একীভূত শিক্ষার লক্ষ্যদল কারা ?
A
ঝুঁকিপূর্ণ শিশু
B
সকল শিশু
C
প্রতিবন্ধী শিশু
D
সুবিধাবঞ্চিত শিশু
উত্তরের বিবরণ
একীভূত শিক্ষা একটি শিক্ষানীতি যেখানে সকল ধরনের শিশুকে একত্রে, একই পরিবেশে শিক্ষা প্রদান করা হয়। এর লক্ষ্য হচ্ছে প্রতিটি শিশুর সঠিকভাবে বিকাশের সুযোগ সৃষ্টি করা, তাদের মধ্যে কোন বৈষম্য না রেখে তাদের উন্নয়নের জন্য সমান সুযোগ প্রদান করা।
একীভূত শিক্ষার মূল উদ্দেশ্য হলো সকল শিশুকে তাদের পার্থক্য নির্বিশেষে সমানভাবে শিক্ষাদান করা। এর মধ্যে সাধারণত বিশেষ চাহিদা সম্পন্ন শিশু, প্রতিবন্ধী শিশু, সুবিধাবঞ্চিত শিশু এবং অন্যান্য গ্রুপের শিশুরাও অন্তর্ভুক্ত থাকে।
-
ঝুঁকিপূর্ণ শিশু: সাধারণত এই শিশুদের শিক্ষা ব্যবস্থায় অন্তর্ভুক্ত করা হয়, কিন্তু একীভূত শিক্ষার মাধ্যমে তাদের একে অপরের সাথে মেলামেশা ও শেখার সুযোগ দেয়া হয় না। তাদের জন্য আলাদা সহায়ক ব্যবস্থা প্রয়োজন হতে পারে।
-
সকল শিশু: একীভূত শিক্ষার মাধ্যমে শিক্ষাদান করা হয় সকল শিশুকে, যাদের মধ্যে প্রতিবন্ধী, সুবিধাবঞ্চিত বা অন্য কোনো বিশেষ চাহিদা থাকতে পারে। এই ধারণার মূল উদ্দেশ্য হলো প্রতিটি শিশুকে শিক্ষার মাধ্যমে তাদের সামর্থ্য অনুযায়ী সক্ষমতা প্রদান করা।
-
প্রতিবন্ধী শিশু: প্রতিবন্ধী শিশুরাও একীভূত শিক্ষা ব্যবস্থায় অন্তর্ভুক্ত হতে পারে, তবে তাদের জন্য বিশেষ শিক্ষার উপকরণ বা সহায়ক ব্যবস্থা থাকতে পারে। তবে, একীভূত শিক্ষায় মূলত তাদেরকে সকল শিশুদের সাথে একত্রে শিক্ষা দেয়ার লক্ষ্য রাখা হয়।
-
সুবিধাবঞ্চিত শিশু: একীভূত শিক্ষায় এই শিশুদের জন্য বিশেষ ব্যবস্থা রাখা হয় যাতে তারা সাধারণ শিক্ষার উপকরণ ব্যবহার করে শেখার সুযোগ পায়।
তাহলে, একীভূত শিক্ষার লক্ষ্য হলো সকল শিশুকে শিক্ষার সমান সুযোগ প্রদান করা, যাতে তারা নিজের আগ্রহ ও চাহিদা অনুযায়ী শিখতে পারে।
0
Updated: 1 day ago
রক্তে Sodium এর স্বাভাবিক মাত্রা কত?
