নিচের কোন রাষ্ট্রটি নিরাপত্তা পরিষদের স্থায়ী সদস্য নয়?
A
যুক্তরাজ্য
B
যুক্তরাষ্ট্র
C
জাপান
D
ফ্রান্স
উত্তরের বিবরণ
জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদের স্থায়ী সদস্যপদ বিষয়টি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ এবং আন্তর্জাতিক সম্পর্কের ক্ষেত্রে একটি বিশেষ মর্যাদা সম্পন্ন অবস্থান। নিরাপত্তা পরিষদ জাতিসংঘের অন্যতম প্রধান অঙ্গ এবং এর প্রধান দায়িত্ব হলো আন্তর্জাতিক শান্তি ও নিরাপত্তা রক্ষা করা। নিরাপত্তা পরিষদের পাঁচটি স্থায়ী সদস্য রয়েছে, যাদেরকে 'P5' বলা হয়। এই পাঁচটি দেশ হল: যুক্তরাজ্য, যুক্তরাষ্ট্র, ফ্রান্স, রাশিয়া এবং চীন।
জাপান এই পাঁচটি দেশের মধ্যে অন্তর্ভুক্ত নয়, যা তাকে স্থায়ী সদস্য হতে বাধাগ্রস্ত করেছে।
নিরাপত্তা পরিষদের স্থায়ী সদস্যদের কিছু বিশেষ ক্ষমতা রয়েছে, যার মধ্যে একটি হলো ভেটো পাওয়ার। অর্থাৎ, যদি কোন সদস্য এই পরিষদে কোনো প্রস্তাবের বিরুদ্ধে ভোট দেয়, তবে সেটি পাশ হতে পারে না। এই ভেটো ক্ষমতা তাদেরকে বিশ্বে বৃহত্তর প্রভাবশালী দেশ হিসেবে দাঁড় করিয়েছে।
এর মধ্যে যেসব দেশ স্থায়ী সদস্য হিসেবে রয়েছে, তাদের ভেটো ক্ষমতা জাতিসংঘের সিদ্ধান্ত গ্রহণ প্রক্রিয়াকে প্রভাবিত করতে পারে। উদাহরণস্বরূপ, যদি কোনো আন্তর্জাতিক সংকট নিয়ে আলোচনা হয় এবং কোনো এক দেশ তার মতামত অনুযায়ী সিদ্ধান্ত নেবার জন্য ভেটো দেয়, তবে সেই সিদ্ধান্তটি বাতিল হয়ে যাবে।
-
যুক্তরাজ্য, যুক্তরাষ্ট্র, ফ্রান্স, এবং রাশিয়া তাদের ঐতিহাসিক প্রভাব ও যুদ্ধকালীন অবস্থান থেকে স্থায়ী সদস্য হিসেবে স্থান পেয়েছে।
-
চীনও একটি শক্তিশালী রাষ্ট্র হিসেবে স্থায়ী সদস্যপদ লাভ করেছে এবং এটি বিশ্বব্যাপী অর্থনৈতিক ও সামরিক প্রভাবের কারণে বিশেষ গুরুত্ব বহন করে।
তবে, জাপান কখনোই নিরাপত্তা পরিষদের স্থায়ী সদস্য হতে পারেনি। যদিও এটি বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তম অর্থনীতির দেশ, তবে নিরাপত্তা পরিষদের স্থায়ী সদস্য হওয়ার জন্য ভেটো ক্ষমতা এবং সেইসঙ্গে অতীতের রাজনৈতিক প্রেক্ষাপট ও শক্তির সমন্বয় প্রয়োজন। ফলে, জাপান এই সদস্যপদ থেকে বাদ পড়েছে।
সার্বিকভাবে, জাপান নিরাপত্তা পরিষদের স্থায়ী সদস্য নয়, কারণ এটি জাতিসংঘের শক্তিশালী সদস্যভুক্ত দেশগুলোর তালিকায় অন্তর্ভুক্ত নয়, যদিও এটি নিরাপত্তা পরিষদের অস্থায়ী সদস্য হিসেবে নির্বাচিত হতে পারে।
0
Updated: 1 day ago
কত বছরের জন্য জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের অস্থায়ী সদস্য নির্বাচিত হয়?
