বাংলাদেশে আন্তর্জাতিক টেস্ট ক্রিকেটের জন্য মোট কয়টি ভেন্যু আছে?
A
৫ টি
B
৬ টি
C
৭ টি
D
৮ টি
উত্তরের বিবরণ
বাংলাদেশে আন্তর্জাতিক টেস্ট ক্রিকেটের জন্য মোট ৮টি ভেন্যু রয়েছে। বাংলাদেশের ক্রিকেট ভেন্যুগুলোর একটি শক্তিশালী পরিকাঠামো রয়েছে, যা দেশের ক্রিকেটের উন্নয়নে সহায়ক ভূমিকা পালন করছে। এই ভেন্যুগুলো আন্তর্জাতিক মানের স্টেডিয়াম, যা শুধুমাত্র টেস্ট ম্যাচই নয়, আন্তর্জাতিক ওয়ানডে এবং টি-টোয়েন্টি ম্যাচের জন্যও ব্যবহৃত হয়।
এই ভেন্যুগুলোর মধ্যে সবচেয়ে পরিচিত এবং জনপ্রিয় কিছু স্টেডিয়াম রয়েছে, যা আন্তর্জাতিক ম্যাচ আয়োজনের জন্য উপযুক্ত। প্রতিটি ভেন্যু নিজ নিজ বৈশিষ্ট্য এবং ইতিহাসের জন্য গুরুত্বপূর্ণ। বাংলাদেশে টেস্ট ক্রিকেটের জন্য ব্যবহৃত ৮টি ভেন্যু হল:
-
মীরপুর শের-ই-বাংলা স্টেডিয়াম (ঢাকা): দেশের প্রধান ভেন্যু হিসেবে মীরপুর স্টেডিয়ামটি বহু বছর ধরে আন্তর্জাতিক টেস্ট ম্যাচের জন্য ব্যবহৃত হচ্ছে। এটি ঢাকার অন্যতম বৃহত্তম স্টেডিয়াম।
-
চট্টগ্রাম জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়াম: চট্টগ্রামের এই স্টেডিয়ামটি টেস্ট ম্যাচসহ অন্যান্য আন্তর্জাতিক ক্রিকেট ম্যাচের জন্য বিখ্যাত। এটি দেশের অন্যতম সেরা ভেন্যু হিসেবে বিবেচিত।
-
রাজশাহী বিভাগীয় স্টেডিয়াম: রাজশাহীতে অবস্থিত এই স্টেডিয়ামটি নতুন হলেও আন্তর্জাতিক ম্যাচ আয়োজনের জন্য প্রস্তুত।
-
সিলেট আন্তর্জাতিক স্টেডিয়াম: সিলেটের এই স্টেডিয়ামটি আধুনিক সুবিধা সম্বলিত, এবং এটি জাতীয় ও আন্তর্জাতিক ম্যাচের জন্য ব্যবহার হয়।
-
খুলনা শের-ই-বাংলা স্টেডিয়াম: খুলনায় অবস্থিত এই স্টেডিয়ামটি আন্তর্জাতিক টেস্ট ম্যাচের জন্য ব্যবহৃত হয়।
-
বগুড়া স্টেডিয়াম: বগুড়ার স্টেডিয়ামটি খেলার জন্য উপযোগী হলেও এটি তুলনামূলকভাবে কম ব্যবহৃত। তবে এটি দেশের ক্রিকেটের উন্নতির জন্য গুরুত্বপূৰ্ণ।
-
মহম্মদপুর স্টেডিয়াম (ঢাকা): এই স্টেডিয়ামটি মাঝে মাঝে আন্তর্জাতিক টেস্ট ম্যাচ আয়োজনের জন্য ব্যবহৃত হয়।
-
সোনালী স্টেডিয়াম (বরিশাল): বরিশালের এই স্টেডিয়ামটি আন্তর্জাতিক টেস্ট ম্যাচ আয়োজনের জন্য নির্বাচিত হয়েছে।
এই ভেন্যুগুলো বিশ্বমানের স্টেডিয়াম এবং এগুলোর অবকাঠামোও আন্তর্জাতিক পর্যায়ের। ফলে বাংলাদেশে ক্রিকেটের আন্তর্জাতিক মান বৃদ্ধি পাচ্ছে, এবং এই ভেন্যুগুলোর মাধ্যমে আরও বেশি আন্তর্জাতিক ম্যাচ আয়োজন সম্ভব হচ্ছে।
0
Updated: 1 day ago
একটি ত্রিদেশিয় ক্রিকেট খেলায় প্রত্যেক অন্যদেশের সাথে একবার মাত্র খেলবে। মোট কয়টি খেলা অনুষ্ঠিত হবে?
