'Ordnance' - এর বাংলা অর্থ কী?
A
যুদ্ধবিধ্বংসী অস্ত্র
B
সামরিক সরঞ্জাম
C
সমরাস্ত্র
D
মারণাস্ত্র
উত্তরের বিবরণ
'Ordnance' শব্দটি মূলত সমরাস্ত্র, যুদ্ধের সরঞ্জাম বা অস্ত্রশস্ত্রের জন্য ব্যবহৃত হয়। এটি সেসব অস্ত্র, গোলাবারুদ, বিস্ফোরক পদার্থ এবং অন্যান্য সামরিক সরঞ্জামকে বোঝায়, যেগুলি সামরিক বাহিনী বা সেনাবাহিনীর ব্যবহারের জন্য তৈরি হয়।
-
সমরাস্ত্র: এটি একটি সাধারণ শব্দ যা যুদ্ধে ব্যবহৃত সমস্ত অস্ত্র, গোলাবারুদ, এবং অন্যান্য সামরিক সরঞ্জামকে অন্তর্ভুক্ত করে।
-
যুদ্ধবিধ্বংসী অস্ত্র: এটি নির্দিষ্ট একটি ধরনের অস্ত্র যা যুদ্ধের সময় বিধ্বংসী কাজ করে, তবে 'Ordnance' শব্দটির ব্যাপকতা বেশি।
-
সামরিক সরঞ্জাম: এটি সামরিক বাহিনীর ব্যবহার্য সব ধরনের সরঞ্জামকে বোঝায়, তবে 'Ordnance' শব্দটি শুধু অস্ত্রশস্ত্র পর্যন্ত সীমাবদ্ধ থাকে।
-
মারণাস্ত্র: এটি একটি বিশেষ ধরনের অস্ত্র, তবে 'Ordnance' এর মধ্যে শুধু মারণাস্ত্র নয়, বরং বিভিন্ন ধরনের যুদ্ধের সরঞ্জাম অন্তর্ভুক্ত থাকে।
Ordnance শব্দটি প্রাচীন ইংরেজি থেকে এসেছে, যা মূলত 'সমর' বা 'যুদ্ধ' সম্পর্কিত সরঞ্জাম এবং অস্ত্রের জন্য ব্যবহৃত হত। আজকের দিনে এটি যুদ্ধের গোলাবারুদ, কামান, বন্দুক, বোমা, রকেট ইত্যাদির জন্য ব্যবহৃত হয়।
0
Updated: 1 day ago
"ইনকিলাব" শব্দের অর্থ কি?
Created: 1 day ago
A
ঐক্য
B
বিপ্লব
C
স্বাধীনতা
D
উন্নতি
"ইনকিলাব" একটি আরবী শব্দ, যার অর্থ "বিপ্লব" বা "পাল্টি ঘটনা"। এটি এমন এক শব্দ যা সাধারণত রাজনৈতিক বা সামাজিক আন্দোলন বা পরিবর্তনের জন্য ব্যবহৃত হয়। “ইনকিলাব” শব্দটির সাধারণ ব্যবহার এমন বিপ্লব বা পরিবর্তনকে নির্দেশ করে, যা সমাজ, রাষ্ট্র বা ব্যবস্থায় বড় ধরনের পরিবর্তন আনে। এটি মূলত ইসলামী আন্দোলন এবং বিশেষ করে ভারতীয় উপমহাদেশের স্বাধীনতা সংগ্রামে ব্যাপকভাবে ব্যবহৃত হয়েছে।
-
ইতিহাসে ব্যবহৃত:
"ইনকিলাব" শব্দটি ইতিহাসের বিভিন্ন প্রেক্ষাপটে ব্যবহৃত হয়েছে, বিশেষ করে ভারতীয় স্বাধীনতা আন্দোলনে। চন্দ্রশেখর আজাদ এবং ভগৎ সিং সহ অন্যান্য বিপ্লবীরা এই শব্দটি প্রচলন করেছিলেন। ভগৎ সিং, যিনি "ইনকিলাব জিন্দাবাদ" স্লোগান দিয়ে বিপ্লবী আন্দোলনকে উজ্জীবিত করেছিলেন, তার নেতৃত্বে এই শব্দটি ঐতিহাসিকভাবে ব্যাপক পরিচিতি পেয়েছে। -
