব্দটি সাধারণত তাচ্ছিল্য বা আক্ষেপের সঙ্গে ব্যবহার করা হয়, বিশেষ করে এমন কাউকে বর্ণনা করতে যিনি সঠিকভাবে কিছু জানেন না বা কোন বিষয়ে দক্ষ নন।
এছাড়া, ‘অর্বাচীন’ শব্দটি মানুষ বা তার আচরণকে তুচ্ছ করা বা ত্রুটিপূর্ণ মনে করা যেতে পারে।
মূল তথ্যের সংক্ষেপে:
-
অর্বাচীন শব্দের অর্থ মূর্খ।
-
এটি সাধারণত জ্ঞানহীন বা অভিজ্ঞতার অভাব থাকা ব্যক্তিকে বোঝানোর জন্য ব্যবহৃত হয়।
-
এটি একটি নেতিবাচক শব্দ, যা কাউকে তাচ্ছিল্য করতে ব্যবহার করা হয়।
এই শব্দটি বাংলা সাহিত্যে বিশেষত উপন্যাস, কবিতা, অথবা প্রবন্ধে এক ধরনের তিক্ততা বা বিরোধ প্রকাশের জন্য ব্যবহৃত হতে দেখা যায়।
0
Updated: 1 week ago