Created: 2 days ago
A
৭ টি
B
৫ টি
C
৩ টি
D
৪ টি
একটি ত্রিদেশীয় ক্রিকেট প্রতিযোগিতায় তিনটি দেশ অংশ নেয় এবং প্রতিটি দেশ অপর দুটি দেশের সঙ্গে একবার করে খেলে। যেহেতু প্রতিটি ম্যাচে দুটি দল অংশগ্রহণ করে, তাই ম্যাচের সংখ্যা নির্ধারণ করা যায় সমাবেশের সূত্র অনুযায়ী। এখানে সঠিক উত্তর ৩টি খেলা।
-
মোট দেশ ৩টি: ধরো দেশগুলো হলো A, B এবং C।
-
প্রতিটি দেশ অন্য দুই দেশের সাথে একবার করে খেলবে।
-
সেক্ষেত্রে সম্ভব খেলার জোড়াগুলো হবে: A-B, B-C, এবং A-C।
-
অর্থাৎ, তিনটি ভিন্ন ম্যাচই যথেষ্ট, কারণ প্রতিটি দল একে অপরের বিপক্ষে একবার করে খেলেছে।
-
এই ধরনের হিসাব গণিতে বোঝানো হয় সমাবেশের (Combination) সূত্র দিয়ে, অর্থাৎ nC2 = n(n−1)/2।
-
এখানে n = 3 হলে, ম্যাচের সংখ্যা হবে:
3C2 = 3×(3−1)/2 = 3×2/2 = 3। -
যদি আরও দল যোগ হয়, তবে একই সূত্রে খেলার সংখ্যা বাড়বে। যেমন—
৪টি দল হলে 4C2 = 6 টি খেলা,
৫টি দল হলে 5C2 = 10 টি খেলা। -
ক্রিকেটের এই ধরনের প্রতিযোগিতাকে বলা হয় Round Robin Tournament, যেখানে প্রতিটি দল অপর প্রতিটি দলের সাথে একবার করে খেলে।
-
তাই ত্রিদেশীয় (৩ দেশের) টুর্নামেন্টে মোট ম্যাচের সংখ্যা হবে ৩টি, যা প্রশ্নের সঠিক উত্তর।
0
Updated: 2 days ago
২০২৫ সালের আইসিসি নারী ওয়ানডে বিশ্বকাপ কোথায় অনুষ্ঠিত হবে?
Created: 1 month ago
A
ভারত
B
পাকিস্তান
C
ইংল্যান্ড
D
অস্ট্রেলিয়া
২০২৫ সালের আইসিসি নারী ওয়ানডে বিশ্বকাপ অনুষ্ঠিত হবে ভারত ও শ্রীলঙ্কা-তে, ৩০ সেপ্টেম্বর থেকে ২ নভেম্বর পর্যন্ত।
-
অংশগ্রহণকারী দল: ৮টি
-
ম্যাচ সংখ্যা: ২৮টি লিগ ম্যাচ, রাউন্ড-রবিন ফরম্যাটে
-
নির্ধারিত ভেন্যু:
-
এম. চিন্নাস্বামী স্টেডিয়াম (বেঙ্গালুরু)
-
এসিএ স্টেডিয়াম (গৌহাটি)
-
হোলকার স্টেডিয়াম (ইন্দোর)
-
এসিএ-ভিডিসিএ স্টেডিয়াম (বিশাখাপত্তনম)
-
আর. প্রেমাদাসা স্টেডিয়াম (কলম্বো, শ্রীলঙ্কা)
-
-
বিশেষ তথ্য: ১২ বছর পর ভারতে আবারও অনুষ্ঠিত হচ্ছে নারী ওয়ানডে বিশ্বকাপ
-
উদ্বোধনী ম্যাচ: স্বাগতিক ভারত মাঠে নামবে বেঙ্গালুরুতে
0
Updated: 1 month ago
ক্রিকেট খেলার জন্ম কোন দেশে?