পাল্টানো বা বিপ্লবের ধারণা:
"ইনকিলাব" মূলত কোনো কঠোর বা বিদ্রোহী পরিবর্তনকে চিহ্নিত করে, যা পুরানো নিয়ম বা শাসনের পরিবর্তে নতুন এক শাসন ব্যবস্থা বা সামাজিক কাঠামো আনে। এটি জনগণের অধিকার, স্বাধীনতা, এবং ন্যায়বিচারের জন্য সংগ্রামের প্রতীক হিসেবে ব্যবহৃত হয়। -
সামাজিক এবং রাজনৈতিক পরিবর্তন:
এই শব্দটির মাধ্যমে সাধারণ জনগণের অধিকার প্রতিষ্ঠা বা শাসন ব্যবস্থায় পরিবর্তনের প্রতি আকাঙ্ক্ষা প্রকাশ করা হয়। উদাহরণস্বরূপ, বাংলার স্বাধীনতা সংগ্রামে এবং পাকিস্তানের সৃষ্টির সময়ও এ ধরনের বিপ্লবী স্লোগান ব্যবহৃত হয়েছিল।
এভাবেই "ইনকিলাব" শব্দটি বিপ্লব বা সামাজিক পরিবর্তনের সাথে যুক্ত হয়ে এক শক্তিশালী রাজনৈতিক ধারণা হয়ে উঠেছে।
0
Updated: 1 day ago
‘উপেক্ষা’ শব্দের অর্থ কী?
Created: 6 days ago
A
সম্মান করা
B
অবহেলা করা
C
শ্রদ্ধা করা
D
প্রশংসা করা
‘উপেক্ষা’ শব্দটি বাংলা ভাষায় এমন একটি শব্দ, যা সাধারণত কাউকে বা কোনো বিষয়কে অগ্রাহ্য করা, গুরুত্ব না দেওয়া বা অবহেলা করার অর্থে ব্যবহৃত হয়। এটি মানুষের আচরণ, মানসিক অবস্থা বা সামাজিক সম্পর্ক বোঝাতে ব্যবহৃত হয়। শব্দটি প্রাচীন বাংলা ‘উপ’ ও ‘ইক্ষা’ ধাতু থেকে গঠিত, যার মূল ভাবার্থ “দেখেও না দেখা” বা “মনোযোগ না দেওয়া”।
তথ্যসমূহ:
-
শব্দের উৎপত্তি: ‘উপেক্ষা’ এসেছে সংস্কৃত শব্দ উপেক্ষা (Upekṣā) থেকে। এখানে উপ মানে ‘নিকট’ এবং ইক্ষা মানে ‘দেখা’। একত্রে এর অর্থ দাঁড়ায় “দেখেও না দেখা” বা “গুরুত্ব না দেওয়া”।
-
অর্থ: সাধারণভাবে ‘উপেক্ষা’ মানে অবহেলা করা, অগ্রাহ্য করা, বা গুরুত্ব না দেওয়া।
-
বিপরীত শব্দ: ‘সম্মান’, ‘মনোযোগ’, ‘গুরুত্ব প্রদান’।
-
সমার্থক শব্দ: ‘অবজ্ঞা’, ‘অবহেলা’, ‘অগ্রাহ্য’, ‘অমনোযোগ’।
-
ব্যবহার:
-
সে আমার কথা উপেক্ষা করল।
-
গুরুজনদের উপেক্ষা করা উচিত নয়।
-
-
মনস্তাত্ত্বিক দিক: উপেক্ষা প্রায়ই মানসিক কষ্ট বা বিরক্তির কারণ হয়। কেউ যদি বারবার উপেক্ষিত হয়, তবে সে নিজেকে অমূল্য মনে করতে পারে। তাই ব্যক্তিগত সম্পর্ক বজায় রাখতে উপেক্ষা না করে পরস্পরের অনুভূতি বুঝে চলা জরুরি।