Created: 1 month ago
A
৩ বছর
B
৫ বছর
C
২ বছর
D
৪ বছর
জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদ (UN Security Council) হলো একটি সংস্থা যা ১৫ জন সদস্য নিয়ে গঠিত।
-
স্থায়ী সদস্য দেশ (পঞ্চপক্ষীয় বিজয়ী রাষ্ট্র): চীন, ফ্রান্স, রাশিয়া, যুক্তরাজ্য, যুক্তরাষ্ট্র
-
অস্থায়ী সদস্য হিসেবে বাংলাদেশ: দুইবার নির্বাচিত হয়েছে
-
প্রথমবার: ১৯৭৯-১৯৮০, জাপানকে পরাজিত করে
-
দ্বিতীয়বার: ২০০০-২০০১
-
-
অস্থায়ী সদস্যের মেয়াদ: ২ বছর
0
Updated: 1 month ago
জাতিসংঘের মহাসচিব কার সুপারিশে নির্বাচিত হন ?
Created: 16 hours ago
A
সাধারন পরিষদের
B
স্থায়ী সদস্যদের
C
নিরাপত্তা পরিষদের
D
ইউ এস প্রেসিডেন্টের
জাতিসংঘের মহাসচিব হচ্ছেন সংস্থাটির প্রশাসনিক প্রধান ও মুখপাত্র, যিনি আন্তর্জাতিক কূটনীতি ও শান্তি রক্ষার ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন। মহাসচিব নিরাপত্তা পরিষদের সুপারিশে এবং সাধারণ পরিষদের দুই-তৃতীয়াংশ ভোটে নির্বাচিত হন। তাঁর মেয়াদকাল ৫ বছর, তবে পুনর্নিয়োগের সুযোগ রয়েছে।
-
মহাসচিবের পদটি জাতিসংঘ সনদের ৯৭ অনুচ্ছেদে বর্ণিত হয়েছে।
-
তিনি জাতিসংঘের সচিবালয় (Secretariat)-এর প্রধান হিসেবে কাজ করেন এবং সংস্থার নীতি বাস্তবায়নে দায়িত্ব পালন করেন।
-
মহাসচিবের অন্যতম কাজ হলো আন্তর্জাতিক শান্তি ও নিরাপত্তা বজায় রাখা, সদস্য রাষ্ট্রগুলোর মধ্যে সংলাপ ও সমঝোতা প্রতিষ্ঠা করা।
-
তিনি জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদ ও সাধারণ পরিষদের বৈঠকে অংশগ্রহণ করতে পারেন এবং প্রয়োজনে কোনো আন্তর্জাতিক সমস্যা উত্থাপন করতে পারেন।
-
মহাসচিব জাতিসংঘের বিভিন্ন সংস্থা ও কার্যক্রমের সমন্বয়কারী হিসেবে কাজ করেন।
-
এখন পর্যন্ত একাধিক দেশ থেকে মহাসচিব নির্বাচিত হয়েছেন, যা জাতিসংঘের বৈশ্বিক প্রতিনিধিত্ব ও নিরপেক্ষতা বজায় রাখে।
0
Updated: 16 hours ago
নীচের কোন রাষ্ট্র নিরাপত্তা পরিষদের স্থায়ী সদস্য নয়?