Created: 2 days ago
A
১১৫-১৩৫
B
১৩৫-১৪৫
C
১৫০-১৭০
D
১৭০-১৯০
রক্তে সোডিয়াম (Sodium) শরীরের একটি গুরুত্বপূর্ণ ইলেক্ট্রোলাইট, যা শরীরের তরল ভারসাম্য, স্নায়ুতন্ত্রের কার্যক্রম এবং পেশির সংকোচনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। এর স্বাভাবিক মাত্রা বজায় থাকা শরীরের জন্য অপরিহার্য, কারণ মাত্রা বেড়ে বা কমে গেলে তা শরীরের কার্যক্রমে গুরুতর প্রভাব ফেলতে পারে।
• রক্তে সোডিয়ামের স্বাভাবিক মাত্রা ১৩৫ থেকে ১৪৫ মিলি ইকুইভ্যালেন্ট প্রতি লিটার (mEq/L)। এই সীমার মধ্যেই শরীরের তরল ভারসাম্য সঠিক থাকে এবং কোষের ভেতর-বাইরের পানির পরিমাণ নিয়ন্ত্রিত হয়।
• সোডিয়াম শরীরের ইলেক্ট্রোলাইট ব্যালান্স রক্ষার মূল উপাদান। এটি কোষের ভিতরে ও বাইরে পানির মাত্রা নিয়ন্ত্রণ করে, ফলে রক্তচাপ ও রক্তের পরিমাণ স্থিতিশীল থাকে।
• শরীরে সোডিয়ামের একটি বড় অংশ কিডনি দ্বারা নিয়ন্ত্রিত হয়। কিডনি অতিরিক্ত সোডিয়াম প্রস্রাবের মাধ্যমে বের করে দেয়, আর প্রয়োজনমতো ধরে রাখে।
• সোডিয়ামের মাত্রা কমে গেলে (যাকে বলে Hyponatremia) তখন মাথা ঘোরা, দুর্বলতা, বমি বমি ভাব, খিঁচুনি বা চেতনা হারানোর মতো উপসর্গ দেখা দিতে পারে। এটি সাধারণত অতিরিক্ত ঘাম, বমি, ডায়রিয়া, অথবা অতিরিক্ত পানি পান করার ফলে হতে পারে।
• সোডিয়ামের মাত্রা বেড়ে গেলে (যাকে বলে Hypernatremia) তখন তৃষ্ণা বেড়ে যায়, মুখ শুকিয়ে যায়, বিভ্রান্তি, পেশির দুর্বলতা বা অজ্ঞান হওয়ার মতো সমস্যা দেখা দিতে পারে। সাধারণত এটি শরীরে পানির ঘাটতি বা ডিহাইড্রেশনের কারণে ঘটে।
• সোডিয়ামের মাত্রা সঠিক রাখতে প্রতিদিন পর্যাপ্ত পানি পান করতে হয় এবং খাদ্যে লবণের পরিমাণ নিয়ন্ত্রণ করা জরুরি। অতিরিক্ত লবণ গ্রহণ উচ্চ রক্তচাপ, কিডনি সমস্যা ও হৃদরোগের ঝুঁকি বাড়ায়।
• রক্তে সোডিয়াম পরিমাপ সাধারণত Serum Electrolyte Test বা Basic Metabolic Panel (BMP) পরীক্ষার মাধ্যমে করা হয়। এতে সোডিয়াম, পটাশিয়াম, ক্লোরাইডসহ অন্যান্য ইলেক্ট্রোলাইটের পরিমাণ জানা যায়।
• চিকিৎসকরা রোগীর শারীরিক অবস্থা অনুযায়ী অন্তঃশিরা স্যালাইন (IV saline) বা খাদ্যাভ্যাস পরিবর্তনের মাধ্যমে সোডিয়ামের মাত্রা ঠিক রাখেন।
• শরীরের স্বাভাবিক ক্রিয়াকলাপ বজায় রাখতে প্রতিদিনের খাদ্যে সামান্য পরিমাণে লবণ (সোডিয়াম ক্লোরাইড) থাকা প্রয়োজন, তবে অতিরিক্ত নয়।
অতএব, রক্তে সোডিয়ামের স্বাভাবিক মাত্রা ১৩৫–১৪৫ mEq/L। এই সীমা অতিক্রম করলে বা নিচে নেমে গেলে শরীরের ভারসাম্যে মারাত্মক প্রভাব পড়ে, তাই তা সবসময় স্বাভাবিক রাখাই স্বাস্থ্য রক্ষার জন্য জরুরি।
0
Updated: 2 days ago
বাংলাদেশে মণিপুরী নাচ কোন অঞ্চলের ঐতিহ্য?
Created: 2 weeks ago
A
সিলেট
B
ময়মনসিংহ
C
রাজশাহী
D
কুষ্টিয়া
বাংলাদেশে মণিপুরী নাচ মূলত সিলেট অঞ্চলের ঐতিহ্য। এই নৃত্যশৈলী মণিপুরের প্রভাব থেকে উদ্ভূত হলেও সিলেটের সংস্কৃতিতে গভীরভাবে মিশে আছে। মণিপুরী নাচ সাধারণত ধর্মীয় এবং ঐতিহ্যবাহী অনুষ্ঠানে পরিবেশিত হয়, যেখানে সূক্ষ্ম আন্দোলন ও সূক্ষ্ম কোরিওগ্রাফি বিশেষভাবে লক্ষণীয়। সিলেট অঞ্চলের সাংস্কৃতিক পরিচিতির একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ এটি।
0
Updated: 2 weeks ago
নাক দিয়ে রক্তক্ষরণকে কি বলে?