-
সামাজিক প্রভাব: সমাজে যদি কোনো ব্যক্তি বা গোষ্ঠীকে উপেক্ষা করা হয়, তবে তারা ধীরে ধীরে মূলধারার বাইরে চলে যায়। এটি সামাজিক বৈষম্য সৃষ্টি করে।
-
ধর্মীয় ও নৈতিক দৃষ্টিতে: ধর্মীয়ভাবে উপেক্ষা করা অনেক সময় অন্যায় হিসেবে ধরা হয়। ইসলাম ও অন্যান্য ধর্মে মানুষকে সম্মান ও সহমর্মিতা প্রদর্শনের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
-
সাহিত্যিক ব্যবহার: কবি ও সাহিত্যিকরা প্রায়ই ‘উপেক্ষা’ শব্দটি মানসিক বেদনা বা সম্পর্কের অবহেলা বোঝাতে ব্যবহার করেন। যেমন—“তোমার উপেক্ষায় হৃদয় ভেঙে গেছে”।
-
দৈনন্দিন জীবনে প্রয়োগ: স্কুলে শিক্ষক, অফিসে কর্মচারী বা বন্ধুত্বের সম্পর্ক—সব ক্ষেত্রেই উপেক্ষা করলে সম্পর্ক দুর্বল হয়ে পড়ে।
সব মিলিয়ে বলা যায়, ‘উপেক্ষা’ মানে কোনো ব্যক্তি বা বিষয়ে সচেতনভাবে গুরুত্ব না দেওয়া বা অবহেলা করা। এই আচরণ ব্যক্তিগত, সামাজিক ও মানসিক সব দিক থেকেই নেতিবাচক প্রভাব ফেলে। তাই জীবন ও সম্পর্ক রক্ষায় উপেক্ষার পরিবর্তে সহমর্মিতা ও মনোযোগ প্রদর্শন করা শ্রেয়।
0
Updated: 6 days ago
অর্বাচীন শব্দের অর্থ কি?
Created: 1 week ago
A
বিদ্বান
B
শিক্ষিত
C
মূর্খ
D
বিজ্ঞ
‘অর্বাচীন’ শব্দটি বাংলা ভাষায় একটি নেতিবাচক অর্থ বহন করে, যার অর্থ মূর্খ বা অশিক্ষিত ব্যক্তি। সাধারণত, এটি এমন একজন ব্যক্তিকে নির্দেশ করতে ব্যবহৃত হয় যে জ্ঞান বা বুদ্ধিতে সীমিত, অথবা যিনি কোনো বিষয় বা কাজের ব্যাপারে অভিজ্ঞ নন।
এই শব্দটি সাধারণত তাচ্ছিল্য বা আক্ষেপের সঙ্গে ব্যবহার করা হয়, বিশেষ করে এমন কাউকে বর্ণনা করতে যিনি সঠিকভাবে কিছু জানেন না বা কোন বিষয়ে দক্ষ নন।
এছাড়া, ‘অর্বাচীন’ শব্দটি মানুষ বা তার আচরণকে তুচ্ছ করা বা ত্রুটিপূর্ণ মনে করা যেতে পারে।
মূল তথ্যের সংক্ষেপে:
-
অর্বাচীন শব্দের অর্থ মূর্খ।
-
এটি সাধারণত জ্ঞানহীন বা অভিজ্ঞতার অভাব থাকা ব্যক্তিকে বোঝানোর জন্য ব্যবহৃত হয়।
-
এটি একটি নেতিবাচক শব্দ, যা কাউকে তাচ্ছিল্য করতে ব্যবহার করা হয়।
এই শব্দটি বাংলা সাহিত্যে বিশেষত উপন্যাস, কবিতা, অথবা প্রবন্ধে এক ধরনের তিক্ততা বা বিরোধ প্রকাশের জন্য ব্যবহৃত হতে দেখা যায়।
0
Updated: 1 week ago