Created: 2 days ago
A
যুক্তরাষ্ট্র
B
ফ্রান্স
C
চীন
D
জার্মানি
জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদ বিশ্বের শান্তি ও নিরাপত্তা রক্ষার অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গ। এতে মোট ১৫টি সদস্য দেশ রয়েছে, যার মধ্যে ৫টি দেশ স্থায়ী সদস্য হিসেবে বিশেষ মর্যাদা ভোগ করে। স্থায়ী সদস্যরা যেকোনো গুরুত্বপূর্ণ প্রস্তাবে ভেটো ক্ষমতা প্রয়োগ করতে পারে। প্রদত্ত প্রশ্নে “জার্মানি” নিরাপত্তা পরিষদের স্থায়ী সদস্য নয়—এটাই সঠিক উত্তর। নিচে এ সম্পর্কিত প্রয়োজনীয় তথ্য তুলে ধরা হলো।
-
স্থায়ী সদস্য রাষ্ট্রের সংখ্যা মোট পাঁচটি, যাদের সাধারণত P5 (Permanent Five) বলা হয়।
-
এই পাঁচটি দেশ হলো— যুক্তরাষ্ট্র (United States), যুক্তরাজ্য (United Kingdom), রাশিয়া (Russia), ফ্রান্স (France), এবং চীন (China)।
-
এই দেশগুলো দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর জাতিসংঘ গঠনের সময় প্রধান শক্তিধর রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতি পেয়েছিল।
-
তারা প্রত্যেকেই পারমাণবিক শক্তিধর রাষ্ট্র এবং বিশ্ব রাজনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ প্রভাব বিস্তার করে থাকে।
-
নিরাপত্তা পরিষদের মূল দায়িত্ব হলো আন্তর্জাতিক শান্তি ও নিরাপত্তা বজায় রাখা, যুদ্ধ প্রতিরোধ, নিষেধাজ্ঞা আরোপ এবং শান্তিরক্ষা অভিযান পরিচালনা।
-
ভেটো ক্ষমতা এই পাঁচ দেশের হাতে থাকায় তারা চাইলে যেকোনো প্রস্তাব বাতিল করতে পারে, এমনকি অন্য সব দেশ সমর্থন করলেও।
-
অন্যদিকে, অস্থায়ী সদস্য সংখ্যা ১০টি, যারা দুই বছরের মেয়াদে নির্বাচিত হয়। এই দেশগুলোর মধ্যে ভেটো ক্ষমতা থাকে না।
-
জার্মানি যদিও জাতিসংঘের একটি প্রভাবশালী ও উন্নত দেশ, তবুও এটি স্থায়ী সদস্য নয়।
-
জার্মানি নিয়মিতভাবে অস্থায়ী সদস্য হিসেবে নির্বাচিত হয় এবং বিভিন্ন আন্তর্জাতিক ইস্যুতে সক্রিয় ভূমিকা পালন করে।
-
বহু বছর ধরে জার্মানি, জাপান, ভারত ও ব্রাজিলসহ কয়েকটি দেশ স্থায়ী সদস্যপদ পাওয়ার দাবি জানিয়ে আসছে।
-
তাদের যুক্তি হলো, বর্তমান বিশ্ব রাজনীতিতে ক্ষমতার ভারসাম্য পরিবর্তিত হয়েছে, তাই স্থায়ী সদস্যদের তালিকাও হালনাগাদ করা প্রয়োজন।
-
তবে এই পরিবর্তন আনতে হলে নিরাপত্তা পরিষদের কাঠামোগত সংস্কার প্রয়োজন, যা এখনো কার্যকর হয়নি।
-
জাতিসংঘের সনদ (UN Charter) অনুসারে স্থায়ী সদস্যদের সংখ্যা বাড়ানো অত্যন্ত জটিল প্রক্রিয়া, কারণ এতে স্থায়ী সদস্যদের সর্বসম্মত অনুমোদন লাগবে।
-
যুক্তরাষ্ট্র, ফ্রান্স ও চীন জাতিসংঘের প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকেই স্থায়ী সদস্য হিসেবে রয়েছে এবং বৈশ্বিক সিদ্ধান্তে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে।
-
রাশিয়া সোভিয়েত ইউনিয়নের উত্তরসূরি হিসেবে ১৯৯১ সালে এই স্থায়ী আসন উত্তরাধিকার সূত্রে পায়।
সবশেষে বলা যায়, জার্মানি জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের স্থায়ী সদস্য নয়—এই কারণেই এটি প্রদত্ত বিকল্পগুলোর মধ্যে একমাত্র সঠিক উত্তর। যদিও দেশটি আন্তর্জাতিক শান্তি ও সহযোগিতায় বড় ভূমিকা রাখে, তবুও সে এখনও ভেটো ক্ষমতাসম্পন্ন স্থায়ী সদস্যপদ অর্জন করতে পারেনি।
0
Updated: 2 days ago