Created: 2 days ago
A
Haemoptysis
B
Haematuria
C
Epistaxis
D
Melaena
নাক দিয়ে রক্তক্ষরণকে চিকিৎসাবিজ্ঞানের ভাষায় Epistaxis বলা হয়। এটি একটি সাধারণ কিন্তু কখনও কখনও গুরুতর শারীরিক সমস্যা, যেখানে নাকের ভেতরের রক্তনালী ফেটে রক্তপাত হয়। সাধারণত এটি হঠাৎ করে শুরু হয় এবং এর পেছনে নানা শারীরিক বা বাহ্যিক কারণ থাকতে পারে।
প্রধান তথ্যসমূহ:
-
Epistaxis শব্দটি এসেছে গ্রিক শব্দ “epi” অর্থাৎ “উপর থেকে” এবং “stazein” অর্থাৎ “প্রবাহিত হওয়া” থেকে। চিকিৎসা পরিভাষায় এটি নাক দিয়ে রক্তক্ষরণ বোঝাতে ব্যবহৃত হয়।
-
এটি দুই প্রকার— Anterior Epistaxis (সামনের দিক থেকে রক্তপাত) এবং Posterior Epistaxis (পেছনের দিক থেকে রক্তপাত)। প্রথমটি তুলনামূলকভাবে বেশি দেখা যায় এবং সাধারণত কম বিপজ্জনক।
-
সাধারণত নাকের সামনের অংশের Kiesselbach’s plexus নামক রক্তনালীগুলো ফেটে গেলে এই সমস্যা হয়।
-
কারণসমূহের মধ্যে রয়েছে—
• অতিরিক্ত গরম বা শুষ্ক আবহাওয়া, যা নাকের ভেতর শুকিয়ে দেয়
• আঘাত পাওয়া বা নাক খোঁটা
• সর্দি-কাশি বা অ্যালার্জিজনিত প্রদাহ
• উচ্চ রক্তচাপ বা রক্ত পাতলা হওয়ার ওষুধ গ্রহণ
• নাকের টিউমার বা সংক্রমণ -
লক্ষণ: নাক দিয়ে রক্ত ঝরা, মাথা ঘোরা, মুখে ধাতব স্বাদ, শ্বাসকষ্ট বা অতিরিক্ত রক্তক্ষরণে দুর্বলতা অনুভব করা।
-
প্রাথমিক চিকিৎসা:
• আক্রান্ত ব্যক্তিকে বসিয়ে মাথা সামান্য নিচের দিকে ঝুঁকিয়ে দিতে হয়।
• নাকের নরম অংশ ১০-১৫ মিনিট চেপে ধরে রাখতে হয়।
• ঠান্ডা পানির সেঁক দিলে রক্তপাত বন্ধ হতে সাহায্য করে।
• অতিরিক্ত রক্তক্ষরণ হলে দ্রুত চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া প্রয়োজন। -
প্রতিরোধ:
• নাকের ভেতর আর্দ্রতা বজায় রাখা
• অতিরিক্ত নাক খোঁটা থেকে বিরত থাকা
• গরম বা শুকনো পরিবেশে হিউমিডিফায়ার ব্যবহার করা
• উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখা
অন্যান্য বিকল্পগুলোর বিশ্লেষণ:
-
Haemoptysis মানে ফুসফুস বা শ্বাসনালীর রক্তনালী ফেটে কফের সঙ্গে রক্ত বের হওয়া।
-
Haematuria হলো মূত্রে রক্ত মিশে আসা, যা কিডনি বা মূত্রনালীর সমস্যার ইঙ্গিত দেয়।
-
Melaena বোঝায় মল ত্যাগের সময় কালচে রক্ত বা রক্তমিশ্রিত মল ত্যাগ করা, যা পাকস্থলী বা অন্ত্রের রক্তপাতের কারণে ঘটে।
অতএব, নাক দিয়ে রক্তক্ষরণ বা Nose Bleeding-এর সঠিক চিকিৎসাবৈজ্ঞানিক নাম Epistaxis, যা সবচেয়ে যথার্থ উত্তর।
0
Updated: 2 days ago