বাংলাদেশের সংবিধানের কোন অনুচ্ছেদে জাতীয় সংসদ প্রতিষ্ঠার কথা বলা হয়েছে?
A
৭৮
B
৯৬
C
৬৮
D
৬৫
উত্তরের বিবরণ
বাংলাদেশের সংবিধানে জাতীয় সংসদ প্রতিষ্ঠার বিষয়ে ধারা ৬৫-এ বিস্তারিত আলোচনা করা হয়েছে। এটি সংবিধানের গুরুত্বপূর্ণ একটি অংশ, যেখানে জাতীয় সংসদের গঠন, ক্ষমতা এবং এর কার্যক্রমের ভিত্তি নির্ধারণ করা হয়েছে।
-
ধারা ৬৫ অনুযায়ী, বাংলাদেশের জাতীয় সংসদ গঠন করা হয় এবং এটি একটি সংসদীয় ব্যবস্থা অনুসরণ করে কাজ করে।
-
জাতীয় সংসদের সদস্যরা জনগণের দ্বারা নির্বাচিত হন এবং তারা দেশের আইন প্রণয়ন, সরকারি নীতির অনুমোদন এবং সরকারের বিভিন্ন কার্যক্রমের ওপর নজরদারি করে থাকেন।
-
জাতীয় সংসদের মূল কাজ হলো আইন তৈরি করা এবং সরকারের কর্মসূচি অনুমোদন করা, যা দেশ পরিচালনার জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
-
ধারা ৬৫ জাতীয় সংসদের সদস্যদের ভূমিকা এবং তাদের দায়িত্ব নির্ধারণ করে, পাশাপাশি সংসদ সদস্যদের নির্বাচন প্রক্রিয়া ও পারস্পরিক কার্যক্রমের পরিসর ব্যাখ্যা করে।
এছাড়া, অন্যান্য ধারা যেমন ৭৮, ৯৬, এবং ৬৮ এর মধ্যে জাতীয় সংসদ বা তার কার্যক্রমের কিছু বিশেষ দিক উল্লেখ থাকলেও, জাতীয় সংসদের প্রতিষ্ঠার বিষয়টি মূলত ধারা ৬৫-এ উল্লেখিত।
0
Updated: 1 day ago
গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশের সংবিধানের অনুচ্ছেদ সংখ্যা কয়টি?
Created: 1 week ago
A
১৫২টি
B
১৫৩টি
C
১৫৪টি
D
১৫৫টি
0
Updated: 1 week ago
অবৈতনিক ও বাধ্যতামূলক শিক্ষা'র কথা বলা হয়েছে কোন অনুচ্ছেদে?
Created: 2 months ago
A
১৩নং অনুচ্ছেদে
B
১৫নং অনুচ্ছেদে
C
১৬নং অনুচ্ছেদে
D
১৭নং অনুচ্ছেদে
সংবিধানের ১৭ নং অনুচ্ছেদ – অবৈতনিক ও বাধ্যতামূলক শিক্ষা
রাষ্ট্র—
-
(ক) একই পদ্ধতির গণমুখী ও সার্বজনীন শিক্ষাব্যবস্থা প্রতিষ্ঠার জন্য এবং আইনের দ্বারা নির্ধারিত স্তর পর্যন্ত সকল বালক ও বালিকাকে অবৈতনিক ও বাধ্যতামূলক শিক্ষাদানের জন্য ব্যবস্থা গ্রহণ করবে।
-
(খ) সমাজের প্রয়োজনের সঙ্গে শিক্ষাকে সঙ্গতিপূর্ণ করিবার জন্য এবং সেই প্রয়োজন পূরণের উদ্দেশ্যে যথাযথ প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত ও সদিচ্ছাপ্রণোদিত নাগরিক সৃষ্টির ব্যবস্থা করবে।
-
(গ) আইনের দ্বারা নির্ধারিত সময়ের মধ্যে নিরক্ষরতা দূর করার জন্য কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণ করবে।
অন্যদিকে:
-
১৩ নং অনুচ্ছেদ → মালিকানার নীতি।
-
১৫ নং অনুচ্ছেদ → মৌলিক প্রয়োজনের ব্যবস্থা।
-
১৬ নং অনুচ্ছেদ → পল্লী বিদ্যুতায়ন।
সূত্র: বাংলাদেশের সংবিধান
0
Updated: 2 months ago
সংবিধানের কোন অনুচ্ছেদের আলােকে বাংলাদেশে বৈদেশিক নীতি পরিচালিত হয়?
Created: 1 month ago
A
অনুচ্ছেদ ২২
B
অনুচ্ছেদ ২৩
C
অনুচ্ছেদ ২৪
D
অনুচ্ছেদ ২৫
বাংলাদেশের সংবিধানের পররাষ্ট্রনীতি (দ্বিতীয় অধ্যায়, অনুচ্ছেদ ২৫)
বাংলাদেশের সংবিধানের দ্বিতীয় অধ্যায়ের ২৫ নং অনুচ্ছেদে দেশের পররাষ্ট্রনীতির মূল দিকগুলো তুলে ধরা হয়েছে। এই অনুচ্ছেদ অনুযায়ী, রাষ্ট্রের আন্তর্জাতিক সম্পর্কের ভিত্তি হবে কয়েকটি মূল নীতি:
-
আন্তর্জাতিক শান্তি, নিরাপত্তা ও সংহতি উন্নয়ন: বিশ্বের সঙ্গে শান্তিপূর্ণ সম্পর্ক বজায় রাখা।
-
জাতীয় সার্বভৌমত্ব ও সমতার প্রতি শ্রদ্ধা: অন্য দেশের স্বাধীনতা ও সমতা মেনে চলা।
-
অন্য দেশের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে হস্তক্ষেপ না করা।
-
আন্তর্জাতিক বিরোধের শান্তিপূর্ণ সমাধান ও আন্তর্জাতিক আইন ও জাতিসংঘের নীতির প্রতি শ্রদ্ধা।
এই নীতিগুলোর ভিত্তিতে রাষ্ট্র তিনটি গুরুত্বপূর্ণ কাজ করবে:
-
(ক) আন্তর্জাতিক সম্পর্কের ক্ষেত্রে শক্তি ব্যবহার এড়ানো এবং সম্পূর্ণ নিরস্ত্রীকরণের প্রচেষ্টা চালানো।
-
(খ) প্রত্যেক জাতির স্বাধীনভাবে সামাজিক, অর্থনৈতিক ও রাজনৈতিক ব্যবস্থা গড়ার অধিকার সমর্থন করা।
-
(গ) সাম্রাজ্যবাদ, ঔপনিবেশিকতাবাদ বা বর্ণবৈষম্যের বিরুদ্ধে নিপীড়িত জনগণের ন্যায্য সংগ্রাম সমর্থন করা।
সংক্ষেপে, এই অনুচ্ছেদটি বাংলাদেশকে একটি শান্তিপ্রিয়, ন্যায়পরায়ণ ও সমমর্যাদাপূর্ণ আন্তর্জাতিক নীতি অনুসরণের দেশ হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করে।
সংযুক্ত অন্যান্য অনুচ্ছেদ:
-
অনুচ্ছেদ ২২: নির্বাহী বিভাগ ও বিচার বিভাগের পৃথকীকরণ।
-
অনুচ্ছেদ ২৩: জাতীয় সংস্কৃতি সংরক্ষণ।
-
অনুচ্ছেদ ২৪: জাতীয় স্মৃতি নিদর্শনের সংরক্ষণ।
উৎস: বাংলাদেশের সংবিধান
0
Updated: 1 month ago