Created: 1 week ago
A
ইংল্যান্ড
B
অস্ট্রেলিয়া
C
নিউজল্যান্ড
D
ভারত
ক্রিকেট বিশ্বের অন্যতম জনপ্রিয় খেলা, যার উৎপত্তি হয়েছে বহু শতাব্দী আগে ইউরোপের এক দেশে। এই খেলার ইতিহাস, বিকাশ ও বিশ্বব্যাপী প্রসার ইংল্যান্ডকে কেন্দ্র করেই শুরু হয় এবং পরবর্তীতে এটি আন্তর্জাতিকভাবে ছড়িয়ে পড়ে। নিচে এই বিষয়ে কিছু গুরুত্বপূর্ণ তথ্য উপস্থাপন করা হলো—
ক্রিকেটের উৎপত্তি:
ক্রিকেট খেলার উৎপত্তি হয় ইংল্যান্ডে ১৬শ শতাব্দীতে। ধারণা করা হয়, এটি প্রথম খেলা শুরু হয় ইংল্যান্ডের দক্ষিণাঞ্চলীয় গ্রামাঞ্চলে শিশুদের বিনোদনের একটি মাধ্যম হিসেবে। ধীরে ধীরে এটি প্রাপ্তবয়স্কদের মধ্যেও জনপ্রিয় হয়ে ওঠে এবং নিয়ম-কানুনসহ সংগঠিত খেলা হিসেবে বিকশিত হয়।
প্রথম সংগঠিত রূপ:
১৭শ শতাব্দীর শেষের দিকে ক্রিকেট একটি নিয়মিত প্রতিযোগিতামূলক খেলা হিসেবে গড়ে ওঠে। ১৭৪৪ সালে প্রথম ক্রিকেটের নিয়মাবলি (Laws of Cricket) প্রণয়ন করা হয়, যা আধুনিক ক্রিকেটের ভিত্তি হিসেবে গণ্য হয়।
MCC (Marylebone Cricket Club):
১৭৮৭ সালে প্রতিষ্ঠিত হয় Marylebone Cricket Club (MCC), যা ইংল্যান্ডের লন্ডনের লর্ডস ক্রিকেট গ্রাউন্ডে অবস্থিত। এই সংস্থা আধুনিক ক্রিকেটের নিয়ম নির্ধারণ ও সংশোধনের দায়িত্ব পালন করে আসছে। তাই একে ক্রিকেটের “আইনের রক্ষক” বলা হয়।
আন্তর্জাতিক ক্রিকেটের সূচনা:
১৮৪৪ সালে প্রথম আন্তর্জাতিক ক্রিকেট ম্যাচ অনুষ্ঠিত হয় কানাডা ও যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে, কিন্তু প্রকৃত আন্তর্জাতিক ক্রিকেটের যুগ শুরু হয় ১৮৭৭ সালে ইংল্যান্ড ও অস্ট্রেলিয়ার মধ্যে অনুষ্ঠিত টেস্ট ম্যাচের মাধ্যমে। এই ম্যাচটি “The Ashes” সিরিজের সূচনা করে, যা আজও ক্রিকেট বিশ্বের সবচেয়ে মর্যাদাপূর্ণ প্রতিদ্বন্দ্বিতা হিসেবে পরিচিত।
ইংল্যান্ডের ভূমিকা:
ইংল্যান্ড শুধু ক্রিকেটের জন্মস্থানই নয়, বরং এই খেলার নিয়ম, সংস্কৃতি ও ঐতিহ্যের ধারক-বাহক। এখান থেকেই ক্রিকেট ভারত, অস্ট্রেলিয়া, নিউজল্যান্ড, দক্ষিণ আফ্রিকা ও অন্যান্য উপনিবেশিক দেশে ছড়িয়ে পড়ে।
বিশ্বব্যাপী বিস্তার:
ব্রিটিশ উপনিবেশের সময় ইংরেজ সৈন্য ও প্রশাসকদের মাধ্যমে ক্রিকেট এশিয়া, আফ্রিকা ও ক্যারিবিয়ান অঞ্চলে পৌঁছে যায়। পরবর্তীতে এসব দেশ ক্রিকেটে নিজেদের শক্তিশালী অবস্থান তৈরি করে, যেমন ভারত, পাকিস্তান, অস্ট্রেলিয়া ও ওয়েস্ট ইন্ডিজ।
উপসংহার:
সব দিক থেকে দেখা যায়, ইংল্যান্ডই ক্রিকেট খেলার জন্মভূমি। এখান থেকেই ক্রিকেটের ভিত্তি, নিয়ম ও ঐতিহ্য বিশ্বজুড়ে ছড়িয়ে পড়ে, যা একে আজকের আন্তর্জাতিক খেলার রূপ দিয়েছে।
0
Updated: 1 week ago